ভ্রমণ তো বানিয়ে তোলা গল্পকথা নয়, মানুষের সত্যিকারের জীবনকাহিনি। আর তাই ভ্রমণ কাহিনি মনে শুধু আনন্দই এনে দেয় না, চোখের জল অথবা প্রতিবাদের ভাষাও জাগিয়ে দিতে পারে। ট্যুরিজম ইন্ড্রাস্ট্রির সহায়ক বিজ্ঞাপনী প্রচারমাধ্যম ছাড়াও ভ্রমণ কাহিনির বড় পরিচয় বিশ্ব সাহিত্যের একটি অন্যতম ধারা রূপেও। তেমনই কিছু 'অন্য ভ্রমণ' কথা।
৯/১১, গ্রাউন্ড জিরো এবং সেই চিঠি
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও সন্ধে বেলায় টাইমস অফ ইন্ডিয়ার নিউজ চ্যানেল খুলে বসেছি। এই সময়টা এভাবেই কাটে আমাদের। বাংলা নিউজ চ্যানেলের তুলনায় ইংরেজি চ্যানেলে দেশ বিদেশের অনেক বেশি খবর থাকে, এটাই আমাদের পছন্দের। নীচু চেয়ারে বসে চ্যানেলটা খুলেছি সবে। একটি খবর দেখেই চমকে উঠলাম। খবরটি বার বার দেখানো হচ্ছে। নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি ১১০ তলা বাড়িতে দুটি উড়ো জাহাজ এসে ধাক্কা মারার ফলে আগুন ধরে যায়। পৌনে দু ঘণ্টা বাদে বাড়ি দুটি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে উড়ো জাহাজ আছড়ে পড়ার একটি ভিডিও এবং বাড়ি দুটি ভেঙে পড়ার অপর একটি ভিভিও বার বার দেখানো হচ্ছিল সব কটি চ্যানেলে। সেই সময় বি বি সি এবং সি এন এন চ্যানেল খুলেছিলাম যদি বাড়তি কিছু সংবাদ পাওয়া যায়। বাড়ি দুটি ভেঙে পড়ার সাথে সাথেই ওই অঞ্চলটি ধোঁয়া এবং ধুলোয় ভরে ওঠে। রাস্তায় সব মানুষেরা ভীত হয়ে ছোটাছুটি করছিলেন। সংবাদটি দেখতে দেখতে মনটা আশঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমাদের পরিবারের দুজন ওয়াশিংটন ডি সি–র কাছেই থাকে। এই কথাটা মনে হতেই চেয়ার থেকে উঠে পড়লাম। ওদের খোঁজ নেওয়া দরকার।
আজ থেকে দেড় দশক আগে সেল ফোনের এত রমরমা ছিল না। বাড়ির কাছের টেলিফোন বুথে ছুটে গেছিলাম কথা বলার জন্য। জানলাম ভাল আছে ওরা। মনটা শান্ত হতে ফিরে এসেছিলাম। গভীর রাত পর্যন্ত টেলিভিশনের সামনে বসেছিলাম। পরদিন সকালে খবরের কাগজ পড়ে যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করেছিলাম ঘটনাটি কী ঘটেছে।
এই ঘটনার কয়েক বছর পর গবেষণার কাজের জন্য কিছুকাল থাকতে হয়েছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি সি সংলগ্ন রকভিলে। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের পাশেই বাস রাস্তা। সকালে যে বাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় যেতাম সেটি আসত একেবারে সঠিক সময়ে, ঘড়ির সময় মেলানো যেত। শুধু এই বাস নয়, সব বাসগুলিই একেবারে ঠিক সময়ে চলে আসত। অসুবিধা হত যখন দেখতাম বাস এক-আধ মিনিট আগে চলে এসেছে। নাকের সামনে দিয়ে বাস চলে যেত। তখন অপেক্ষা করতে হত পরের বাসের জন্য। বাসের সুবিধা থাকার জন্য বাসে চেপেই দোকান, বাজার, লাইব্রেরি সব জায়গায় যেতাম। তবে উইক এন্ডের বেড়াতে যাওয়ার সময় বন্ধুবান্ধবেরা গাড়ি করে আমাদের নিয়ে যেতেন।
নিউ ইয়র্কের কাছে নিউ জার্সিতে আমাদের গ্রামের এক জন কৃতী ছাত্র থাকত। কিছুকাল খড়গপুর আই আই টিতে পড়ানোর পর আমেরিকা চলে আসে শ্রীমান সুবীর [দাস]। কোনও কাজের জন্য ওকে ওয়াশিংটন ডি সি আসতে হয়েছিল। আমাদের কাছে দুদিন ছিল সে সময়। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নিউ জার্সি যাবার জন্য। বলেছিল একদিন নিউ ইয়র্ক শহর দেখাবে।
ওয়াশিংটন ডি সি থেকে নিউ ইয়র্ক শহর খুব বেশি দূর নয়। বাসেই যাওয়া যায়। তাই নিউ ইয়র্ক শহরের এত কাছে থাকা সত্ত্বেও নিউ ইয়র্ক দেখা হবে না, সেটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছিল। তাছাড়া গবেষণা কাজের মেয়াদ শেষ হলে দেশে ফিরে যেতে হবে। দেশে ফিরে এলে শুধু বেড়াবার জন্য নিউ ইয়র্ক যাওয়া আমাদের মত সাধারণ মধ্যবিত্তের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সুযোগ খুঁজছিলাম। সেই সুযোগটা মিলেও গেল।
পসপ্তাহ অন্তে শনি-রবিবার ছুটি থাকে। ভাবলাম শনি-রবিবারের সঙ্গে আরও দুটো দিন ছুটি পেলে সহজেই নিউ ইয়র্ক ঘুরে আসা যায়। তাই গবেষণার কাজটি সেই ভাবে সংগঠিত করে যে অধ্যাপকের ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলাম তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তিনি সানন্দে সায় দিলেন। এটা তাঁর বদান্যতা তাই শ্রীমান সুবীরের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। যাত্রা শুরু করেছিলাম এক বৃহস্পতিবার সকালেই।
ওয়াশিংটন ডি সি থেকে চিনা মালিকানাধীন কোম্পানির বাস যাতায়াত করে নিউ ইয়র্ক। গ্রে হাউন্ড বা অন্য কোম্পানির বাসের ভাড়া চিনা কোম্পানির তুলনায় অনেক বেশি। তাই চিনা কোম্পানির বাসের টিকিট কেটেছিলাম। ওয়াশিংটন ডি সি থেকে নিউ ইয়র্ক দুশো মাইলের সামান্য বেশি। এই পথটুকু যেতে ঘণ্টা তিনেক লাগবে বলে বাস কোম্পানি জানিয়েছিল কিন্তু আমাদের যেতে চার ঘণ্টা লেগেছিল। নিউ ইয়র্ক ঢুকতে গেলে হাডসন নদী পার হতে হয়। হাডসন নদীর তলা দিয়ে টানেল করা হয়েছে। আমরা লিঙ্কন টানেল দিয়েই ঢুকে পড়লাম নিউ ইয়র্ক শহরে। এটা একটা অভিজ্ঞতা বটে !
পেন ষ্টেশনের কাছে বাস থেকে নামলাম। পেন ষ্টেশন থেকে আমাদের ট্রেন ধরতে হবে। সুবীর আমাদের জানিয়েছিল NJ Transit –এর Northeast Corridor Line –এর ট্রেনে চেপে নিউ জার্সি পৌঁছতে হবে। ষ্টেশনের নামও বলে দিয়েছিল সুবীর। ষ্টেশনের কাছেই গাড়ি নিয়ে হাজির ছিল সে। সুবীরের বাসা কেনডাল পার্কে। এই কেনডাল পার্কেই রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের উত্তর আমেরিকা শাখার অফিস এবং মন্দির। সুবীরের বাড়ির একেবারেই পাশে। তাই সুযোগ হয়েছিল মন্দির দর্শন করার।
স্ত্রী এবং দুই ফুটফুটে শিশু কন্যা নিয়ে সুবীরের সংসার। এদের সঙ্গে বড়ই আনন্দে কেটেছিল কয়েকটা দিন। সুবীর জানিয়েছিল পরদিন সকালেই আমাদের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যাবে আর শনিবার যাব নিউ ইয়র্ক। ওর কাছে ছিল গাইড বই। কী ভাবে নিউ ইয়র্ক ঘুরে দেখব, এক দিনে কতটাই বা দেখতে পারব, কী কী দেখব এই সবই ও-ই ঠিক করে রেখেছিল। সুবীর সঙ্গে করে না নিয়ে গেলে নিউ ইয়র্ক দেখাই হত না।
শনিবার সকালে বাসে চেপে নিউ ইয়র্ক পৌঁছেছিলাম। আমাদের নিউ ইয়র্ক দেখা শুরু হয়েছিল স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দিয়ে। স্ট্যাটেন আইল্যান্ড যাবার লঞ্চ স্ট্যাচু অফ লিবার্টির পাশ দিয়ে যায়। লঞ্চ থেকেই এই বিখ্যাত স্ট্যাচুটি দেখলাম। স্ট্যাটেন আইল্যান্ড থেকে ফিরে লঞ্চ ঘাট থেকে রাস্তা ধরলাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার যাওয়ার জন্য। রাস্তায় লোকজনের ভিড় কম। নিউ ইয়র্ক শহর দেখবার জন্য মাথা খোলা দোতলা (ডবল ডেকার) বাস চলেছে রাস্তায়। রাস্তার পাশে উঁচু উঁচু বাড়ি। আমাদের মত সব দেশের লোক এই শহর দেখতে রাস্তায় নেমেছেন। কারও চোখে কালো চশমা, কারও মাথায় টুপি, কেউ হাফ প্যান্ট পরে জগিং করতে করতে রাস্তায় চলেছেন। তবে আমার স্ত্রীর মত সীমন্তে সিঁদুর আর শাড়ি পরিহিতা আর কাউকে দেখলাম না।
কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছলাম প্রাচীরঘেরা সেই জায়গায় যেখানে একদা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বড় বড় বাড়িগুলি ছিল। এই স্থানটির একদিকে ওয়েস্ট স্ট্রীট এবং আর একদিকে লিবার্টি স্ট্রীট। জায়গাটি পরিস্কার করা হয়েছে। ভেঙে পড়া বাড়িগুলির চিহ্ন আর নেই। দমকল বিভাগের কর্মী আর ভেঙে পড়া বাড়িগুলির আবর্জনা যারা পরিস্কার করেছিলেন তারা এই স্থানটিকে "গ্রাউন্ড জিরো" নামেই ডাকেন। রাস্তার ধারে বড় বড় বোর্ডে আটকানো রয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ভেঙে পড়ার ছবি। আর যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের নামগুলি। পর্যটকেরা এখানে ভীড় জমাচ্ছেন। এগুলি দেখে আবার মনে পড়ল ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। আমেরিকান এয়ার লাইনস ফ্লাইট ইলেভেনের একটি প্লেন এবং ইউনাইটেড এয়ার লাইনস ফ্লাইট ওয়ান সেভেন ফাইভের একটি প্লেন যথাক্রমে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ার এবং সাউথ টাওয়ারে আছড়ে পড়ে। এক ঘণ্টা বিয়াল্লিস মিনিট পর একশো দশ তলা বাড়ি দুটিই ভেঙে পড়ে। সেই সঙ্গে পাশাপাশি বাড়িগুলিতেও আগুন লাগে। ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেগুলি।
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। তৃতীয় একটি প্লেন, আমেরিকান এয়ার লাইনস ফ্লাইট সেভেন্টি সেভেন পেন্টাগনের (আরলিংটন কাউন্টি, ভার্জিনিয়া) পশ্চিম দিকে আছড়ে পড়ে। পেন্টাগনের ওই অংশটি ভষ্মীভূত হয়। ইউনাইটেড এয়ার লাইন্স ফ্লাইট নাইন্টি থ্রি-র একটি বিমান ওয়াশিংটন ডি সি-র দিকে যেতে গিয়ে ভেঙে পড়ে শ্যাঙ্কসভিল, পেনসিলভানিয়ায়। উনিশ জন হাইজ্যাকার সমেত তিন হাজার জনের মৃত্যু ঘটে এই ঘটনাগুলিতে। মনে করা হয় এগুলি আলকায়দা নামক আতঙ্কবাদী সংগঠন দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। সারা বিশ্বের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে এই ঘটনায়।
গ্রাউন্ড জিরো অঞ্চলটি দেখে সুবীর আমাদের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং নিয়ে যাবে বলল। গ্রাউন্ড জিরো ছেড়ে সবে বের হয়েছি, চোখে পড়ল একটি অপেক্ষাকৃত সরু রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে বড় বড় বাড়ি তাই সূর্যের আলো সরাসরি রাস্তায় এসে পড়তে পায় না। ছায়াছন্ন অঞ্চল। একটি বড় বাড়ি, রাস্তার দিকে বড় গাড়ি বারান্দা। মনে পড়ল প্রায় চার দশক আগের উত্তর কলকাতা। আর্মহাস্ট স্ট্রিটের দুই পাশের বাড়িগুলিতে এই ধরণের গাড়ি বারান্দা থাকত। আজ সেগুলি আর নেই, বেশিরভাগই ভাঙা পড়েছে। এই ধরণের একটি বাড়ির গাড়ি বারান্দার এক কোণে মোড়ার উপর বসে এক মনে বই পড়ছেন এক মহিলা। পাশে বসে রয়েছে একটি বড় কুকুর। পাহারা দিচ্ছে মালকিনকে। একটু নজর করে দেখতেই বুঝলাম মহিলাটির বর্তমান আশ্রয় এই রাস্তা। মহিলাকে সেলাম ঠুকতেই হল। আশ্রয়হীন মহিলা বসে বই পরছেন !! কী অসাধারণ মনের জোর। আজও ভুলতে পারিনি এই ঘটনাটি।
চমকের আরও ছিল বাকি, তখন বুঝিনি। আরও কয়েক কদম এগিয়েছি। রাস্তার পাশে একটি বাড়ির দেওয়ালের দিকে চোখ পড়তেই মনে হল কিছু যেন লেখা রয়েছে। দাঁড়িয়ে পড়লাম, দেওয়ালের কাছে গিয়ে। লেখাটি পড়তেই আবার চমকে উঠতে হল। ভাবলাম এমনটাও হয় ! নিউ ইয়র্ক শহরপ্রেমী একজন চিঠি লিখেছেন তার প্রিয় শহরকে উদ্দেশ্য করে। এই চিঠি লেখা হয়েছে ৯/১১ ঘটনা ঘটে যাওয়ার বেশ কিছু কাল পরে। আমার কাছে এটি একটি কবিতা – পত্রকবিতা নাকি পত্রকাব্য? কী বলব? কয়েকটা লাইনেই তিনি তাঁর মনের ভাব ফুটিয়েছেন। বেশি শব্দের ব্যবহার করতে হয়নি। কিন্তু যা বলার তাই বলেছেন।
Yo New York
I hope you are feeling better
I see that nasty scar is starting
to heal… a… little.
I will always prayer for your losses
Stay Strong, You are still the
greatest city in the world.
I Love You
এই চিঠি যতবার পড়ি অবাক হয়ে ভাবি এমন মানুষও রয়েছে যে নিজের শহরকে এত ভালবাসে! তাঁর কাছে শহরের যেন প্রাণ রয়েছে, সে যেন কষ্ট পাচ্ছে। কষ্ট লাঘবের জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করতেও কার্পণ্য করবে না সে। আমার জানা নেই এমন চিঠি আর লেখা হয়েছে কিনা। অনন্য এই চিঠি যত বার পড়ি মাথা নত হয়ে আসে অজানা পত্রলেখকের উদ্দেশ্যে। কষ্ট হয় এদেশের কথা ভেবে। আজ সারা দেশটা ভরে গেছে দেশদ্রোহীতে। বিভেদকামী শক্তি মাথা চারা দিচ্ছে। বাক স্বাধীনতার নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এসব করা হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এবং একটি বড় গোষ্ঠী এর সঙ্গে যুক্ত। জানি না কবে আমাদের রাহুমুক্তি হবে। কবে এমন মানুষ জন্মাবে এদেশে?
প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের নেশা বেড়ানো আর ছবি তোলা। বাংলার গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা চোখের আড়ালে চলে যাওয়া টেরাকোটার মন্দিরশিল্পকে ক্যামেরার দৃষ্টিতে পুনরুদ্ধার করাই তাঁর ভালোলাগা। পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ভ্রমণ ও অন্যান্য বিষয়ে লেখা।