১৩শ বর্ষ
চৈত্র ১৪৩১
গত নভেম্বরে আবার দার্জিলিং-এ গিয়েছিলাম। এবারের নতুন গন্তব্য ছিল দার্জিলিং থেকে ছোট্ট শান্ত পাহাড়ি গ্রাম কোলবং। দার্জিলিং থেকে জোরথাং হয়ে গাড়িতে সহজেই কোলবং পৌঁছান যায়। এখানে তৈরি হচ্ছে বিজ্ঞানবাড়ি প্রজেক্ট। রাস্তা বেশ খারাপ ছিল। কিন্তু তাও খুব ভালোলাগছিল। পথে মাঝে মাঝে ছোট ছোট ঝরনা পড়ছিল। এ গ্রামের পরেই সিকিমের তারামদে অঞ্চল। গ্রামে পৌঁছে একটা ছোট রেস্টুরেন্টে চা খেলাম। তার জানলা দিয়ে সিকিম দেখা যাচ্ছে। শান্ত পরিবেশ। বেশ কয়েক ধাপ সিঁড়ি ভেঙে ওপরে একটি পাহাড়ি স্কুল। সেখানেই কাজ শুরু হবে। কথাবার্তা শেষ হলে গ্রামটা একটু ঘুরে দেখা হল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল-এর পলাশপাই গ্রামে প্রথম এই বিজ্ঞানবাড়ি প্রজেক্ট শুরু করেন বিজ্ঞানপাগল কিছু মানুষ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায়। গ্রামের ছেলেমেয়েরা যাতে সহজে টেলিস্কোপ কিংবা মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে বিজ্ঞানের অজানা জগৎ সম্পর্কে জানতে পারে অথবা বইয়ের পাতায় খুঁজে পায় বিজ্ঞানের অচেনা দুনিয়াকে তারই জন্য এই উদ্যোগ। এই জানায় সঙ্গী হতে পারেন বড়রাও। পলাশপাই-এর পর বসিরহাট-এর উত্তর দেবীপুর-এ আর একটি বিজ্ঞানবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তৃতীয় উদ্যোগ পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম কোলবং-এ। এই সম্পাদকীয় যখন লিখছি ততোদিনে কাজ শুরুও হয়ে গেছে সেখানে।
আমাদের ছুটি ক্রমশই অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। কিছুটা লেখার অভাবে আর অনেকটাই আমার ব্যক্তিগত নানান ব্যস্ততার জন্য। তবে আশা করছি বছরে একটি করে হলেও সংখ্যা প্রকাশ করতে পারব। আর আমাদের ছুটির বন্ধুদেরও পাশে পাব। সকলকে বাংলা নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
~ এই সংখ্যায় ~
![]() |
বেলা ৪টা পর্য্যন্ত পড়ার পর চা খেয়ে আমরা "হাউস্ ডেকরেশন একজিবিশন্" (গৃহসজ্জা-প্রদর্শনী) দেখতে গেলুম। হোয়াইট চ্যাপেল আর্ট গ্যালারীতে এই প্রদর্শনীটা দেখবার মত। বিশেষভাবে গরীব লোকদের অল্প পয়সাতে কেমন সুন্দর করে ঘর সাজান যায়, আর কি রকম বাসন ইত্যাদি ব্যবহার করলে কম পয়সায় ভাল জিনিস পাওয়া যায়, তাও দেখিয়েছে। এটা দেখে আমরা আবার ভূগর্ভ পথ দিয়ে বাড়ী এলুম। – সরোজনলিনী দত্তের কলমে "বিলাতে কদিন" |
~ আরশিনগর ~
![]() |
|
![]() |
|
করোনার আগে ডুয়ার্সে – সুপ্রিয় চক্রবর্তী | ![]() |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
![]() |
|
আরণ্যক রাজস্থান – অরীন্দ্র দে | ![]() |
![]() |
~ ভুবনডাঙা ~
আবার গ্রিসে – শ্রাবণী ব্যানার্জী | ![]() |
~ শেষ পাতা ~
কেওলাদেও ঘানা ন্যাশনাল পার্ক, ভরতপুর - আলোকচিত্রী অরীন্দ্র দে