বোর্নিওর জঙ্গলে এক রাত
অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়
ছোটবেলা থেকেই বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো আমার একটা বাতিক। বেশি কিছু নয়, এই একটু আধটু ঝোপঝাড়, আগাছার জঙ্গল, অযত্নে বেড়ে ওঠা একটা দুটো বুনো ফুল, বড় বড় গাছপালার নীচে ঘুরঘুট্টি অন্ধকার – এইসবই নেড়ে চেড়ে দেখি। বড় হয়েও সেই ঘোড়ারোগ সারেনি। একটু সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি। চারদিকের বাক্সপেটাই হৈচৈ, গাড়ির হুস্ হাস্, রাস্তায় বেরলেই সেই ম্যাকডোনাল্ডস - কাঁহাতক ভাল লাগে এই শহুরে সভ্যতার ক্যাচক্যাচি; কিরকম জানি হাঁসফাঁস করে। তাই মাঝে মাঝেই কেটে পড়ি এখান থেকে, একটু বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে আসি আর কী। ছোটবেলায় যখন বাবার কোল ঘেঁসে চোখ বড়বড় করে আফ্রিকার সিংহ, সুন্দরবনের মানুষখেকো বাঘ আর বোর্নিওর ভয়াবহ জঙ্গলের গল্প শুনতাম, নিজের মত করে কল্পনার জগতে সেই সব ছবি সাজিয়ে রাখতাম। মনে আছে আমাদের আসামের বাড়ি তখনও পাকা হয়নি, বর্ষার রাতে টিনের চালে ঝম্ঝম্ করে বৃষ্টি পড়ত; সেই শব্দ শুনতে শুনতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়তাম, আর আমার স্বপ্নের জগতে সুন্দরবনের মানুষখেকো আর জিম করবেটের কুমায়ুনের বাঘেরা তখন অবাধে ঘুরে বেড়াত।
অনেকদিন ধরেই তাল খুঁজছি একটু বোর্নিওর জঙ্গল থেকে ঘুরে আসার। মালয়েশিয়ার উত্তর-পুব দিকে, একেবারে মাথার ওপরে বোর্নিওর একটা ছোট্ট অংশ পড়ে ঠিকই। যাওয়ারও সুবিধে। কুয়ালালামপুর থেকে এয়ার-এশিয়াতে কোটাকি নাবালু (KotakiNabalu) ঘন্টা দুয়েকেই পৌঁছে যাওয়া যায়। সেখান থেকেই বোর্নিও। নানারকম ট্যুরিস্ট লজ রয়েছে, আছে ওরাং-ওটাং আর জঙ্গল দেখার এলাহি ব্যবস্থা। কিন্তু ওরকম সাজানোগোছানো জঙ্গল দেখা আমার পোষায় না। আরে জঙ্গলে গিয়ে যদি সাপখোপের সামনে না পড়লাম, দুটো জন্তু জানোয়ারের তাড়া না খেলাম, তবে সেখানে গিয়ে আর লাভ কী হল! বোর্নিওর বেশির ভাগ জঙ্গলটাই কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে, হাজার হাজার স্কোয়ার কিলোমিটার জুড়ে। সেই গভীর জঙ্গলে যেমন 'দায়াক' উপজাতির লোকেরা আছে, এমনও অনেক জায়গা আছে যেখানে মানুষের পায়ের ছাপ পড়েনা সচরাচর। আর 'কালিমান্তান' নামটাও বেশ জুতসই, বেশ গায়ে কাঁটা দেয়, বোর্নিওর জঙ্গলের ভয়াবহতার সাথে খাপ খেয়ে গেছে। দুবছর আগে একবার ভিয়েতনাম গিয়েছিলাম। হো-চি-মিন (HoChiMinh) শহর থেকে কালিমান্তান যাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু ভেবে দেখলাম সময়ে কুলোবেনা। গতবছর যখন ইন্দোনেশিয়া যাবার প্ল্যান শুরু করলাম, তখনই ঠিক করলাম আর যাই করি না কেন, বোর্নিও এবার ছাড়া নেই, দুদিনের জন্যে হলেও যেতে হবে। বালিতে 'দেসী' মেয়েটি আমার বেড়াবার প্ল্যান-পয়জার করছিল, ওকেই ধরলাম. বললাম, "শোন - বালি, বোরোবুদুর এসব ব্যবস্থা করছ ঠিক আছে, কালিমান্তান যেন বাদ না পড়ে।" দেসী মেয়েটি ভাল, হাসিমুখে দুরাত্তির বোর্নিও থাকার ব্যবস্থা করে দিল। পাংকালান বুন (Pangkalan Bun) থেকে বোটে করে কুমাই নদী। কুমাই গিয়ে পড়বে সিকোনীড় নদীতে। সিকোনীড় - নামটা কি মিষ্টি, তাই না? দুপাশে ঘন জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে সিকোনীড়। রাতে বোটেই থাকা-খাওয়া। আর দিনে জঙ্গলে টো টো করে ঘুরে ওরাং-ওটাং খোঁজা। একজন লোকাল গাইড থাকবে অবশ্য। ব্যবস্থাটা বেশ পছন্দ হল। কোন লজে-ফজে থাকা নেই। রাতে জঙ্গলের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে বোটে থাকা। লজ অবশ্য একটা আছে, নদীর ধার ঘেঁসে। তবে লজে থাকলে সেই ট্যুরিস্টের মত থাকা আর কী। জঙ্গলে থাকার মত মজা নেই। কিন্তু একটা ব্যাপার হল, বোটে আমি ছাড়া আর কোনো যাত্রী নেই। শুধু আছে রান্নার লোক, খালাসী আর বোটের ক্যাপ্টেন। একটু খুঁতখুঁত করছিল। জঙ্গলে আমার ভয় নেই, তবে ভয় পাই আমাদের মত দুপেয়ে জীবকেই। কতরকম লোক আছে, এই গভীর জঙ্গলে মেরে পুঁতে ফেললেও দেখবার কেউ নেই। আর এরকম ঘটনা যে হয় না, তা তো নয়। যাইহোক, দেসীকে বললাম কথাটা। দেসী একটু চিন্তা করে বলল, "একসাথে যাওয়ার যাত্রী পাওয়া তো মুস্কিল, আচ্ছা দেখি কি করা যায়।" দুদিন পরে ই-মেলে লিখল, "শোন, একটা প্রস্তাব আছে। আমার বয়ফ্রেন্ড কাদেক-এর সঙ্গে এই ব্যাপারটা আলোচনা করলাম। আমরাও ওদিকটা কোনদিন দেখিনি। আমি আর কাদেক যদি তোমার সাথে যাই, কোনও আপত্তি আছে? আমরা খরচাটাও তোমার সাথে হাফ্ শেয়ার করব।" আপত্তি!? আরে এতো মেঘ না চাইতেই জল! সঙ্গী ডাব্ল, খরচা হাফ্, এই সুযোগ কেউ ছাড়ে? বললাম, "তাড়াতাড়ি স্যুটকেশ গোছাও।"
সেমারাঙ (Semarang) থেকে ভোরের ফ্লাইটে তিনজন নামলাম পাংকালান বুন (Pangkalan Bun) এয়ারপোর্টে। শীতকাল, কিন্তু এই সকালেও হালকা গুমোট গরম। এয়ারপোর্ট থেকেই সোজা কুমাই নদীতে। বোটটা নদীর ধারে রাখাই ছিল। এখানে এই ধরনের বোটকে বলে ক্লোতোক (klotok)। বোটটা দেখে বেশ পছন্দ হল, - আহামরি কিছু না, তবে বেশ গোছানো। না, দেসী মেয়েটা বেশ করিতকর্মা আছে! দোতলা বোট। নীচের তলায় বোটের লোকজন, আর দোতলায় আমরা। তোষক, বালিশ, গায়ের চাদর - সব ভাঁজ করে রাখা। মশারিও আছে। না হলে মশা রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে রেখে আসবে। সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই বোটের খোলা ছাদ। ছাদের সামনের দিকটা ক্যাপ্টেনের কেবিন। চেয়ার পেতে কেবিনের ছাদে উঠে দিব্যি ঠ্যাং দুলিয়ে দোল খাওয়া যায়। বোট ছাড়তে ছাড়তে সকাল সাড়ে দশটা বেজে গেল।
কুমাই নদী এখানে খুব চওড়া। এপার-ওপার প্রায় দেখা যায়না। তবে খানিকটা চলার পর নদী আস্তে আস্তে সরু হতে শুরু করল। দেখা দিল জঙ্গলও। যখন কুমাই গিয়ে সিকোনীড় নদীতে পড়ল, তখন নদী প্রায় খাল হয়ে গেছে। তবে স্রোত আছে বেশ, চোরা স্রোত। দুদিকে শুধু ঘন জঙ্গলই নয়, নদীর ধার ঘেঁসে বুনো ঘাসের জঙ্গল। তার ভেতর দিয়ে জলের চোরা স্রোত জঙ্গলের ভেতর মাইল খানেক ঢুকে গেছে। দু-একটা সাপও দেখলাম জল কেটে জঙ্গলে ঢুকে গেল। আর আছে কুমীর। জলে নামার কোন প্রশ্নই নেই, তবে দরকার পড়লে বোটের লোকেরা নামে কখনও সখনও। এরা জানে কখন কোথায় নামতে হয়। আর দুদিকে জঙ্গলও বটে। এই উঁচু উঁচু বড়কা গাছ। মাঝে মাঝে মগডালে বসে আছে সাদা বাঁদর – proboscis monkey। গাছগুলো এমন জড়াজড়ি করে রয়েছে, একফোঁটা আলো ঢোকেনা, ভেতরে জমাট অন্ধকার থম্ ধরে আছে। দেখতে দেখতে বেলা প্রায় একটা, বোটের খালাসী এসে দুপুরের খাবার দিয়ে গেল। গরম গরম ভাত, একটা পাঁচমেশালী তরকারী আর একটা মাছের পদ। ইন্দোনেশিয়ার লোকেরা খুব ভাত খায়, আমাদের চেয়েও বেশি। পারলে ভাত দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে।
খাওয়া-দাওয়া সেরে বেলা আড়াইটে নাগাদ আমরা পৌছলাম পোন্ডোক তাঙ্গুই ( Pondok Tangui) রিহ্যাব সেন্টারে। এখানে ওরাং ওটাংদের খানিকটা দেখভালের ব্যবস্থা আছে। একটা কাঠের পাটাতন করা আছে, বোট থেকে নামার জন্যে। নেমে জঙ্গলে ঢুকলাম। সামনে গাইড, পেছনে আমি, দেসী আর কাদেক। রাস্তা বলে কিছু নেই, কখনও ডেঁয়ো লাল পিঁপড়ের ঢিপি, কোথাও এত্ত বড় বড় মাকড়সা। কখনও জলের ওপর গাছের গুঁড়ি পাতা, তার ওপর দিয়ে ব্যালান্স করে যেতে হয়। আমি তো একবার পা পিছলে কাদা-জলে আছাড় খেলাম। আর আছে মশা। ওরে বাবা, সারা দুনিয়ার যত মশা, সব জড় হয়েছে এখানে। সঙ্গে যদি মশানিরোধক তরলের শিশি না থাকত, মশা আমার রক্ত খেয়ে যেত বোতল বোতল! মাইল দেড়েক জঙ্গলে হাঁটবার পর পৌছলাম একটু ফাঁকা মত জায়গায়। সামনে একটা পুরনো বেঞ্চি পাতা। তাতে কিছু কলা ছড়িয়ে একজন ভলান্টিয়ার ওরাং ওটাং-এর গলা নকল করে ডেকে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ কোনও শব্দ নেই, তারপর ইয়া উঁচু উচুঁ গাছের মগডাল থেকে এক এক করে ওনারা নামতে আরম্ভ করলেন, - ছুঁড়ি, বুড়ী, খোকা, খোকার মা, বুকের থেকে বাচ্চা ঝুলছে – সব গাছের ডালে দোল খেতে খেতে নামতে আরম্ভ করল। ওদের দুটো হাতে যে কী জোর, সেটা ডাল ধরে ওদের অনায়াসে ঝোলা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না।
বিকেল বিকেল বোটে ফিরে এলাম। জঙ্গল দিয়ে দুটো ওরাং-ওটাং সমানে ফলো করে বোট পর্য্যন্ত এসেছে। ওদের সঙ্গে আমাদের কোনো ঝগড়া নেই। তবে ওরা দেখে গেল, আমরা বিদেয় হচ্ছি নাকি। না হলে হয়তো ঝাড় দিত। আকাশ বেশ কালো করে এসেছে, রাতে ঢালবে মনে হয়। যাই হোক, গুলতানি করে সন্ধ্যেটা কাটল ভালই। রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা ছাদে বসে খানিকটা আড্ডা মারলাম। রাত নটা নাগাদ দেসী, কাদেক ঘুমোতে গেল। রাত নটা এই জঙ্গলে অনেক রাত। দেসী বলল, "উঠেছ তো সেই কাকভোরে প্লেন ধরতে। এখন ঘুমোওগে যাও।" বললাম, "পাগল না কি? এখনই তো মস্তি! এই ঘোর জঙ্গলে মাঝরাত্তির অব্দি না জাগলে বেড়ানোটাই তো মাটি।" "তাহলে তুমি মস্তি কর, আমরা ঘুমোতে চললাম", বলে দেসী, কাদেক নীচে নেমে গেল। একটা চেয়ারের ওপর ঠ্যাং তুলে আরেকটা চেয়ারে বেশ জুত হয়ে বসলাম। রাতের জঙ্গল তখন জেগে উঠেছে। খানিক্ষণ পরে খালাসীরাও খাওয়া দাওয়া সেরে বোটের আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ল।
চারদিকে চাপ চাপ অন্ধকার। ওই মিশকালো রাত্তিরে বোটের ছাতে বসে চারদিকের কীট, পতঙ্গ, নিশাচর জন্তু, পাখপাখালির ডাকে রাতের জঙ্গলকে নতুন করে চিনলাম। একটা রাতচরা পাখি কখন থেকে অবিশ্রান্ত 'টী টী" করে ডেকে চলেছে। সত্যি, ওদের গলা ব্যথা হয় না! ঘাসী বনের জঙ্গলে জলের নীচে কি একটা সর্ সর্ করে চলে গেল। সাপ-টাপ হবে বোধ হয়। মাঝে মাঝেই বাঁদরগুলো হুপ্-হুপ্ করে রাতের বিপদের জানান দিচ্ছে। দূরে এক ওরাং-ওটাং তীক্ষ্ণ শিস্ দিয়ে তাদের অস্তিত্ব জানান দিল – "আমরাও আছি।" দিনের বেলাতে জঙ্গলকে এত শব্দমুখর হতে দেখিনি। এ এক সম্পূর্ণ অন্য জগত! মনে হল রাতের এই জঙ্গলকে চেনা আমার জরুরী ছিল। হঠাৎ জলে ঝপাত্ করে একটা ভারী কিছু পড়ার শব্দ হল। তার সাথে কোন জানোয়ারের মর্মান্তিক আর্তনাদ আর বিরাট ঝটাপটির শব্দ। জোরালো টর্চের আলো ফেললাম ঘাসী জঙ্গলে যেখান থেকে আওয়াজটা আসছিল সেদিকে লক্ষ্য করে। জল থেকে একটা কুয়াশার ভাপ উঠে আসছে। সেখানে টর্চের আলো হারিয়ে গেল, কিছু দেখতে পেলাম না। বোধহয় কুমিরে বাঁদর ধরেছে। একটু পরেই ঝটাপটির আওয়াজ থেমে গেল। তার মানে সব শেষ। এই ঘাসী জঙ্গলে জলের তলায় সবার চোখের আড়ালে একটা প্রাণ চলে গেল। কেউ জানলনা, কেউ কাঁদলনা। পৃথিবীর অন্য এক প্রান্তে সেই মুহূর্তে হয়ত আর এক শিশু জন্ম নিল। এটাই বোধ হয় সার্কেল অফ লাইফ – জন্ম, মৃত্যু, সুখ, দু:খ, জীবন, বিবর্তন। এই নিয়েই আমাদের পৃথিবী। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। মনটা সত্যি খারাপ হয়ে গেল। হাতঘড়িতে দেখলাম রাত সোয়া বারোটা। আকাশের মেঘ অনেকটা কেটে গেছে, দু-একটা তারা মিট্ মিট্ করে উঁকি মারছে। আস্তে আস্তে নীচে নেমে এলাম। অনেকক্ষণ ঘুম এলনা। মাত্র হাত দশেক দূরে একটা জীবন শেষ হল। আমি তার সাক্ষী। মানলাম মানুষ নয়, কিন্তু জীবন তো! সত্যি জীবন কী ঠুন্কো! আজ আছি, কাল নেই। বেচারা কি সকালেও জানত আজই ওর শেষ সূর্য দেখার পালা। এক মিশকালো অন্ধকারে বোর্নিওর জঙ্গলে বিছানায় শুয়ে শুয়ে মনে পড়ল Alan Coren-এর সেই কটা লাইন –
"Enjoy your life today,
Yesterday is gone and
Tomorrow may never come."
- কে জানে 'কাল হো না হো'।
আরও এক রাত্রি ছিলাম বোর্নিওর জঙ্গলে - সে গল্প আরেকদিন হবে।
অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম অসমের গুয়াহাটিতে। লেখাপড়ার অনেকটাই কলকাতাতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকপাঠক্রমের পর উচ্চতর শিক্ষার জন্য পাড়ি দেন বিদেশে। দীর্ঘকাল কর্মরত কানাডায়। ছোটবেলাতেই সাহিত্যে হাতমকশো কবিতা লিখে। জীবনের অন্যতম কর্মসূচী নানা দেশ ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চার। নতুন দেশের কেবল দ্রষ্টব্যস্থান নয়, সেই দেশের ভূগোল, ইতিহাস তথা সেখানকার জনজীবনকে জানার, বোঝার আগ্রহ প্রবল। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লেখেন টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া পত্রিকায়। এছাড়া নিয়মিত ট্রাভেল ব্লগ লেখেন নিজের ওয়েব সাইটে - www.mytb.org/gangopa