~ ১ম বর্ষ ২য় সংখ্যা - ভাদ্র-আশ্বিন ১৪১৮~
উৎসবের মেজাজ আকাশে -বাতাসে, নীল -সাদা মেঘে, এমনকী ঝিরঝিরে -ঝমঝমে বৃষ্টিতেও। উৎসব মানেই ছুটি – প্রতিদিনের ধরাবাঁধা জীবন থেকে – বেরিয়ে পড়া ঘরের বাইরে কিংবা হারিয়ে যাওয়া মনে মনেই জানা-অজানা পথে – পাহাড় থেকে সাগরে, লোকালয় থেকে অরণ্যে। সেই হারিয়ে যাওয়ার কথা আর ছবি নিয়েই “আমাদের ছুটি”-র এবারের সংখ্যা।
বৈশাখে প্রথম সংখ্যা বেরোনোর পর থেকে গত কয়েকমাসে চেনা-অচেনা বন্ধুদের পাঠানো লেখায় - আঁকায় -ছবিতে ভরে উঠছে “আমাদের ছুটি”। পাঁচশো-র বেশি বেড়ানোর জায়গার তথ্য, একগুচ্ছ বেড়ানোর প্ল্যান ও জনা চল্লিশ আলোকচিত্রীর পাঠানো হাজারখানেক ছবি সংযোজিত হয়েছে আজ অবধি। আমাদের নিয়মিত পাঠকসংখ্যাও পাঁচশো ছাড়িয়ে ছশো ছুঁইছুঁই।
কেমন লাগছে – “আমাদের ছুটি”? আরও আরও বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে উৎসুক আমরা। “আমাদের ছুটি”-কে সাজিয়ে তুলতে আর কী কী চাই বা চাইনা -যেকোনরকম পরামর্শই লিখুন মতামতের পাতায়। নিয়মিত পাঠাতে থাকুন লেখা আর ছবি। অন্যদের কাছে পৌঁছে দিন “আমাদের ছুটি”-র ওয়েব ঠিকানা। আপনাদের আগ্রহই এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রয়াসকে। আরও বেশি করে পাঠকের তোলা ছবি আর লেখাতেই সেজে উঠুক আগামী সংখ্যাগুলি।
উৎসবের দিনগুলি ঘরে-বাইরে সবার ভালো কাটুক, আনন্দে কাটুক।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায়-
মাথা তুলে দাঁড়াবার এরকম দৃষ্টান্ত পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এর ওপর থেকে পৃথিবীটা দেখা এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা - আশ্চর্য সেই অনুভবের কথা শোনালেন এ বছরের এভারেস্টজয়ী তিন বাঙালি পর্বতারোহী। |
~ আরশিনগর ~
ছবিপটের ছায়ানটে – অভীক আচার্য |
|
এতবছরে মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য। তবু টালির ঘরে বসেও তিরিশ হাজার টাকার লোভনীয় প্রস্তাবের কাছে নতি স্বীকার করে দালালের কাছে বিক্রি করে দেননি তাঁর সংগ্রহের দেড়শো বছরের প্রাচীন পট। ঘনশ্যাম পটুয়ার বিচিত্র কথা শুনতে শুনতে আমরা লেখক-পাঠক মুখোমুখি হই নিজেদের। |
পায়ে পায়ে পাহাড়ে – বিশ্বনাথ মিত্র |
|
রহস্যময়ী মানেভঞ্জন। বাইরের রাতে মেঘের ধোঁয়াশা। ওঠার পথে দুপাশে ম্যাপল আর ওক গাছের সারির স্যালুট। তারপর চিত্রে হয়ে টুমলিং -কালপোখরি। সবশেষে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি মাথায় সান্দাকফু। সারা আকাশ রাঙিয়ে সূর্য যখন ডুবছে স্বচক্ষে দেখতে পেলাম -লোৎসে আর মাকালুর ফাঁক দিয়ে সেই তাকে... |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
অমরনাথের ডায়েরি - অপূর্ব ঘোষ |
|
পহেলগাঁও থেকে বাসে বা গাড়িতে চন্দনবাড়ি পৌঁছে হাঁটা শুরু। ১১২০০ ফুট উঁচু পিসুটপের খাড়াই পেরিয়ে পৌঁছানো শেষনাগে। পরদিন ১৪৮০০ ফুট উচ্চতার মহাগুনাস পাসের কঠিন চড়াই ভেঙ্গে পঞ্চতরণীতে বিশ্রাম। অমরনাথ গুহায় পৌঁছানোর আগে এটাই রাত্রিবাসের শেষ ঠিকানা। এবছর অমরনাথ যাত্রা ছিল ২৯শে জুন থেকে ১৩আগষ্ট। |
কবিতায় চড়ে বান্ধবগড়ে - অভিষেক চট্টোপাধ্যায় |
|
যে ঘর আমরা এসেছি ফেলে সেই সে আদিম সময় |
আকাশের কথা সাগরের কানে - দময়ন্তী দাশগুপ্ত |
|
সফেন-নীল সাগরের গানে মাঝেমধ্যেই মিশছে আকাশের অঝোর বিরহ। জলভেজা বালিপথে ছাপ ফেলে যাচ্ছে সাগরবিলাসী কিছু মানুষ। তীরছোঁয়া ইতিহাস ফিসফিসিয়ে ভাসছে কানের কাছে। ঢেউয়ের তালে শরীরি উষ্ণ ছোঁয়াচ,ওপাশে কাজু ফেনি উথলে ওঠে সূর্যাস্তের পেয়ালায়… |
~ ভুবনডাঙা ~
ভলেনডাম - টুকরো গানের কলি - মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
নেদারল্যান্ডসে আইজে নদীর তীরে শান্ত-স্নিগ্ধ ছবির মতো ছোট্ট গ্রাম ভলেনডাম। যেখানে আজও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে মাঠে ফসল বোনেন গ্রামবাসীরা। জেলেরা মাছ ধরেন নদীতে আর সেই মাছ খেতে স্থানীয় মাছভাজার স্টলগুলোতে পর্যটকদের সঙ্গে ভিড় জমায় মৎস্যভুক পাখির দল। |
~ শেষ পাতা ~
শুশুনিয়া পাহাড় আর এক টেনিদার গল্প - তীর্থঙ্কর ঘোষ ভাসছি রঙিন ক্যানভাসে - নীলাঞ্জন কুণ্ডু
|
কাশফুলের ছবি - বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়