বেড়ানোর ভাল লাগার মুহূর্তগুলো সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছে করে, অথচ দীর্ঘ ভ্রমণ কাহিনি লেখার সময় নেই? বেড়িয়ে এসে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যেমনভাবে গল্প করে বলেন কাছের মানুষদের - ঠিক তেমনি করেই সেই কথাগুলো ছোট্ট করে লিখে পাঠিয়ে দিন ছুটির আড্ডায়। লেখা পাঠানোর জন্য দেখুন এখানে। লেখা পাঠাতে কোনরকম অসুবিধা হলে ই-মেল করুন - admin@amaderchhuti.com অথবা amaderchhuti@gmail.com -এ।

 

লাভডেলের শেষ ট্রেন

সুপর্ণা রায় চৌধুরী

~ লাভডেলের আরও ছবি ~

ছোটবেলায় একটা কথা শুনতাম ঠাকুমা, দিদিমার কাছে - জন্মান্তর, পূর্বজন্ম বা পরজন্ম। গাড়িটা যখন উটি ছাড়িয়ে আরও তিন কিলোমিটার উঁচুতে পাহাড়ি রাস্তা ধরে একটা সুন্দর পাহাড়ি গ্রামে ঢুকছে, তখন পরিবেশের সঙ্গে আমার মনেরও অদ্ভুত রকম সব পরিবর্তন ঘটছিল। কি যেন এক টান অনুভব হচ্ছে। এখানে আসার জন্যেই এত বছর অপেক্ষা করেছি এমনটাই একটা ভাবনা মনের মধ্যে আসা-যাওয়া করছে। পূর্ব বা পরজন্ম আমি বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করি শুধু ঈশ্বরকে। নিশ্চয় কোন টান ছিল তাই বোধহয় টেনে নিয়ে চলে এল এমন এক সুন্দর রাজত্বে। ঈশ্বর এখানে আবির্ভূত। এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে ছড়িয়ে রয়েছে শিবের মন্দির আর চার্চ।

একটি কাঠের বাংলো, সামনে দেখা যাচ্ছে নীলগিরির পুরো রেঞ্জগুলোকে। কাঠের বাংলোটি আমাদের হোটেল। গিয়ে ঢুকলাম যখন, দুপুর পেরিয়ে পড়ন্ত বিকেল। দিনের শেষ রোদ্দুরের ছটায় অপরূপ নীলগিরি। আমরা অনেকটা ওপরে, নীচের দিকে তাকালে শুধু সবুজ চা বাগান, ছোট ছোট ঘরবাড়ি আর অনেকগুলি চার্চ। হোটেলে দেখাশুনা করে, অল্পবয়সী তিন জন যুবক, সৌরভ, রণজিৎ এবং ভিনেশ। ওরাও বন্ধুর মতন হয়ে গেল কয়েক মুহূর্তে। মনে হচ্ছিল যেন কতকালের চেনা! নীচের জায়গাগুলির নাম জানতে চেয়েছিলাম, বলল কেট্টিভ্যালি, কুন্নুর। আরও দূরে দেখাল নীলগিরিকে সাপের মতন পেঁচিয়ে চলেছে এখানের বিখ্যাত টয়ট্রেন। ভীষণ দেখতে ইচ্ছা হল স্টেশনটা কোথায়। বলল পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেঁটে প্রায় দুই কিলোমিটার। খুশিতে মনটা ভরে উঠল। তাড়াতাড়ি হোটেলের ঘরে ব্যাগপত্তর রেখে বেরিয়ে পড়লাম। তখন বিকেল প্রায় শেষের দিকে। অবশ্য এখানে সন্ধ্যা হয় অনেক দেরিতে। তাই রোদটা ভালোই আছে তখনও, কিন্তু ঠাণ্ডা হাওয়ায় হাতদুটো জমে আসছিল। শান্ত নির্জন পথে হাঁটতে হাঁটতে একটু উষ্ণতার জন্য আমার প্রিয় মানুষটার হাতের মধ্যে হাত রাখলাম। মনের গভীরেও যেন তার পরশ লাগল।

স্টেশনে যখন পৌঁছলাম পাহাড়ি রাস্তা ধরে তখন পশ্চিম দিকের পাহাড়ের গায়ে সূর্য ঢলে পড়েছে। পাইন গাছের ফাঁকে ফাঁকে তাকে অল্পবিস্তর দেখা যাচ্ছে। শেষ ট্রেন যাবে স্টেশন দিয়ে। লাভডেল স্টেশন। নামটার সঙ্গেই কেমন ভালবাসা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো। গ্রামের কিছু মানুষ অপেক্ষা করছে। জানিনা তারা কোথায় যাবে, হয় কেট্টিভ্যালি, না হয় ওয়েলিংটন, নয়ত কুন্নুর। জিজ্ঞ্রাসা করিনি। এদিক ওদিক দেখতে দেখতেই উঁচু উঁচু পাইন গাছের বুক চিরে একটা আওয়াজ যেন ভেসে এল। ট্রেন তো অনেক দেখেছি, কিন্তু পাহাড়ি রাস্তার এই চার-কামরার টয়ট্রেন কখনও দেখি নি। সে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। সন্ধে ৬-১৫, এত নিবিড় শান্ত একটা স্টেশনের নিস্তব্ধতা ভেঙে চোখের সামনে এসে দাঁড়াল বিকেলের শেষ ট্রেন। উঠে গেল যারা অপেক্ষা করছিল, চলে যেতেই আবার নেমে এল নিস্তব্ধতা। আর কোনও মানুষ তখন স্টেশনে নেই, অদ্ভুত এক মায়াজালে ঘেরা এই লাভডেল। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া চার্চ, দ্য লরেন্স স্কুল সব কিছুই এক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে ভীষণ শান্ত আর নিস্তব্ধতার মধ্যে দিয়ে। এখানের মানুষগুলিই বড্ড শান্ত, কোথাও কোনও চিৎকার নেই। অন্ধকার নেমে এল পাহাড়ি স্টেশনে। ফিরে চললাম আমাদের গন্তব্যে।

অন্ধকার চিরে দুজনে হাঁটছি পাহাড়ের গা ঘেঁষে। আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদটাও যেন আলোর মায়া ছড়িয়ে হাসছে। পাইনের ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে সে আলো পাহাড়ের এই রাস্তায় এসে পড়ছে। নীচে জোনাকি পোকার মতন জ্বলজ্বল করছে বসতি। অপূর্ব সুন্দর এক পাহাড়ি উপত্যকা। স্কটিশদের দেওয়া নাম লাভডেল। ডেল মানে উপত্যকা। ভালোবাসার ছোট্ট এক ভ্যালি। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে নীচে নামলেই কেট্টিভ্যালি। সে ভ্যালিও সাজানো সুন্দর। বেশিরভাগটাই আদিবাসী গ্রাম। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওরাও এখন অনেক উন্নত। লাভডেলে আমরা ছিলাম আটদিন। হোটেলটা নিজের বাড়ি আর তিন যুবক যারা হোটেল দেখাশোনা করে তাদেরকে সবথেকে কাছের বন্ধু বলে মনে হত।

আটদিনে লাভডেল থেকে নীচে, ওপরে টয়ট্রেনে করে নীলগিরির এপাশ-ওপাশ সব আমরা ঘুরে ফেলেছিলাম। কিন্তু যতই এদিক-ওদিক ছুটি, মনটা পরে থাকত লাভডেল স্টেশনের শেষ ট্রেনটা যায় যে তাকে দেখার অপেক্ষায়। যেখানেই থাকতাম আমরা ঠিক সময়ে স্টেশনে গিয়ে বসতাম, অপেক্ষা করতাম কখন পাইনের ফাঁক দিয়ে সব নিস্তব্ধতা ভেদ করে আমাদের চোখের সামনে সে এসে দাঁড়াবে। স্টেশনের পাশেই পড়ে আছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি। সেটা কোনও এক সময় স্টেশনেরই অঙ্গ ছিল, এখন আর ব্যবহার করা হয়না। লাভডেল স্টেশনে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে আমার কেন জানি না সে এক অদ্ভুত অনুভূতি হত। রোজ একই সময়ে এই পরিত্যক্ত বাড়ির পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে এখানের বিকেলের শেষ ট্রেনটি, তারই মাঝে যুগ যুগ ধরে বয়ে নিয়ে চলে কিছু সভ্যতা বা রাজত্ব। এই লাভডেলও তাই। ব্রিটিশদের বানানো ছোট্ট পাহাড়ি উপত্যকা বয়ে নিয়ে চলেছে এক সভ্যতা। এখানের মানুষগুলোও সভ্য এবং শান্ত। আমার মনের গভীরে শান্ত লাভডেল আর তার শেষ বিকেলের ট্রেন রয়ে গেল নিঃশব্দে, নীরবে অক্ষত আজীবন।

~ লাভডেলের আরও ছবি ~

সুপর্ণা ভালোবাসেন ঘুরতে। অবশ্যসঙ্গী ক্যামেরা। বিশেষ প্রিয় গন্তব্য পাহাড়। ভালো লাগে জঙ্গল আর সমুদ্রও। তবে প্রচলিত ভিড়ের বাইরে। অল্প চেনা বা অজানা জায়গাতে গিয়ে নিজের মতন করে কিছু খুঁজে পাওয়ার নেশাতেই ছুটির অবকাশ খোঁজে তাঁর মন।

 

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

ছোট্ট ছুটিতে সম্বলপুর

ঔরব দে

শহরের ব্যস্ততা কাটিয়ে নভেম্বর মাসের এক শুক্রবার রাতে ক'দিনের ছোট্ট ছুটিতে বেরিয়ে পড়লাম সম্বলপুরের উদ্দেশ্যে। রাত সাড়ে ন'টায় ছেড়ে কোরাপুট এক্সপ্রেস পরদিন সকাল ন'টায় পৌঁছাল সম্বলপুর স্টেশনে। পুরো ট্রেন প্রায় ফাঁকাই ছিল। স্টেশন থেকে ও টি ডি সির গাড়ি করে কুড়ি মিনিটেই পৌঁছে গেলাম ব্রুক হিলের উপর ও টি ডি সির পান্থনিবাসে। কলকাতা থেকে ঘর বুক করা ছিল। মনোরম পরিবেশে অবস্থিত পান্থনিবাস। দুপুর তিনটের সময় একটা অটো নিয়ে গেলাম পাহাড়ের ওপর ডিয়ার পার্ক দেখতে। পান্থনিবাস থেকে ডিয়ার পার্কের দূরত্ব ৩ কিমি। পার্কটি খুবই সুন্দর। হরিণ ছাড়াও আছে বাইসন, ময়ূর, ভাল্লুক, পায়রা, হাঁস ও নানা পাখি। এছাড়াও রয়েছে নানান রকমের গাছ। প্রায় ঘন্টাদুয়েক সময় কাটিয়ে ফিরে এলাম পান্থনিবাসে। পরের দিনের জন্য একটা গাড়ি ভাড়া করা হল।
পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্ট করে রওনা দিলাম চিপলিমার ঘন্টেশ্বরী মন্দিরের দিকে। দেড় ঘন্টা পর পৌঁছলাম পাহাড়ের উপর ঘন্টেশ্বরী মন্দিরের সামনে। ঘন্টেশ্বরী মন্দিরের পাশে আছে চিপলিমা হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্ট। প্ল্যান্ট-এর মধ্যে দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ গিয়েছে মন্দিরের কাছে। হাজার হাজার ঘন্টা ঝুলছে মন্দির চত্বরে। ঘন্টেশ্বরীর পুজো দিলাম আমরা। পূজার্থীদের ভিড় বেশ ভালোই। মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে মহানদী। অনেকে নদীতে স্নান করে পুজো দিচ্ছি্লেন। মন্দিরের ভিতরে এবং পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে ছবি তোলা নিষেধ। পরবর্তী গন্তব্য হিরাকুদ বাঁধ। রাস্তার দুপাশে ছোট ছোট পাহাড় পড়ল। প্রায় একঘন্টা পরে পৌঁছলাম হিরাকুদ বাঁধের সামনে। এটি ৬০ মিটার উঁচু ও ৪৮০০ মিটার লম্বা - এদেশের দীর্ঘতম বাঁধ। বাঁধ দেওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে ৭৪৬ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এক বিশাল জলাধার যা এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ। বাঁধের ওপর গাড়ি চলার রাস্তা আছে কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। এখানেও ছবি তোলা মানা। বাঁধের দুধারে আছে দুটি ওয়াচ টাওয়ার - গান্ধীমিনার এবং নেহরুমিনার। আমরা নেহরুমিনারের দিকে গিয়েছিলাম। টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম। সিঁড়ি ঘুরে ঘুরে ওপরে উঠে গেছে। বেশ অনেক ক'টা সিঁড়ি ভেঙে ওপরে এসে দাঁড়ালাম। চারদিকে মহানদীর জলকে সমুদ্রের মত লাগছিল ওপর থেকে। বাঁধের কিছুটা অংশ দেখা যাচ্ছিল বাকিটা কুয়াশার মধ্যে ঢাকা। এখানেও জল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছিল। কিছুক্ষণ থেকে নীচে নেমে এলাম। নীচে গোটাকয়েক খাবারের দোকান আছে।
এরপর আমাদের গাড়ি ছুটে চলল শ্যামলেশ্বরী মন্দিরের দিকে। সম্বলপুরের রাস্তাঘাট চারদিক ঝক্ঝকে পরিষ্কার। মহানদীর পাশ দিয়ে চলার পর বাঁদিকে ঘুরে গাড়ি এসে থামল শ্যামলেশ্বরী মন্দিরের সামনে। স্থানীয়দের বিশ্বাস শ্যামলেশ্বরী খুবই জাগ্রত দেবী। এই দেবীর নাম থেকেই হয়েছে শহরের নাম। মন্দিরে পুজো দিয়ে মহানদীর পারে এসে বসলাম। অনেকে স্নান করছিল। দূরের পাহাড় দেখা যাচ্ছিল। মহানদীর পাড় তেমন সুসজ্জিত নয়।
পান্থনিবাসে লাঞ্চ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে এবারে চললাম বিখ্যাত হুমার মন্দির দেখতে। প্রায় একঘন্টা চলার পর গাড়ি এসে থামল হুমার মন্দিরের সামনে। দূরে ধানক্ষেত আর ছোট ছোট পাহাড় দেখা যাচ্ছিল মন্দিরের সামনে থেকে। হুমার মন্দির একদিকে হেলানো। ভেতরে দেবতা শিব পূজিত হচ্ছেন। এছাড়াও পাশে আছে জগন্নাথ, হনুমান ও আরও অন্যান্য মন্দির। মন্দিরের পিছন দিক দিয়ে রাস্তা গিয়েছে মহানদীর দিকে। সুন্দর বাঁধানো ঘাট আছে। এখানে নদীর জলে অজস্র মাছ আছে। ধীরে ধীরে সূর্য অস্ত গেল মহানদীর বুকে হুমার মন্দিরকে পিছনে ফেলে। চারিদিকের পরিবেশ শান্ত। আশেপাশে কোন জনবসতি নেই। আস্তে আস্তে অন্ধকার নেমে এল। মন্দির প্রাঙ্গণে আলো জ্বলে উঠল। সাদা আলোয় হুমার মন্দিরকে অপূর্ব লাগছিল।

পরদিন সোমবারই আমাদের সম্বলপুর ভ্রমণের শেষ দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পান্থনিবাস থেকে যে রাস্তা ওপরদিকে চলে গেছে, সেই রাস্তায় হাঁটতে বেরোলাম। এই রাস্তা সম্বলপুরের সার্কিট হাউসে গিয়ে শেষ হয়েছে। এখান থেকে পুরো শহরটাকে সুন্দর দেখাচ্ছিল। সার্কিট হাউসের সামনে একটা ছোট সুন্দর বাগান আছে যার মধ্যে একটা ওয়াচ টাওয়ার আছে। বাগানের গেট বন্ধ ছিল। ভেতরে ঢোকা গেল না। ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়ে চললাম বৃদ্ধরাজা মন্দির দেখতে। শহরের মধ্যে পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত এই মন্দির। জঙ্গলের মধ্যে ঘোরালো পথ গিয়ে পৌঁছেচে মন্দিরের কাছে। মন্দিরের চারদিকে জঙ্গলে ঘেরা। পুরোহিত অসুস্থ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। মন্দিরের কারুকার্য দেখার মত। পাশ দিয়ে সিঁড়ি নেমে গেছে। একপাশে একটা বিরাট সুড়ঙ্গ আছে। এখন তার মুখ বন্ধ করা আছে। অটোচালক জানালো, এই সুড়ঙ্গ গিয়ে উঠেছে ডিয়ার পার্কের কাছে। আগেকার দিনে রাজারা এই পথ দিয়ে যাতায়াত করতেন। মন্দিরের পিছনের দিকে ভির সুরেন্দ্র সাই (VSS) এর সমাধি আছে। স্থানীয় লোকের মতে তিনি এখনও এখান থেকে শহরের দেখাশোনা করছেন। বেশ কিছুক্ষণ এখানে থেকে গেলাম লক্ষ্মী টকিজে কেনাকাটার জন্য। সম্বলপুরের তাঁতবস্ত্রের খ্যাতি আছে। দুপুরে পান্থনিবাসে ফিরে এসে লাঞ্চ করলাম। বিকাল পাঁচটায় ও টি ডি সির গাড়ি করে স্টেশনে এসে সন্ধ্যে ছ'টার কোরাপুট এক্সপ্রেসে চড়ে বসলাম। সম্বলপুরকে বিদায় জানিয়ে ফিরে চললাম কলকাতার পথে।

 

ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ঔরব দে ভালোবাসেন বেড়াতে।

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

To view this site correctly, please click here to download the Bangla Font and copy it to your c:\windows\Fonts directory.

For any queries/complaints, please contact admin@amaderchhuti.com
Best viewed in FF or IE at a resolution of 1024x768 or higher