১২শ বর্ষ ৩য় সংখ্যা
পৌষ - চৈত্র ১৪২৯
মধ্যবিত্তের গতানুগতিকতায় নিজের কাজ, মেয়ের ফাইনাল পরীক্ষা ইত্যাদি মিটিয়ে অনেকদিন পর একটু দূরে গিয়েছিলাম - দূর মানে সিমলা-মানালি। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। ইচ্ছা ছিল হিমাচলের আরও বেশকিছুটা ঘুরে ডিসেম্বরের শেষাশেষি ফিরব। নানা কারণে হল না। যাওয়াটাই প্রায় হচ্ছিল না। শেষমুহূর্তে মনে হল এটুকুই অন্তত হোক।
সিমলায় ছিলাম কেন্দ্রীয় সরকারি গেস্টহাউসে। পাহাড়ের ওপর বেশ উঁচুতে বিশাল এলাকা নিয়ে ১৮৯২-তে তৈরি হওয়া এটিই ছিল সিমলার প্রথম হোটেল। তারও আগে এখানে ছিল 'বেন্টিঙ্ক ক্যাসল' – বড়লাট লর্ড বেন্টিঙ্কের গ্রীষ্মাবাস। সামনে পুরোটাই খোলা, একের পর এক পাহাড়ের সারি – সিমলা শহরের প্যানারোমিক ভিউ। ম্যালের চত্ত্বর কয়েক পা হাঁটলেই। ম্যালে এসে ছেলেবেলার কথা খুব মনে পড়ছিল। ফাঁকা ম্যাল, সাদা চার্চ আর আপেল জ্যুস খাওয়া -সেই প্রথম। এখন দোকান আর মানুষের ভিড়ে কেমন যেন ছন্দ কেটে গেল। তবু রেলিং-এর ফাঁকে ফাঁকে বরফসাদা পাহাড়ের মাথায় মায়াবী লাল সূর্য অস্ত যেতে যেতে আমার দুঃখ খানিক মুছে নিচ্ছিল। ম্যালের একটু ওপরেই চার্চের পিছনদিকটায় জেলের কয়েদীদের পরিচালনায় একটি বুকক্যাফে হয়েছিল জানিয়েছিলেন 'আমাদের ছুটি'র লেখক কাঞ্চন সেনগুপ্ত। দেখলাম সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে লাদাখে গিয়ে যেমন বুঝেছিলাম উটেদের সঙ্গে আমার সদ্ভাব হবে না, এবার কুফরি আর নালদেরায় বুঝলাম ঘোড়াদের সঙ্গেও তাই। তাও ঘোড়ায় চড়ে ভালোই ঘোরাঘুরি হল। দোকানপাটবিহীন সবুজ নালদেরা আর দূরে বরফ পাহাড় বড় ভালো লাগল। মনে হচ্ছিল দুটো দিন ওখানেই থেকে যাই নিরিবিলিতে।
কোভিড-এর নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে আবার বেড়াতে বেরোতে শুরু করেছি আমরা। 'আমাদের ছুটি' আপনাদের ভ্রমণকাহিনিতে সেজে উঠতে চায়। কাছে-দূরে ঘুরে এসে লেখা পাঠান আপনাদের এই ভ্রমণবন্ধুর ই-মেল-এ। ভালো থাকবেন। বাংলা নতুন বছর প্রায় এসে গেল। ভালো কাটুক দিনগুলো।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
~ এই সংখ্যায় ~
~ আরশিনগর ~
স্মৃতির দার্জিলিং – দময়ন্তী দাশগুপ্ত | |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
অমরনাথ দর্শন – নিবেদিতা কবিরাজ |
~ ভুবনডাঙা ~
ভিয়েতনাম-কাম্বোডিয়া – সাতান্ন বছর পরে আবার – তপন পাল |
|
~ শেষ পাতা ~
বারকুলে একদিন – প্রদীপ্ত চক্রবর্তী |
খাবারের খোঁজে লাল ঠেঙি (ব্ল্যাক উইঙ্গড স্টিল্ট) - বারকুল, ওডিষা - আলোকচিত্রী প্রদীপ্ত চক্রবর্তী