বেড়িয়ে এসে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যেমনভাবে শেয়ার করতে চান কাছের মানুষদের সাথে - ঠিক তেমনি করেই সেই কথাগুলো ছোট্ট করে লিখে পাঠিয়ে দিন ছুটির আড্ডায়। ছয় থেকে ছেষট্টি আমরা সবাই এই ছুটির আড্ডার বন্ধু। লেখা ডাকে বা ই-মেলে পাঠালেও চলবে। লেখা পাঠাতে কোনরকম অসুবিধা হলে যোগাযোগ করুন - admin@amaderchhuti.com

 

আশ্চর্য সরোবর মূলকারখা

প্রীতম সাহা

~ মূলকারখা লেক ট্রেকের আরও ছবি ~

উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের পাদদেশে অরণ্যের গভীরে আছে এক আশ্চর্য প্রাকৃতিক সরোবর – মূলকারখা - যার টলটলে স্বচ্ছ জলে প্রতিদিন মুখ দেখে রূপসী কাঞ্চনজঙ্ঘা। গা ছমছমে অরণ্যের বুকের ভেতর দিয়ে, ২০০ ফুট উঁচু জলপ্রপাতের কোল ঘেঁষে পাহাড়ের গা বেয়ে প্রায় অনাস্বাদিত এই ট্রেকপথ। পথে যেতে যেতে ক্ষণে ক্ষণে মুগ্ধ হতে হয় কাঞ্চনজঙ্ঘার বিপুল সৌন্দর্যে। প্রাচীন বৌদ্ধ মনাস্ট্রির শান্ত-শুদ্ধ পরিবেশ যেন সময়কেও থমকে দেয় – আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় কোন সুদূর অতীতে। পথের ধারে ছবির মত দু'একটা ছোট পাহাড়ি গ্রাম, কতরকমের পাখি, প্রজাপতি আর রঙবেরং-এর ফুলের বাহার ভুলিয়ে দেয় পথের ক্লান্তি। স্থানীয় নাম 'ফুসরে লেক' - মানুষের কাছে বড় পবিত্র ইচ্ছেপূরণের এই সরোবর।

নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্লোরার ক্লাবের পক্ষ থেকে আমাদের একরাত-দুদিনের এই ছোট্ট অভিযান হঠাৎ করেই ঠিক হয়েছিল। ফলে সময়-টময়ের আন্দাজগুলোও ঠিকঠাক হয়নি। পাঠকদের জন্য আমার পরামর্শ আমাদের মতো একুশ ঘন্টার জলদি সফর না করে অন্তত দুরাত-তিনদিন হাতে রাখা ভালো। সময়ের অভাবে দেখা হয়নি অনেককিছুই। খুব কঠিন নয় এই ট্রেক, যাওয়া-ও যায় নানাভাবেই। আমরা লিংসে, পিতমচেন হয়ে মূলকারখা গিয়েছিলাম। লিংসে আর মূলকারখা পশ্চিমবঙ্গে হলেও পিতমচেন কিন্তু সিকিমের অন্তর্গত। মূলকারখার অবস্থানও একেবারে দু রাজ্যের সীমান্তেই। লিংসে থেকে মূলকারখা ছাড়াও একটা রাস্তা গেছে রেশি এবং অন্য আরেকটা পথ গেছে সিকিমের আরিতার-এ। আমরা রেশির পথ ধরে ফিরেছিলাম। এই পথেই ঝরনাটা পড়ে।
আমরা দুই অভিযাত্রী (আমি আর একজন সিনিয়র দাদা) শিলিগুড়ি থেকে নভেম্বরের এক বিকেলে রওনা দিয়েছিলাম দুচাকায়। সিকিমে ঢুকতেই ছ'টা বেজে গেল। রেনক পেরিয়ে লিংসে পৌঁছতে পৌঁছতে অন্ধকার নেমে এল। রাস্তায় কোন আলো নেই। ঘন অন্ধকারে বাইক চালানোর সিদ্ধান্তটা যে বেশ ভুলই হয়েছিল তা পাহাড়ি রাস্তায় বার দুয়েক উলটে পড়তেই আরও ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। যাইহোক রাত সাতটা-সোয়া সাতটা নাগাদ লিংসে পৌঁছলাম।

তারপর একটা অপরূপ মায়াময় রাত লিংসেতে। ছোট্ট এই গ্রামটিতে দার্জিলিং জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দিরটি রয়েছে। মন্দির চত্ত্বরে শ্রাবণের ভোলে ব্যোম, শিবরাত্রি, দুর্গাপুজো, বাল চতুর্দশী এমন নানা উপলক্ষে বছরভর চলে উৎসবের পালা। লিংসেতে একটি সংস্কৃত বিদ্যালয়ও রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের সংগ্রহে রয়েছে হিন্দু সংস্কৃতির ওপর লেখা বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য এবং দামী বইও। এছাড়াও উষ্ণ কুণ্ড, লেপচাদের ঘরবাড়ি এবং রাং বাং নদীও দ্রষ্টব্য এখানে। যদিও প্রথমদিন অন্ধকার এবং পরেরদিনের তাড়াহুড়োয় প্রায় দেখা হয়নি কিছুই। ইচ্ছে আছে কোনোদিন আবার ফিরে দেখার।
পরেরদিন সকালে সাতটা-সাড়ে সাতটা নাগাদ রওনা দিয়ে বাইকেই পিতমচেন পৌঁছলাম ন'টা-সাড়ে ন'টা নাগাদ। পিতমচেনের প্রাচীন মনাস্ট্রিতে রেনোভেশনের কাজ চলছে দেখলাম। সন্ন্যাসীদের সঙ্গে কথা বলে মনাস্ট্রি চত্ত্বরে বাইক রাখার ব্যবস্থা করে হাঁটা শুরু করলাম। এই রাস্তা এত চড়াই যে এ পথে আর বাইক চালানো সম্ভবই নয়। ৫ কিলোমিটার হাঁটা পথের শেষে মূলকারখায় পৌঁছেছিলাম মোটামুটি বেলা বারোটা-সাড়ে বারোটা নাগাদ। আসলে চারপাশের অসহ্য সৌন্দর্য ভুলিয়ে দিয়েছিল ঘড়ির কাঁটাকে। সময়গুলো খানিক আন্দাজেই লিখলাম।
চারিদিক একেবারেই শুনসান। শুধু তীব্র বেগে বয়ে যাওয়া হাওয়ার শব্দ গাছেদের মাথায় মাথায়। মূলকারখার স্বচ্ছ জলে তরঙ্গ উঠছে – বারবার ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ মুখচ্ছবি। জলের ধারে একা একা দাঁড়িয়ে একটা প্রাচীন মন্দির। মূলকারখা লেকের ধারে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হতে হতে শেষপর্যন্ত বুঝেছিলাম যে এই সৌন্দর্যের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা আমার কলমে নেই। ...

[আমাদের চলার পথের রূপরেখা – প্রথমদিন – বাইকে শিলিগুড়ি থেকে রংপো (দূরত্ব মোটামুটি ৮০ কিলোমিটার),রেনক (রংপো থেকে দূরত্ব মোটামুটি ৩০ কিমি) হয়ে লিংসে (রেনক থেকে মোটামুটি ৬/৭ কিমি)। দ্বিতীয়দিন বাইকে লিংসে থেকে পিতমচেন (মোটামুটি ১০ কিমি), পিতমচেন থেকে মূলকারখা লেক ( পায়ে হেঁটে মোটামুটি ৫ কিমি)। এদিন একই পথে শিলিগুড়ি ফিরে আসা। অবশ্যই এই দূরত্ব একেবারে স্কেল অনুযায়ী নয়। একটু-আধটু তফাত থাকবেই।]

পুনশ্চ - পাঠকদের সাবধান করি – বাইক চালালে অবশ্যই এক বা একাধিক আরোহীর সকলেই হেলমেট পড়বেন, সে শহর হোক আর পাহাড়। সিকিম হলে তো কথাই নেই, যেখানে সেখানে পুলিশ কিন্তু আপনাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এর জন্য – আমিই ভুক্তভোগী কীনা!

অনুবাদ - দময়ন্তী দাশগুপ্ত

~ মূলকারখা লেক ট্রেকের আরও ছবি ~

ফটোগ্রাফিকেই পেশা করতে চান প্রিতম সাহা। শিলিগুড়ির বিশিষ্ট ‘নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্লোরার্স ক্লাব’-এর সদস্য প্রিতম তাই ফটোগ্রাফি আর ভ্রমণের নেশায় বেরিয়ে পড়েন যখন তখন।

 

SocialTwist Tell-a-Friend

হলং-এ এক রাত্রি

জয়ন্ত লাহা

হলং-এ সরকারি বনবাংলোর বুকিংটা ভাগ্যক্রমে পেয়েই গেলাম। জলদাপাড়া জঙ্গলের কিছুটা ভিতরে বনবাংলো। জঙ্গলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশের পরিবেশ পালটে গেল। এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা যেন বিরাজমান। কাঠের বাড়ি আর সামনে দিয়ে তির তির করে বয়ে চলেছে ছোট্ট হলং নদী। তাতে জল বেশি নেই। পায়ে হেঁটেই যেন পেরনো যায়। নদীর ওপারে রাখা নুনের ঢিপি। ওখানেই নাকি বন্য জন্তুরা লবণ খেতে আসে। বাংলোয় পৌঁছে কাঠের ঘরে জিনিসপত্র রাখলাম। জঙ্গল আর তার নৈঃশব্দ্য তখন আমাদের ডাকছে। আমি আর ভাই ক্যামেরা নিয়ে হলং-এর ধারে গিয়ে বসলাম। নদীর ওপারে দেখি ছোট, বড়, মাঝারি নানারকম পাখির মেলা। জঙ্গলের একটা আলাদা প্রশান্তি আছে যেটা ভেতরে না গেলে ঠিক বোঝা যায় না। সেই শান্তি ভগ্ন করে হঠাৎ কয়েকটা পাখি উড়ে গেল এ ডাল থেকে ও ডালে। নুনের ঢিপির কাছে সবুজ গলার কয়েকটা পাখি। ওদের নাম ইয়েলো পিজিয়ন। দিব্যি নিজেদের মতই রয়েছে, যেন আমাদের দেখেও দেখছেনা। প্রকৃতির মাঝে আমরাই নেহাত বেমানান। চুপচাপ তাদের কাণ্ড-কারখানা ফ্রেম বন্দী করছি। একটু পরে চোখে পড়ল একটা ময়ূর। তার পেছনে আরও একটা ময়ূর দেখা দিল। ময়ূরেরা বেশ খানিকটা কাছে আসতেই আমাদের চোখ চলে গেল ক্যামেরার লেন্সে। কী অদ্ভুত সুন্দর তাদের গলা আর পেখম - নীল আর সবুজ রঙের যেন জোয়ার এসেছে।
জঙ্গলে সন্ধ্যা নামছে। জিপ সাফারির শেষে ফিরছে ট্যুরিস্টের দল। পাখিরাও নীড়গামী। আমরা নদীর ধার থেকে ফিরে বাংলোর ক্যান্টিনে এসে বসলাম। সান্ধ্য চায়ের আশায়। চা-স্ন্যাকস খেয়ে ঘরে ঢোকার মুখে চোখে পড়ল দেওয়ালে - তক্ষকের শাবক। লাল চোখ করে তাকিয়ে আছে। বাংলোর কর্মচারীরা বললেন জংলি টিকটিকি। সন্তর্পণে পাশ কাটিয়ে এসে বসলাম বারান্দায়। এখান থেকে সল্ট পিটগুলো পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। দলে দলে বাইসন এসে জমায়েত হয়েছে সেখানে। তার মাঝে মাঝে কয়েকটা সম্বর হরিণ। হঠাৎ হঠাৎ শোনা যাচ্ছে এক অদ্ভুত হাড় হিম করা চিৎকার - ওটা নাকী বারকিং ডীয়ার-এর ডাক। একটু বাদে সবাই নীচে নেমে এসে আবার নদীর ধারে বসলাম। দিনের ট্যুরিস্টরা ফিরে চলে গেছে জঙ্গলের সীমানার বাইরে। বাংলোর বাসিন্দা আমরা ক'জন আর বনবিভাগের কর্মচারীরা। চাঁদের আলোয় জঙ্গলের পরিবেশ অদ্ভুত মায়াবী লাগছে। বাংলোর কর্মচারীদের সাহায্যে একটা আলোর ব্যবস্থা করা হল। ওই আলো ফেলতেই দেখতে পেলাম বাইসন আর সম্বর হরিণের দল। হঠাৎ চোখে পড়ল একটা বেশ বড় বাইসন নদী পেরিয়ে আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে। দূরত্ব তখনও প্রায় ২০-৩০ ফিট হবে। এমন সময়েই বাংলো থেকে জানাল রাতের খাবার রেডি।

খাওয়া প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, হঠাৎ কেউ একজন হাঁক দিলেন, সবাই আসুন - দুটো দাঁতাল এসেছে। আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি মূর্তিমান দুই দাঁতাল আর তাদের একটা বাচ্চা। বড় হাতিদুটোর দাঁত আর হাবভাব দেখে বোঝাই যাচ্ছিল যদি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে তাহলে কী হতে পারে। সল্ট পিট এখন হাতিদের দখলে। ওদের আর আমাদের মধ্যে ব্যবধান শুধু একচিলতে হলং নদী। আকাশে পূর্ণচন্দ্র আর জঙ্গলের আদিম পরিবেশ। একটু বাদে দাঁতালগুলো ফিরে গেলে আবার বাইসন আর সম্বরেরা সল্ট পিটের দায়িত্ব নিল। আমরা ঘরে ফিরলেও চোখে ঘুম এলনা। বারান্দায় বসে রইলুম জঙ্গল উপভোগ করতে - আশা যদি গণ্ডার আসে।
আকাশে তখন হাল্কা আলোর আভা। সবে ভোর হয়-হয়। বাইসন আর দু' একটা হরিণ তখনও ছিল। আরও একটু সকালের আলো ফুটলে ওরা ফিরে গেল জঙ্গলের গহীনে। নানা রকম নাম-নাজানা পাখির কলতান শোনা যাচ্ছে। এবার হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গলের ভেতরে যাওয়ার প্রস্তুতি। দুটো বড় হাতি - এদের পিঠেই আমরা উঠব। তাদের সঙ্গে একটা বাচ্চাও রয়েছে। বাচ্চাটা দেখতে বেশ সুন্দর। মা-বাবার সঙ্গে টুকটুক করে যেন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছে। আমাদের যাত্রা শুরু হল। হাতিদের যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন পথ নেই। জঙ্গলের বড় বড় গাছের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে চলল। শুঁড়ে করে বড় গাছ সরিয়ে বা খেয়ে তাদের পথ করে নেওয়া। তারা আবার একসঙ্গে ছাড়া এগোবে না। জল পেরিয়ে কাদা পেরিয়ে হাজির হল এক সবুজ তৃণভুমিতে। এটা গণ্ডার থাকার উপযুক্ত স্থান। হঠাৎ মাহুতের ডাকে তাকিয়ে দেখি জলে পুরো গা ডুবিয়ে আরাম করছে একটা গণ্ডার । জলদাপাড়ায় অনেক গণ্ডার থাকলেও তাদের দেখা পাওয়া মুস্কিল। গণ্ডার দেখে ফেরার পথে এবার ছবি তোলার পালা। কিন্তু হাতিদের ছবি তোলা ভয়ঙ্কর না-পসন্দ। তারা এক হাড়কাঁপানো ডাক ছাড়ল যাকে বলে বৃংহণ। ফেরার পথে চোখে পড়ল এক অতি ভীতু হরিণ আর গাছের মগডালে ময়ূর। একটা অদ্ভুত সুন্দর নীল নকশাওলা পাখি বারবার ক্যামেরার লেন্সকে ফাঁকি দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। হয়ত সব সৌন্দর্যকে ফ্রেমে বন্দী করা যায় না। কিছু জিনিস মনের ক্যামেরাতেই রেখে দিতে হয়। হাতির পিঠ থেকে নেমে দেখি সেই বাচ্চা হাতিটাকে সবাই আদর করছে। তাকে ঘিরেই চলছে ফটো শ্যুট।
প্রাতরাশ সেরে আবার নদীর ধারে বসলাম। অন্য পর্যটকদের নিয়ে তখন দুলকি চালে হাতির দল চলেছে। হস্তীশাবক খেলাচ্ছলে নদী পেরোচ্ছে। একটু বাদে দেখি অনেক সবুজ পায়রা (গ্রীন পিজিয়ন) এসে হাজির ওই সল্ট পিটের কাছে। প্রকৃতির বুকে কী সুন্দর খেলা করছে। নীল পাখি আর সাদা পাখির ওড়াউড়ির ফাঁকেই হঠাৎ হাজির কালকের ময়ুরগুলোও। এবার যেন আরও কাছে। তাদের পেখমে নীল সবুজের অসাধারণ মেলবন্ধন। দেখতে দেখতে কখন আকাশে হঠাৎ মেঘের ঘনঘটা। দু চার ফোঁটা পড়তেই ক্যামেরা বাঁচাতে ঘরে ফিরে এলাম।
দুপুরের খাওয়া সেরে খয়েরবাড়ি লেপার্ড সেন্টার। সেখানে কিছু বন্দী লেপার্ড দেখা হল কিন্তু বন্য পরিবেশে লেপার্ড আর এবারে দেখা হল না। ডুয়ার্স দেখার জন্য এটা খুবই কম সময়। তবুও হলং বাংলোর ওই রাত, মন কেমন করা এমন একটা সকাল আর হাতির বৃংহণ হয়ত আমার বাকী বছরের অক্সিজেন।
গাড়ি এগিয়ে চলল গরুমারা আর মূর্তি নদীর পাশ দিয়ে নিউ জলপাইগুড়ির দিকে। বিদায়বেলায় সূর্য তখন পশ্চিমাকাশে রক্তিম আভা ছড়িয়ে দিচ্ছে...

~ জলদাপাড়ার তথ্য ~ জলদাপাড়ার আরও ছবি ~

শিবপুর বি ই কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বর্তমানে বাঙ্গালোরে কর্মরত জয়ন্ত লাহা ভালোবাসেন বেড়াতে, ছবি তুলতে আর সেই বেড়ানোর আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে।

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

To view this site correctly, please click here to download the Bangla Font and copy it to your c:\windows\Fonts directory.

For any queries/complaints, please contact admin@amaderchhuti.com
Best viewed in FF or IE at a resolution of 1024x768 or higher