বেড়ানোর ভাল লাগার মুহূর্তগুলো সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছে করে, অথচ দীর্ঘ ভ্রমণকাহিনি লেখার সময় নেই? বেড়িয়ে এসে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যেমনভাবে গল্প করে বলেন কাছের মানুষদের - ঠিক তেমনি করেই সেই কথাগুলো ছোট্ট করে লিখে পাঠিয়ে দিন ছুটির আড্ডায়। লেখা পাঠানোর জন্য দেখুন এখানে। লেখা পাঠাতে কোনরকম অসুবিধা হলে ই-মেল করুন - admin@amaderchhuti.com অথবা amaderchhuti@gmail.com -এ।

 

 

পানিবিটায় এক ঝড়ের রাত

মৈনাক সেনগুপ্ত

ওইরকম রাত আমি অনেক চেয়েছি আমার জীবনে। যখন বয়েসের বাধা না মেনে, চোখ খুলে, এমনকি রাস্তা হাঁটতেও দিবাস্বপ্ন দেখেছি নিজের নায়কোচিত পাগলামির। তখন অনেকবার ওইরকম একটা রাত চেয়েছি মনে মনে। যেরকমটা পেলাম সেবার কালিঝার ছাড়িয়ে পানিবিটায়।
ছজন আমরা, তিনদিন হেঁটে, তখন পশ্চিম সিকিমের সিঙ্গালিলা পাহাড়ের খাঁজে। গন্তব্য কালিঝার ক্যাম্পসাইট। সরু একচিলতে রাস্তায় বিকেলের আলো ফিকে হতে চাইছে খুব করে। চিপচিপি ছাড়িয়েছি বেশ খানিকক্ষণ। গাইড ভাই নিমাকে "কতক্ষণ" জানতে চেয়ে ফলাফল বিশেষ ভালো হয়নি বলে আর জিজ্ঞাসা করব না-ই ঠিক করেছি। সত্তর ডিগ্রি গ্র্যাডিয়েন্টে টানা ওঠার ধাক্কা এবার পিঠে বাইশ কেজির চাপে ধরা পড়ছে বেশ। সামনে নিমা এগিয়ে গেছে একটু বেশিই, একটা সাদা ঘোলাটে চাদর পাক খেয়ে তৈরি হচ্ছে। হঠাৎ একটা ধাক্কায় আটাত্তর কেজির আমি, বাইশের রুকস্যাক নিয়ে বাঁদিকের পাথুরে দেওয়ালে সজোরে গিয়ে পড়লাম। দম প্রায় বন্ধ, সাদা চাদরটা দুহাত সামনে। বুঝলাম, ঝড় উঠছে। অশনি সংকেত। পিছনের হতক্লান্ত মানুষগুলোকে নির্দয়ের মত এগোতে বলা ছাড়া উপায়ান্তর নেই। আমরা তখন ১১০০০ ফিট উচ্চতায়, ট্রি লাইন-এর ওপরেই হবে। একদিকে পাহাড়ি দেওয়াল আর অন্যদিকে নিচে তাকিয়ে বিশেষ কিছু বোঝা যাচ্ছেনা। ওখানে ঝড়ে উড়ে গিয়ে পড়লে ঠিক কি হবে সেটা আমার অনভিজ্ঞ বন্ধুদের বলা যাবেনা। কাজেই যেভাবেই হোক, এগোতে হবে। আমার ভরসাতেই ওরা এসেছে সিকিমের এই উচ্চতায় ট্রেক করতে। আমি যে ভয় পাচ্ছি, অল্প হলেও পাচ্ছি, সেটা বুঝতে না দিয়ে এগিয়ে যাই। সামনে হঠাৎ কিছু ঠাহর করতে না পেরে গলা ছেড়ে নিমা বলে ডাকতে, শূন্য থেকে একফালি নীল বেড়িয়ে আসে। নিমার উইন্ডচিটার। কালিঝার ক্যাম্পসাইটে পৌঁছেছি তবে? ক্যাম্প-ই বটে। গোটা তাঁবুটা কারা যেন নাড়িয়ে নাড়িয়ে উপড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। আর আমরা পালা করে কেউ না কেউ তাঁবুর খুঁটিটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। নিমা ওর লোকজন নিয়ে তারই মধ্যে স্যুপ বানানোর কাজে। ঝড়ের আওয়াজ ছাপিয়ে চিৎকার করল, "দাজু, ইধার রহ্ নাহি পাওগে, রাত গুজরনা নামুমকিন কে বরাবর হ্যায়। নেপাল সাইড মে পানিবিটা পে এক গোট (ঘর) হ্যায়। কোই রেহ্তা নেহি। উধার যানা হি হোগা।"
- কিতনি দূর?
- আধা ঘন্টা অওর, উস পাহাড়ি কে পিছে।

কাজে কাজেই তলপিতলপা গুটিয়ে ঝড়ের মধ্যে নেমে পড়া। "উস পাহাড়ি…"র আগুপিছু কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা। তার মধ্যেই অনায়াস দক্ষতায় রাস্তা খুঁজে আমাদের দেখিয়ে দিতে দিতে যাচ্ছে নিমা। হাওয়ার পাগলামি বাড়ছে মনে হয়, আর পাল্লা দিয়ে রাস্তার সরু হওয়াও, হ্যাঁ বন্ধুরতা তো বটেই। শেষ সূর্যের আলো সাদা চাদরের ফাঁকে ফাঁকে অপটু হাতে রিফু করা হলদে সুতো তখন, কিন্তু এরপর সন্ধ্যে নামলে… ভাবনাটুকু আর শেষ করি না। রাস্তা থেকে চোখ তুলে নিলে পাথরে হোঁচট, চোখ নামালে পরের বাঁকটা না দেখতে পাওয়ার আশঙ্কা, কাজেই গতি শ্লথ। হালকা একটা গলার আওয়াজ যেন, ডানদিকে খাদের ধার হঠাৎ একটা বাদামি পাথরে শেষ হয়ে যাচ্ছে কি? কয়েক পা এগোলে ভুলটা বুঝলাম, বাদামি পাথরটা আসলে একটা কাঠের বাড়ির বহিরাঙ্গ - পানিবিটা! এই বাড়িতেই আজ আমাদের ঝড়ের রাতের অভিসার।

বাড়িটা আমরা ছোটবেলায় যেমন কুঁড়েঘর আঁকতাম অনেকটা তেমনি। শুধু মাথার ওপরের চালটায় বেশ অনেক ক'টা গর্ত আর দরজাটা বন্ধ করার কোনো উপায় নেই। কাজেই ঝড়ের সরাসরি প্রকোপ থেকে বাঁচলেও চাবুকের মত ঠাণ্ডা হাওয়া এদিক সেদিক থেকে এই লখিন্দরের কুঠিতে ঢুকে পড়ার আগাম ইশারা দিয়েই রাখছে। বাড়িটা বেশ কিছুদিন হল পরিত্যক্ত। দেওয়ালের কোটরে কিছু খালি শিশি, কয়েকটা পাত্র, ওই দিকের দেওয়ালটায় একটা অলস কুঠার হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে। অনেকদিন কোথাও ঘা দেয়নি। আর এধারে ওধারে স্তুপীকৃত চমরী গাই-এর লোম। বোধহয় শীতের সম্বল। আর আমাদের তখনকার সম্বল মেঝেতে ঠিক মধ্যিখানটায় মাটি কেটে বানানো একটা আগুন তৈরির জায়গা। নিমারা দল বেঁধে নিমেষেই কাঠ নিয়ে হাজির। রাত নামছে বাইরে, ঝড় উত্তরোত্তর বাড়ছে, হুড়মুড় করে ঢুকতে চেয়ে দখল চাইছে ঘরটার। আগুনটা যে কতক্ষণ বীরের মতন যুঝবে তা সময়ই বলবে। নিমারা রান্নার আয়োজন করছে ওই আগুনেই। অদ্ভুত এই পাহাড়ি মানুষগুলো। ক্লান্তিহীন, বিরক্তিহীন আর সর্বদা হাসিমুখ নিয়ে আমাদের ভিত্তিহীন গর্বকে খর্ব করতে বেখেয়ালে ব্যস্ত।

খানিক গল্প, খানিক খেলা, খানিক্ষণ খাওয়াদাওয়া, আসলে সবই সময় কাটাবার অছিলা। রাতটা কাটিয়ে দেওয়ার সমবেত প্রচেষ্টা। কিন্তু সময় যে কখন থমকে দাঁড়াবে আবার কখন না চাইতেও শেষ হয়ে যাবে, তা কি আর সামান্য এই আমাদের ইচ্ছের মুখাপেক্ষী? তাই ঘুমোনোর চেষ্টা ব্যতীত আর কোনো উপায় থাকেনা। এদিকে কাঠের দেওয়ালে ধাক্কার তীব্রতা আর অস্থির হয়ে ওঠা ঝড়ের গর্জন আমাদের সব চেষ্টাকেই একটা অসম প্রতিযোগিতায় ফেলছে অবিরত। পাহাড়ে নতুন ছেলেমেয়েগুলো ভয় পেয়েছে হয়তো, কিন্তু যুঝেও চলেছে বেশ। একবারও বিরক্তি প্রকাশ করেনি। ঘেঁষাঘেষি বসে স্লিপিং ব্যাগ এর উষ্ণতাও তখন ফিকে। কাজে কাজেই সকলেই না-ঘুমে, সকলেই চুপ। সকলেই একলা। আগুনটা নিভু আঁচে জ্বলছে, আর হয়তো কয়েকটা মুহূর্ত। হঠাৎ একরাশ হিমশীতল হাওয়া মেজাজ হারিয়ে ঘরে ঢুকে মৃতপ্রায় আগুনটার মৃত্যুযন্ত্রণার মেয়াদ শেষের ঘোষণা করে আমাদের দিকে নজর ফেরায়। অন্ধকার ঠেলে একটা টর্চ জ্বালালাম, কাঁপা আলোয় টর্চ তার বিদ্রোহী মনোভাব ব্যক্ত করল। কিন্তু অবিলম্বে হাওয়ার অনধিকার প্রবেশ বন্ধ না করলে সকাল দেখতে পাবো কিনা কে জানে, এই ভয়কে কাজে লাগিয়েই স্লিপিং ব্যাগ ছেড়ে উঠে পড়ি। সঙ্গে সঙ্গে হাওয়ার চাবুক পড়ে শপাং করে আর আমি হোঁচট খেয়ে পড়তে পড়তে সামলে নিয়ে দেখি, গুটিয়ে রাখা তাঁবুর ব্যাগে পা জড়িয়ে গেছিল। তাঁবু? কে যেন ফিসফিসিয়ে ওঠে, তাঁবু টাঙ্গাও … তাঁবু টাঙ্গাও। কে জানে কে? বোধহয় ওই থার্ড ম্যান ফ্যাক্টর। দ্য মিস্টেরিয়াস থার্ড ম্যান হু ভিজিটস এক্সপ্লোরারস ইন ডিস্ট্রেস। পারলৌকিক চর্চার সময় ছিলো না। তাঁবুর কাপড় দিয়ে ঘরের এধার থেকে ওধার বাঁধার চেষ্টায় যখন সফল হলাম, তখন শীত থামিয়ে ঘাম দিয়েছে। তাঁবুর তলায় ঠাণ্ডার প্রকোপ অনেকটাই কমেছে যেন। ইচ্ছে করলো একবার বাইরে যাওয়ার। একবার দাঁড়িয়ে দেখে আসার আশ - পাহাড়ি ঠাণ্ডায় ঘন অন্ধকারে ঝড় দেখতে কেমন? দরজার বন্ধ পাথরটা অল্প সরালাম, বাইরেটা কালো রঙের। নিঃশ্বাসের জন্য ধার করা হাওয়াটুকু বার বার চোখের সামনে থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে। ঝড়ের শব্দ তখন ওঠানামার খেলায় ব্যস্ত। আমি জানি সামনে ফুট বিশেক দূরে খাদ। ওদিকে এগোবো না। আদৌ এগোবো কোথাও? কী প্রয়োজন এই পাগলামির? কিন্তু পাগলামির কি প্রয়োজনীয়তা লাগে? স্বেন হেদিন এর লাগেনি। তাকলামাকান পেরিয়ে মরতে মরতে বেঁচে খুঁজে পেয়েছিল হারিয়ে যাওয়া শহর লুওলান। বদ্ধ পাগল। অরেল স্টেইন-ই বা কম কি? এগোই তাহলে।
এসব ভাবতে ভাবতে যখন চোখ খুললাম, তখন একটা পেন্সিলের মত হলদে আলো স্লিপিং ব্যাগ এর পায়ের কাছে এসে পড়ছে। আমার ডান দিকে ওরা ঘুমিয়ে, নিশ্চিন্তেই মনে হল। মাথার ওপর তাঁবুর কাপড়ের আশ্রয়। উঠে বসলাম। আলোটা যেন বাড়লো খানিক। নিমারাও ঘুমে। বাইরের জান্তব শব্দটা আর নেই। ঝড় থেমেছে। আমি তাহলে ঘুমাচ্ছিলাম? তাইই নিশ্চয়। চোখ কচলে বিমূঢ়তা কাটাই। দরজাটা দেখা যাচ্ছে… পাথরটা অল্প করে সরানো যেন!

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা আর সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি বেড়ানোটাকেও জীবনের অঙ্গে পরিণত করেছেন মৈনাক সেনগুপ্ত। তিনি মনে করেন বেড়ানো মানে কোথাও শুধু পৌঁছানোই নয়, তার সঙ্গে জায়গাগুলির সম্বন্ধে জানা এবং মানুষজনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করাও।

 

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

শেষ বিকেলে হেনরি'জ আইল্যান্ডে

অরিন্দম পাত্র

মনে হচ্ছিল যেন স্বপ্ন ভেঙে জেগে উঠলাম! হঠাৎ কানের পাশে সুতীব্র বাঁশির আওয়াজ আর সাথে লাঠিধারী গার্ডের চিৎকার - "বিচ খালি করে দিন …সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে!"
খেয়াল হল তখন, আরে ঢোকার সময় দেখেছিলাম বাইরে বোর্ডে লেখা সময়সূচী - ভোর ছটা থেকে বিকাল পাঁচটা। লোকটা তাও আধ ঘন্টা গ্রেস দিয়েছে! খুব ভা্লো লোক বলতে হবে! এবারে তবে চলে যাবার পালা.... হেনরি'জ আইল্যান্ডের ওই দেড় ঘন্টা সময় কাটানোর পাওনার ঝুলি এতটাই বেশি যে দুঃখ হলেও সেই দুঃখ ভোলার জন্য মনের ক্যামেরায় আর বাস্তবের ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলোই যথেষ্ট ছিল! পিছিয়ে যাই দেড় ঘন্টা আগের সময়ে…রিওয়াইন্ড করি একটু।আজ দুপুরেই বকখালি এসেছি। উঠেছি বে ভিউ ট্যুরিস্ট লজে। লাঞ্চে ভরপেট খেয়ে একটু গড়িয়ে নিয়েই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়া। গন্তব্য হেনরি'জ আইল্যান্ড। বছর ছয়েক আগে একবার বকখালি আসা হয়েছিল…তারপর এই আবার আসা!
মূল রাস্তা থেকে ডান দিকে ঘুরে সরু রাস্তা ধরে মিনিট দশেকেই চলে আসা গেল হেনরি'জ আইল্যান্ডে! টিকিট কেটে আর গাড়ির পার্কিং ফি মিটিয়ে ঢুকে পড়লাম ভেতরে। পাশেই বোর্ডে সময়সূচী লেখা। এখন বাজে বিকেল চারটে। হাতে তার মানে ঘন্টাখানেক আছে। ওদিকে আকাশের একটা কোণা কালো হয়ে আসছে, বৃষ্টি এল বলে। ছাতাটা হাতে নিয়ে পায়ে পায়ে এগিয়ে চললাম সেই সবুজ সুড়ঙ্গপথ ধরে হেনরি'জ আইল্যান্ড সি বিচের দিকে!
সুবিশাল সৈকত আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে কয়েকজন ট্যুরিস্ট! সব মিলিয়ে জনা পঁচিশ-তিরিশজন হবেন হয়ত। আকাশের এদিকটায় কিন্তু মেঘের চিহ্নমাত্র নেই। নির্মেঘ আকাশে আক্ষরিক অর্থেই সাদা পেঁজা তুলোর মত মেঘেরা ভেসে বেড়াচ্ছে যেন শরত এসে গেছে! মন খুশি করে দেওয়ার মত আবহ। বাচ্চাদের আনন্দ আর ধরে না, জলের দিকে ছুটে গিয়ে, জল ছুঁড়ে, জলে পা ডুবিয়ে যে যার মত পারছে আনন্দ করছে।

সৈকতের এক জায়গায় দেখি একটা ট্রাইপড বসানো। একজন ভদ্রলোক ক্যামেরা নিয়ে খুব মনোযোগ সহকারে ল্যান্ডস্কেপ ছবি তোলার তোড়জোড় করছেন। ল্যান্ডস্কেপ ছবি তুলতে যারা ভালবাসেন, তাদের জন্য সত্যিই আদর্শ আবহাওয়া ছিল সেদিন! ঘন নীল আকাশের সাদা মেঘে অস্তগামী সূর্যের সোনা রঙ পড়ে সে এক আশ্চর্য মোহময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে চারিদিকে। আমি কখনো আন্দামান যাইনি, ছবিতে আন্দামান ভ্রমণ করেছি। তবে সেদিনের বিকেলের হেনরি'জ আইল্যান্ডের সৌন্দর্য আন্দামানের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না বলে আমি মনে করি!

নিজেকে হারিয়ে প্রায় ফেলেছি যখন ঠিক সেই সময় রসভঙ্গ হল রক্ষী'র বাঁশির আওয়াজে! সব ভালো কিছুরই একটা শেষ আছে, এই ভেবে পায়ে পায়ে ফিরে চললাম সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী করে সেই সোনালী বিকেলের স্মৃতি!! কিন্তু বিস্ময়ের আরও বাকি ছিল যে!! সেই সবুজ সুড়ঙ্গপথ বেয়ে ফিরে আসতে আসতে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি আকাশে রামধনু উঠেছে। আমাদের দর্শনসুখের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিল সেই সাতরঙা রামধনু। তখনো জানতাম না পরের দিন বিকেলে বকখালি সি বিচে আবার একবার দেখতে পাব আরও বড় আর আকাশজোড়া রামধনু, যার গল্প আপনাদের পরে নাহয় একদিন বলব!

 

 

পেশায় চিকিৎসক (নাক কান ও গলা বিশেষজ্ঞ) অরিন্দম পাত্রের নেশা ছবি তোলা। এছাড়াও দেশের মধ্যে নানা জায়গায় ভ্রমণ করা তাঁর আর এক শখ।।

 

SocialTwist Tell-a-Friend

To view this site correctly, please click here to download the Bangla Font and copy it to your c:\windows\Fonts directory.

For any queries/complaints, please contact admin@amaderchhuti.com
Best viewed in FF or IE at a resolution of 1024x768 or higher