--> :: Amader Chhuti :: কথোপকথন - বেড়ানোর খাওয়াদাওয়া

[ 'আমাদের ছুটি' আন্তর্জাল ভ্রমণ পত্রিকার ফেসবুক গ্রুপে সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে অনেকদিনই। গ্রুপে নিয়মিত বেড়ানোর ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে নানা বিষয়ে আড্ডাও জমে ওঠে সদস্যদের মধ্যে। পুজোর ছুটির ঠিক আগে আগে চোখে পড়ল সুমিত নাথের এই পোস্টটি। বেড়াতে আর খেতে আমরা কে না ভালোবাসি! বেড়াতে যাওয়ার আগে নতুন জায়গায় কী কী দেখা যাবে-র পাশাপাশি কী কী নতুন খাবার পাওয়া যাবে সেটাও খোঁজ নিয়ে নিই আগেভাগেই। গ্রুপের এই মজার আড্ডাটা পড়তে পড়তে মনে হল ফেসবুকে থাকলেতো দুদিনবাদে হারিয়েই যাবে পোস্টটা, বরং পত্রিকার পাতায় জমিয়ে পড়া যাবে যখন ইচ্ছে আর বেড়াতে গিয়েও ভুলে গেলে একবার অথবা বারবারই চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাবে। পড়তে পড়তে আমারওতো মনে পড়ে যায় কত কথা, থুড়ি জিভে জল আনা কত স্বাদ –পোর্টব্লেয়ারের তিল্লাই বেকারির হলুদ রঙের নরম স্পঞ্জ কেক আর নারকেল ও ক্রিমে ভরা বানরুটি, হ্যাভলক দ্বীপের ওয়াইল্ড অর্কিড রেস্তোরাঁয় বিশাল ব্যারাকুডা মাছ, রঙ্গতবাজার এলাকায় হোটেল দুর্গায় তারিনি মাছের ঝোল, গোয়ায় কোলাভা বিচ লাগোয়া শ্যাক-এ মৃদুমন্দ আলোয় স্কুইডের একটা দুর্দান্ত ডিশ, বেনারসের গোধুলিয়ায় রাবড়ি আর রামনগর ফোর্টের সামনের দোকানে প্রাণজুড়ানো লস্যি, বকখালিতে ঝুপড়ি হোটেলের কাঁকড়ার ঝাল... । বলতে বলতেই মনে পড়ল জয়ন্তীতে পি.এইচ. ই.-র বাংলোয় রাতে কেয়ারটেকারের রান্না গরম গরম হাতরুটি আর দেশি মুরগির ঝোল খেয়ে মুক্ত কন্ঠে প্রশংসা করতে সে খুব নিস্পৃহ গলায় উত্তর দিয়েছিল, হুম... টাবু ম্যাডাম-ও তাই বলেছিলেন (গৌতম ঘোষের 'আবার অরণ্যে' শুটিং-এ এসে)। ]

আড্ডা বসালেন সুমিত নাথ আর শুনলেন থুড়ি পড়লেন দময়ন্তী দাশগুপ্ত -


♦ সুমিত নাথ – কোথাও বেড়াতে গিয়ে সেখানের কোনো বিশেষ খাবারের কথা বা কোনো দোকান/হোটেল-এ খাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের মনে রয়ে গেছে – এমন কিছু পোস্ট করুন – নিছক কৌতূহল।
♦ সোনালি দাস – লাভা থেকে সুনতালেখোলা যেতে রাস্তার হোটেলে মোমো বিক্রি হয়। দারুণ খেতে। নেপালিদের তৈরি মোমোর টেস্ট বাঙালিদের থেকে আলাদা। গেলে খেয়ে দেখবেন।
♦ পারিজাত ভট্টাচার্য – হরিদ্বারের দাদা-বৌদির হোটেলের আলুপোস্ত, গরম ভাত, কড়কড়ে আলুভাজা – বাড়ির থেকে দূরে ওই এক খাবার অতুলনীয়।
সিদ ব্যানার্জি – চেইল-এ শর্মাজীর ধাবা – ৫০ টাকায় ভরপুর পেটপুজো (২০১০-এর কথা বলছি)। ছোট্ট একটা ধাবা – একেবারেই চোখে পড়ার মত নয়। অথচ এমন কোন সেলিব্রিটি নেই যিনি এখানে খাননি। মোটামুটি ছ'টা ডিশ...হাতে বানানো গরম রুটি ঘি মাখানো...উফফফ...
♦ পারমিতা পাইন – আপার পেলিং-এ হেলিপ্যাড-এর সামনে সিকিমিজ পরিবারের দোকানে গরম গরম আলুর পরোটা আর চা।
♦ চন্দ্রিমা চৌধুরী – কেভেন্টার্স – দার্জিলিং...এদের খাবারের কথাতো নতুন করে কিছু বলারই নেই...বিখ্যাত। কিন্তু যিনি আমাদের সার্ভ করছিলেন সেই ভাইয়ার হাসিমুখ সবথেকে বেশি মনে পড়ে। বাইরে পঞ্চাশ-ষাট জন অপেক্ষা করছে। অথচ কী ঠাণ্ডা মাথায় পুরো চাপটা সামলাচ্ছিলেন একটুও বিরক্ত না হয়ে।
♦ অভীক রায় চৌধুরী – ছোটবেলায় বাবা-মার সঙ্গে আগ্রার মহারাজ হোটেলে গরম লাল টুকটুকে মাংসের ঝোল ভাত। পুরীর সাগরিকা হোটেলে শেষপাতে চিনি ছড়ানো টক দই। সম্প্রতি দিঘায় গীতাঞ্জলি হোটেলের ঘি দেওয়া আলুপোস্ত। শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ার কাছে এক হোটেলে ধনেপাতার বড়া। আপাতত চলন্ত বাসে বসে বসে এই কটা মনে পড়ল।
♦ অরিজিৎ চক্রবর্তী – বহু বছর আগে একবার দুয়ারসিনি ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন অবশ্য ওই বাংলোগুলো খোলা ছিল। বাংলোর রাঁধুনী সাঁওতাল ছেলেটি (এখন আর নাম মনে নেই) আমাকে আর আমার বন্ধুকে তার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে গিয়েছিল মহুয়া খাওয়াতে। সঙ্গে দিয়েছিল পেয়ারা পাতার মধ্যে একটু নুন আর একটু মুড়ি। সেই দিনটা আর ওদের সেই অতিথি আপ্যায়ন আমার সারা জীবন মনে থাকবে। যদি কোনদিন সুযোগ হয়... বাংলোটা খোলে... আবার যাব...তবে জানিনা ওই ছেলেটির সঙ্গে আর দেখা হবে কীনা। ♦ পায়েল ভট্টাচার্য চ্যাটার্জি – পুরী ২০১৪...তেরোপার্বণের পোলাও। বক্সা ফরেস্ট রিসর্টের লক্ষ্মীভোগ চালের ভাত।
♦ সৌম্যব্রত গুহঠাকুরতা – আগরতলায় গেলে অবশ্যই শঙ্করের হোটেলে ঢুঁ মারবেন। একেবারেই সাধারণ দেখতে একটা হোটেল কিন্তু মেনুর তালিকা বিরাট...দামও খুব বেশি নয়...সব অটোচালকেরাই হোটেলটা চেনে।
♦ গৌরাঙ্গ প্রসাদ ব্যানার্জি – ওড়িশার দালমা খুব স্বাদু।
♦ ডঃ সোমা নন্দা – সিমলার পেস্ট্রি আর সফটি দারুণ।
♦ কিরণ চৌধুরী - ব্যাংকক আর পাট্টায়াতে ব্রেকফাস্ট টেবিলের খাওয়া । জীবনে ভুলব না।
পুষ্কর বেদপ্রকাশ মিত্র – হৃষিকেশের কাছে আগ্রা খাল বলে একটা ছোট জায়গা আছে ওখানের রাবড়ি খুব ভালো খেতে।
♦ বিশ্রুত সেন – তখন আমি ক্লাস টুতে পড়তাম...হোটেলের নাম মনে নেই...তবে দার্জিলিং এটা মনে আছে...হোটেলে খেয়ে খুব ভালোলেগেছিল। দীঘার বালুচরী হোটেলের খাওয়াও আগে খুব ভালো ছিল, এখন বাজে হয়ে গেছে।
♦ সুস্নিগ্ধা দাস – পুরীতে জগন্নাথ দেবের ভোগের রাবড়ি মালপোয়া সহ, আর অন্যরকম একটা মিস্টি নাড়ু গজা...এককথায় অসাধারণ।
♦ বহ্নিশিখা ভট্টাচার্য – কালিম্পং মোড়ে পুলিশ স্টেশনের কাছে রাস্তার ধারের মোমো...। সিমলার পেস্ট্রি সম্বন্ধে আমিও একমত।
♦ প্রদীপ্ত কুমার সিংহ – শক্তিগড় ঘুরে আসুন... 'আদি ল্যাংচা ভবন'-এর ল্যাংচা খাবেন অবশ্যই।
♦ চৈতালি শীল – রাবাংলায় গিয়ে মোমো আর গ্যাংটকের এম জি মার্গে সিঙ্গারা চাট। কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কে গ্রিলড চিকেন স্যান্ডুইচ ও ভজহরি মান্নায় নলেন গুড়ের আইসক্রিম।
♦ ইসির তাহা – সি নেস্ট ভাইজাগ। বাসস্ট্যান্ডের কাছে হলদোয়ানি সামা রেস্টুরেন্টের চিকেন কালি মরিচ। দিল্লিতে জামা মসজিদের কাছে করিম। হায়দ্রাবাদে চারমিনারের কাছে পিস্তা হাটের হালিম। সেকেন্দ্রাবাদে ইরানি কাফে।
♦ চৈতালি শীল – আমার যাওয়া হয়নি @ইসির কিন্তু হায়দ্রাবাদে চারমিনারের সামনে প্রতিটা স্ট্রিট ফুডের স্বাদই মনে রাখার মত।
♦ সুকুমার দাস – মুর্শিদাবাদ ঘুরতে গেলে অবশ্যই 'কান্দি' গিয়ে ওখানের 'মনোহরা' খাবেন... মন হারিয়ে যাবে।
♦ ইসির তাহা – বহরমপুরের ছানাবড়া।
♦ চৈতালি শীল – জনাইয়ের মনোহরাও খারাপ নয় তবে সব দোকানের না @সুকুমার।
♦ ইসির তাহা – দার্জিলিং-এ ম্যল-এর কাছে গ্লেনারিজ আর কেভেন্টার্স। শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাছে কল্পনা পাইস হোটেল।
♦ সুকুমার দাস – কলকাতার ফুচকা।
♦ দীপান্বিতা মজুমদার – কোলাঘাটের ধাবা...ব্যাপক।
♦ চৈতালি শীল – আরে @সুকুমার কলকাতা ছাড়া ফুচকায় স্বাদ পাওয়া যায়না। শান্তিনিকেতনে খেয়েছিলাম পেঁয়াজ দিয়ে ফুচকা! ফুচকাপ্রেমীদের নাইটমেয়ার হয়ে যাবে।
♦ ইসির তাহা – কলকাতার ফুচকা – দ্য বেস্ট।
♦ চৈতালি শীল - @ দীপান্বিতা কোলাঘাটের ধাবা বলতে ব্রিজ পেরিয়ে একটা ধাবা আছে ওখানে খেয়েছিলাম ভালোই। @ইসির কোনদিন সাঁতরাগাছি এলে জগাছা থানার উল্টোদিকে কাসুন্দি ফুচকা খেয়ে যাবেন...গ্যারান্টি ভুলতে সময় লাগবে। @সুকুমার, গ্যাংটকের এম জি মার্গে একটা স্ন্যাক্সের দোকানে ফুচকা পাওয়া যায় আপনাকে নিজে বানিয়ে খেতে হবে, ওরা আলু-মশলা দিয়ে রেডি করে দেয়। কিন্তু মাখা নয়, আলুর তরকারিতে যেমন আলু থাকে তেমন। ভালোই লাগে খেতে।
♦ দেবশ্রী নন্দী – লাটাগুড়িতে অরণ্য বলে একটা হোটেল আছে ওখানের রেস্টুরেন্টে সত্যি এত ভালো রান্না মুখে লেগে থাকার মত। সব রান্নাই খুব ভালো। শুধু সেইজন্যই আবার যেতে হবে।
♦ সায়নী চৌধুরী – মুসৌরীর ম্যল-এ পেস্ট্রি...ইয়াম্মি।
♦ রত্না গুহ – মাইথনের জিলিপি দারুণ লেগেছিলো। অমৃতির মতো প্যাঁচ কিন্তু পাতলা। ব্রিজে ওঠার আগে ট্যুরিস্ট লজের কাছে।
♦ নিকেত সাহা – শিমুলতলার ছানা, ওয়ান (রূপকুণ্ডের পথে) এর ডালিয়া, চিত্রের মোমো...আরও অনেক এমন স্মৃতি আছে।
♦ সিদ্ধার্থ কর্মকার – বহু আগে...১৯৭১ সালের কথা বলছি...আমি তখন কলেজে পড়ি...দ্বারকায় পুরী আর রাবড়ি খেয়েছিলাম...সে স্বাদ ভুলতে পারিনি।
♦ কণাদ চৌধুরী - পুরীর মন্দিরের প্রধান প্রবেশপথের ডানদিকে, মন্দিরের দেওয়ালের বাইরে কয়েকটা দোকান আছে, খুব ভাল রাবড়ি পাওয়া যায়। আর বাঁদিক দিয়ে যে রাস্তাটা স্বর্গদ্বারের দিকে গিয়েছে গজার দোকানগুলোর পাশ দিয়ে, সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছি আমি আর আমার বড় মেয়ে, দেখলাম একটা দোকানের সামনে বেশ বড় একটা কালো কড়াই উনুনে বসানো, দুধ জ্বাল দেওয়া হচ্ছে, আর দুধের ওপর থেকে সাদা মত কিছু একটা তুলে শালপাতার বাটিতে পরিবেশিত হচ্ছে ক্রেতার কাছে। দাঁড়িয়ে গেলাম দুজনেই, কাছে গিয়ে দেখা গেল, দূর থেকে যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই, দুধের পুরু সর অদ্ভুত কায়দায় দুটো কাঠির সাহায্যে তুলে নেওয়া হচ্ছে কড়াই থেকে, চারভাঁজ করে শালপাতার বাটির ওপর রেখে অল্প একটু চিনি ছড়িয়ে হাতে তুলে দিল দোকানি, আঃ! কী দারুণ খেতে। কিছুদিন আগেই ঘুরতে গিয়েছিলাম পঞ্চলিঙ্গেশ্বর, যাওয়ার আগে ইন্টারনেট সার্চ করে নানা সাইট থেকে জেনে নেবার চেষ্টা করছি জায়গাটা কীরকম, হঠাৎ করেই পেয়ে গেলাম একটি বেড়ানো সংক্রান্ত ব্লগ, লেখক তার পঞ্চলিঙ্গেশ্বর বেড়ানোর অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে, কাছেই নীলগিরির একটি মিষ্টির দোকানের নাম দিয়েছেন, সেই দোকানের মিষ্টি নাকী দারুণ। অতএব কী আর করা, বেরিয়ে ফেরার দিন নীলগিরি বাজারে খুঁজে বার করা হল দোকানটা, নাম "নীলগিরি সুইটস"। মিষ্টিতে মিষ্টিতে ছয়লাপ, নানান ধরনের সুস্বাদু মিষ্টির স্বাদ নেওয়া গেল, কিন্তু নজর কেড়ে নিলো, লম্বাটে এক রসগোল্লা, যার স্থানীয় নাম "পাশবালিশ"। দোকানের খবরটা যিনি দিয়েছিলেন, তাকে আর ধন্যবাদ জানানো হয়নি, তার কাছে চিরঋণী থেকে গেলাম। যাচ্ছিলাম রায়গোড়া থেকে চিত্রকোট, পথে একরাত কাটালাম কোরাপুটের সার্কিট হাউসে, রাত্রে শেষপাতে পাওয়া গেলো অপূর্ব স্বাদের দারুণ রসগোল্লা। খোঁজ করা হল দোকানের, কোরাপুট বাজারের ভিতরে একটি হোটেলের নীচে মিষ্টির দোকান, হোটেলের নামটি এখন মনে নেই, কিন্তু মিষ্টির স্বাদ মুখে লেগে আছে এখনও।
♦ সুস্নিগ্ধা দাস - @কণাদ চৌধুরী...এই পঞ্চলিঙ্গেশ্বর যাওয়ার পথে ননীচোরা মন্দির পরে। ওখানের প্রসাদ মাটির ঘটিতে ক্ষীর আর বাইরে দোকানে খেলাম ছানাপোড়া ... দুর্দান্ত।
♦ সুস্মিতা সেনগুপ্ত – এনজেপি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের একটা রেস্টুরেন্ট আছে সকলেই জানেন...দুর্দান্ত খাবার বানায়, দারুণ চা আর তেমনি ভাল মোমো। দার্জিলিং-এর কেভেন্টার্স-এর ব্রেকফাস্ট, গ্লেনারির কুকিজ...অবশ্যই খাবেন...না খেলে ঠকবেন। সিকিমের কোনো রোডসাইড দোকানে নুডলস স্যুপ...একদম আঞ্চলিক...অবশ্যই ট্রাই করবেন। সিকিমের গ্রামের মানুষ খুব অতিথিবৎসল আর বন্ধুভাবাপন্ন। সিকিমের যে কোনও গ্রামে গেলে ঘরে তৈরি শাশা ইত্যাদি খাওয়াবে...ওদের সঙ্গে ওদের ঘরে না গেলে বোঝা যায়না কত অল্পে, কত সুন্দরভাবে থাকেন ওরা। কর্ণাটক (বাঙ্গালোর) গেলে অবশ্যই ওদের স্থানীয় খিচুড়ি খেয়ে দেখবেন – নাম 'বিসি বেলে ভাত'...দারুণ লাগবে...লাঞ্চে খেলে এর সঙ্গে সাধারণত কার্ড রাইসও দেয়। দিল্লিতে অবশ্যই ফুচকা খাবেন... আলাদা দুরকম বলবেন...একটা মিস্টি ফুচকা পাওয়া যায় একরকম চাটনি দিয়ে... ওখানের তেঁতুল জল হয়না...পুদিনা পাতার জল...একবার খেলে ওই অন্যরকম ফুচকা ভালোলাগতে শুরু করবে। তারাপিঠের দুপুরের ভোগ অনেকেই খেয়েছেন...সেটাও কিন্তু দারুণ :-) :-)
♦ রাজা সুদীপ্ত রায় চৌধুরী – অমৃতসরের জিলিপি আর কাটরার গুলাপজামুন।
♦ গৌতম ব্যানার্জি – তুণ্ডা বিরিয়ানি আর কাবাব – লখনৌ-এর আমিনাবাদ ও গোমতী নগরে, হজরতগঞ্জের বাস্কেট চাট, আমিনাবাদের প্রকাশ কুলফি দারুণ বিখ্যাত... খেতেই হবে।
♦ পার্থ সেনগুপ্ত – রাজস্থানের জয়সলমীরে কের সাংরি, ডাল বাটি চুরমা খেতে দারুণ লেগেছিল।
♦ সৌগত পাল – ঘাটশিলায় গণেশের কালাকাঁদ আর অযোধ্যা পাহাড়ে কাঁচা শাল পাতায় জড়ানো দেশি মুর্গি পোড়া...
♦ প্রতাপ বিশ্বাস – পুরীতে রাস্তার ধারে চা খেয়েছি অসাধারণ। অনেক জায়গাতেই রাস্তার ধারের ছোটখাটো দোকানের চা বেশ ভাল লেগে যায়, আবার কোথাও মুখেই তোলা যায়না। কিন্তু পুরী বা ভুবনেশ্বরে যতবার খেয়েছি খারাপ লাগেনি। চায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনলাম আসলে বাঙালির চা নিয়ে একটা আলাদা ভাল লাগা আছেই। গড়পঞ্চকোটের পলাশবীথির আলুর দম খুব স্বাদু। কোলকাতায় মোহনবাগান ক্লাবের ক্যান্টিনের আলুর দম – ৮ টাকাতে এত ভালো আলুর দম আমি কোথাও খাইনি।
♦ হৈমন্তী পাল – সিকিমের রোডসাইড মোমো। দার্জিলিং-এর গ্লেনারিজ-এর কোনো পদ, মানালিতে বিপাশা নদীর ধারে গরম ম্যাগি। ইংলণ্ডের রোড শপ-এর গরম ডোনাট, কলকাতার রোল, ফুচকা...কত বলব...
♦ সুমিত নাথ – বাহ...প্রচুর কিছু জানতে পারলাম...কেউ এইসব জায়গায় বেড়াতে গেলে নিশ্চয় চেখে দেখবেন...গ্রুপের সব সদস্যদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

SocialTwist Tell-a-Friend

To view this site correctly, please click here to download the Bangla Font and copy it to your c:\windows\Fonts directory.

For any queries/complaints, please contact admin@amaderchhuti.com
Best viewed in FF or IE at a resolution of 1024x768 or higher