আপনার মন্তব্য জানাতে ক্লিক করুন |
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ও অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় আপনাদের দুজনকেই অনেক ধন্যবাদ পত্রিকাটি খুঁটিয়ে পড়ে এমন মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য। ফাল্গুনীদা আপনার কথায় আমিও আন্দামানের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। অপূর্ববাবু সেলুলার জেলে বন্দীদের তালিকাটি রয়েছে। |
- দময়ন্তী [2013-02-18] |
|
পড়লাম। পরিচ্ছন্ন রুচিশীল পত্রিকা।
ভ্রমণে যেমন প্রাকৃতিক দৃষ্টিসুখ, এ পত্রিকা খুললেই তেমনই নয়ন-সুখ এর অলঙ্করণের জন্য।
লেখাগুলির মধ্যে সবচেয়ে আগে রাখব দময়ন্তী দাশগুপ্তের ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’ কে।
দময়ন্তী আমাদের আন্দামানে না যাওয়ার দুঃখ মিটিয়ে দিলেন আর সেইসঙ্গে ইতিহাসের কয়েকটা পৃষ্ঠাও মেলে ধরলেন তার ঝরঝরে গদ্য লেখায়। আন্দামানের আদিম জনগোষ্ঠীর জীবন-প্রণালি ছুঁয়ে গেছেন দময়ন্তী। ওদের জীবনকে না জানলে আন্দামানের কিছুই জানা হয়না।
আন্দামানে এমন জনগোষ্ঠী আছে যারা মানব সমাজ গঠনের সেই উষালগ্নের ধারা বয়ে চলেছে। ইংরাজ উপনিবেশবাদ এইসব আদিম জনগোষ্ঠীর সবকিছু কেড়ে নিয়েছে, এমনকি তাদের মাতৃভাষাটাও। গ্রেট আন্দামানিদের বহু জনজাতির মাতৃভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, বহু ভাষা বিলুপ্তির পথে। বিশ্বাসযোগ্য সংবেদনশীলতায় দময়ন্তী তাদের ছুঁয়ে গেছেন।
গ্রেট আন্দামানিদের মধ্যে ‘খরা’ ও ‘বো’ নামে দুটি জনগোষ্ঠী আছে যাদের মধ্যে তাদের মাতৃভাষায় কথা বলার লোক একজনও নেই। বো ভাষার শেষ কথা বলার মানুষ ছিলেন বো সিনিয়িয়া। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ৮৫ বছর বয়সে এই মহিলার মৃত্যুর সঙ্গে একজনও রইলেননা সেই ভাষায় কথা বলার মানুষ। তার আগের বছর মারা গেছেন খোরা ভাষায় শেষ কথা বলার মানুষ বোরো। এইভাবেই আন্দামানের আদিম জনজাতিগুলি হারিয়ে ফেলছে তাদের আত্মপরিচয়, মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের কয়েকটি অধ্যায়। এই জনগোষ্ঠীর জীবিত মানুষেরা কোনদিন জানতে পারবেনা কি ছিল তাদের মাতৃভাষা, কেমন ছিল তাদের গান? দময়ন্তীর লেখা সমাজ ইতিহাসের এই পৃষ্ঠাগুলিতে নিয়ে গেলো।
শ্রীমতি চক্রবর্তীর অস্ট্রেলিয়া বৃতান্তও বেশ সুন্দর। ট্রামে শহর দেখানো ইত্যাদি অনেক খুঁটিনাটি জানলাম। পরের সংখ্যার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে জানার জন্য। সম্পাদককে ধন্যবাদ।
|
- Phalguni Mukherjee [2013-02-18] |
|
আপনাদের পত্রিকার পাতা খুললেই যে ছবিগুলি বার বার চলে আসে, সেগুলি সত্যিই সুন্দর।
‘বনে পাহাড়ে’ লেখাটি পড়ে আনন্দ পেলাম।
সান্দাকফু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি এককথায় অসাধারণ।
‘ফতেপুর সিক্রি’-র লেখার সঙ্গে রত্নদীপ দাশগুপ্তের ছবি অসাধারণ।
আন্দামান সম্বন্ধে সম্পাদকের লেখা পড়তে পড়তে কয়েক দশক আগে দেখা আন্দামানকে আবার মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেলুলার জেলে বন্দীদের একটি তালিকা দেখেছিলাম। এখনও নিশ্চয় সেটা রয়েছে।
অদিতি ভট্টাচার্য্য আর বনশ্রী চক্রবর্তীর লেখা পড়ে ভাল লাগল।
|
- অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় [2013-02-18] |
|