জাঠ রাজাদের রাজধানীতে

অতীন চক্রবর্তী


দীগ শহরে দাঁড়িয়ে হঠাৎ কবিতার দুটো লাইন মনে এসে গেল –'বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি, দেশে দেশে কত না নগর, রাজধানী' – সত্যিই আমাদের অজান্তে কত না জানা নগর এমনকী রাজধানী রয়ে গিয়েছে। 'দীগ'ও এইরকম প্রায় অজানা এক পুরনো রাজধানী। রাজস্থানের বুকে অবস্থিত ছোট্ট শহর 'দীগ' হয়ত আজকের ইতিহাসে অনেকটাই উপেক্ষিত। কিন্তু ১৭শ-১৮শ শতাব্দীতে এই দীগ-ই ছিল জাঠ রাজাদের প্রথম রাজধানী। এখানকার মাটিতে জাঠশক্তির উত্থান তখন আগ্রা-দিল্লির বাদশাদেরও চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছিল। এর মাটিতে দাঁড়িয়ে জাঠদের বীরশ্রেষ্ঠ রাজা সূরজমল রুখে দিয়েছিলেন মোগল-মারাঠার মিলিত শক্তিকে। বীর জাঠদের রণহুঙ্কারে পিছিয়ে গিয়েছিল সেই আশি হাজার সেনার মিলিত শক্তি। এমনকি একবার (১০ মে ১৭৫৩ সাল) জাঠেরা দিল্লির কেল্লায় প্রবেশ করে অনেক মূল্যবান সামগ্রী তুলে এনেছিল এই দীগ-এ। জয়ের স্মৃতি হিসেবে সম্পূর্ণ একটি মার্বেল নির্মিত প্রাসাদকেও কয়েক অংশে খুলে দীগ-এ নিয়ে এসেছিল। ১৭৩০ সালে সূরজমলের তৈরি দীগের রাজপ্রাসাদের চারপাশে ঘেরা দুর্গ ছিল দুর্ভেদ্য। বারবার ফিরে গিয়েছে আক্রমনকারীরা সুরক্ষিত দীগের দুর্গের প্রাচীরের বাইরে থেকেই। চারদিকে জলে ঘেরা প্রায় ৭.৮ কি.মি. বৃত্তের পরিধি নিয়ে গড়া প্রশস্ত প্রাচীর এই রাজধানীকে সব রকম আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছিল সেদিন। প্রাচীরের গায়ে রয়েছে দশটি প্রবেশদ্বার, রয়েছে শক্তিশালী বৃহৎ আয়তনের বুরুজ - দূরপাল্লার আক্রমণের উপযোগী নানা কামানে সুসজ্জিত। সেইসময় কোনোদিনই বাইরের কোনও শক্তি এসে দীগের সুন্দর মোগল-রাজপুত স্থাপত্যশিল্পে ভরা রাজমহল-প্রাসাদ-স্মৃতিস্তম্ভ বা পুষ্পশোভিত অতুলনীয় সবুজ বাগিচায় সাজানো সুপরিকল্পিত এই দুর্গকে দখল করতে পারেনি। তাইতো সমসাময়িক ঐতিহাসিক বা লেখকেরা সূরজমলকে 'Jat Odysseus' বা 'The Plato of Jat people' নামে উল্লেখ করেছেন।

দীগ-এ এসে প্রথমেই পর্যটকেরা বাইরে থেকেই দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করে নেয় এই পরিকল্পিত দুর্গকে। আর শ্রদ্ধায় সম্মান জানায় বীরযোদ্ধা জাঠশ্রেষ্ঠ রাজা সূরজমলকে তাঁর এই অবদানের জন্য। মোগল-রাজপুত স্থাপত্যশিল্পের একটি আদর্শ উপমা এখানকার মহল, রাজপ্রাসাদ, হাভেলি, বাগিচা। এগুলির বেশিরভাগই রাজা সূরজমলেরই অবদান। দীগের প্রকৃত স্বর্ণযুগ এসেছিল তাঁরই সময়। একদিকে তিনি যেমন ছিলেন বীর অপরদিকে ছিলেন সুন্দরের পূজারী।
এই প্রাসাদদুর্গে এতভাবে জলকে আমোদ-প্রমোদে বা দুর্গের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, যে সাধারণের কাছে এটি 'জলমহল' নামেই বেশি পরিচিত।

দূর থেকে দুর্গের রূপ উপলব্ধি করতে করতে এসে পৌঁছলাম প্যালেস কমপ্লেক্সের সুউচ্চ তোরণ 'সিংহপোল' বা প্রধান প্রবেশদ্বারে - খিলানের নিম্নস্থ পথের গোড়ায়। ওপরেই রয়েছে খোদাই করা দুটো সিংহের প্রতিমূর্তি। সেটা পেরিয়ে চলে এলাম রাজবাড়ির লাগোয়া উদ্যানে। মোগল বাদশাদের 'চারবাগ' রাজা সূরজমলকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল এখানেও ওই ধরণের বাগিচা বানাবার। দীগের নিজস্ব 'চারবাগ'-এর মাঝখান দিয়ে তৈরি হয়েছিল পায়ে চলার পথ। স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে রংবেরং-এর গাছগাছড়া, সুবিন্যস্ত ফুলের কেয়ারি আর শোভা বাড়িয়ে দিয়েছে সারি সারি ফোয়ারার জলের ধারা। দুপাশে রয়েছে 'গোপাল সাগর' আর 'রূপ সাগর' নামে বড় বড় দুটি জলাশয়। স্পষ্ট বোঝা যায় এই সব ফোয়ারা বা জলাশয়ের উপস্থিতির কারণ শুধুমাত্র বাগিচার সৌন্দর্য বৃদ্ধি নয়, চারপাশের প্রাসাদের তাপমান কমিয়ে রাখার এ ছিল আরেকটি প্রক্রিয়া। কথিত আছে দীগ প্রাসাদে নাকি এককালে নয়শোটি ফোয়ারা বসানো হয়েছিল। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের সময় একসঙ্গে এই সব ফোয়ারা ব্যবহার করে উৎসবের একটা আলাদা মেজাজ দেওয়া হত।

উত্তর-পূর্ব কোণে নজরে আসবে সত্তর ফিট উঁচু প্রধান ওয়াচ-টাওয়ার 'লক্ষ ভুজ', যার ওপর থেকে অনেক দূরে থাকা শত্রুপক্ষকে নজরে রাখা যেত। এরকম অনেক ওয়াচ-টাওয়ার এই দুর্গে এখনও দেখা যায়। দেখতে পাওয়া যাবে সেই সময়ের গর্জনশীল ছোট-বড় নানান কামান। অতীতে শত্রুনিধনের জন্য ব্যবহৃত হলেও আজ নিশ্চুপ, অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত হয়ে মরচে ধরে গেছে। হাঁটতে হাঁটতে রূপ সাগরের ঠিক ডান দিকে অবস্থিত কেশব ভবনে এসে গেলাম। অষ্টভুজ ভিত্তির ওপর এটি মনসুন প্যাভিলিয়ন বলেই পরিচিত। পাঁচটা করে খিলান দিয়ে ভাগ করা হয়েছে। ভেতরে বয়ে চলেছে জল প্রণালী। এখানেও রয়েছে শ'খানেক ফোয়ারা। প্রাসাদের ভেতরেই চারদিকে জলপ্রণালীর সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে, যার প্রাচীরের গায়ের সঙ্গে বসানো রয়েছে ক্ষুদ্রছেদ যুক্ত ওয়াটার জেটের সারি। মহলের ওপর থেকে ভেসে আসছে মেঘের গুরু গুরু আওয়াজ। অনেকগুলো গোলককে জলের মৃদু মন্দ ধাক্কায় ওপরে বসানো পাইপের ভেতরে ঘোরানো হচ্ছে, আর তাতেই সৃষ্টি হয় নকল বর্ষার এই মেঘের ঘর্ষণের আওয়াজ। কারিগরি দক্ষতার নিদর্শন রয়েছে এই সব সৃষ্টিতে। এই পরিবেশের মাঝে শুষ্ক মরুভূমির দেশে রাজপরিবারের সদস্যরা বর্ষার আমেজে হোলি খেলেন আজও। হোলি উৎসবে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে তখন কেশব ভবন। কাপড়ের থলিতে রেখে নানান রং রেখে সেই পুঁটলিগুলি ফোয়ারার ওয়াটার জেটের মুখে বেঁধে দেওয়া হয় - শুরু হয় হোলির প্রাণোচ্ছাস উৎসব। সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে তাঁদের এই রকম সুন্দর এক চিন্তা ভাবনার।
কেশব ভবনে আসার আগে বাগানে দেখে এসেছিলাম জাঠ রাজাদের আরেক গৌরবের স্মৃতির অলংকার - শ্বেত পাথরের তৈরি দোলনার একটি সুন্দর স্ট্যান্ড। কথিত আছে একসময় বেগম নূরজাহানের দোলনায় এটির ব্যবহার হত, মোগল বাহিনীকে পরাস্ত করে জাঠের আদর্শ বীর সূরজমল এটিকে যুদ্ধজয়ের ট্রফি হিসাবে দীগে নিয়ে আসেন। আজও এটি পরাক্রান্তশালী জাঠদের বীরত্বের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে দীগের বাগিচায় শোভা বর্ধন করে চলেছে।

কেশব ভবন থেকে এরপর এসে উপস্থিত হলাম দীগের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজপ্রাসাদ গোপাল ভবনে। কমপ্লেক্সের পশ্চিমে অবস্থিত ফিকে লাল বেলেপাথরের তৈরি এই প্রাসাদ হল এখানকার প্রধান বিল্ডিং। ঔরঙ্গজেবের সময় যেসব শিল্পীরা মোগল বাদশার দরবারে কাজ করেছিল, তাদের অনেককে এখানে এনে রাজা সূরজমল এই প্রাসাদের রূপদানের কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। গোপাল ভবনের বেশিরভাগ অংশই এখন দীগ প্যালেস মিউজিয়াম (Deeg Palace Museum)। ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (Archaeological Survey of India) এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে। প্রাসাদমহলের ভেতরে রক্ষিত আছে রাজপরিবারের ব্যবহৃত নানাবিধ সম্পদ। রাজা সূরজমল যে কতটা শৌখিন ছিলেন তা বোঝা যায় মহলের ভেতরে ঘুরতে ফিরতে। সেন্ট্রাল হল, ইংলিশ আর ইন্ডিয়ান স্টাইলের ডাইনিং হল, বিলিয়ার্ড রুম, মহারাজার বেডরুম, রানি আর জেনানাদের থাকার আলাদা আলাদা একপ্রস্থ ঘর ইত্যাদি এই সব কিছুই তাঁর রুচিবোধের সাক্ষ্য। এছাড়া পর্যটকরা মুগ্ধনয়নে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যান চন্দনকাঠের তৈরি বেণুগোপালের মূর্তিটির কাছে।

প্রাসাদের দুপাশে সংলগ্ন রয়েছে আরও দুটো ছোট ছোট প্রাসাদ - শাওন ও ভাদোঁ ভবন। সেন্ট্রাল হলের দুপাশে নীচের দিকে সংযুক্ত রয়েছে বেশ কিছুটা অংশ। সামনের দিকে জল রেখে ব্যবস্থা করা হয়েছে ভবনকে গ্রীষ্মের প্রখর তাপের হাত থেকে মুক্ত রাখার - যাকে বলা যায় সামার রিসর্ট। উত্তর দিকে রাখা একটি কালো পাথরের সিংহাসন, মহারাজ জহর সিং ১৭৬৪ সালে দিল্লিজয়ের তোফা হিসাবে এটিকে এনে দীগে রেখেছিলেন। দীগের চারদিকেই নজরে আসবে এইরকম কত সুন্দর সুন্দর কারুকার্যখচিত গেট, অলঙ্কৃত নানা ধরণের বিম, বা মোগল যুগের অপূর্ব সব পাথরের জালির কাজ, আসবাবপত্র, নিত্য ব্যবহারের সৌখিন নানা সামগ্রী। দীগের মিউজিয়ামে দেখতে পাওয়া যাবে রাজা-মহারাজাদের পরিবারের ব্যবহৃত সৌখিন নানা সামগ্রী। দীগের মিঊজিয়ামে দেখতে পাওয়া যাবে রাজা-মহারাজাদের পরিবারের প্রায় সাড়ে পাঁচশো দলিলপত্র।

গোপাল ভবনের কাছেই রয়েছে আরো দুটো প্রাসাদ - সূরজ ভবন ও কিষাণ ভবন। ১৭৫৬-৬৩ সালে মহারাজ সূরজমল এই গোপাল ভবন আর কিষাণ ভবন প্রতিষ্ঠা করেন। কিষাণ ভবন ধূসর বেলেপাথরে তৈরি - রয়েছে সারি সারি ফোয়ারা। ওপরে বিশাল একটি জলাধার – ছয় থেকে সাত গ্যালন জল ধরে রেখে নিয়মিত এইসব জল প্রণালী বা ফোয়ারায় জল জোগান দিত। হামামের পদ্মফুলের আকৃতির ফোয়ারাটাও বেশ নজর টানে। অনুরোধ করে তালা খুলিয়ে হামাম দেখবার সুযোগ হয়েছিল। চক্ষু সার্থক হয়ে যায় সূরজ ভবন দেখে। পাথরের তৈরি একতলা বিশাল বিল্ডিং। শুধু পাথর বললে বোধহয় বোঝানো যায় না – কতো রকম রংবেরং-এর পাথরে অলঙ্কৃত করা হয়েছে এই প্রাসাদকে। চারদিকে বারান্দায় ঘিরে রেখেছে এটিকে। তার মাঝে রয়েছে পাঁচটি চোখধাঁধাঁনো অলঙ্কৃত খিলান। ভবনের পেছন দিকে তাকালে চোখে পড়বে হরদেব ভবন।
মাঝবরাবর বাগানটির উত্তরদিকে রয়েছে নন্দ ভবন, যার বিশেষত্ব সেন্ট্রাল হলের ভেতরের ছাদের সিলিং বানানো হয়েছে কাঠের সাহায্যে।
এরপর পৌঁছলাম জাঠদের প্রথম রাজা বদন সিং-এর রাজভবনে, যা 'পুরানা মহল' বলেই সবার কাছে আজকাল পরিচিত। বীরপুত্র সূরজমলের পিতা রাজা বদন সিং মোটামুটি ১৭২১ -১৭২২ সালে দীগেতে এসে প্রথম বানিয়েছিলেন তাঁর এই রাজপ্রাসাদ। বলা যেতে পারে জাঠদের প্রথম ভিত্তিস্থাপন এই দীগের মাটিতে সেদিন হয়েছিল। আর দীগ হয়েছিল জাঠদের প্রথম রাজধানী।

দীগের নাম কিন্তু স্কন্দপুরাণে অনেক কাল আগে থেকেই উল্লেখ করা হয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরিক্রমার পথে 'দীর্ঘ' বা 'দীঘপুর' এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তী কালে সংক্ষেপে সেই নামই দীগ বলে সবার কাছে পরিচিত হয়ে এসেছে।
সেপ্টেম্বর মাসে তিন দিনের বিশেষ মেলায় দীগ হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। উৎসাহী দর্শকদের আগমনে ভরে ওঠে দীগ প্যালেস কমপ্লেক্স। গ্রাম্য মেয়েদের রংচঙে পোষাক আর ছেলেদের মাথায় রঙিন পাগড়ি প্রাচীন রাজস্থানী সংস্কৃতির একটু ছোঁয়া এনে দেয় সেদিন সবার মনে। রূপকথার কাহিনির মত তখন জেগে ওঠে প্রাচীন এই দুর্গ-রাজপ্রাসাদ।
একটি কমপ্লেক্সের মধ্যেই এতগুলি সুন্দর সুন্দর রাজপ্রাসাদ-মহল-তালাব-ফোয়ারার সমাবেশ দুর্গ-প্রাসাদের দেশ রাজস্থানেও বিরল। মোগল-রাজপুত শিল্প-স্থাপত্যবিদ্যার অপরূপ মেলবন্ধনের সাক্ষী এই দীগ। চোখ ধাঁধাঁনো এই দুর্গপ্রাসাদ যেন এক রাজকীয় স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশ বলেই বারবার মনে হতে লাগল। তখনকার দিনের বাঙালি স্থপতি বিদ্যাধর ভট্টাচার্যের নাম এখানকার অনেক নকশার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সূরজমল হাভেলির এক জায়গায় বাঙালির নিজস্ব ঘরানা বাঁশের সুন্দর ছাউনি স্বাভাবিকভাবেই নজরে পড়ে যায় আমাদের।
হাঁটতে হাঁটতে ঘন্টার পর ঘন্টা নিমেষে কেটে গেল মুগ্ধতার আবেশে। দীগ থেকে এবার ফিরে যাওয়ার পালা। সূর্য ঢলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। তার শেষ আলোটুকু রাঙিয়ে দিয়েছে বীর জাঠ রাজাদের এককালের গরিমাময় আবাসস্থল। রম্যাণী এ দৃশ্য বারবার পেছনে ফিরে দেখারই মতো। এই পড়ন্ত বেলায় গোপাল সাগরের ওপর গোপাল ভবনের প্রতিবিম্ব যেন স্থির জলে ভেসে থাকা একটি পুরানো দিনের জাহাজ। দিনের শেষে বিদায়মুখী পর্যটকদের অনেকের কাছে এ এক অপূর্ব আদরণীয় দৃশ্য - ভাষায় বর্ণনা করা যায় না, অনুভব করবার বস্তু।

'নহী জাঠনী নে সহী ব্যর্থ প্রসব কী পীর।
জন্ম উসকে গর্ভ সে সূরজমল সা বীর।'

অবিভক্ত ভারতের রাজশাহী জেলার নওগাঁতে জন্ম অতীন চক্রবর্তীর। সরকারি পেশা এবং ভ্রমণের নেশার টানে ঘুরেছেন ভারতবর্ষের নানা অঞ্চলে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিতভাবে গল্প ও ভ্রমণকাহিনি লিখছেন। সাহিত্যক্ষেত্রে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কারও।

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

To view this site correctly, please click here to download the Bangla Font and copy it to your c:\windows\Fonts directory.

For any queries/complaints, please contact admin@amaderchhuti.com
Best viewed in FF or IE at a resolution of 1024x768 or higher