সপ্তাহ-অন্তের ভ্রমণে বাংলার পোড়ামাটির মন্দির
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
সকাল সকাল বের হওয়া প্রয়োজন, তা না হলে অসুবিধায় পড়তে হবে। সূর্যদেব যত মাথার উপরে উঠবেন তত গরম বাড়বে। সেই অবস্থায় বেশি দূর যাওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের গন্তব্য বাঁকুড়ার সোনামুখী। আর সম্ভব হলে ফাউ হিসাবে হদল নারায়ণপুর। উদ্দেশ্য কয়েকটি পোড়ামাটির মন্দির দেখা।
মোটর সাইকেল যোগে বর্ধমান থেকে রওনা হয়েছিলাম সোনামুখীর উদ্দেশ্যে। দামোদর নদের সেতু পার হয়ে বর্ধমানের দক্ষিণে কিছুটা এসে বাঁকুড়া মোড় থেকে পশ্চিম দিকে কিছুটা যেতেই মালুম হল এযাত্রায় আমাদের জন্য কী চমক অপেক্ষা করছে! সরকার বাহাদুরের কল্যাণে সোনামুখীর রাস্তা সংস্কারের কাজ চলেছে। রাস্তার ছালচামড়া তোলা হয়েছে। সুতরাং সারা পথটি নাচতে নাচতে, দেহের ওপরে কয়েক মিলিমিটার ধুলোর আস্তরণ চাপিয়ে, ডবল সময় নিয়ে সোনামুখী যখন পৌঁছালাম তখন ধুলোয় সজ্জা নেওয়াটাই শ্রেয় মনে হল।
গ্রাম বাংলায় বিশেষ করে পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ অংশের জেলাগুলিতে অজস্র ইটের মন্দির রয়েছে। সেগুলির বেশ কিছু মন্দির টেরাকোটা ফলক দ্বারা অলংকৃত। এই টেরাকোটা ফলকগুলি আটকানো রয়েছে মন্দিরগাত্রে। অলংকরণের বিষয়বস্তুও নানা ধরণের। আমার আকর্ষণ এই ফলকগুলি। তাই অতি সংক্ষেপে এই বিষয়ে দু-চার কথা বলে নিই।
টেরাকোটা ফলকগুলির বিষয়বস্তু যে নানা ধরণের সে কথা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। অতি সংক্ষেপে সে কথা জানাই-
• হিন্দু দেবদেবী -
অলংকৃত সব মন্দিরেই বেশ কিছু ফলক রয়েছে হিন্দুদের দেবদেবীর। ফলক রয়েছে নারায়ণ, দেবাদিদেব মহাদেব, মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, কালী, ব্রহ্মা, ইত্যাদি দেবদেবীগণের। এদের মধ্যে বিষ্ণু, শিব এবং মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার ফলক দেখতে পাওয়া যায় সর্বাধিক। অল্প কিছু মন্দিরে রয়েছে অন্নপূর্ণা, কমলে কামিনী বা দেবরাজ ইন্দ্রের ফলক।
• পৌরাণিক কাহিনি-
শিল্পীরা ফলকে চিত্রিত করেছেন বেশ কিছু পৌরাণিক কাহিনি, যেমন সমুদ্রমন্থন, গঙ্গার মর্ত্যে আগমন, পারিজাত বৃক্ষের দখল নিয়ে ইন্দ্র এবং কৃষ্ণের যুদ্ধ, শ্রীকৃষ্ণের নিকট ব্রহ্মার পরাজয়স্বীকার ইত্যাদি। এটা মনে রাখা প্রয়োজন পৌরাণিক কাহিনির ফলক অল্প কিছু মন্দিরে দেখতে পাওয়া যায়।
• রামায়ণ কাহিনি-
কোন না কোন রামায়ণ কাহিনির ফলক প্রায় সব অলংকৃত মন্দিরে দেখা যায়। যে ফলকটি সব চেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায় সেটি হল রাম - দশাননের যুদ্ধ। অনেক মন্দিরের প্রবেশ পথের খিলানের উপর বড় প্যানেলে লংকা যুদ্ধের ফলকটি স্থান পেয়েছে।
• মহাভারতের গল্প -
পোড়ামাটির মন্দিরগাত্র অলংকরণে রামায়ণ কাহিনির ফলক যে পরিমাণে দেখা যায়, তুলনায় মহাভারতের কাহিনির চিত্রণ বেশ অল্প। এর কারণ সঠিকভাবে বোঝা যায় না। সব মিলিয়ে সাত-আট ধরণের ফলকের সন্ধান মেলে। এর মধ্যে ভীষ্মের শরসজ্জা এবং অর্জুনের লক্ষ্যভেদের ফলক একাধিক মন্দিরে রয়েছে।
• শ্রীকৃষ্ণের জীবন কাহিনি -
রামায়ণের কাহিনির মত শ্রীকৃষ্ণের জীবনের ঘটনার চিত্রণ অতি জনপ্রিয়। অলংকৃত সব মন্দিরেই শ্রীকৃষ্ণের জীবনকাহিনির বিভিন্ন ফলক তাই দেখতে পাওয়া যায়।
• আর্থসামাজিক চিত্র -
বিভিন্ন ধরণের আর্থসামাজিক বিষয়ের ফলক স্থান পেয়েছে মন্দির অলংকরণে। এই জাতীয় ফলকগুলি দেখতে পাওয়া যায় মন্দিরের একেবারে নীচে বেসপ্লেট বা বেস ফলক স্তরে। সমাজচিত্রের যে যে বিষয়গুলি বেশি দেখা যায় সেগুলি হল - ক) রাজপুরুষ বা জমিদারদের শিকার যাত্রা, খ) রাজপুরুষ বা ধনীব্যক্তির শোভাযাত্রা সহকারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন, গ) যানবাহন (পালকি, নৌকা ইত্যাদি), ঘ) বিদেশী/ ইউরোপীয়দের ফলক, ঙ) বাবুদের অবসর যাপন, চ) সঙ্গীত চর্চ্চা এবং বাদ্যযন্ত্র, ছ) প্রসাধনরতা নারী, জ) সাধু, ঝ) মিথুন ইত্যাদি।
• মাঙ্গলিক চিহ্ন -
প্রায় সব পোড়ামাটির মন্দিরে কিছু না কিছু ধরণের মাঙ্গলিক চিহ্নের ফলক দেখতে পাওয়া যায়। বহু মন্দিরের প্রবেশ পথের উপরে পদ্মের ফলক রয়েছে। হিন্দু দেবদেবীদের অনেকেই প্রস্ফুটিত পদ্মের উপর বসে রয়েছেন। তাঁদের কারো কারো হাতে রয়েছে পদ্ম। সহস্রদল পদ্মকে সাধনার শেষ সোপান বা সহস্রারের প্রতীক বলে মনে করা হয়।
• নক্সা, ফুল, লতাপাতা, প্রাণী, ইত্যাদি -
লতাপাতা, ফুল, প্রাণী বা নক্সার ফলক অল্পবিস্তর সব মন্দিরেই রয়েছে।
মন্দিরের এক একটি জায়গায় যে জাতীয় (বিষয়) ফলক লাগানো হয় সেগুলির প্রত্যেকটির নিজস্ব চরিত্র রয়েছে। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে এক একটি স্থানের ফলকের মাপের তফাৎ রয়েছে। মন্দির প্রবেশ পথের খিলানের উপরের প্যানেলে যে ধরণের ফলক ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে মন্দিরের সর্বনিম্নের ফলকগুলি (বেস প্লেটের) বা কার্ণিসের ঠিক নীচের স্তরের ফলকের মাপ বা চরিত্র আলাদা। একটি মন্দিরের যে সব স্থানে টেরাকোটা ফলক লাগানো হয় সেগুলি হল - ক) প্রবেশ পথ, খ) প্রবেশ পথের খিলানের উপরের প্যানেল, গ) কার্ণিসের নীচের স্তর, ঘ) মন্দিরের ওপর দিকে দুই কোণ, ঙ) পাশের দেওয়াল, চ) স্তম্ভ এবং ছ) সর্ব নিম্নের বেসপ্লেট গুলিতে।
প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থায় সোনামুখী পৌঁছে ওখানের বাজার পাড়ায় পঞ্চবিংশতিরত্ন শ্রীধর মন্দিরের সন্ধান মিলল। মন্দিরের সামনে হাজির হয়ে বুঝলাম মন্দিরটির চারদিকই সুন্দর সুন্দর ফলকের সাহায্যে অলংকৃত। তবে মন্দিরের দুটি দিক আমরা দেখতে পাব। একদিকে প্রাচীর তোলা হয়েছে সুতরাং সেইদিকে যাওয়া সম্ভব নয়। আর পিছনের দিকে রয়েছে একটি বাগান। সেটির গেট তালাবন্ধ।
গর্ভগৃহে প্রবেশপথের খিলানের উপরে একটি বড় প্যানেলের দিকে চোখ পড়তে দৃষ্টি সেখানেই আটকে গেল - শিবঠাকুর হিমালয়নন্দিনী পার্বতীকে বিয়ে করতে এসেছেন। সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে গেল অপর দুটি মন্দিরের একই জাতীয় ফলকের কথা। একটি মন্দির কাটোয়ার কাছে দাঁইহাটের বাগটিকরায়। আর অপরটি বীরভূমের মল্লারপুরের কাছে গণপুর গ্রামে। এই দুটি মন্দিরের ফলকে একই জাতীয় বিষয় চিত্রিত করা হয়েছে - শিবঠাকুর বিয়ে করতে চলেছেন।
গণপুর গ্রামের মাঝখানে কালীমন্দির চত্বরে যে মন্দিরগুচ্ছ রয়েছে, সেই মন্দিরগুলির একটি শিবমন্দিরে পাশাপাশি দুটি ফলকের একটিতে, শিবের অনুচর এবং সঙ্গী বাঁ হাতে ত্রিশূল এবং ডান হাতে আলো ধরে প্রভুকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শিব-অনুচরের মুখটি পশুর ন্যায়। মাথায় মুকুট। বাঙালি কবিদের কল্পনায় শিবের সহযাত্রীরা সব ভূতের দল।
সুধীরচন্দ্র সরকার সংকলিত পৌরাণিক অভিধানে শিবের প্রিয় অনুচর ভৃঙ্গী বিষয়ে লিখেছেন, ভৃঙ্গী একবার শিবানীর বিরাগভাজন হয়ে বানর-মুখ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। শিবের অপর অনুচর নন্দী। ইনি বামন, করালদর্শন, ক্ষুদ্রবাহু এবং মহাবল। গণপুর গ্রামের মন্দিরে শিবের অনুচরের ফলকটিতে অনুচরের মুখটি শিল্পীর দৃষ্টিতে বানরের ন্যায়। তাই এই ফলকটি ভৃঙ্গীর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পাশের ফলকটিতে জটাধারী শিবঠাকুর বৃষপৃষ্ঠে বসে আনন্দে নৃত্য করতে করতে চলেছেন। শিবঠাকুরের বাহনটিও বেশ সাজগোজ করেছেন। উনিও ল্যাজ তুলে ছুটে চলেছেন দেবাদিদেবকে নিয়ে।
এবার চলে আসি সোনামুখীর শ্রীধর মন্দিরের ফলকটিতে। শিবঠাকুর হাজির হয়েছেন হিমালয়-গৃহে বিবাহের উদ্দেশ্যে। ওনার সঙ্গে বরযাত্রী হিসাবে এসেছেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, নারদসহ আরও কেউ কেউ। শিব ঠাকুরের পাশে কন্যাকে আনা হয়েছে পিঁড়িতে বসিয়ে। দুজন ব্যক্তি পিঁড়িটি ধরে রয়েছে। মাটিতে বসে রয়েছেন পুরোহিত।
শিব ঠাকুর সাজগোজ করেছেন, তবে তিনি নগ্ন। আর নগ্ন হবু জামাইকে দেখে কন্যার মাতা মেনকা হাতের তালুর সাহায্যে মুখ ঢেকেছেন লজ্জায়। শিব ঠাকুরের এমন দশা করেছেন স্বয়ং নারায়ণ। তিনি রঙ্গরসিকতা করতে পিছপা হননি। গরুড়কে লেলিয়ে দিয়েছেন। আর গরুড়কে দেখে বিষধরেরা ভয়ে পালিয়েছে। খসে পড়েছে শিব-দেহের বসন বাঘছাল। শিবঠাকুর নিরাবরণ হয়েছেন। ভারতচন্দ্র সুন্দরভাবে এই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন -
গরুড় হুঙ্কার দিয়া উত্তরিলা গিয়া।
মাথা গুঁজে যত সাপ যায় পলাইয়া।।
বাঘছাল খসিল উলঙ্গ হইল হর।
এয়োগণ বলে ওমা এ কেমন বর।।
দক্ষিণবঙ্গের গ্রামগুলিতে শত শত ইটের তৈরি মন্দিরে এমন সব অনন্যসাধারণ ফলক রয়েছে। খেদের বিষয় এই যে নাম-না-জানা বাঙালি শিল্পীদের এই সব অসাধারণ শিল্পকীর্তি দেখতে আমরা ভুলে যাই। বাঙালিরা কখনও কখনও এসব মন্দিরে দেবদর্শনে যান, কিন্তু মন্দিরগাত্রের সুন্দর সুন্দর ফলকগুলি তাঁরা দেখেন না। অথচ কী নেই এই সব ফলকগুলিতে - দেবদেবী, রামায়ণ, মহাভারত, শ্রীকৃষ্ণের জীবন কাহিনি, পৌরাণিক কাহিনি, সামাজিক জীবন আরো কত কী! এই সব ফলকগুলি দেখালে যে কোন শিশুই রামায়ণ, মহাভারত, শ্রীকৃষ্ণের জীবনকাহিনি শিখে যাবে। তাকে আর বই পড়ানোর দরকার হবে না।
সপ্তাহ-অন্তের ভ্রমণে অতি সহজেই বাংলার পোড়ামাটির মন্দিরদর্শন স্থান পেতে পারে। গ্রামের কর্মহীন যুবকেরা একটু সচেষ্ট হয়ে মন্দির বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে ভ্রমণার্থীদের সাহায্য করতে পারেন। ফলে সৃষ্টি হতে পারে হেরিটেজ ট্যুরিজম। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান। গ্রামের সাধারণ মানুষ গাইড হিসাবে কাজ করতে পারেন, ভ্রমণার্থীদের জন্য তৈরি হতে পারে খাবারের দোকান। এতে দুই পক্ষেরই সুবিধা হবে।
শেষে এক ডজন জায়গার (এবং মন্দিরের নাম) একটি তালিকা দেওয়া হল। এই স্থানগুলিতে রয়েছে এক বা একাধিক অতি সুন্দর মন্দির। এই মন্দিরগুলি দেখে যে কেউ সন্ধ্যার মধ্যে কলকাতা ফিরে আসতে পারবেন। এগুলির মধ্যে একমাত্র বড় নগর (মুর্শিদাবাদ) কিছুটা দূরের। এই তালিকায় বিষ্ণুপুরকে রাখা হয়নি। কারণ বিষ্ণুপুরের নাম সকলের জানা।
১) একরত্ন অনন্তবাসুদেব মন্দির, বাঁশবেড়িয়া
ট্রেনে হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল। ওখান থেকে বাসে বাঁশবেড়িয়া।
২) একরত্ন শ্রীরামচন্দ্র মন্দির, গুপ্তিপাড়া
ট্রেনে হাওড়া/ ব্যান্ডেল থেকে গুপ্তিপাড়া। স্টেশন থেকে অটো বা টোটোয় কিম্বা রিক্সায় মন্দির।
৩) কালনার মন্দিররাজি
ট্রেনে হাওড়া/ ব্যান্ডেল থেকে কালনা। স্টেশন থেকে অটো বা টোটোয় কিম্বা রিক্সায় ১০৮ শিব মন্দির। ১০৮ শিব মন্দিরের উল্টোদিকের চত্বরে অনেকগুলি মন্দির রয়েছে। এছাড়া আরও কিছু মন্দির রয়েছে সামান্য কিছু দূরে। কালনার মাখা সন্দেশ বিখ্যাত।
৪) আটচালা শিব মন্দির, বাগটিকরা, দাঁইহাট, বর্ধমান পূর্ব
কাটোয়া লোক্যাল ট্রেনে হাওড়া/ ব্যান্ডেল থেকে দাঁইহাট। স্টেশন থেকে অটো বা রিক্সায় বাগটিকরা।
৫) লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, দেবীপুর, বর্ধমান পূর্ব
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে বর্ধমান লোক্যাল ধরে দেবীপুর। স্টেশন থেকে অটো বা রিক্সায় দেবীপুর গ্রামে।
৬) বৈদ্যপুরের মন্দির রাজি, বর্ধমান পূর্ব
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে বর্ধমান লোক্যাল ধরে বৈঁচি স্টেশন। স্টেশন থেকে কালনাগামী বাসে আধঘণ্টায় বৈদ্যপুর। বৈদ্যপুরের দেউল মন্দিরটি অতি প্রাচীন। হেঁটে মন্দির গুলি দেখতে হবে। বৈদ্যপুরের মাখা সন্দেশ বিখ্যাত।
৭) শ্রীবাটি গ্রামের মন্দিরগুলি, বর্ধমান পূর্ব
কাটোয়া লোক্যাল ট্রেনে হাওড়া/ ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া। কাটোয়া থেকে মালডাঙ্গাগামী বাসে সিঙ্গি মোড়। সিঙ্গি মোড় থেকে অটো বা রিক্সায়। এখানে তিনটি মন্দির রয়েছে।
৮) বড় নগরের মন্দির রাজি, মুর্শিদাবাদ
নাটোরের রানী ভবানী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শিবমন্দিরগুলি দেখতে হলে ট্রেনে আজিমগঞ্জ। সেখান থেকে অটো।
৯) শ্রীধর মন্দির, সোনামুখী, বাঁকুড়া
বর্ধমান অথবা দুর্গাপুর থেকে বাসে সোনামুখী পৌঁছে। বাজার পাড়ায় শ্রীধর মন্দির দেখা।
১০) সোনাতোড় পাড়ার পরিত্যক্ত মন্দির, সিউড়ি, বীরভূম
হাওড়া বা বর্ধমান থেকে ট্রেনে সিউড়ি অথবা বোলপুর থেকে বাসে সিউড়ি। সোনাতোড় পাড়ার পরিত্যক্ত মন্দিরটি আর্কিওলজি বিভাগ কর্তৃক অধিগৃহীত।
১১) গনপুরের মন্দিরগুলি, বীরভূম
হাওড়া বা বর্ধমান থেকে রামপুরহাটগামী ট্রেনে মল্লারপুর। মল্লারপুর স্টেশন থেকে সামান্য একটু হেঁটে মল্লারপুর-সিউড়ি স্টেট হাইওয়ের মোড় থেকে বাসে গণপুর। এখানে অনেকগুলি মন্দির রয়েছে।
১২) রাউতারা গ্রামের মন্দিরগুলি, হাওড়া
কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে রাউতারার সরাসরি বাস মেলে।
প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের নেশা বেড়ানো আর ছবি তোলা। বাংলার গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা চোখের আড়ালে চলে যাওয়া টেরাকোটার মন্দিরশিল্পকে ক্যামেরার দৃষ্টিতে পুনরুদ্ধার করাই তাঁর ভালোলাগা। পাশাপাশি চলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ভ্রমণ ও অন্যান্য লেখা।