বেড়ানোর ভাল লাগার মুহূর্তগুলো সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছে করে, অথচ দীর্ঘ ভ্রমণকাহিনি লেখার সময় নেই? বেড়িয়ে এসে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যেমনভাবে গল্প করে বলেন কাছের মানুষদের - ঠিক তেমনি করেই সেই কথাগুলো ছোট্ট করে লিখে পাঠিয়ে দিন ছুটির আড্ডায়। লেখা পাঠানোর জন্য দেখুন এখানে। লেখা পাঠাতে কোনরকম অসুবিধা হলে ই-মেল করুন - admin@amaderchhuti.com অথবা amaderchhuti@gmail.com -এ।

 

 

কেরালার থেইয়াম উৎসব

পঙ্কজ দত্ত

~ থেইয়ামের আরও ছবি ~

আজকের ভ্রমণকাহিনি থেইয়াম (Theyyam) নামক এক উৎসবকে কেন্দ্র করে। আমরা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা থেকে এই উৎসব দেখতে কেরালা গিয়েছিলাম। থেইয়াম কেরালার কান্নুর-এ পালিত হয়। প্রথমে কলকাতা থেকে ফ্লাইটে করে পৌঁছলাম ম্যাঙ্গালোর। সেখান থেকে ট্রেনে পাইয়ানুর। তারপর অটো রিজার্ভ করে ঠিক সন্ধেবেলায় পৌঁছলাম গন্তব্যস্থলে। যেহেতু ফ্লাইট ছিল তাই একদিনেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। পৌঁছে সেদিন রাতেই আবার বেরোতে হবে। একটু অবাক হয়েছিলাম। আসলে যদিওবা সারাদিন ধরেই চলে, কিন্তু রাতেই আসল উৎসব হয়। এই উৎসব পুরো পাইয়ানুর-এ এক জায়গায় হয় না, বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়। পাইয়ানুর, কান্নুরের খুব কাছেই।
রাতে বেরিয়ে একজনের বাড়িতে যেতে হল। একটু আশ্চর্য হলাম, ভাবলাম, সঠিক জায়গায় এলাম তো! তারপরে দেখলাম, শয়ে শয়ে লোকজনের ভিড়। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে, হঠাৎ দেখি, একটা জায়গা কাপড় দিয়ে ঘেরা। খুব জানতে ইচ্ছে হল যে ভেতরে কী হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসা করে ঢুকে পড়লাম তার ভেতরে কৌতূহল মেটাতে। দেখলাম, চার-পাঁচজন মিলে একটা মানুষকে অদ্ভুত আকারের কাপড় দিয়ে সাজাচ্ছেন।

জানতে চাইলাম, ওরকম সাজাচ্ছেন কেন? তাঁরা বললেন, দাদা উনিই তো থেইয়াম-এর আজকের মূল আকর্ষণ। কথাটা ঠিক ধরতে পারলাম না। জিজ্ঞাসা করলাম, আকর্ষণ, মানে? বললেন, আপনি বোধহয় নতুন এসেছেন তাই না? বললাম, আমি প্রথমবার এসেছি। বললেন, তাহলে শুনুন, এই উৎসবে যা যা জামা কাপড় দেখছেন এগুলো সব আমরা সারা রাত বসে নিজেদের হাতে বানিয়েছি। শুনে আমি তো অবাক! বললাম, বলছেন কি! এগুলো সব আপনারা বানিয়েছেন! উনি বললেন আমরাই বানিয়েছি। তারপরে বললেন এই পোশাক, ওই যে ভদ্রলোককে দেখছেন, ওনাকে পরানো হবে। তাহলে, ওনাকে পুরো আমাদের ভগবানের মতন লাগবে। এমনকি কথায় বলে, ওনার ওপরে ভগবানের ভর হবে। উনি এই পোশাক পরে, ওই যে মন্দির আছে, তার সামনে নাচবেন, মনে হবে যেন স্বয়ং ভগবান মর্ত্যে নেমে এসেছেন। তারপরে সবাইকে আশীর্বাদ করে প্রার্থনা সেরে উৎসব শেষ হবে।

আমরা এরকম বিভিন্ন ধরণের থেইয়াম বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম। এমনকি কিছু কিছু থেইয়াম তো আগুনের ওপর দিয়ে লাফায়। কী ভয়ঙ্কর! না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিভিন্ন জায়গায় এই বহু প্রাচীন উৎসবের বিভিন্ন রূপ দেখা যায়। সব দেখে, ছবি তুলে রাখলাম স্মৃতি হিসেবে। ফেরার দিন মন খুব খারাপ হয়ে গেল। বলে এলাম আবার আসব এই উৎসবের অংশ হতে।

হলদিয়ার আই ভি এল ধুনসেরি পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিস প্রাইভেট লিমিটেডে কর্মরত পঙ্কজ দত্তের আগ্রহ ফটোগ্রাফি এবং অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ। তাঁর কথায়, জীবনে বাঁচার জন্য যেটাই করতে হবে ভালোবেসে করতে হবে তাহলেই জীবনের মজা পাওয়া যাবে। জীবন ভারী সুন্দর।

 

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

বিষ্ণুপুরের কৃষ্ণরাই মন্দিরের টেরাকোটার কাহিনি

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

বিষ্ণুপুর ভ্রমণে যাননি এমন মানুষের সংখ্যা অল্প। বিষ্ণুপুরের আকর্ষণ আলাদা। কী নেই এখানে, সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীত, বিশেষ ধরণের পোশাক যাঁদের পছন্দ তাঁদের জন্য বালুচরী, ঘর সাজানোর জন্য পোড়ামাটির ঘোড়া, আর সংস্কৃতিবানদের জন্য মন্দিররাজি। মল্লরাজ রঘুনাথ সিংহ (১৬৫৫) প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত পোড়ামাটির কৃষ্ণরাই মন্দিরে এতো ভিন্নধর্মী টেরাকোটা ফলক রয়েছে যে শুধু এই মন্দিরটি দেখতেই একটা পুরো দিন লেগে যায়। এই প্রতিবেদনে রামায়ণ কাহিনির শুরুর একটি ঘটনার উল্লেখ করা হচ্ছে।

যুবরাজ কুমার দশরথের ইচ্ছা হলে তিনি সরযূ নদী তীরে গেলেন। রাত্রিকালে কোন পশু নদীতে জলপান করতে এলে তিনি শিকার করবেন এই আশায়। শব্দ শুনে তিনি লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম ছিলেন। তাই মৃগয়ার জন্য অন্ধকার ঘনিয়ে আসার সময়টাকে বেছে নিয়েছেন।

মৃগয়া কালে কলসে জল পূরণের শব্দ শুনে তিনি ভাবলেন কোন পশু নদীতে জল পান করতে এসেছে। সেই শব্দ লক্ষ্য করে শর নিক্ষেপ করতেই মনুষ্য কন্ঠের আর্তনাদ শুনে চমকে উঠলেন। যুবরাজ দশরথ সরযূ তীরে উপস্থিত হয়ে দেখলেন, এক তপস্বী নদীতে জল নিতে এসে শরাহত হয়েছেন। মৃত্যুপথযাত্রী তপস্বী জানালেন, তাঁর বৃদ্ধ এবং অন্ধ পিতামাতা পিপাসার্ত হয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁরা পুত্রের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল।

কিছুক্ষণ পর তপস্বীর মৃত্যু হলে দশরথ তাঁর মৃতদেহ নিয়ে অন্ধমুনির সামনে উপস্থিত হয়ে প্রথমে নিজের পরিচয় দিয়ে দূর্ঘটনার বিবরণ তাঁকে শোনালেন। পুত্রের মৃত্যুর সংবাদে গভীরভাবে শোকাহত পিতা দশরথকে অভিশাপ দিয়ে বললেন, আমার মত তোমাকে পুত্রশোকে প্রাণত্যাগ করতে হবে।
পুত্রশোকে সস্ত্রীক অন্ধমুনি বিলাপ করতে করতে প্রাণত্যাগ করলে দশরথ তিনজনকেই দাহ করে অযোধ্যা ফিরে গেলেন।

কৃত্তিবাস এই ঘটনার বর্ণনা করেছেন সুন্দর ভাবে -

শব্দভেদী জানে রাজা শব্দে এড়ে বাণ।
ছুটিল রাজার বাণ অগ্নির সমান।।
মহাশব্দে যায় বাণ তারা যেন ফুটে।
জল ভরিতে মুনি পুত্রের বুকে গিয়ে ফুটে।।

 

প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের নেশা বেড়ানো আর ছবি তোলা। বাংলার গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা চোখের আড়ালে চলে যাওয়া টেরাকোটার মন্দিরশিল্পকে ক্যামেরার দৃষ্টিতে পুনরুদ্ধার করাই তাঁর ভালোলাগা। পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ভ্রমণ ও অন্যান্য লেখা।

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে কর্মাটাঁড়ে

অজিত রায়

আজ বিদ্যাসাগরের আবির্ভাবের দুশো এক বছর পূর্ণ হলো। দিকে দিকে পালিত হচ্ছে এই পুন্য দিবস। এমনই একাধিক অভিনব শ্রদ্ধানুষ্ঠানে অংশভাক হবার সুযোগ এসে গেল আমার পরম সুহৃদ ভারত জ্ঞানবিজ্ঞান সমিতির জাতীয় স্তরের সাধারণ সম্পাদক ড. কাশীনাথ চট্টোপাধ্যাযের হেফাজতে। অভিনব বলছি, কেননা বাঙলার বাইরে এযাবৎ এই মনীষীকে বাৎসরিক স্মরণের মাধ্যমে ধরে রেখে এসেছেন দোষে-গুণে সমৃদ্ধ বঙ্গমুরুব্বিরা। কিন্তু আজ ঝাড়খণ্ডের একশ্রেণীর বাঙালি-অবাঙালি, বিহারি, আদিবাসী, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষ সর্বস্তরের মানুষ বিদ্যাসাগরের জন্মোৎসব পালন করে এক অভূতপূর্ব ইতিহাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। এই উদ্যোগের সর্বময় কৃতিত্ব ভারত জ্ঞান বিজ্ঞান সমিতির।

শুধু তাই নয়, বিদ্যাসাগর বা অন্য কোনও মহাপুরুষের এ ধরনের বর্ণাঢ্য স্মরণ-অনুষ্ঠানের আয়োজন এযাবৎ কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেও অচিন্ত্যনীয়। বিশেষত, এহেন মহামারীময় দুর্বিপাকের দিনে এ ছিল আরও বিস্ময়কর।
কাশীনাথ ও আমি ধানবাদ থেকে সকাল নটা নাগাদ গাড়ি করে রওনা সবুজ বনসারি চেরা মসৃণ রাজপথ ধরে প্রথমে পৌঁছই জামতাড়ার দুর্গদাস ভান্ডারী প্রতিষ্ঠিত সন্ত এন্থনি স্কুলে। আমাদের সঙ্গে ধানবাদ থেকে জ্ঞানবিজ্ঞান সমিতির একদল সদস্য বাইকে সওয়ার হয়ে প্রায় একই সময়ে, এগারোটায়, পৌঁছে যান। পেছন থেকে ধেয়ে আসে আর এক দল বাইকের মিছিল, আড়াইশো কিলোমিটার সুদূর পূর্ব সিংভূমের পটমদা এলাকা থেকে। ইতিমধ্যে গিরিডি আর দুমকা থেকেও আরও প্রায় একশো মোটর বাইক। সবসুদ্দু প্রায় আড়াইশো নরনারীর উদ্দীপিত কেরবালা। যাঁদের বেশির ভাগই অবাঙালি। কেউ বাউরি, কেউ বেসরা, কেউ সিং, কেউ আনসারি, কেউ বা আলম মিঞা। তাঁদের অনেকেই বিদ্যাসাগরের জীবন, সংগ্রাম, দয়াধর্মিতা, তাঁর মহৎ আদর্শ, কর্মযুদ্ধ নিয়ে নিপুণ, নিখুঁত ও সুললিত বক্তব্য রাখলেন মঞ্চে। এ ছিল আমার কাছে অতীব বিস্ময়কর। আরও বিস্ময়কর,আগেই উল্লেখ করেছি, এই অভাবিত ঘটনাটি ঘটলো কোভিড-ভয়াবহতার দিনে। বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাসের সূচনা সম্ভবত এভাবেই হয়।

দুপুরে সারিবদ্ধ খাওয়া-দাওয়ার পর আমরা রওনা দিলাম কর্মাটাঁড়ের উদ্দেশ্যে, যেখানে কেটেছিল বিদ্যাসাগরের শেষ জীবনের প্রায় সতেরো বছর। শেষ জীবনে ঐকান্ত্য ও নির্জনতাই অর্থিত ছিল তাঁর। তাও পাননি। কলকাত্তাই নাগরিক জীবনের পরিসরে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি চলে আসেন তৎকালীন বিহারের আদিবাসী ও জঙ্গল অধ্যাসিত নির্জন কুলহি কার্মাটাঁড়ে। নিজস্ব পারিবারিক তথা কলকাতায় চারিপার্শ্বের জীবন তাঁর কাছে একান্ত দুঃসহ ও প্রতিকূল হয়ে পড়েছিল বলেই তিনি, ঈশ্বরচন্দ্র শান্তির নীড় বাঁধতে এই কর্মাটাঁড়ে এসে ইউরোপিয়ান মহিলা ডরোথির কাছ থেকে ৪৭০ টাকার বিনিময়ে একটি আমবাগান সমেত মোট চোদ্দো বিঘা জমি কিনে ছোট্ট একটি কুটির তৈরি করেন, নাম দেন 'নন্দনকানন'। রাতের স্কুল চালানোর জন্য মাঝখানে একটি হলঘর, একপাশে শোবার ঘর, অন্যপাশে পড়ার ঘর। বাড়িতে ঢোকার ডান দিকে নিজের হাতে লাগিয়েছিলেন তাঁর নিজের গাঁ বীরসিংহ থেকে আহরিত একটি কিষাণভোগ আমগাছও। বাগানের দেখভালের জন্য কালী মণ্ডল নামে এক মালিও ছিল তাঁর। কালীকে দিয়ে বাগানের শেষ প্রান্তে লাগিয়েছিলেন একটি ভাগলপুরি ল্যাংড়া আমগাছ। কার্মাটাঁড়ে বসেই তিনি 'সীতার বনবাস', 'বর্ণপরিচয়'-এর ৩য় সংস্করণের প্রুফ দেখেছেন।

কার্মাটাঁড় জায়গাটি ছিল সাঁওতাল প্রধান। তাঁদের সারল্যে মুগ্ধ হয়ে বিদ্যাসাগর বাকি জীবনটা সেখানেই কাটাবেন স্থির করেছিলেন। তা অবশ্য হয়নি। মাঝে মাঝে তাঁকে কলকাতায় আসতে হয়েছে। মৃত্যুও হয় কলকাতায়। সহজ সরল আদিবাসী মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দলে দলে সাঁওতাল বিদ্যাসাগরের কাছে আসতেন ভুট্টা বিক্রি করতে। আর বিদ্যাসাগর সেই ভুট্টা কিনে ঘরে রাখতেন। কাজ শেষে সাঁওতালেরা বিকেলে ঘরে ফেরার পথে খেতে চাইতেন বিদ্যাসাগরের কাছে। ওঁদের থেকে সকালে কিনে রাখা ভুট্টা খেতে দিতেন বিদ্যাসাগর। এলাকার আদিবাসীদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে তাঁদের কাছে জীবনদাতা ঈশ্বর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেখানে ধাঙড়পল্লিতে গিয়ে তিনি স্বহস্তে কলেরা রুগির শুশ্রূষা করেছেন। বিদ্যাসাগর দেখেছিলেন তাঁদের সহজ, সরল জীবন। তাদের ছিল না কোনও দুরাচার, দ্বিচারিতা বা কাপটিপনা। প্রতি বছর পুজোর সময়ে তিনি তাঁদের জন্য বস্ত্রাদি কিনতেন। শীতে কার্মাটাঁড়ে হাড়-কাঁপানো ঠাণ্ডা। তখন মোটা চাদর কিনে গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করতেন। কলকাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের ফল নিয়ে এসে তাদের খাওয়াতেন। আজ ২৬শে সেপ্টেম্বর,২০২০, ২০১ তম জন্মদিনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হলো এই চিরস্মরণীয় যুগপুরুষকে এক সহজ, সাধারণ, নির্জন, অনাড়ম্বর ও সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যাতে কর্মাটাঁড়ের স্থানীয় মানুষের, বিশেষত বাঙালি সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ছিল না বললেই হয়। এ-কথা ঠিক যে নির্জনতা তথা অনাড়ম্বরতাই অর্থিত ছিল স্বয়ং বিদ্যাসাগরের। কিন্তু আজ 'নন্দনকাননে'র হাল দেখে অশ্রু ফুটল হৃদয়ে। এত অবহেলা? এত নিস্পৃহতা? চতুর্দিকে আগাছা আর ঘাসের আগ্রাসন। উন্নয়ন যেটুকু হবার কথা তার এক দশমাংস হলেও মন এতখানি বিষণ্ন হতো না। ঈশ্বরচন্দ্রের জন্মভূমি বীরসিংহ বাঙালির আবেগে স্থান করে নিলেও কার্যত কর্মাটাঁড় আজও অবহেলিত। আমাদের এই কর্মাটাঁড় এবং নন্দনকানন হয়ে উঠুক বাঙালির আর এক তীর্থভূম। গুগল-এর পাতায় 'সাইবার ক্রাইমের স্বর্গরাজ্য জামতাড়া'হয়ে উঠুক 'বিদ্যাসাগরের অমর কর্মভূমি'।

 

 

ধানবাদের বাসিন্দা গদ্যকার এবং ঔপন্যাসিক অজিত রায় সম্পাদনা করেন একটি ভিন্ন মেজাজের ছোট পত্রিকা – শহর। ভালোবাসেন হঠাৎ করেই বেরিয়ে পড়তে রোমাঞ্চের সন্ধানে।

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

To view this site correctly, please click here to download the Bangla Font and copy it to your c:\windows\Fonts directory.

For any queries/complaints, please contact admin@amaderchhuti.com
Best viewed in FF or IE at a resolution of 1024x768 or higher