মেঘ কুয়াশায় একা একা এলোমেলো
তুহিন দাশ খোকন
~ দার্জিলিং-কালিম্পং-লাভার তথ্য ~ দার্জিলিং-এর আরো ছবি ~
বাইরে ছাইরঙা বিকেল। কম্বলের ভেতর থেকে শুধু মাথাটা বের করে জানলার দিকে তাকালাম। আকাশে মেঘ আছে কিনা বুঝলাম না। সস্তা হোটেল, রুম হিটারের ব্যবস্থা নেই। শার্শি বন্ধ থাকলেও এমন শীত করছে যে মনে হচ্ছে প্রবল জ্বর এসেছে বুঝি! একেবারেই ভালো লাগছে না। গ্যাংটক যেতে না পারার দুঃখটা বার বার বুকে মোচড় দিচ্ছে। ধীরে ধীরে বাইরের ছাইরঙা বিকেলটা মরে পোড়া কয়লার মতো হয়ে এলো,ভেতরের বিরক্তি আর গোপন অবসাদ নিয়ে বিছানা ছাড়লাম। কলকাতার আদিবাসিন্দা জানা বাবুর হোটেলে উঠেছি আজ দুপুরেই। শিলিগুড়ি থেকে যে জিপে দার্জিলিং এসেছি তারই ড্রাইভার শচিন এই হোটেলের সন্ধান দিয়েছে। স্নান সেরে ভারী জামা কাপড় চাপিয়ে বাইরে বেরোলাম।
ম্যাল-এ রোদ পড়ে এসেছে। লোকজনের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালি যুবতীকে দেখতে পেলাম। একটা আধভেজা ঠাণ্ডা বেঞ্চে বসে সিগারেট ধরালাম। যা ঠাণ্ডা পড়েছে তাতে এই মুহূর্তে খানিকটা ব্র্যান্ডি পেলে ভালো লাগতো; কিন্তু সূর্যাস্তের ঠিক আগে এই মুহূর্তটাতে লিকার শপে ঢুকতে ইচ্ছে হলো না।
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। লাল আকাশটার কোনো একদিকে সূর্য! এই সময় সূর্যের রশ্মিগুলো আলাদাভাবে দেখতে পাওয়া যায়। একটু কল্পনা করলাম - সন্ধ্যা বেলার সূর্য থেকে অসংখ্য লাল রঙের স্বপ্ন পৃথিবীতে ঝরে পড়ছে মনে হলো।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বেশিক্ষণ বসা গেল না। শচিনের নির্দেশিত পথে হাঁটতে হাঁটতে এক সময় খুঁজে পেলাম শিরিং এয়ামোদের উডেন হোম কাম রেস্টুরেন্ট। বিশ বছর বয়সী সুন্দরী নেপালি যুবতী শিরিং শিলিগুড়ির এক নার্সিং হোমের ছাত্রী, শচিনের কাজিন। যে ক'দিন দার্জিলিং আছি এখানেই সস্তায় খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নেপালি এই পরিবার গত বিশ বছর যাবত দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। শিরিংয়ের মা হাউজ ওয়াইফ, বাবা জিপ ড্রাইভার। বড়বোনের বিয়ে হলেও ছেলেপুলেসহ সে এখন বাপের বাড়িতেই। আধ কাঠা জমির ওপর কাঠের নির্মিত ডুপ্লেক্স বাড়িটাই এদের বাসস্থান ও অর্থ উপার্জনকেন্দ্র। ভর সন্ধ্যাবেলাতেই ডিনার সারলাম প্রচণ্ড ঝাল দেওয়া চিকেন ও চীনে মূলার সালাদ দিয়ে। অ্যাডভান্স দেওয়া ছিল, খাওয়া শেষে শিরিংয়ের বড় বোন ডেজার্ট হিসেবে নিয়ে এলো ছোট্ট গ্লাস ভর্তি ঘরে তৈরি ওয়াইন। আমার ইতস্তত ভাব দেখে হিন্দি ভাষায় সে যা বোঝালো বাংলা তর্জমা করলে তার অর্থ দাঁড়ায় - 'ইহা পান করিলে খাদ্য ভালো হজম হইবে, শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাইবে, প্রাতঃকৃত্যে স্বস্তি লাভ করা যাইবে...'। এত গুণাবলী বিশিষ্ট তরল পান না করে পারা যায়! আগ্রহ ভরে গলায় ঢাললাম; তরল আগুন জ্বলতে জ্বলতে নেমে গেল পেটে। নির্মাতা অর্থাৎ শিরিংয়ের বোন সাংকেতিক ভ্রূ উঁচিয়ে 'কেমন' জানতে চাইলে তর্জনী ও বৃদ্ধাঙ্গুল এক করে সন্তুষ্টির সিগনাল দিলাম, যদিও ততক্ষণে বিস্বাদে ছেয়ে গেছে ভেতরটা। শুভ রাত্রি জানিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার ভেতর কুঁজো হয়ে দ্রুত হাঁটলাম। হোটেলে ঢোকার মুখেই জানা বাবু ধরে বসলেন,'আরে মশাই এই সন্ধ্যা বেলাতেই (তখন রাত আটটা) ঘুমাবেন কী, আসুন একটু গল্পসল্প করা যাক। অনেকদিন পর একজন বাংলাদেশি ভাইয়ের দেখা পেলাম। 'অনেকদিন'- প্রশ্নবোধক চোখে তাকাতেই জানা বাবু জানালেন দার্জিলিং এখন বড্ড অশান্ত। পৃথক প্রাদেশিক সরকারের দাবিতে গোর্খারা প্রায়শই বন্ধ ডাকছে। খুনোখুনিও হয়ে গেছে বেশ কয়েকটা। সব মিলিয়ে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। মনে মনে আমার শঙ্কিত হয়ে ওঠাকে লক্ষ্য করে তিনি জানালেন যে বিদেশি বোর্ডার হিসেবে ইতিমধ্যেই তিনি আমার পাসপোর্ট কপিসহ অন্যান্য তথ্য স্থানীয় থানায় জমা দিয়েছেন নিরাপত্তার খাতিরে। এসময় মি.সিন্হা (নামটি যদিও পরে জেনেছি) ঢুকলেন হাতে হুইস্কির বোতল নিয়ে। পরিচয় পর্ব শেষে জানতে চাইলেন দার্জিলিংয়ে এই প্রথম কিনা? জানালাম এ নিয়ে তৃতীয়বার। দার্জিলিং কি খুব ভালো লাগে জানতে চাইলে তাকে গ্যাংটক ভ্রমণের বিফল নাটকটি সংক্ষেপে বললাম। মি.সিনহা প্রস্তাব দিলেন যে উনি অনায়াসেই আমাকে গ্যাংটক নিয়ে যেতে পারবেন। উৎসুক হলাম, জিজ্ঞেস করলাম কীভাবে। উত্তরে তিনি যে উপায় বললেন তা মোটেও পছন্দ হলো না আমার। পরিবর্তে আমার অদেখা কোনো জায়গায় নিয়ে যাবার অনুরোধ করলাম। এ জায়গা ও জায়গা হয়ে শেষে কালিম্পং ও লাভার কথা এলো। এর মধ্যে মি.সিন্হা লাভার যে বর্ণনা দিলেন তাতে তখনই রওনা হতে ইচ্ছে হলো। অবশেষে ঠিক হলো আগামীকাল সকাল ন'টা নাগাদ রওনা হবো। হোটেল রুম দু'দিনের জন্যে বুকিং ছিল। তাই জানা বাবু খানিকটা বুঝি অসন্তুষ্টই হলেন একদিনের বুকিং বাতিলের কারণে; বিশেষতঃ এখন যখন পর্যটকের ভয়াবহ সংকট।
রুমে ফিরে জিনিসপত্তর গুছিয়ে রেখে পুরু কম্বলের তলায় ঢুকলাম। চোখ বুজলাম ঘুমাবার উদ্দেশ্যে, কিন্তু ঘুম আসছে না। শুধু এলোমেলো ভাবনা বিপুল জলরাশির মতো ভিড় করছে মাথায়। তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না, ইন্টারকমের জোরালো আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল। বেলা আটটা বেজে গেছে। আধ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে নামতেই জানা বাবু জানালেন মি.সিনহা বিশেষ কাজে কলকাতা গেছেন। অবশ্য চিন্তার কোনো কারণ নেই কারণ জানা বাবুই আমার লাভা ও কালিম্পং যাবার বন্দোবস্ত করেই রেখেছেন। সাড়ে ন'টায় আমার জন্য নির্ধারিত গাড়ি আসবে,আমি যেন তার আগেই ব্রেকফাস্ট সেরে আসি।
সকালের ধোঁয়াশে দার্জিলিং ভেদ করে যখন শিরিংদের রেস্টুরেন্টে পৌঁছলাম তখন তাদের রুটি বানানো শেষ হয়নি। মিনিট পনের তাই বসতেই হলো। নাস্তা সেরে বিদায় নেবার সময় এই নেপালি পরিবারের নিখাদ আন্তরিকতা হৃদয় ছুঁলো আমার। শিরিংকে সাথে করে কাছের সুভেনির শপে গেলাম; দোকানগুলো তখন সবেমাত্র খুলছে। মাঝারি দামের এক সেট স্টোনের অর্নামেন্ট গিফট দিলাম শিরিংকে। তার চোখের কোণ তখন চিকচিক করছে; বিদায় নিলাম, জানি না আর কখনও দেখা হবে কিনা।
কাঁটায় কাঁটায় দশটায় রওনা হলাম কালিম্পং-এর উদ্দেশ্যে। সতের'শ রুপির চুক্তিতে দার্জিলিং-কালিম্পং-লাভা-কালিম্পং। দার্জিলিং থেকে সড়ক পথে কালিম্পং-এর দূরত্ব পঞ্চান্ন কিলোমিটার। উঁচু নীচু পাহাড়ি পথ। মেঘমুক্ত দিন তাই প্রায় মিনিট দশেক ধরে কাঞ্চনজঙ্ঘা আমাদের সঙ্গী হল - বরফশুভ্র চূড়া মাঝে মাঝে ঝলসে উঠছে সূর্যের তির্যক রশ্মি লেগে। মিনিট পনের পরে ড্রাইভার একটি ছোট্ট হিল স্টেশনে চা বিরতি দিলো। অনেকটা টং-ঘরের স্টাইলে নির্মিত টি স্টলের জানলার ধারে বসেছি। ঘনদুধের চা'য়ে চুমুক দিতে দিতে আশপাশের জঙ্গলের নিবিড় সবুজ দেখতে লাগলাম। চড়া রোদের কারণে ঠাণ্ডা ভাবটা অনেক কমে এসেছে। ঠিক এই মুহূর্তের অনুভূতি আসলে ব্যাখ্যাতীত। আমি একা, সুবিশাল এ পাহাড়ি অরণ্যে; এই নিঃসঙ্গতাই অদ্ভুতভাবে ভালো লাগতে লাগলো।
বিরতি শেষে গাড়ি আবার চলা শুরু করলে পিছনের সিটে হেলান দিয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলাম। ড্রাইভারের ডাকাডাকিতে চোখ মেলে দেখলাম খুব বেশি চওড়া নয় এমন চারটি রাস্তার সঙ্গমস্থলে গাড়ি দাঁড়িয়ে। আশেপাশে আরও অনেকগুলো গাড়ি, দোকান পাট, মানুষের ভিড়। জিজ্ঞেস করে জানলাম এটাই কালিম্পং-এর বাসস্ট্যান্ড। কালিম্পং-এর বিভিন্ন গ্রাম এখান থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে নানান দিকে। গাড়িতে তেল ভরতে হবে এখানে। পেটেও খিদে জানান দিচ্ছে। তাই ভেজিটেবল রোল ও খানিকটা চাউমিন সহকারে লাঞ্চ সারলাম। তারপর প্রথমে ফ্লাস্কের গরম জলে তারপর ঠাণ্ডা জলে মুখ হাত ধুয়ে নিলাম। একেবারে তরতাজা অনুভূতি হলো।
আমার গন্তব্য কালিম্পং-এর পঁয়ত্রিশ মাইল পূর্বের পাহাড় চূড়া 'লাভা'। দু'পাশে ঘাসের সবুজ গালিচা সদৃশ ক্ষুদ্র প্রান্তর - মাঝে সাপের মতো লকলকিয়ে উঠে গেছে পিচ ঢালা মসৃণ কালো রাস্তা। পুরোটা পথই একেবারে খাড়া উঠেছে লাভা অব্দি। বাইরে থেকে যা দেখলাম তাতে লাভাকে পাহাড় চূড়ার একটি উদ্যান মনে হলো। টিকিট কেটে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়লাম ভেতরে। ঢুকেই নিঃশ্বাস আটকে গেল রকমারি পুষ্প উদ্যানের শোভা দেখে। দেশি-বিদেশি অজস্র ফুলের গালিচা কেউ যেন বিছিয়ে রেখেছে পার্কওয়ের দু'পাশ জুড়ে। একটু উঁচুতে হেঁটে উঠে দেখলাম সবুজ ঘাসে মোড়া ছোট একটি মাঠ যার একপাশে টিউডোর রিভাইভাল আর্কিটেকচারে গড়ে তোলা তিন তলা একটি হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট। প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্যের একপাশে এই একমাত্র মূর্ত দালান যা ছবির মতো দাঁড়িয়ে আছে। যদিও থাকবার কোন সুযোগ নেই,তাও স্রেফ কৌতুহলে হোটেলটিতে ঢুকলাম। স্কটিশ ঢঙে ইন্টেরিয়র করা চমৎকার ভেতরের পরিবেশ। সময় স্বল্পতার কারণে একটু পরেই চলে এলাম আবার উদ্যানের মাঝে। হাঁটার জন্যে উন্নত পেভিং ব্লকে নির্মিত ওয়াকওয়ে, দু'পাশে উজ্জ্বল রঙের ফুলের গাছ। আর তারই মাঝে মাঝে সারিবদ্ধ ফার ট্রির সমারোহ। এবার আসা যাক লাভার আসল সৌন্দর্যের বর্ণনায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে লাভার উচ্চতা ও সূচালমুখী গঠন আয়তনের কারণে বাতাসের চাপ এখানে অপেক্ষাকৃত কম। ফলে মেঘের দল প্রায়শই থাকে হাতের নাগালে। কখনও কখনও পা ছুঁয়ে যায়। লাভাকে এক কথায় মেঘরাজ্য বা মেঘকন্যাও বলা যায়। প্রচণ্ড উৎসাহ নিয়ে পার্কের বেঞ্চের আশেপাশে ভাসতে থাকা কয়েকটি মেঘের মধ্যে ঢুকে গেলাম। পরক্ষণেই বেড়িয়ে এলাম স্যাঁতস্যাঁতে অনুভূতি ও লেপটানো কাপড় নিয়ে। খেলাটা বেশ জমে গেল কিছুক্ষণের জন্যে। পাহাড়ের চূড়া বেয়ে ধীরে ধীরে মেঘেরা উঠে আসে উদ্যানে আর সে মেঘের মাঝে ডুব দিই আমি। বেড়াতে আসা আশেপাশের অনেক তরুণ তরুণীও আমার দেখাদেখি এই মেঘস্নানে যোগ দিলো। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ছবি তোলা হলো। তারপর পার্কের বেঞ্চিতে শুয়ে শুয়ে ধোঁয়াশে আকাশ দেখতে লাগলাম।
এভাবে কতক্ষণ ছিলাম জানি না,ড্রাইভার এসে ডাকতেই ঘড়ি দেখলাম,বেলা তিনটা। সমতলে অর্থাৎ শিলিগুড়িতে পৌঁছুতে পৌঁছুতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। ড্রাইভারের পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম মূল ফটকের কাছাকাছি। এতক্ষণ যা চোখে পড়েনি এবার তা দেখলাম। বামদিকে ঢালুতে বিশাল এক কৃত্রিম জলাশয়,যদিও বৃষ্টির অভাবে জল তখন নিঃশেষ প্রায়। পাড়ের কাছে ছোট ছোট রঙিন বোট দেখে বুঝলাম এখানে রাইডিং-এর ব্যবস্থাও আছে।
ফিরতি পথে কালিম্পং-এ গাড়ি বদল করে শেয়ার জিপে চড়ে যখন শিলিগুড়ি পৌঁছালাম তখন সন্ধ্যা নামছে তার অন্ধকারের পাখা মেলে। গতকাল রাতেই ফোনে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাই হাতে অঢেল সময় কাটাতে কিছু খুঁজে না পেয়ে দু'তিনটে শপিং মল ঘুরে ঘুরে দেখলাম। কিছুক্ষণ সময় কাটালাম সাইবার ক্যাফেতে। রাত আটটা বেজে এলে রিকশা ধরে পৌঁছে গেলাম নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন স্টেশনে। প্ল্যাটফর্মেই এক দোকান থেকে রুটি ও আলুর সুস্বাদু তরকারি সহযোগে ডিনার সারলাম। ডেজার্ট হিসেবে খেলাম দু'পিস পাহাড়ি মিষ্টি পেঁপে।
মধ্যরাত্রি উতরে গেছে কখন। লালচে আভার আকাশ দেখে ঝড় আসবে মনে হলো। প্ল্যাটফর্মে লোকের আনাগোনাও কমে গেছে। পাশের বেঞ্চে বসে থাকা কয়েকটি পরিবার গল্পরত, এলোমেলো হাওয়া তাদের আলাপচারিতার শব্দাংশ উড়িয়ে নিচ্ছে। অন্ধকারে কারো মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎই নিজেকে খুব একা মনে হলো। মনে হল এভাবে নিঃসঙ্গ ঘোরার চেয়ে এবার থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়িয়ে পড়ব। এসব ভাবতে ভাবতেই দেখি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে, প্রায় আড়াই ঘণ্টা লেট।
জানালার ধারে বসে দেখলাম মেঘেদের ভিড়, জ্যোৎস্না রাত। অবতল চাঁদের ছেঁড়া ছেঁড়া জ্যোৎস্না। ট্রেন চলার ধারাবাহিক শব্দ ছাড়া অন্য কোন শব্দ নেই। শহরের কোলাহল এখানে পৌঁছোয় না।
~ দার্জিলিং-কালিম্পং-লাভার তথ্য ~ দার্জিলিং-এর আরো ছবি ~
মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানীতে কর্মরত তুহিনের বেড়ানোর নেশা ছোটবেলা থেকেই। বড় হয়ে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ফটোগ্রাফিও। বই পড়া ও গান শোনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও করছেন বেশ কয়েকবছর ধরেই।