আকাশ ভরা জল - স্মৃতির নায়াগ্রা
অনিন্দিতা চক্রবর্তী
~ নায়াগ্রার তথ্য ~ নায়াগ্রার আরও ছবি ~
দূর থেকে শোঁ শোঁ করে কোন আওয়াজ ভেসে আসছিল। একটু একটু করে মানুষের বাঁধ ভেঙে কোনমতে সামনে এগোতেই লোহার শক্ত বেড়াজাল। উল্টোদিকে পৃথিবী বিখ্যাত নায়াগ্রা ফলস,তার অবিশ্রান্ত জলধারা কোথা থেকে কোথায় বয়ে চলেছে কে বলতে পারে,আর নীচে রয়েছে মৃত্যুর মত গভীর খাদ। মিউজিকের সঙ্গে তাল রেখে নানান আলোর বর্ণচ্ছটা এক বিশাল জলরাশিকে শুধু স্পর্শ করতে চাইছে। চোখের সামনে যেন আকাশ ভরা জল। শুধুই এক অপূর্ব মুগ্ধতা ...
নিজের দেশ থেকে দূরে আছি দীর্ঘদিন। প্রথম ঢাকা থেকে কলকাতা,তারপর সীমানা ছাড়িয়ে সুদূর আমেরিকা! পুরনো দিনের সিনেমাতে বিলেত যাওয়ার মত বিশাল কিছু একটা ব্যাপার ছিল সেই প্রথমবার আমেরিকা যাত্রার পালাতে।
আমাদের ছোটবেলায় বেড়ানোর মানে ছিল কলকাতা নয় "ইন্ডিয়া" যাওয়া। ইন্ডিয়া আর ঘুরেফিরে দেখা হলনা। ঢাকায় আমাদের শৈশবে জীবনের খুব কাছ ঘেঁষে ঘুরতে যাওয়া বা বেড়ানোর মত বিষয়গুলো চাপা পড়ে যেত! অভিভাবকদের সার্বক্ষণিক তৎপরতায় নিরুপায় পৈত্রিক প্রাণ সেঁধিয়ে যেত নালক কিংবা কঙ্কাবতীর কাহিনিতে। তারপর ঘুমের মধ্যে সেইসব গল্পের দেশে যাওয়া। ছোটবেলার সেই ঘুমের ভেতর যাত্রা সত্যি হয়েছিল একদিন - দার্জিলিং এর ঘুম স্টেশন-এ। না জানি এরপর কতবার পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরেছি আমি,পা ভিজিয়েছি সমুদ্রে। ভেজা বর্ষায় পাহাড়ের বুনোফুলের গন্ধেরা আর মেঘের ধোঁয়ায় ঢেকে থাকা পাহাড় যে স্বর্গীয় সুখ এনে দিয়েছিল সে কথা আর কাকে বোঝাই! লোলেগাঁওর সন্ধে নামা বিকেলে টিলার ওপর নেপালি মেয়ের সেই গরম চা আজ বহুমূল্যের...
মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে যেতে গন্তব্যের কথা ভাবছি। বিমানবালার সদ্য আনা কফি ঘোর ভেঙে দিল আমার। প্লেনের জানলা দিয়ে বাইরে দেখছি নিখাদ এক শুভ্রতাকে। মেঘের বিছানা,না না ওই তো দেখছি সিংহের কিংবা মানুষের মুখ, খেলনা? মেঘ দেখাও খুব ভালো মেডিটেশন হতে পারে। দেখতে দেখতে সেই দেখা-না দেখার বিস্ময় নিয়েই পেরিয়ে যাই নদী, পাহাড়, আটলান্টিক সমুদ্র আরও কত কী! একের পর এক সীমানা ডিঙিয়ে একেবারে পৌছলাম কোন এক আশ্চর্য প্রদীপের দেশে। নায়াগ্রা জলপ্রপাত এর পটভূমিতে।
পৃথিবীর বিখ্যাত এই দর্শনীয় স্থানটি নিউইয়র্ক-এ। উত্তর আমেরিকার সেরা আকর্ষণগুলোর মধ্যে নায়াগ্রা অন্যতম। তখনও বুঝতে পারিনি যে কোনও বিশেষ অভিজ্ঞতার অংশীদার হতে চলেছি। জনসমুদ্রে ভাসমান এই শহরে নায়াগ্রা, আমার দেখা সেই প্রথম কোনও বিস্ময়! কে বলবে প্রায় ১২০০০ বছর আগে বরফ গলে গলে নায়াগ্রা নদী তৈরি করেছে এই জলপ্রপাতের। ইতিহাস বলছে ১৬৭৮ প্রথম ফাদার লুইস হেনিপিন এই বিশাল আকৃতির জলপ্রপাত দেখে মুগ্ধ হন এবং তাঁর শহর ফ্রান্সে ফিরে গিয়ে তাঁর ভ্রমণকাহিনি "দ্য নিউ ডিসকভারি" গ্রন্থের মাধ্যমে পশ্চিমি দেশের মানুষের কাছে এর সৌন্দর্যকে পৌছে দেন। পরবর্তীকালে আমেরিকার অন্যতম প্রাচীন এই স্টেট পার্ক ১৮৮৫ সালে ঐতিহাসিক সংরক্ষিত জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। গ্রীষ্মে তো বটেই এমনকি শীতের সময়ও ফ্রোজেন নায়াগ্রা দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় করেন। সেকেন্ডে ৩১৬০ টন জল প্রবাহিত এই প্রপাত যেকোনও সময় রূপকথার জগতকে মনে করিয়ে দিতে পারে। নিউইয়র্ক সহ কানাডা শহরে এই নদীর অবদানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ ফিশারির বিপুল প্রসার ঘটেছে। ১৯৯৬ সালে নায়াগ্রা করিডোরকে আন্তর্জাতিক 'ইম্পর্ট্যান্ট বার্ড এরিয়া' বা আইবিএ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। নায়াগ্রা নদী আমেরিকা আর কানাডা দুটি দেশের মাঝখানে অবস্থিত। দুই পারে দুই দেশ, কিন্তু এপার ওপার করতে ভিসার প্রয়োজন হয়। তাই পর্যটকেরা উভয় প্রান্ত থেকেই দুদেশকে দূর থেকে দেখে। অনেকেই বলে থাকেন,কানাডার প্রান্ত থেকেই নাকি নায়াগ্রার আসল সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যায়।
"হর্স সু","আমেরিকান ফলস" এবং "ব্রাইডাল ভেইলস" তিন দিক থেকে তিনটি আলাদা অংশে জলপ্রপাতটি বিস্তৃত। আশ্চর্যের বিষয়,বিপদজনক মনে হলেও নায়াগ্রার বেশির ভাগ এলাকা পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখে নেওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ তাদের নিঁখুত কর্মদক্ষতায় ১৬৭ ফুট উচ্চতার এই প্রপাতটিকে সিঁড়ি দিয়ে মুড়ে দিয়েছে পাশ থেকে। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে ট্রেকিং করার অনুভূতিও হতে পারে। এপ্রিল থেকে আগস্ট খুব ভালো সময় নায়াগ্রা ভ্রমণের জন্য। অক্টোবর-নভেম্বরে এই ফলস-এর বেশিরভাগ স্রোতগুলো ঠাণ্ডায় জমে যায়। পুরোপুরি থেমে না গেলেও বেশিরভাগ অংশই সাদা বরফে জমে গিয়ে ভিন্ন দৃশ্য রচনা করে নিঃসন্দেহে।
দিনটি ছিল ৫ই জুলাই। আমেরিকার ইন্ডিপেনডেন্স ডের জন্য সাপ্তাহিক ছুটির মরশুম। সন্ধে হয়ে এসেছিল। সারাদিন ওয়াশিংটনের রাস্তায় ভিনদেশের স্বাধীনতার রঙিন পদযাত্রাকে দেখা এবং নায়াগ্রার জন্য ব্যাকুলতা ছিল প্রথম থেকেই। সন্ধে বলতে তখনও দিনের আলো আছে কিছুটা আর ঠাণ্ডা ফুরফুরে হাওয়া আমাদের ক্লান্তি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল। রাস্তার দুপাশ জুড়ে অসংখ্য মানুষ,তাদের রংবেরঙের পোশাক, স্বাধীনতার ফেস্টুন, মার্কিন পতাকা - যেন সার্বজনীন উৎসব! একটা বিশাল বিল্ডিং জুড়ে এশিয়ান নানা খাবারের দোকান। ইতিউতি গলা হাঁকিয়ে নানা জাতীয় দেশীয় ফুড স্টল। কাবাব, বিরিয়ানি, রোল ইত্যাদি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তৎপর। কলকাতার পর্যটকেরা হঠাৎ করে ভেবে নিতেই পারেন ধর্মতলার কোন অচেনা প্রান্তে এসে পড়েছেন হয়ত!
অবাক হবার পালা সামলাতে সামলাতেই কিছুটা এগিয়ে রাস্তার উল্টোদিকে সুসজ্জিত, মনোরম সবুজের সুউচ্চ পার্ক। এতটাই গোছানো যে হাঁটতে গেলেও অস্বস্তি হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল বেমানান কেউ এসে গেছি বোধহয় ভুল জায়গায়। এখান থেকেই শুরু হল "দি গ্রেট নায়াগ্রা ফলস" এর এলাকা। আমাদের চোখে মনে দারুণ বিস্ময়! প্রথম নায়াগ্রা দর্শন।
গোধূলি যেন বৃষ্টি ভেজা ছন্দে আমাদের সবার চোখে,মনে, হৃদয়ে। অন্ধকার নেমে এল কিছুক্ষণ পড়েই। নায়াগ্রায় তখন সবে সন্ধে, আকাশ ফেটে পড়ছে আতসবাজিতে। ফোন, ক্যামেরা কখন ক্লান্ত হতে হতে বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের কারো হুঁশ নেই। অগুনতি মানুষ রাস্তায় আকাশের আলোর খেলা দেখতে ব্যস্ত।
এখানে থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন নামী দামী হোটেল, রিসর্ট। বিভিন্ন ট্যুর কোম্পানির বাস প্যাকেজেও, ফ্লাইট-এ বা নিজস্ব গাড়িতে, রেন্টাল গাড়ি নিয়েও এখানে ঘুরতে আসা যায়। চাইনিজ এই ট্যুর কোম্পানিগুলোর নানা ধরনের প্যাকেজ আছে। কয়েকমাস আগে থেকে বুক করলে অনেক ডিসকাউন্ট প্যাকেজে ঘুরে আসা যায়। এক রাতের প্যাকেজে কম হলে ২০০ ডলার, নায়াগ্রাসহ অন্যান্য দর্শনীয় জায়গায় ঘুরতে হলে ৪০০ থেকে ৫০০ ডলার হিসেবে ১/২দিন (মাথা প্রতি) দিব্যি ঘুরে আসা যায়। হাজারো পন্থা এখানে বেড়াতে আসার। কিভাবে কোথা থেকে পর্যটক আসবে, সামগ্রিক পরিষেবা নির্ভর করছে তার ওপরে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা পরদিন সকালে একত্রিত হলাম নায়াগ্রাকে দিনের আলোয় দেখার জন্য। এই জলপ্রপাত নিয়ে এখানে ছোট স্টেজ শো দেখানো হয়। শিল্পী কুশলীরা প্রত্যেকে তাদের আপন নৈপুণ্যে "মেড অফ দ্য মিস্ট" অভিনয় করে দেখান। সেটা দেখতে পারা সত্যি এক অভিজ্ঞতা। নায়াগ্রা নিয়ে অনেক মিথ রয়েছে,রয়েছে নানা বিস্ময়। আমেরিকান লোককথায় নানাভাবে নায়াগ্রার ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কেউ বলে থাকেন পথ ভ্রান্ত কোনও উদাসীন পথিক নায়াগ্রার ধারে বসে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন,সে বাঁশির সুরে এমন কিছু ছিল যা প্রকৃতিতেও সংক্রামিত হয়েছিল। বয়ে গেছিল নদী,ভেসে গেছিল দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে। সেই প্রবাহ আর থামেনি। শোনা যায়, নায়াগ্রার সঙ্গে 'হেনো' নামক ঝড় বৃষ্টি দেবতার কাহিনি, আরো অনেক অচেনা অজানা টোটেম ও ট্যাবু মিলে মিশে গেছে এই জলপ্রপাতের কাহিনিতে।
নায়াগ্রার সেরা আকর্ষণ 'মেড অফ দ্য মিস্ট'। কাছ থেকে, নায়াগ্রার জলে ভেসে নায়াগ্রার প্রবল প্রতাপকে ছুঁয়ে দেখা। প্রায় ৩০/৩৫ তলা ওপর থেকে নীচে নেমে, ছোট একটা লঞ্চ বা ক্রূজে ওঠার জন্য আমাদের লাইন দিতে হল। নায়াগ্রা ট্যুরিজমের খুব ভালো ব্যবস্থাপনা। এই জলযান একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই যেতে পারে। একটু এদিক ওদিক হলেই প্রবল তোড়ে ভেসে যাওয়া এমনকি খাদে তলিয়ে যাওয়াটা তেমন কঠিন ব্যাপার নয়। আমরা প্রতি মুহূর্তে অবাক থেকে অবাকতর হচ্ছিলাম। সবাইকে ক্যামেরা, সেল ফোন রেখে যেতে বলা হয়েছিল। প্রত্যেকেই ওয়াটারপ্রুফ প্লাস্টিক কভারে মোড়া যেন জ্যান্ত কোনো বস্তু বা সামান! যত সামনের দিকে এগোচ্ছিলাম ততই কাঁপুনি বাড়ছিল। সাদা থেকে সাদা, শুভ্রতা বোধহয় একেই বলে! চশমা রাখা যাচ্ছিলনা চোখে, বৃষ্টির মত জলের ঝাপটা এসে লাগছিল সর্বত্র। হঠাৎ থমকে গেল আমাদের ছোট্ট তরী। কোনমতে চোখ খুলতেই সেকি দৃশ্য! বিশাল এক জলরাশি আকাশ ভেঙে পড়ছে যেন। বিশ্বাস করতে পারছিলামনা। নিজেকে বড় ছোট লাগছিল। মুহূর্তে মনের মধ্যে যত জমাট বাঁধা বিষয়-আশয় সব ভেঙে পড়ছিল তুচ্ছ হয়ে। ছোটবেলায় ভূগোল বইতে পড়েছিলাম নায়াগ্রার কথা। যা পড়েছি, তাকে চোখে দেখার অভিজ্ঞতা যত লিখব ততই কম হবে। সে এক অনির্বচনীয় মুহূর্ত রচনা। ওপর থেকে অদ্ভুত লাগছিল দেখতে। মেড অফ দ্য মিস্ট সফরে হার না মানা জলের স্রোতে ভেসে থাকার সেই মুহূর্ত ছাপিয়ে যাচ্ছিল সব কিছুকে। আকাশে এত জল কোথা থেকে এল, কী অপূর্ব ঐশ্বরিক সৃষ্টি! সে জলের একটা নদী, নাকি ঝরনা, নাকি হাজার হাজার নদী ও ঝরনা এক সাথে এক ভাবে বয়ে চলেছে নিরন্তর। জলের প্রবল স্রোত দেখে রীতিমত ভয়ও হচ্ছিল অবশ্য।
নায়াগ্রা নদী বয়ে গেছে অনেক দূর। যারা এখানে ঘুরতে আসেন,এই নদীর পাশেই থাকা ওল্ড ফোর্ট কেউ মিস করেননা। প্রায় ৩০০ বছরের ঔপনিবেশিক ফরাসি সভ্যতা, একই সঙ্গে ব্রিটিশ ও আমেরিকান যোদ্ধাদের লড়াই, ওল্ড ফোর্ট-এর ইতিহাসে বিশেষ ভাবে জুড়ে আছে। পর্যটকেরা ফোর্টে প্রবেশ করে হঠাৎ যেন সেই যুগেই পৌঁছে যেতে পারেন অনায়াসে। কলোনিয়াল যুগের মানুষের সাজ পোশাকে তাদের অভ্যর্থনা ও বিনোদন মুগ্ধ করতে সমর্থ। পাথরের তৈরি সুউচ্চ দুর্গ, যুদ্ধাস্ত্র, সৈনিকদের ব্যবহৃত পোশাক কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনকে ইতিহাসের অচেনা পাতায় পৌছিয়ে দেয়। ফোর্টের বাইরে বিশাল জায়গা জুড়ে সবুজের সমারোহ,আর পাথরে বাঁধানো পথ যেন দেখার মত। যেদিকেই তাকাই মুগ্ধ হয়ে যাই।
আসলে জীবনে যা কিছু প্রথম, তার অনুভূতি যতই বিনিময় করিনা কেন তা যেন অব্যক্তই থেকে যায়। ইতিহাসের সঙ্গে মিথ আর এই সময়ের আলো ছায়া মিশে প্রতিদিনই নায়াগ্রাকে যেন নতুন করে। এই অভিজ্ঞতা শুধু মূল্যবান স্মৃতিই নয়, সবার সঙ্গে বিনিময় করে নেওয়ার মত আনন্দেরও। মন থেকে মনে তার সংক্রমণ থাকুক অব্যাহত...
~ নায়াগ্রার তথ্য ~ নায়াগ্রার আরও ছবি ~
অনিন্দিতা চক্রবর্তীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের ঢাকা শহরে। ২০০৩ সালে স্কলারশিপ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ শুরু। স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর ও গবেষণা একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দীর্ঘদিন ধরে দুই বাংলাকে দেখেছেন কাছ থেকে। পরবর্তী কালে আমেরিকায় বসবাস। কলকাতা ও কলকাতার বাইরে গবেষণার কাজে এবং শুধু ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক জায়গায় বেড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমেরিকাতে এসেও ঘুরে বেড়ানোর নেশা তাঁর পিছু ছাড়েনি। সেইসব অভিজ্ঞতাকে লিখে রাখতে ভালোবাসেন। যাযাবরধর্মীভাবে বেঁচে থাকাটাই তাঁর কাছে সহজতর হয়ে উঠেছে।