সান্দাকফু-র পথে চলে যেতে যেতে
পল্লব চক্রবর্তী
~ সান্দাকফুর তথ্য~ সান্দাকফু ট্রেকরুট ম্যাপ~সান্দাকফুর আরও ছবি ~
অনেক দিন একসঙ্গে কোথাও যাওয়া হয় নি।
অবশেষে মোটে দু'জন যেতে রাজি হল। মার্চের শেষের দিকে দুগ্গা দুগ্গা বলে তিন জন কিছুটা ভয়, কিছুটা আনন্দ, আর কিছুটা রোমাঞ্চ মেশানো অনুভূতি নিয়ে চেপে বসলাম কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে। বহুদিনের ইচ্ছে ছিল কোনও ট্রেকিং-এ পাড়ি দেওয়ার। ঠিক করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম স্থান সান্দাকফুতেই হোক আমাদের হাতেখড়ি। শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার জিপে ঘুম, ঘুম থেকে সুখিয়াপোখরি হয়ে একপেট খিদে নিয়ে কুয়াশা মাখা অষ্পষ্ট দুপুরে হাজির হলাম মানেভঞ্জন। উঠলাম পূর্বশ্রুত জীবন ছেত্রির হোটেলে। জীবন দাজুর আন্তরিক ব্যবহার আর ঝকঝকে বাংলা ভাষা মনে দাগ কেটে গেল। ডাল, ফুলকপির তরকারি আর ডিমের ঝোল দিয়ে অসাধারণ লাঞ্চ সেরে গেলাম আমাদের গাইড ঠিক করতে আর অন্যান্য প্রস্তুতি সেরে ফেলতে। হাসি হাসি মুখের প্রায় বাচ্চা ছেলে রবিন ছেত্রিকে দেখে প্রথম দর্শনেই ভালো লাগল। এই ভেবে ভরসা পেলাম যাত্রাপথে একজন কথাবলার সঙ্গী পাওয়া যাবে, একে আমাদের খুব ছোট দল তার ওপর বন্ধু রাজীব খুব চুপচাপ।
পরদিন সকাল সকাল চা খেয়ে যাত্রা শুরু প্রথম দিনের গন্তব্য তুমলিং –এর উদ্দেশ্যে। শুরুতেই বেশ খাড়া রাস্তা। মনটা দমে গেল, মনে হল পারব তো? প্রিয়জনদের আপত্তি সত্ত্বেও ঢাক ঢোল পিটিয়ে বেরিয়েছি, শেষে কি লজ্জার মাথা খেয়ে ল্যান্ডরোভার চেপেই যেতে হবে সান্দাকফু? যাই হোক এক সময় হাঁফাতে হাঁফাতে গিয়ে পৌঁছাই এই রাস্তার প্রথম জনপদ চিত্রে। সামান্য ব্রেকফাস্ট আর বিশ্রামের পর ফের হাঁটা শুরু। এবার রাস্তা আর অত চড়াই নয়। কখনও সবুজ ঘাসের গালিচার ওপর দিয়ে কখনো ম্যাগনোলিয়া গাছের ছায়ায় ঢাকা বনবীথি ধরে এগিয়ে চলি। অচিরে এসে গেল ছোট্ট গ্রাম লামেধুরা। ক্ষণিকের বিশ্রাম শেষে ক্লান্ত পদযুগল নিয়ে আবার যাত্রা শুরু। এবার যেন রাস্তা আর ফুরোতে চায় না। পথে আলাপ হল অনেক ট্রেকিং দলের সঙ্গে। ভালো লাগল সল্টলেকের এক ভদ্রলোকের দেখা পেয়ে। তিনি যৌবনে এইচএমআই থেকে কোর্স করেছিলেন আর এখন দুই কন্যা আর স্ত্রীকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন। কথায় কথায় সময় কখন কেটে গেল। রবিনের কাছে নেপালি শিখতে শিখতে এসে পড়লাম নেপাল সীমান্তের ছোট্ট গ্রাম মেঘমা।
মেঘমা! – কে রেখেছিল অমন মিষ্টি নাম? এখানে ভীড় করে এল যতো রাজ্যের মেঘ, দু'হাত দূরের মানুষকেও চেনা দায়। মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলতে খেলতে এগিয়ে চললাম আমরা চারমূর্তি আঁকা বাঁকা রাস্তা ধরে - পথ চলা...ক্রমশ চলা... । এভাবেই ক্লান্তি আর ভালো লাগা মিলে মিশে একাকার। আর যখন পারছিনা...যখন পিঠের বোঝা জগদ্দল পাথরের মত জাঁকিয়ে বসছে তখনই মেঘের আড়ালে কিছু বাড়িঘর দেখা গেল। রবিন জানান দিল, ওটাই তুমলিং। পরিস্কার আবহাওয়া থাকলে নাকি এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা খুব ভালো দেখা যায়। প্রথম দিনের প্রায় পনেরো কিলোমিটার পথ হেঁটে ফেলেছি। আজকের মতো যাত্রা শেষে এখানেই রাতের আশ্রয়। লজে প্রবল ঠাণ্ডায় রাতের খাওয়া সেরে আমরা যখন নরম লেপের আদরে তখন ঘড়ি বলছে কলকাতায় এখন সন্ধের চা খাওয়ার সময়ও হয় নি।
পরদিন নুডুলস আর চা দিয়ে কোনোরকমে ব্রেকফাস্ট সেরে আবার যাত্রা শুরু। কিছুক্ষণের মধ্যে এসে পৌঁছাই সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশ দ্বারে। নাম এন্ট্রি করে টাকা পয়সা জমা দিয়ে আবার এগোনো। এবার রাস্তা নীচের দিকে নামতে থাকে। ক্রমশ চোখে পরে রাস্তার ধারে ফুলের ভারে নুয়ে পড়া রডোডেনড্রন গাছের সারি...আলো হয়ে যায় চারদিক...বসন্ত এসে গেছে।
মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফুর দূরত্ব ৩১ কিমি। সিংগালিলা অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে পথ। পারমিট করে নিয়ে যাত্রা শুরু। পাইন ঘেরা চড়াই পথ ধরে চলতে শুরু করলাম। মাঝে মাঝে বিশ্রাম, তার সঙ্গে সুন্দর কিছু দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করা। দেড় ঘণ্টা পর পৌঁছালাম ৪ কিমি দূরে চিত্রে গ্রাম। চিত্রেতে জলখাবারের বিরতি। ম্যাগি, চা আর সঙ্গে আনা কেক সহযোগে জলখাবার ভালই হল। আবার যাত্রা শুরু। এখান থেকে চড়াই কিছু কম। কখনও ছোট গাছ আবার কখনও জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পথ। অনেক ওষধি গাছ বা গুল্ম এই পথে পাওয়া যায়। গাইড অনেক রকম গাছ আর গুল্ম দেখাতে দেখাতে নিয়ে চললেন। বেলা ১১ টা নাগাদ এলাম মাত্র ৩-৪ ঘর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের বসতি লামেধুরা গ্রামে। আকাশ তখন মেঘে ঢেকে গেছে। একটু বিশ্রাম নিয়ে এগিয়ে চললাম। দিদি ইতিমধ্যে অনেকটা এগিয়ে গেছে, মাঝে আমি আর বোন আর দুই জামাই একেবারে পিছনে। বেলা ১ টা নাগাদ পৌঁছলাম মেঘমাতে। মেঘে ঢাকা মেঘমা, এক হাত দূরের জিনিসও দেখা দুষ্কর। সেনাবাহিনীর শিবিরে সবার নাম নথিভুক্ত করিয়ে প্রবল শীতের মধ্যে চন্দ্র স্যারের দোকানে গিয়ে বসলাম। দু গ্লাস করে গরম জল খেয়ে মনে হল দেহে যেন সাড় এল। চা খেয়ে বসে রইলাম কিন্তু বাকিদের পাত্তা নেই। বেলা ৩ টে নাগাদ আমি আর দিদি আবার চলা শুরু করলাম। গাইডকে বাকিদের জন্য অপেক্ষা করতে বলে এলাম। একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি। সেই মানেভঞ্জন থেকেই আমাদের সাথী একটা করে কুকুর। প্রথমটি চিত্রেতে এসে চলে যায়। চিত্রে থেকে অন্য একটা কুকুর আমাদের সঙ্গী হয়। মেঘমা থেকে সেও আমাদের গাইড। ঘন মেঘে ঢাকা পথ ধরে কুকুরটির পাশে পাশে ১৫-২০ মিনিট হাঁটার পর হঠাৎ মেঘ কেটে গেল, দেখি সামনে সুন্দরী টুমলিং। প্রথমেই পড়ল শিখর লজ, আমাদের দ্বিতীয় দিনের আস্তানা। খুব পরিষ্কার করে সাজানো। লজ থেকে বেরিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা! অসাধারণ সেই দৃশ্য।
দু'চোখ ভরে দেখতে দেখতে এগোতে থাকি। এসে পড়ে জৌবাড়ি, তারপর গৈরিবাস। গরম মোমো খেয়ে একটু বিশ্রাম এবং আবার পথে নামা। প্রথম দু'কিলোমিটার বেশ চড়াই, তারপর মোটামুটি আরামদায়ক রাস্তা। আমি আর রাজীব এক সঙ্গে এগোতে থাকি। নাম না জানা পাখি আর ফুলের ছবি তুলতে গিয়ে পিছিয়ে পড়ে বন্ধু অর্জুন আর রবিন। পথে পড়ে ছোট্ট লোকালয় কাইয়াকাট্টা। নির্জন পাহাড়ে কয়েকটা মোটে বাড়ি আর একটা চায়ের দোকান দেখে অবাক হয়ে ভাবতে থাকি এখানকার লোকজনের কী ভাবে সংসার চলে ? কী ভাবেই বা কাটে সময়? আমি আর রাজীব এগোতে থাকি, ক্রমশ পড়ে আসে বেলা, দীর্ঘতর হয় পাইন আর রডোডেনড্রন গাছের ছায়া। এভাবেই দেখা হয় নির্জন রাস্তার ধারে অলস হয়ে পড়ে থাকা কালো রঙের জল ভরা এক পুকুরের সঙ্গে। বুঝি এসে গেছি কালিপোখরি। ওদিকে ঘনিয়ে আসে এক আকাশ কালো মেঘ। একটু এগিয়ে হোটেলে পৌঁছে স্যাক ফেলে ধপ করে বসে পড়ি। চা আর সামান্য খাবারের অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি অর্জুন আর গাইড রবিনের জন্য। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ওদের দেখা নেই। এদিকে বৃষ্টি প্রায় পড়ে পড়ে। ওদেরকে খুঁজতে বেরোবো কিনা ভাবছি, এমন সময় দেখা গেল বেশ খোশ মেজাজেই আসছে অর্জুন আর রবিন। ওরা এসে পৌঁছাতে না পৌঁছাতে নেমে এল আকাশ ভাঙা তুমুল বৃষ্টি।
দার্জিলিং-এ কিছুদিন থাকার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে দিন খুব বৃষ্টি হয়, তার পরদিন ঝকঝকে পরিস্কার আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা তার অপার্থিব রূপ নিয়ে হাজির হয়। তার ওপর রবিন আশার বাণী শোনালো –"কাল বরফ ভি মিল সাকতা হ্যায়"। আমরা নড়ে চড়ে বসি, কালই আমরা সান্দাকফু উঠব...দেখা যাক কপালে কী আছে। কনকনে ঠাণ্ডায় গরম গরম ভাত, ডাল, বীনের তরকারি আর ডিমের ডালনা দিয়ে অমৃতসম ডিনার খেয়ে সকাল সকাল লেপের মধ্যে ঢুকলাম। ঘুম আসার আগে পর্যন্ত মাথার ভিতর রুমঝুম বাজতে লাগল... সান্দাকফু... কাঞ্চনজঙ্ঘা... বরফ...। হোটেলের টিনের চালে তখনও একটানা বেজে চলেছে বৃষ্টির সেতার।
পরদিন সকাল। সময়, মঞ্চশয্যা, প্রেক্ষাপট – সবই পূর্বদিনের মতো। আমরা আবার হাঁটছি। কেবল উৎসাহ আগের দু'দিনের থেকে অনেক বেশি। সকাল থেকেই সোনা রোদে ভেসে গেছে চারপাশ। আকাশে এক টুকরো মেঘও কোথাও নেই। ইতিমধ্যে রবিন কী ভাবে জানতে পেরেছে সান্দাকফুতে সত্যি সত্যি তুষারপাত হয়েছে আর প্রায় সপ্তাহ খানিক পর কাঞ্চনজঙ্ঘা সহ পুরো ১৮০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যাচ্ছে। কাজেই আনন্দে আমরা লাফিয়ে লাফিয়ে চলছি। খুব দ্রুত এসে গেল বিকেভঞ্জন। চা খেয়ে ফের পথে। এবার রাস্তা বেশ খাড়াই। তবু আমরা যতটা সম্ভব দ্রুত এগিয়ে চললাম। সান্দাকফুর এক কিলোমিটার আগে প্রথম বার দেখলাম রাস্তার ধারে বরফ। তার পরেই চোখে পড়ল মাউন্ট পান্ডিম... ক্রমশ অন্যান্য চূড়া।
মনে হল জীবন বড় সুন্দর...বেঁচে থাকা বড় ভালো...।
পৌঁছে গেলাম সান্দাকফু, পূরণ হল বহুদিনের সাধ। গতকাল রাত্রের পড়া বরফ ছড়িয়ে আছে সর্বত্র, বাড়ি আর হোটেলের টিনের চাল সব সাদা। আমরা পি ডবলু ডি –র বাংলোতে গিয়ে উঠলাম। পিঠের স্যাক রেখেই ছুটলাম ছবি তুলতে। উত্তর দিগন্তে তখন ভুটানের তুষার শৃঙ্গ থেকে শুরু করে পশ্চিমে একেবারে লোৎসে, এভারেস্ট ছাড়িয়ে আর কিছু পিক দেখা যাচ্ছে। শরীরের সব ক্লান্তি নিমেষে উধাও। ভাবতে অবাক লাগল যে পৃথিবীর সব থেকে উঁচু পাঁচটি পিক-এর চারটিই আমার চোখের সামনে।
বাংলোতে ফিরে গিয়ে গরম গরম নুডলস খেয়ে তিন বন্ধু নানান গল্পে মেতে উঠলাম। সান্দাকফুর পি ডবলু ডি বাংলোটি এককথায় অসাধারণ। আজ আমরা সবাই খুব খুশি। বিকেলের দিকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করল, ঘরের বাইরে বার হওয়া দায়। যত বেলা পড়ে আসছে তত ঠাণ্ডা বাড়ছে আর আমার মনও খারাপ লাগছে…কাল –ই আমরা এ জায়গা ছেড়ে চলে যাব। রাতে ঠাণ্ডায় ভালো করে ঘুম এল না। ভোররাতে সবার আগে চলে গেলাম ভিউ পয়েন্ট। কনকনে ঠাণ্ডা ঝোড়ো হাওয়া বইছে। হাত পা সব অবশ। ঝোড়ো হাওয়াতে ঠিক করে দাঁড়াতে পারছিনা। তবু সব কিছু ভুলিয়ে দিল অসাধারণ এক সূর্যোদয়।
এবার ফেরার পালা। বারবার মনে পড়তে লাগল রবি ঠাকুরের গান-"যখন ভাঙল মিলন মেলা..."। সান্দাকফুকে বিদায় জানিয়ে আমরা নামতে লাগলাম শ্রীখোলার পথে। মনে একটাই আফশোস রয়ে গেল - এ যাত্রায় আর ফালুট যাওয়া হল না। হয়তো সে জন্য আবার ফিরে আসব এ পথে। শ্রীখোলার রাস্তা প্রথম ছয়-সাত কিলোমিটার বেশ আরামদায়ক। রডোডেনড্রন, বাঁশ আর নাম নাজানা সব গাছের ছায়ায় ঢাকা হালকা উতরাই। কোথাও কোথাও বেশ ঘন জঙ্গল। কিন্তু তারপর শুরু ভয়ঙ্কর উতরাই। খুব দ্রুত নীচে নামছে এবড়ো খেবড়ো রাস্তা। বহু নীচে দেখতে পাচ্ছি গুরদুম...দেখেই ভয় লাগছে। হাঁটু আর গোড়ালির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। এর থেকে দেখছি ওপরে ওঠা ঢের সহজ। পথে অন্যান্য যে সব ট্রেকিং দলের সঙ্গে দেখা হল তারা সবাই আজ গুরদুম থাকবে। আমরাই বোধহয় একমাত্র আরও ছয় কিলোমিটার পথ ঠেঙিয়ে শ্রীখোলা যাব। এদিকে আমার হাঁটু বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিয়েছে। যাইহোক এ ভাবেই এসে পড়লাম গুরদুম। তৃপ্তি করে ডাল ভাত সবজি খেয়ে আবার রাস্তায়। পথ আর ফুরোতে চায় না। দেখা হল এক উদাসী পাহাড়ি নদীর সাথে। শ্রী তার নাম, মিষ্টি তার বয়ে যাওয়ার আওয়াজ। এরপর থেকে কখনও শ্রী খোলার পাশে পাশে কখনও বা একটু দূর দিয়ে আমরা চললাম। ক্রমে এসে পড়ল নদীর ধারে অসাধারণ জায়গায় রিভার ভিউ লজ। তখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে , সন্ধেও নেমে এসেছে। এখানেই আমাদের যাত্রা শেষ। কাল শেয়ার জিপ ধরে শিলিগুড়ি তারপর এনজেপি থেকে ট্রেন আর তারপর সেই গতানুগতিক জীবন। কিন্তু একদিকে নদীর গর্জন অন্যদিকে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি, আর লজে কেবল আমরা তিন বন্ধু আর রবিন...সব মিলিয়ে শ্রীখোলাতে কাটানো একরাত সারা জীবন মনে থেকে যাবে।
~ সান্দাকফুর তথ্য ~ সান্দাকফু ট্রেকরুট ম্যাপ ~ সান্দাকফুর আরও ছবি ~
পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক পল্লব চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাণিজ্য কর দফতরের আধিকারিক। ভালোবাসেন নানা ধরণের বই পড়তে। নেশা ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে পরিবারের কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে কাছে বা দূরের ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়া। বেশি পছন্দের পাহাড় আর বন। এক সময় দার্জিলিং-এ চাকরি করেছেন বেশ কিছুদিন। সেই থেকে পাহাড়ের সঙ্গে মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে পড়া।