বেড়িয়ে এসে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যেমনভাবে শেয়ার করতে চান কাছের মানুষদের সাথে - ঠিক তেমনি করেই সেই কথাগুলো ছোট্ট করে লিখে পাঠিয়ে দিন ছুটির আড্ডায়। ছয় থেকে ছেষট্টি আমরা সবাই এই ছুটির আড্ডার বন্ধু। লেখা ডাকে বা নির্দিষ্ট ফর্মে মেল করে পাঠালেই চলবে। লেখা পাঠাতে কোনরকম অসুবিধা হলে ই-মেল করুন - admin@amaderchhuti.com

 

মোহময়ী মুরুড

পল্লব ব্যানার্জি

~ মুরুডের আরও ছবি ~

-"ভাইয়া, মুরুড যানে কে লিয়ে গাড়ি কাঁহা সে মিলেগি?"
-"কাঁহা কে লিয়ে?" – ভুরু কুঁচকে মারাঠি ভদ্রলোকের প্রশ্ন।
-"মুরুড, মুরুড - জঞ্জীরা" আরও স্পষ্ট করে কেটে কেটে বলি।
-"স্পেলিং বাতাইয়ে"
এই সব্বনাশ, বলে কী! পুণে শহরের নামী ট্র্যাভেল এজেন্ট, অথচ মুরুডের নাম শোনেনি? যদিও আমি ইন্টারনেট ঘেঁটে স্পটটা খুঁজে বার করেছি, কিন্তু তাতে আর কী যায় আসে? আমাদের কাছে যদি কেউ দিঘা, মন্দারমণি, শান্তিনিকেতন, অযোধ্যা পাহাড়, গৌড় বা দার্জিলিং এর খবর জানতে চায়, আমরা কি স্পেলিং জিজ্ঞেস করব?
পুণের বাসিন্দা আমার এক বন্ধু একদিন ফোনে বলল "সপরিবারে পুণের থেকে একটু দূরে কোনও নিরিবিলি জায়গায় দু-তিন দিন কাটাতে চাই, কোনও স্পটের সন্ধান দিতে পার?" একটু ঘুরে-টুরে বেড়ানোর সুবাদে এমন প্রশ্ন আমার কাছে প্রায়ই আসে। তাছাড়া ছেলেটিও ওই শহরে নতুন। তাই আমিই জি-ম্যাপ খুঁজে সোজা আরব সাগরে ডুব দিয়ে মুক্তোর মতো বার করলাম মুরুড। "স্পেলিং বাতাইয়ে"র ঝামেলা এড়াতে অবশ্য সেই যুগল সেবার মুরুড-মুখো হয়নি। কিন্তু আমার মাথায় জেদ চেপে গিয়েছিল। এদিকে বন্ধুটি প্রায়ই বলে - "একবার আমাদের এখানে এসে বর্ষাটা দেখে যাও"। কলকাতায় বর্ষা মানেই লতা মঙ্গেশকরের "বৃষ্টি-বৃষ্টি-বৃষ্টি", আর পুণেতে কিশোরকুমারের "রিমঝিম গিরে শাওন"। ব্যস, মুরুডের জেদ আর বৃষ্টির নেশা, দুইয়ে মিলে ঠিক করলাম "আর বিলম্ব নয়।"
পুণে থেকে দূরত্ব ২০০ কিলোমিটারেরও কম। সরকারি বাস যায় অনেকটা ঘুরে খান্ডালা, লোনাভলা, আলিবাগ হয়ে। তবে পথের সৌন্দর্য সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দিল। কখনও এক তাল মেঘ এসে বাসটাকে ঘিরে ধরছে, পাহাড়ি ঝরনার জল কখনও ছিটকে আসছে বাসের খোলা জানলা দিয়ে, আবার কখনও পথের দু-ধারের নিশ্ছিদ্র ঘন জঙ্গলের দৃশ্যে গা ছমছম করে উঠছে।

আরবসাগরের তীরে রায়গড় জেলার ছোট্ট গ্রাম মুরুড। বিচটা ঝকঝকে পরিষ্কার। নারকেল গাছগুলো যেন আমাদের মাথায় ছাতা ধরার ভঙ্গিতে এগিয়ে এসেছে। সমুদ্রের মধ্যে বেশ কিছু দূরে একটা দুর্গ। "জঞ্জীরা ফোর্ট"। ১৪৯০ সালে সিদ্দি রাজার তৈরি। ভারতের একমাত্র অজেয় দুর্গ। বাইরে থেকে আক্রমণ করতে হলে সবাইকেই আমাদের মতো নৌকাতেই দুর্গে পৌঁছাতে হত। আর অমনি কেল্লার ওপর থেকে কামানের গোলায় ঝাঁঝরা হয়ে সলিল-সমাধি। অথচ সেখানকার অধিবাসীরা যাতায়াত করত সমুদ্রের তলার গুপ্তপথে। তাও আবার গোলকধাঁধা। সুড়ঙ্গ দিয়ে নীচে নামলেই মাল্টিপেল চয়েস। তিনটে রাস্তার যেকোনো একটা সঠিক। অভ্যস্ত লোক নাহলে সে পথ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। স্থাপত্য আর বিজ্ঞানের কি অদ্ভুত মিশেল! মারাঠা "হিরো" স্বয়ং শিবাজিও পারেননি এই কেল্লার দখল নিতে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর অহং বোধে আঘাত লাগে। তাই তিনি নিজের ক্ষমতা দেখাতে আর এই কেল্লার ওপর নজর রাখতে আরও একটা দুর্গ তৈরি করলেন সেই সমুদ্রেরই মাঝে। "কাসা ফোর্ট"। যেকোনও হোটেল থেকে এটাই দেখা যায়। সুতরাং মুরুড গেলে একটা নয়, সাগরের মধ্যে জোড়া কেল্লা।

মুরুডে দেখার জায়গা বেশ কয়েকটা। দু-তিনটে ভাল মানের মন্দির, একটা রাজবাড়ি, একটা জলপ্রপাত – সবগুলোই কাছাকাছি দূরত্বের মধ্যেই। তবে মূল আকর্ষণ অবশ্যই "জঞ্জীরা ফোর্ট"। কাসা ফোর্ট এখন ভারতীয় নৌসেনাদের দখলে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া সাধারণ পর্যটকের সেখানে প্রবেশ নিষেধ। মুরুডের হোটেল এলাকা থেকে জঞ্জীরা ফোর্ট বড়জোর পাঁচ কিলোমিটার। ভাড়া গাড়ি আছে ঠিকই, কিন্তু অটোর চল বেশি। হোটেলে বলে রাখলে ওরাই অটোর ব্যবস্থা করে দেবে। নাহলেও কোনও চিন্তা নেই। জায়গাটা বেশ ছোট আর মানুষজনেরা বেশ হেল্পফুল হওয়ার জন্য একটু আশপাশটা ঘুরে এলেই সবকিছুর হদিশ পাওয়া যায়। কোথায় বাজার, কোথায় অটো স্ট্যান্ড সব। যাই হোক, আমরা তিন বন্ধু গেলাম অটোতে, আর পুরো পথটা ফিরলাম হেঁটে। সত্যি বলতে কী গাড়ির থেকে পায়ে হাঁটাটাকে স্বর্গীয় মনে হল। বলে বোঝানো যাবেনা সেই পথের সৌন্দর্য। চোখের সামনে ১৮০ ডিগ্রিরও বেশি কোণ করে উন্মুক্ত আকাশ, সাগর আর পাহাড়। একদিকে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা দাঁড়িয়ে আছে জমিদারের মতো, তার (আমাদেরও) পায়ের নীচে খাজনা দিতে না পারা প্রজাদের মতো লুটিয়ে পড়ছে অ্যারাবিয়ান ঢেউ। অনেক দূরে দেখতে পাচ্ছি পাহাড় আর সমুদ্র এক হয়ে মিশেছে। একটা বিশাল ধূসর মেঘ দায়িত্ব নিয়ে সেখানে তার যাবতীয় অনুরাগ বর্ষণ করে চলেছে। মনে হচ্ছে এক বিরাট চেহারার মালি যেন ঝাঁঝরি করে বাগানে জল দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে বর্ষার সময় এসেছি বলেই এই তরতাজা প্রাণবন্ত রূপ।
জঞ্জীরা ফোর্টে পৌঁছতে আগে যেতে হবে রায়গড়ের জেটিতে। সেখান থেকে নৌকো করে ফোর্টের দরজায়। এখানে কিন্তু সমুদ্রের ঢেউ মাঝেমধ্যেই বেশ অশান্ত। নৌকোর লোকজনই সাহায্য করবেন নামা-ওঠায়। কেল্লার ভিতরে গাইডের সাহায্য নেওয়া ভাল। তাতে দুটো সুবিধা। এক পুরোনো দিনের ইতিহাসটা খানিক জানতে পারবেন, আর দ্বিতীয়তঃ কেল্লার ভিতরে পথ হারানোর সম্ভাবনা কম। সমুদ্রের মধ্যে হলেও কেল্লার আয়তন কিন্তু বেশ বড়। পুরোটাই ধ্বংসাবশেষ আর আগাছা জঙ্গলে ভর্তি। সাপখোপও আছে। তাই যেখানে সেখানে ঢুকে পড়া, বা পাথরের খাঁজে কৌতূহলবশত হাত ঢুকিয়ে দেওয়াটা বিপজ্জনক। গাইডের বর্ণনা শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। তখনকার দিনে ভারতীয়দের শিল্প আর স্থাপত্যের নৈপুণ্য আর বিজ্ঞানের দক্ষতা অনুভব করে ভারতীয় বলে গর্ববোধ হয়।

~ মুরুডের আরও ছবি ~

স্কুল শিক্ষক পল্লব ব্যানার্জির নেশা ঘুরে বেড়ানো আর ছবি তোলা। নিজে যা কিছু ভালো লাগে, তা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আনন্দ পান। আর সেটা করতে গিয়েই তাঁর মনে হয়েছে বেশির ভাগ বাঙালির মধ্যেই এক ভবঘুরে মন রয়েছে। শুধুমাত্র তাকে জাগিয়ে তোলার অপেক্ষা। সেই তাগিদেই লেখা আর ছবি তোলার কাজে মন দিয়েছেন। শহর বা চেনা জায়গা নয়, অনেক দূরে যেখানে দিনে পাখির ডাক, আর রাতে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া আর কোনও শব্দ থাকে না সেই জায়গাই তাঁর ভবঘুরে মনকে ডাকে।

 

SocialTwist Tell-a-Friend

এক নিমজ্জিত অরণ্যে

জামাল ভড়

~ পেরিয়ারের আরও ছবি ~

সালটা মনে আছে ২০০৯, অক্টোবরের এক সকাল। সংবাদপত্র খুলেই চোখ গেল -- পেরিয়ার লেকে লঞ্চডুবিতে বহু পর্যটক নিহত। খুবই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সেই অভিশপ্ত পেরিয়ার লেক দেখার সুপ্তবাসনা পূরণ হল ২০১১-র অক্টোবরে। অভিশপ্ত কেন? পরে বলছি। দক্ষিণ ভারতের মুখ্য শৈলশহর মুন্নার থেকে সোজা কেরলের থেক্কাডি। এলাম স্করপিওতে। প্রশস্ত মসৃণ রাস্তা। গাড়ি তীব্রগতিতে সাঁই সাঁই ছুটল। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার নীলগিরির দক্ষিণে কার্ডামম ও পান্ডালাম পর্বতের পাদদেশে থেক্কাডি মশলার শহর, না না শহর নয় মশলার গঞ্জ। কেননা অঞ্চলটি এখনো গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনে। এলাচ-লবঙ্গ-দারচিনি-তেজপাতা-জায়ফল-জয়িত্রির গন্ধে সারা এলাকা ম-ম করছে।
জানা ছিল সারা পৃথিবীতে মাত্র সাতটি নিমজ্জিত অরণ্য আছে। তার মধ্যে ভারতে একটি এবং সেটি কেরলের থেক্কাডির নিকটবর্তী পেরিয়ার লেক। থেক্কাডি পৌঁছে বিশ্রাম। পথচলার ক্লান্তি ঢাকতে নয়, শহরটাকে চিনতে-বুঝতে। যেখানেই যাই সেই স্থানটাকে জানতে একটা দিন ব্যয় করি। তাতে বেড়ানোয় বেশ সুবিধাই হয়। পরদিন প্রথমেই গেলাম ইদুপ্পি ও পাথানামিত্থা জেলার মধ্যবর্তী ৭৭৭ বর্গ কিলোমিটারের পেরিয়ার অভয়ারণ্য। এই অভয়ারণ্যের মধ্যে ২৬ বর্গ কিলোমিটারের এই অনবদ্য সুন্দর পেরিয়ার নামক কৃত্রিম হ্র্রদ দেখতে। বলে রাখি এই অভয়ারণ্যের মধ্যে আবার ৩৫০ কিলোমিটার গভীর অরণ্য। ইংরাজি ওয়াই বর্ণের মতো এই অপূর্বসুন্দর হ্র্রদটির জন্ম বেশিদিন নয়। তামিলনাডুর সুন্দরমালা পর্বতের শিবগিরি শৃঙ্গ থেকে উৎপন্ন ও আরবসাগরে পতিত ২৪৪ কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যের পেরিয়ার নদীতে ১৮৯৫ সালে মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ দেওয়ার ফলে গাছপালাসহ অরণ্যের একাংশ ডুবে গিয়ে এই হ্র্রদের সৃষ্টি। হ্র্রদের বুকে এখনও অনেক নিমজ্জিত গাছের গুঁড়ি দৃশ্যমান। লঞ্চ একেঁবেঁকে এই গাছগুলির ফাঁক দিয়ে সর্পিলাকারে চলে।
বিশাল লম্বা লাইন টিকিটের জন্য। দাঁড়িয়ে পড়লাম লাইনের পিছনে। গল্পে গল্পে কখন যে টিকিট কাউন্টারের একেবারে সামনে চলে এলাম খেয়াল করিনি। আমাদের ভাগ্যে 'জলরাজা' নামের লঞ্চ। উঠলাম জলরাজায়। বিপুলাকার লঞ্চ - প্রায় শ'তিনেক যাত্রী উঠল। প্রত্যেকের আসন নির্ধারিত। লঞ্চে উঠে লাইফজ্যাকেট পরতে হয়। ২০০৯-এর ৩০শে সেপ্টেম্বর জলকন্যা নামে দ্বিতলবিশিষ্ট লঞ্চডুবির পর থেকে লাইফজ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক। সেবার সলিলসমাধি হয়েছিল ৪৫ জন পর্যটকের - বেশির ভাগই ছিল কলকাতা ও দিল্লিবাসী।

কী নয়নাভিরাম দৃশ্য ! ঘন বনপরিবেষ্টিত গভীর হ্র্রদের জলে লঞ্চ যখন ধীরগতিতে এগিয়ে চলেছে তখন হয়তো দেখবেন একদল ঢোল ( বন্য সারমেয় ) হ্র্রদের পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বা কোথাও একদল শিয়াল গলা উঁচু করে ডাকছে। আর বন্য হস্তীর যূথবদ্ধ বিচরণ তো দেখবেনই। ২০১০এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখানে এক হাজারের কাছাকাছি হাতি, ৫৩টি বাঘসহ প্রায় অর্ধশত প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী বিদ্যমান। নীলগিরি থরের ( পৃথিবীর একমাত্র বৃহৎ বন্য অজা ), চিতা, বার্কিংডিয়ার, বনবরা আর নিকটবর্তী বৃক্ষশাখায় বা লেকে প্রোথিত মৃতগাছের গুঁড়িতে গাংচিল, জলকুক্কুট, পানকৌড়ি, বক, শামুকখোল, হরিয়াল, রঙ-বেরঙের মাছরাঙা প্রভৃতি হাজারো প্রজাতির ছোটবড় হরেক পাখি বসে আছে। পক্ষীপ্রেমী হলে ক্যামেরাবন্দি করুন। নইলে চারপাশে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। পাখি দেখলেই আমার মন আনচান করে। ফলে আমার আনন্দ দেখে কে ! বহু অভয়ারণ্য আমি ঘুরেছি, কিন্তু এ এক অন্য অনুভূতি। জলবিহারে অরণ্যবিচরণ! সুন্দরবনের সাথে এক করলে কিন্তু চলবে না, দু'টি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
থেক্কাডি থেকে মাত্র এগার কিলোমিটার দূরে অরণ্যাভ্যন্তরে এই অপরূপ হ্র্রদ শুধু দর্শন নয় উপভোগ করে আমরা গেলাম থেক্কাডির অন্যপ্রান্তে মুরিকাড্ডিতে মশলাবাগিচা দেখতে দশটাকা দর্শনীর বিনিময়ে। কী নেই সেই বাগানে! হরিদ্রাগাছসদৃশ এলাচগাছের ভূমিসংলগ্ন কান্ডে স্তরে স্তরে এলাচ ফলে আছে। গাইড আমাদের বলে বলে দিচ্ছিলেন কোন্টা কোন গাছ। নইলে কী বুঝতাম, বিশেষত যেগুলিতে ফল ধরে নেই।
থেক্কাডিতে সারে সারে ম্যাসাজপার্লার। আপনার পায়ে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, সব ব্যথার উপশম ওই পার্লারে। বিশেষ বিশেষ ভেষজবল্কলচূর্ণ বা নির্যাস দিয়ে বিশেষ মর্দন প্রথায় ব্যথা নিমেষে উধাও। সন্ধ্যাবেলায় উপভোগ করলাম একশ টাকার বিনিময়ে কেরলের বিশিষ্ট লোকনৃত্য কত্থক সহ অন্যান্য মনমাতানো নৃত্যকলা। তার পর এদিক-ওদিক ঘুরলাম কিছুটা। সর্বধর্মের পীঠস্থান এই থেক্কাডি। স্থানীয় লোকেদের সঙ্গে কথা বললাম।
মৈনাকপর্বত যেমন সমুদ্রের অতলে নিমজ্জিত মুনির অভিশাপে, তেমনি এক ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারের ভুলে গভীর জঙ্গলের কিয়দংশ নিমজ্জিত হয়ে এই হ্র্রদ। এটা অভিশাপ না আশীর্বাদ সে বিচারের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিয়ে আমরা চললাম তিরুবনন্তপুরমের উদ্দেশ্যে।


~ পেরিয়ারের আরও ছবি ~

পেশায় শিক্ষক জামাল ভড়ের শখ দেশবিদেশের মুদ্রা ও নোট সংগ্রহ এবং ভ্রমণ । পাশাপাশি নেশা সাহিত্য চর্চা - বিশেষত কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ রচনা। বিভিন্ন সময়ে আজকাল, ওভারল্যান্ড, কলম ইত্যাদি নানান পত্রপত্রিকা ও ওয়েব ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ২০১০-এ সোনাঝুরি ওয়েবম্যাগাজিনের পক্ষে শ্রেষ্ঠ কবি - 'সোনার স্রষ্টা' পুরস্কার লাভ।

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

To view this site correctly, please click here to download the Bangla Font and copy it to your c:\windows\Fonts directory.

For any queries/complaints, please contact admin@amaderchhuti.com
Best viewed in FF or IE at a resolution of 1024x768 or higher