স্বপ্নের লাদাখ

অভিষেক দাস

~ লাদাখের তথ্য ~ লাদাখের আরো ছবি - (১) - (২) ~

ট্রেনে করে বেড়াতে যেতে খুউব ভালবাসি আমি (আগে ভাবতাম আমি বুঝি ব্যতিক্রম, তারপর দেখলাম আমার মত অনেকেই আছেন), কিন্তু এই প্লেনযাত্রা আমার চিরকাল মনে থাকবে। জম্মুর সবুজ উপত্যকার একটু একটু করে খয়েরি হয়ে যাওয়া, তারপর বরফে মোড়া শ্বেতশুভ্র পাহাড়চূড়া, আচমকা ঝাঁকুনি আর শেষে লে এয়ারপোর্টের রানওয়ের নিশানা। বাড়ি থেকে বেরোনোর দু-দিন পরে আমরা পৌঁছলাম আমাদের স্বপ্নের গন্তব্যে।

এয়ারপোর্টের প্রিপেড কাউন্টার থেকে ট্যাক্সি বুক করলাম। ড্রাইভার স্তানজিন তার মারুতি ওমনির মাথায় মালপত্র চাপিয়ে আমাদের পৌঁছে দিল লে-লিং গেস্ট হাউসে। সামান্য মাথা ধরেছিল, মনে হয় লে পৌঁছনোর আগেই ডায়ামক্স ট্যাবলেট খেয়ে রাখাটা বেশ কাজে দিচ্ছিল। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এখনও সেভাবে ট্যুরিস্ট সিজন শুরু হয়নি। হোটেলের আমরাই একমাত্র বোর্ডার, তাই পছন্দমত ঘর বেছে নেওয়া গেল। হোটেল মালিক শ্রী দোরজি পরামর্শ দিলেন আজ স্নান না করতে। আমরা বাধ্য ছাত্রের মত তাঁর উপদেশ শিরোধার্য করলাম। দুপুরের খাওয়া হল 'সামার হার্ভেস্ট'-এ (লে-র অন্যতম সেরা রেস্তোরাঁ)। স্তানজিনের সঙ্গে আগামী দিনগুলোর পরিকল্পনা ঠিক করে নিয়ে বাকী সময়টা কাটালাম পুরোপুরি বিশ্রামে – আসার আগে প্রতিটি ব্লগে যা পড়েছি তা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।

২য় দিন –
সকালে প্রাতরাশ সেরে রওনা দিলাম হেমিসের উদ্দেশে। পথে যে ছবি তোলার জন্য কতবার দাঁড়ানো হল তার হিসেব রাখিনি। লাদাখের প্রতিটি আনাচে কানাচেই ছবির বিষয়বস্তু ছড়িয়ে।
বাঙালির স্বভাব হল বেড়িয়ে ফেরার সময় আত্মীয়-বন্ধুদের জন্য উপহার কিনে আনা আর দলে যদি মহিলা থাকেন তাহলে তো কেনাকাটা বেড়ানোর প্ল্যানেরই একটা অংশ। কিছু স্যুভেনির কিনে গেলাম থিকসে। তুলনায় হেমিস বেশি ভাল লেগেছে, কিন্তু হেমিস মনাস্ট্রিটা পাহাড়ে ঘেরা – আর থিকসে থেকে আশপাশের দৃশ্য অপরূপ দেখায়। হেমিসে লামাদের জীবনযাপনের আন্দাজটা ভাল বোঝা যায় আর সবথেকে বড় ব্যাপার সিঁড়ি কম ভাঙতে হয়!
দুপুরের খাওয়াটা আহামরি কিছু হলনা, শুনলাম শ্রীনগর হাইওয়ে চালু না হওয়ায় রান্নার উপকরণ এখনও এসে পৌঁছায়নি (এই কথাটা অবশ্য আমাদের পুরো বেড়ানোতেই বার বার শুনতে হয়েছে)। লাঞ্চের পরে গেলাম 'র‍্যাঞ্চোর স্কুল' দেখতে। সঙ্গী গাইড বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন এমনভাবে স্কুলবাড়িটা তৈরি হয়েছে যাতে লাদাখি আবহাওয়াতেও কৃত্রিম হিটিং-এর প্রয়োজন না হয়। অসাধারণ ব্যাপারটা – ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একটা দুর্দান্ত নিদর্শন। আমাদের 'থ্রি ইডিয়ট'-এর পোজে ছবি তোলা দেখে গাইড ভদ্রলোক হো-হো করে হেসে উঠলেন। পরবর্তী গন্তব্য সিন্ধু ঘাট। বেশ অগোছালো জায়গা, কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন কেড়ে নেয়। সিন্ধু নদের জল একেবারে স্বচ্ছ এখানে। সন্ধ্যে হয়ে আসছে। লাদাখে প্রতিটা সন্ধ্যেই দেখবার মত। আকাশে মেঘ-সূর্যের লুকোচুরি আর তার সাথে সাথে পাহাড়ের গায়ে আলো-আঁধারির অপরূপ খেলা।
ফেরার পথে পড়ল চোগলামসার গ্রাম – বছর কয়েক আগের বন্যার চিহ্ন এখনও কিছু রয়ে গেছে। সন্ধ্যাটা শান্তি স্তূপে কাটাবো ঠিক করলাম। বেশ একটা অ্যাডভেঞ্চারই হল বলা চলে। কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে, আক্ষরিকভাবেই হি-হি করে কাঁপছিলাম। মিনিট দশেকের বেশি থাকা গেলনা। তবে আনন্দ কিছু কম হয়নি তাতে।
৩য় দিন –
আজ এখানে লোকসভা নির্বাচন। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না ঘোরাঘুরি করা যাবে কিনা। হাসপাতাল ছাড়া বাকী সবকিছুই বন্ধ। একটা আর্মি ক্যান্টিনে জলখাবার সেরে গেলাম সঙ্গম দেখতে। সিন্ধু আর জাঁসকরের রঙ একেবারে আলাদা করে চেনা যায় ওপর থেকে। নীচে নামলে যদিও দুই-ই স্বচ্ছ লাগে। এরপর যাওয়ার কথা ছিল ম্যাগনেটিক হিল – সঙ্গমে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছিল, তাই চৌম্বক শক্তি পরখ করার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হল। এরপর পাত্থর সাহিব – ছোট কিন্তু চমৎকার সাজানো-গোছানো একটা গুরদোয়ারা।
লাদাখ এমনিতেই এত সুন্দর যে কোন কোন স্পট তেমন আকর্ষণীয় মনে না হতে পারে। কিন্তু মিনিট দশেক অন্ততঃ কাটানোই যায়। এমনই একটা জায়গা 'হল অফ ফেম'। এখানে ফোটোগ্রাফির বিষয় কিছু নেই, কিন্তু এলে গর্ববোধ হবে একজন ভারতীয় হিসেবে - হিমেল হাওয়া ছাড়াই গায়ে কাঁটা দেবে। বাবাকে লেখা কর্নেল রবিনের চিঠি আর গর্বিত পিতার উত্তর দেখতে ভুলবেন না যেন। পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে এলে পড়বে একটা স্মৃতিসৌধ – প্রেক্ষাপটে তুষারঢাকা হিমালয়। আবার নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ফিরে আসা।
দিনের শেষ গন্তব্য কালীমাতা মন্দির – স্পিটুক মনাস্ট্রির ঠিক ওপরে। লে এয়ারপোর্টের রানওয়েটা পরিস্কার দেখা যায়। শুনলাম এখান থেকে এরোপ্লেনের ল্যাণ্ড করা দেখতে দুর্ধর্ষ লাগে। ফেরার আগে একবার দেখার চেষ্টা করব ভেবে রাখলাম। কয়েক ধাপ উঠলেই কালীমাতা মন্দির। অন্ধকার, গা-ছমছমে ঘর আর ভিতরে তেমনই ভয়ালদর্শন দেব-দেবীদের মূর্তি। একটামাত্র টিউব লাইট টিমটিম করে জ্বুলছে। মুগ্ধ হয়ে গেলাম মনাস্ট্রির সামনের উপত্যকায় সূর্যাস্ত দেখে।

৪র্থ দিন –
এবার যাওয়া নুব্রা ভ্যালি – আরেক রাউণ্ড ডায়ামক্সের পালা। খুব উত্তেজিত সবাই – প্রথম বরফের রাজ্যে পৌঁছানো হবে। শেষ অবধি বোনাসই পাওয়া গেল – খারদুং লা-তে বরফের পাশাপাশি তুষারপাত-ও। অসাধারণ অভিজ্ঞতা বললেও কম বলা হবে! একটা ছোটখাট ফোটোসেশন সেরে (ঠাণ্ডার জন্য বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছিল না) নামতে থাকলাম নুব্রার উদ্দেশে। পথে দেখলাম দিস্কিট মনাস্ট্রি এবং বিখ্যাত বুদ্ধমূর্তি (স্থানীয় লোকজনের বিশ্বাস বুদ্ধদেব পাকিস্তানের দিকে মুখ করে আছেন এবং এখানকার মানুষকে রক্ষা করছেন বহিরাগতের আক্রমণ ও প্রকৃতির রোষ দুইয়ের থেকেই)। একটু পরেই এল বালির ঝড় – একই দিনে তুষারপাত আর বালির ঝড় দুই-ই দেখতে পাব স্বপ্নেও ভাবিনি! স্তানজিন অবশ্য বলল এখানে এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার।
এরপর বালিয়াড়ির পালা। দু-কুঁজওলা উটের পিঠে চড়া মজাদায়ক কিন্তু পনের মিনিটের রাইডের জন্য মাথাপিছু ১৮০ টাকা খরচ বেশ গায়ে লাগে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এখনও বেশ ঠাণ্ডা এখানে, তাঁবুতে না থাকতেই বলল সবাই। ৯০০ টাকা ভাড়ায় ভালই হোটেল পাওয়া গেল। তবে পিক সিজনে গেলে আগে থেকে ঘর বুক করে যাওয়াই ভাল হবে। এখানে রেস্তোরাঁ নেই, হোটেলে যা পাওয়া যায় তাই খেতে হবে।

৫ম দিন–
লে ফেরার পথে পানামিকের উষ্ণ প্রস্রবণ দেখতে যাওয়া হল। যাঁরা হিমাচল প্রদেশের মণিকরণ গিয়েছেন পানামিক তাঁদের বিশেষ আহামরি লাগবে না। আরেক রাউণ্ড ফোটোসেশান খারদুং লা-য়। পরের দিন প্যাংগং সো যাওয়া হবে তাই খানিক তাড়াতাড়ি রণে ভঙ্গ দেওয়া গেল।
৬ষ্ঠ দিন –
একে তো রওনা হতে বেশ দেরিই হয়েছিল, রাস্তায় একটা ছোট ধ্বসের জন্য আরো কিছু সময় গেল। আবারও তুষারপাত পেলাম – এবার চ্যাং লাতে। প্যাংগং পৌঁছাতে অনেক দেরি হল। আমাদের ড্রাইভার বলল আমরা সকলের শেষে পৌঁছেছি, লে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাবে। শেষ অবধি অবশ্য তা হয়নি। লেকের আশপাশে হাড়-কাঁপানো ঠাণ্ডা। এত শীতল হাওয়া আর কখনও পাইনি। শরীরের প্রতি সেন্টিমিটার জায়গা গরম পোশাকে ঢেকে না রাখলে এই আবহাওয়ায় টেঁকা যাবেনা। মনে মনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে স্যালুট জানালাম। প্যাংগং লেক চিনের মধ্যেও চলে গেছে। বর্ডার এত কাছাকাছি হওয়ায় সেনা তৎপরতা এখানে খুবই। সেনারা ইগলুর মত একরকম ঘরে থাকেন – বরফের সাথে মিশে গিয়ে ক্যামোফ্লেজের কাজ করে সেটা। প্যাংগং লেকের দৃশ্যই পুরো বেড়ানোয় সবথেকে সুন্দর লেগেছে আমার। জলে অল্প অল্প ঢেউ, খানিকটা যেন শান্ত সমুদ্রের মত একটা শব্দ। লেকের পাশে বেশ কিছু খাবারের দোকান – মান বেশ খারাপ, কিন্তু বিকল্প কিছু না থাকায় ওখানেই খেতে হবে। ফেরার পথে ইয়াক, মিষ্টি দেখতে বিভার, বুনো ঘোড়া, ভেড়ার পাল, চেনা-অচেনা নানান প্রাণীর ছবি তুলতে কয়েকবার গাড়ি থামানো হল।
৭ম দিন –
আজ লাদাখে শেষ দিন –তাই মন খারাপ সকলের। ভোরে আবার স্পিটুক যাওয়া হল – এরোপ্লেন নামার ছবি তোলার জন্য। মিনিট পঁয়তাল্লিশ অপেক্ষা করার পর অবশেষে সুযোগ মিলল। যদি কারও আগ্রহ হয় মনাস্ট্রি অবধি না গিয়ে পথে কোথাও যেখানে রানওয়েটা সোজাসুজি দেখা যায় সেখানেই দাঁড়ানো ভাল। ওপর থেকে খানিক কোণাকুনি হয়ে যায়।
শেষ গন্তব্য লে প্যালেস। বিশাল একটা বাড়ি – প্রায় ফাঁকা। নামে প্রাসাদ কিন্তু রাজারাজড়ার কোনও চিহ্নই নেই এখানে। যা কিছু ছবি আছে সবই বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত। তবে এখান থেকে লে শহরের একটা প্যানোরামিক ভিউ পাওয়া যায়। ভাল জুম সঙ্গে থাকলে এয়ারপোর্টেরও ছবি তোলা যেতে পারে। আমাদের সৌভাগ্য যে গো-এয়ার ফ্লাইটটার নামার ছবি তুলেছিলাম, সেটা একটু পরেই আবার উড়ে গেল - সে ছবিও তাই ক্যামেরায় ধরা রইল। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়া প্যালেসের অনেকটা সংরক্ষণ করেছে – প্রচুর কাঠের জানলা-দরজা আর সিঁড়ি দেখা যায়। আমার মতে এখানে মিনিট কুড়ির বেশি সময় কাটানোর কোনও মানে হয়না। স্তোক প্যালেস যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করলাম, প্রাসাদ আর মনাস্ট্রি দেখতে দেখতে খানিক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম সকলেই। তাই আমাদের স্বপ্নের বেড়ানো এখানেই শেষ হল। এরপর দলের মহিলাদের শপিং টাইম শুরু আর বেচারি পুরুষরা তাঁদের পিছু-পিছু – ব্যাগ বওয়ার জন্য তো কাউকে একটা লাগবে!

যদি হাতে আরও কয়েক দিন থাকে এই জায়গাগুলিও ঘুরে আসতে পারেন –
• আলচি-লামায়ুরু সার্কিট (মনাস্ট্রি আর প্যালেস)
• সো মোরিরি লেক (লে থেকে ২০০ কিমি দূরে তাই রাত কাটানো বাঞ্ছনীয়)
• কারগিল-জাঁসকর (এখানেও রাতে থাকতে হবে)
খেয়াল রাখবেন –
 এরোপ্লেনে লাদাখ গেলে উচ্চতাজনিত কারণে অসুস্থতা হতে পারে। আগে থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। আমরা ডায়ামক্স ট্যাবলেট খেয়েছিলাম।
 প্লেনে নিয়মানুযায়ী কেবিন লাগেজ নেওয়া যায়না। (এয়ার ইণ্ডিয়া যদিও আমাকে রুকস্যাক সঙ্গে রাখতে দিয়েছিল)। উপায় হল ভারি শীতের পোষাক আগে থেকেই পরে নিন ব্যাগের ওজন কমানোর জন্য।
 সিকিউরিটি অফিসাররা আমাদের ক্যামেরার পেন্সিল ব্যাটারি সঙ্গে রাখতে দেননি। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি নিতে যদিও বাধা দিচ্ছিলেন না।
 গোটা ট্রিপের জন্য একই ড্রাইভার/গাড়ি ঠিক করবেন দরাদরি করে। সাধারণতঃ ১০-১৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায় এতে। ওমনি বা ইকো-র পরিবর্তে স্করপিও/জাইলো/ইনোভা জাতীয় তুলনায় আরামদায়ক গাড়ি ভাড়া করাই ভাল।
 প্রচুর তরল খাবেন। আমরা সঙ্গে গ্লুকন ডি-র বোতল রাখতাম। হালকা খাওয়াদাওয়া করবেন। একসঙ্গে বেশি খেলে বমি হতে পারে।
 মে মাসের মাঝামাঝির আগে গেলে রাস্তার পরিস্থিতি ভাল করে খোঁজ নিয়ে নেবেন। আমাদের সময় ১১ মে লাদাখ যাওয়ার রাস্তা চালু হয়েছিল। ভাগ্যিস আমাদের গাড়িতে যাতায়াতের পরিকল্পনা ছিল না।
 বিদ্যুৎ সরাবরাহে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটে। হোটেলে বিকল্প কী ব্যবস্থা আছে জেনে নেবেন।
 কাশ্মীরের বাইরের শুধুমাত্র বিএসএনএল আর এয়ারটেলের পোস্টপেইড সিম কার্ডই কাজ করে। পৌঁছে স্থানীয় সিম কার্ড কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা রাখবেন না। বাইরের লোকদের ওই সিম কার্ড দেওয়া হয়না।
 নানারকম খাবার দাবার একমাত্র শ্রীনগর হাইওয়ে চালু থাকলে তবেই পাওয়া যায়। অন্যথায় খাবার পছন্দ খুবই সীমিত।
 বাজেট ট্র্যাভেলার হলে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট দেখে চটজলদি হোটেল বুক করবেন না। মোটামুটি ১০০০ টাকার মধ্যে বেশ ভালই হোটেল পাওয়া যায়। হোটেল ও গাড়ি ভাড়ার জন্য http://leh.nic.in/ দেখুন।

অনুবাদ – রত্নদীপ দাশগুপ্ত

~ লাদাখের তথ্য ~ লাদাখের আরো ছবি - (১) - (২) ~

উইপ্রোর হায়দ্রাবাদ শাখায় কাজের সূত্রে প্রবাসী বাঙালি অভিষেক দাস বেড়াতে অসম্ভব ভালোবাসেন। 'বাঙালিজ ইন হায়দ্রাবাদ' সংগঠনের ট্রাভেল টিমের প্রধান অভিষেকের অবশ্য পাহাড় একটু হলেও বেশি পছন্দের। তবে পুজোর সময় কলকাতায় আসা চাই-ই।

 

 

SocialTwist Tell-a-Friend

To view this site correctly, please click here to download the Bangla Font and copy it to your c:\windows\Fonts directory.

For any queries/complaints, please contact admin@amaderchhuti.com
Best viewed in FF or IE at a resolution of 1024x768 or higher