কাশ্মীর – পঞ্চাশ বছর আগে
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
~ কাশ্মীরের তথ্য ~ কাশ্মীরের আরও ছবি ~
আমার এই লেখাটাকে ভ্রমণ কাহিনি বলা যাবেনা, বলা সঙ্গতও নয়। নিজের কিছু ঘোরাঘুরি ও সেই সূত্রে সেই সময়কে ফিরে দেখার চেষ্টায় স্মৃতি হাতড়ানো। আসলে আমি যখন ঘুরেছি, লেখার জন্য প্রস্তুতি নিয়েতো ঘুরিনি। তখনতো কারো কল্পনাতেও ছিল না যে ফেসবুক নামক বিচিত্র এক জগত সামনে আসবে আর দময়ন্তীর মত কোন উদ্যোগী মানুষ আমাদের সেইসব স্মৃতি ধরে রাখবে তার পত্রিকায়!
রেলগাড়ির নেশা তরুণ মনে কতটা জায়গা দখল করে থাকে তার বিস্তর নমুনা সকলেই জানি। ১৯৬৪র শেষের দিকে রেলের চাকরি পেলাম এখনকার ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে। রেলের চাকরি মানে বিনা টিকিটে রেলগাড়ি চড়বো, রেল পাস দেবে ভারতের যেকোন প্রান্তে রেলে চড়ে যাবার। এর চেয়ে খুশি আর কী হবে তখন তেইশ বছর বয়সী আমার! নতুন চাকরি, পাঁচবছর পর্যন্ত বছরে একটাই পাস থার্ড ক্লাসের। তা হোক একটা পাশই যেন স্বর্গ। পাশগুলো নিতাম দূরের, বিনা পয়সায় রেলে চড়ার ছাড়পত্র যখন আছে তখন কাছাকাছি যায়গার পাশ নিয়ে সুযোগের অপচয় করবো কেন? একত্রিশ বছর বিলাসপুরে কাটিয়েছি। আর সেইজন্য এই বাংলায় দার্জিলিং ছাড়া কোথাও ঘোরা হয় নি।
১৯৬৬-র এপ্রিলে প্রথম রেলে চেপে দূর যাত্রা। তখন তেইশ বছরের তরুণ, দেড় বছর আগে চাকরিতে ঢুকেছি। আমার চেয়ে সিনিয়ার এক সহকর্মীর ফ্যামিলির সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম কাশ্মীর যাত্রায়। প্রথম ঘোরা, সুতরাং শুরু করলাম কাশ্মীর দিয়ে। 'স্বর্গ'তো একটা কাল্পনিক গন্তব্য কারো কারো, সেটাতো তখন ১১০ টাকা মাইনের আমার কপালে থাকার কথা নয় আর সেখানে যাওয়ার কায়দা-কানুনও আমার জানা ছিল না। অতএব ভূস্বর্গ দিয়েই শুরু করা যাক। তখন তরুণ বয়সে কাশ্মীর সম্পর্কে সামান্যই জানতাম। শুধু জানতাম কাশ্মীরকে ভূ-স্বর্গ বলে, আর জানতাম মুঘল বাদশাহ প্রেমিক ও শিল্পী জাহাঙ্গীরের খুব প্রিয় স্থান ছিল কাশ্মীর। কাশ্মীর উপত্যকা প্রকৃতির এক অপরূপ অবদান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সবটুই যেন উজাড় করে ছড়িয়ে দিয়েছে ১৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে আর ৩২ কিলোমিটার প্রস্থের কাশ্মীর উপত্যকায়। আমার কাছে কোন স্থানে ভ্রমণ বা সেখানকার মাটিতে পা দেওয়ার অর্থ ইতিহাসকে স্পর্শ করা, সেখানকার মানুষজনকে জানা এটাই আমাদের পর্যটনের তৃপ্তি!
দ্বাদশ শতাব্দীতে লেখা কলহণ-এর 'রাজতরঙ্গিনী' গ্রন্থে কাশ্মীর রাজ্যের ইতিহাস লেখা আছে । কলহণ লিখেছিলেন 'মহামুনি কাশ্যপ তাঁর গৌরবের জন্যই যেন এই রাজ্যের নির্মাণ করেছিলেন। গৈরিক তুষার, আঙ্গুরের গুচ্ছ যা স্বর্গেও অলভ্য, তা এখানে অজস্র। স্বর্গ-মর্ত-পাতালের শ্রেষ্ঠ স্থান হ'ল কৈলাশ, কৈলাশের সেরা স্থান হিমালয় আর হিমালয়ের শ্রেষ্ঠ স্থান হ'ল কাশ্মীর'। লোককথা অনুযায়ী 'কাশ্মীর' শব্দটির অর্থ 'জলভূমি থেকে শুকিয়ে হওয়া স্থলভূমি' (সংস্কৃত অর্থ কা = জল+শিমীরা=শুষ্কীকৃত)। কলহণ সেই পৌরাণিক বিশ্বাসই লিখেছিলেন 'রাজতরঙ্গিনী'তে । পুরাণ কথা অনুযায়ী, পূর্বে কাশ্মীর উপত্যকা ছিল একটা লেক। মহামুণি কাশ্যপ বরাহমূলা পাহাড় কেটে সেই লেকের জল নিষ্কাষণ করে দিয়েছিলেন ওই অঞ্চলে ব্রাহ্মণদের বসতি স্থাপনের জন্য। পুরাণের কথা থাক, ইতিহাসের কথায় ফেরা যাক। চতুর্দশ শতক পর্যন্ত কাশ্মীর ছিল হিন্দু শাসিত রাজ্য। ষোড়শ শতকে বাদশা আকবর কাশ্মীরকে তাঁর মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। মুঘল যুগেই পঞ্জাব কেশরী রঞ্জিত সিংহের সময়ে কাশ্মীরের ওপর শিখ দখল কায়েম হয়। ১৮৪৫এ ব্রিটিশ কাশ্মীর দখল করে, শিখ শক্তিকে পরাস্ত করে। ইংরাজরা কাশ্মীরকে গুলাব সিংহ ডোগরাকে বিক্রি করে দেয় তাদের অধীনে থাকার শর্তে। ১৯৪৭ পর্যন্ত চলে ডোগরাদের শাসন। তারপর স্বাধীনতা, দেশ ভাগ আর কাশ্মীর বিরোধের সূত্রপাত, বিচ্ছিন্নতাবাদের মাথা চাড়া দেওয়া।
১৯৪৮-এ কাশ্মীর ভারতের অন্তর্গত হওয়ায় পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি। শেখ আবদুল্লা কাশ্মীরের ভারত ভুক্তির বিরোধী ছিলেন, জেলে বন্দী ছিলেন, এই সব কথা আমি জানতাম। পরে একাত্তর থেকেই বোধহয় সীমান্ত নিয়ে বিরোধ, কাশ্মীরীদের স্বায়ত্ত শাসন, গণভোট, বিচ্ছিন্নতাবাদ ইত্যাদি নানা গণ্ডগোল শুরু হওয়ায় সাধারণ ভ্রমণার্থীর কাশ্মীর যাওয়া বন্ধই হয়ে গিয়েছিল দীর্ঘ দিন। সেই সময় ভাবতাম ভাগ্যিস ওইসময় ঘুরে এসেছিলাম! তখন আমাদের কাছে কাশ্মীর আর পাঁচটা জায়গার মতই মনে হয়েছিল, রাস্তাঘাটে সেনাবাহিনীর চোখে পড়ার মত টহল ছিল না, বিরোধটা ছিল রাজনৈতিক স্তরে। আসলে ভেতরের আগুণ আমরা বুঝবো কী করে! তখন কাশ্মীরের ভারতভুক্তির বিশ বছরও পার হয়নি। পাঞ্জাবেও অশান্তির কোন লক্ষণ ছিল না।
রেলের পাস নিলাম পাঠানকোট পর্যন্ত। অর্থাৎ যতদূর পর্যন্ত রেললাইন পাতা হয়েছে। তখন জম্মু তাওয়াই পর্যন্ত রেললাইন হয় নি। শ্রীনগর যেতে হ'ত পাঠানকোট থেকে বাসে। শুধু জম্মু কেন, হিমাচল প্রদেশের ডালহৌসি, কাংড়া এইসব স্থানে পাঠানকোট হয়েই যেতে হতো। দেশ ভাগের আগে একটা ছোট স্টেশন ছিলো এখনকার পাকিস্তানের শিয়ালকোট পর্যন্ত। দেশ ভাগের পর সেটা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু দেশের অন্যপ্রান্ত থেকে কাশ্মীর যাওয়ার জন্য রেললাইন পাতা শুরু হয় অনেক পরে ১৯৭১-এ আর পাঠানকোট স্টেশন চালু হয় ১৯৭৫-এ। সুতরাং সেই সময় শ্রীনগর যেতে পাঠানকোট থেকে বাসে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
শিয়ালদহ থেকে পাঠানকোট এক্সপ্রেসে চেপে বসলাম। তখন অন্য কোন গাড়ি ছিলনা, একমাত্র গাড়ি পাঠানকোট এক্সপ্রেস। কানাডিয়ান ইঞ্জিন, বিকট আওয়াজে চলতো। তখনও শিয়ালদহ থেকে বর্ধমান বা মুঘলসরাই পর্যন্ত বিদ্যুতায়ন হয়নি। শুধু হাওড়া বর্ধমান ইলেক্ট্রিফিকেশন হয়েছিল। সকাল আটটা নাগাদ পাঠানকোট পৌঁছেছিলাম মনে আছে। আর মনে আছে যে পাঠানকোট থেকে শ্রীনগর যাওয়ার জন্য যে কোম্পানির বাসে আমরা টিকিট কেটেছিলাম তাতে এন.ডি. রাধাকৃষ্ণ লেখা ছিল। বাসে আর ওদের টিকিট ঘরেও। বাসভাড়া কত ইত্যাদি - আটচল্লিশ বছর আগের কথা আর কিছু মনে নেই । মনে আছে শ্রীনগরে আমরা ছিলাম ঝিলম নদীতে হাউসবোট-এ। ডাল লেকের হাউসবোটে ভাড়া বেশি লাগতো। তবে ডাল লেকে ছোট নৌকায় ঘুরেছি। ওরা বলতো 'শিকারা'। আঠেরো বর্গ কিলোমিটার এলাকা জোড়া ভাসমান অসংখ্য হাউসবোট আর শিকারা, ভাসমান ফুলের বাগান, দোকান আর অপরূপ সৌন্দর্যের 'শালিমার বাগ', 'নিশাত বাগ' ঘেরা ডাল লেক ছাড়া কাশ্মীরকে কল্পনাতেও আনা যায় না। ডাল লেক লাগোয়া শালিমার বাগ ও নিশাত বাগ নির্মিত হয়েছিল মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গিরের উদ্যোগে পত্নী নূরজাহানের প্রতি তাঁর প্রেমের উপহার স্বরূপ। আমির খশরু কেন যে তার শায়রীতে বলেছিলেন 'স্বর্গ যদি কোথাও থাকে সেটা এখানে সেটা এখানে সেটা এখানেই' তা বোঝা যায় এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সামান্যতম অবগাহন করলেই। জাহাঙ্গিরকে তাঁর মৃত্যুশয্যায় জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তাঁর পরম প্রিয় কী? জাহাঙ্গিরের উত্তর ছিল 'কাশ্মীর'।
ডাল লেকে শিকারায় ঘোরা, শিকারাতেই ফল ফুল, সবজির দোকান সাজানো মানুষজনের সঙ্গে অল্পস্বল্প আলাপের সূত্রে জেনেছিলাম ভ্রমণার্থীরাই কাশ্মীর উপত্যকার অর্থনীতির মেরুদন্ড। প্রকৃতির দুহাত উজাড় করা দান ফুল, ফল, কাঠ এইসব বনজ সম্পদ আর মাছ ও অন্যান্য জলজ সম্পদই ওদের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান উপকরণ। ডাল লেকের ভাসমান হাউসবোট (ঝিলমেও, যদিও সংখ্যায় কম) এক অভিনব ব্যাপার। কাশ্মীর উপত্যকার সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের বাহন এই হাউসবোট। ভারতের কেরালায় বা বিশ্বের অন্যত্র ভ্রমণার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য ভাসমান হোটেল আছে হাউসবোট নামে কিন্তু কাশ্মীরের সংস্কৃতি আর মানুষের সঙ্গে যেভাবে জড়িয়ে আছে এখানকার হাউসবোট ব্যাপারটা আর তেমনটি নয় অন্য কোথাও। ইংরাজ কাশ্মীরের দখল নিল, রাজ্য হ'ল, কিন্তু ভূমিপুত্রদের জমি পাওয়ার অধিকার দিল না। হতে পারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার জন্যই এমন হয়েছিল। তাদের বাসস্থান হ'ল ডাল লেক আর ঝিলম নদীর বুকে ছোট ছোট নৌকা। সেখানেই থাকা, দোকান সাজানো, বিক্রিবাটা করা এইসব। পরে এগুলোই হয়ে গেলো অতি প্রিয় অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য ঘেরা 'হাউসবোট' পোষাকী নামের ভাসমান হোটেল। এখন কেমন জানিনা, তখন ঝিলম নদী অত্যন্ত নোংরা লেগেছিল। শ্রীনগর শহরটাও এতই অপরিচ্ছন্ন ছিল যে দ্বিতীয়বার আর কোনদিন শ্রীনগরে আসার কথা ভাবতেই ইচ্ছা করতো না। তরুণ মনে প্রশ্ন জাগতো তবে সিনেমাতে অত সুন্দর সব দৃশ্য কী করে দেখাতো? অবশ্য সোনমার্গ, গুলমার্গ, শালিমার বাগ, নিশাত বাগ,পহল গাঁও এইসব জায়গাগুলোর মনোরম স্মৃতি এখনো রয়েছে। আর রয়েছে পাঠানকোট থেকে বাসে পাহাড় কাটা আঁকাবাঁকা দীর্ঘ পথে যাওয়ার রোমাঞ্চ। পাঠানকোট থেকে শ্রীনগর যাওয়ার পথে বানিহাল টানেল দেখেছিলাম। দীর্ঘ বানিহাল টানেল দিয়েই বাস গিয়েছিল। ওখানে বাস কিছুক্ষণের জন্য থেমেছিল। আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল, নাম ছিল জওহর টানেল, নির্মিত হয়েছিল ১৯৫৬তে। বেশ দুর্গম ছিল। কোন রকমে পাশাপাশি দুটি গাড়ি আসা-যাওয়া করতে পারতো। এখন আসা, যাওয়ার জন্য দুটি পৃথক টানেল। তাছাড়া বানিহালে এখন রেলস্টেশনও হয়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকায় ভ্রমণের সেরা আকর্ষণ নিশ্চিত ভাবেই শ্রীনগর থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে স্বর্গ শোভার মত তুষার ঘেরা গুলমার্গ। শ্রীনগর থেকে গাড়িতে ঘন্টা দুয়েকের রাস্তা। লোক কথায় শুনেছি স্থানটির আদি নাম ছিল 'গৌরী মার্গ'। শিব পত্নী পার্বতীর আবাস। পাঠান শাসন কালে নামটা পালটে গুলমার্গ রাখেন কোন এক পাঠান শাসক। গুলমার্গ মানে ফুলের পথ। আমি আটচল্লিশ বছর আগে যখন গুলমার্গ গিয়েছিলাম, তখনকার তরুণ মনের সেই অবাক করা বিস্ময় কোন ভাষাতেই বা বর্ণনা করবো? জনমানবহীন শুধু জমাট বাঁধা পাথরের মত সাদা বরফ যেদিকে চোখ দুটোকে মেলা যায়। তখন কোন লোক বসতি বা হোটেল দেখতে পাইনি। দূরে হয়তো ছিল আমি তেমন লোক বসতি দেখিনি। অবশ্য লোকবসতি থাকার কথাও নয়। ২০০১ সালের জনগণনায় দেখেছি গুলমার্গের মোট জনসংখ্যা মাত্র ৬৬৪ জন। এখন গুলমার্গ বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রের অন্যতম সেরা স্থান। শ্রীনগর থেকে তিনঘন্টার রাস্তায় সোনমার্গ ভ্রমণার্থীদের আর এক মনোরম আকর্ষণ বিন্দু।
শ্রীনগর পৌছে আমরা যখন হাউসবোটে উঠি থাকার জন্য তখন বোটের মালিক জানতে চেয়েছিল "আপলোগ ক্যা ইন্ডিয়া সে আয়া হায়" – আপনারা কি ভারত থেকে আসছেন? ভীষণ অবাক হয়েছিলাম আর সেই জন্যই এখনো মনে আছে আর থাকবেও চিরদিন। তখন কাশ্মীরের বেতাজ বাদশা শেখ আবদুল্লা জীবিত। পরে তো বুঝেছি কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুন-এর উৎসটা ছিল অনেক গভীরে।
প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে ইতিহাস ছোঁয়ার বাসনায় ভূস্বর্গ গিয়েছিলাম। তখন বাঙালির ঘোরাঘুরির পিপাসা আজকের মত এতো তীব্র ছিলনা। এখন নানান প্যাকেজ ট্যুরের বন্দোবস্ত, অসংখ্য ভ্রমণ ব্যবস্থাকারী সংস্থা, অন্তর্জালে নানান তথ্য, কত ভ্রমণ বিষয়ক পত্র-পত্রিকা। ঘরে বসেই আগাম সব আয়োজন করতে পারি, খাওয়া থাকার ব্যবস্থাও পকেটের ওজন অনুযায়ী। পঞ্চাশ বছর আগে এসব কিছুই ছিলনা। তবু কাশ্মীর টেনেছিল কী যেন আকর্ষণে! পঞ্চাশ বছর পরে আজও স্মৃতি হাতড়াই - পকেটে শ'আড়াই টাকা আর একটা রেলের পাস নিয়ে, রেলে চড়ে প্রথম দূরযাত্রার সেই কটা দিন। পঞ্চাশ বছর পরে এখন আর একবার কাশ্মীর যাওয়ার খুব ইচ্ছা। কত কী বদল হয়েছে সময়ের স্রোতে। অশক্ত শরীরে হয়তো যাওয়া হবে না। তবু স্মৃতিটুকু থাক, স্মৃতি সততই সুখের বৈকি!
~ কাশ্মীরের তথ্য ~ কাশ্মীরের আরও ছবি ~
প্রবীণ সাহিত্যকর্মী ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় সাহিত্য ও সমাজভাবনার নানান বিষয়ে প্রবন্ধ, গল্প ও নাটক লেখেন। রেলওয়েতে চাকরির সুবাদে জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন ছত্তিশগড়ে। এখন উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। 'অন্যনিষাদ' ও 'গল্পগুচ্ছ' নামে দুটি ওয়েব পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ভ্রমণ বিষয়ক লেখায় এটিই তাঁর হাতেখড়ি।