+ জম্মু - কাশ্মীর |
১ম দিনঃ জম্মু পৌঁছোনো। জম্মু থেকে গাড়িতে কাটরা (৫০ কিমি)। রাত্রিবাস কাটরায়।
২য় দিনঃ কাটরা থেকে বৈষ্ণোদেবী (১৪ কিমি)। রাত্রিবাস বৈষ্ণোদেবীতে।
৩য় দিনঃ বৈষ্ণোদেবী থেকে কাটরা। রাত্রিবাস কাটরায়।
৪র্থ দিনঃ কাটরা থেকে শ্রীনগর(১২৪ কিমি)। রাত্রিবাস শ্রীনগরে।
৫ম দিনঃ শ্রীনগরে লোকাল সাইটসিয়িং(ভোরবেলায় ডাললেকে ফ্লোটিং মার্কেট ও ডাললেক ও নাগিন লেকের মাঝে ভেজিটেবল গার্ডেন, হজরতবাল মসজিদ, মুঘলগার্ডেন, শঙ্করাচার্য মন্দির প্রভৃতি)ও দুপুরে যুসমার্গ(৪৭ কিমি) ঘোরা। রাত্রিবাস শ্রীনগরে।
৬ষ্ঠ দিনঃ শ্রীনগর থেকে গুলমার্গ(৪৬ কিমি) ও রোপওয়েতে চড়ে খিলানমার্গ বেড়িয়ে নেওয়া। রাত্রিবাস শ্রীনগরে।
৭ম দিনঃ সকালে শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ(৫১ কিমি) বেড়িয়ে নেওয়া। বিকেলে ডাললেকে শিকারা ভ্রমণ। রাত্রিবাস শ্রীনগরে।
৮ম দিনঃ শ্রীনগর থেকে পহেলগাঁও(৯০ কিমি)। রাত্রিবাস পহেলগাঁওয়ে।
৯ম দিনঃ পহেলগাঁও লোকাল সাইটসিয়িং। চন্দনবাড়ি(১৬ কিমি) ঘুরে আসা। রাত্রিবাস পহেলগাঁওয়ে।
১০ দিনঃ পহেলগাঁও থেকে জম্মু (৩১৫ কিমি)। রাত্রিবাস জম্মুতে।
১১ দিনঃ ফেরার ট্রেন। |
|
+ লে-লাদাখ |
প্রথম দিনঃ নিউ দিল্লি থেকে বিমানে সকালে লে পৌঁছে সারাদিন বিশ্রাম অথবা আগের দিন মানালি থেকে সড়কপথে রওনা হয়ে পরদিন বিকেলে লে পৌঁছানো। রাত্রিবাস লে।
দ্বিতীয় দিনঃ লে লোকাল ট্যুর – শে প্রাসাদ, থিকসে, হেমিস, স্টাকনা ও সেমো মনাস্ট্রি, শান্তিস্তুপ, লে প্রাসাদ, সরকারি হস্তশিল্পালয় ইত্যাদি। রাত্রিবাস লে।
তৃতীয় দিনঃ লে থেকে প্যাংগং সো – পথে চাংলা, স্পাংমিক ও চেমরে মনাস্ট্রি ঘুরে লে-তে ফিরে আসা। রাত্রিবাস লে।
চতুর্থ দিনঃ খারদুংলা, সুমুর গ্রাম, পানামিক উষ্ণ প্রস্রবণ, সুমুর ও দেসকিট মনাস্ট্রি ঘুরে হুন্ডার-এ পৌঁছানো। রাত্রিবাস হুন্ডারে।
পঞ্চম দিনঃ নুব্রা উপত্যকায় ক্যামেল সাফারি। লে-তে ফিরে রাত কাটানো।
ষষ্ঠ দিনঃ লে - সো-মোরিরি - পথে পড়বে স্তোক, মাথ, উপসি, রুমসে, তাং-লাং-লা, দেবরিং ও সোকার। রাত্রিবাস সো-মোরিরির পাড়ে কোরজোক গ্রামে।
সপ্তম দিনঃ সুমদো, মাহে ব্রিজ, রুমসে, উপসি হয়ে লে-তে ফেরা। রাত্রিবাস লে।
অষ্টম দিনঃ গুরুদ্বার পাথর সাহিব, ম্যাগনেটিক হিল, সঙ্গম নিমু, আলচি, লিকির, খালসে পেরিয়ে আর্যগ্রাম দা। রাত্রিবাস খালসে।
নবম দিনঃ ফাটুলা, নামিকালা, মুনল্যান্ড, লামায়ুরু, মুলবেক, কার্গিল, শঙ্কু ঘুরে পানিখের পৌঁছানো। রাত্রিবাস পানিখের।
দশম দিনঃ সুরু উপত্যকা ভ্রমণ। নানা-কান পিক, পেনজি লা, দারাং দ্রুং গ্লেসিয়ার, রাং দুম, সানি গোম্ফা ঘুরে পাদুম পৌঁছানো। রাত্রিবাস পাদুমে।
একাদশ দিনঃ পাদুম উপত্যকা, জাঁসকার উপত্যকা, সুরু উপত্যকা ঘুরে কার্গিল পৌঁছানো। রাত্রিবাস কার্গিলে।
দ্বাদশ দিনঃ দ্রাস, জোজিলা, বালতাল, সোনমার্গ, খিরভবানী ঘুরে শ্রীনগরে পৌঁছানো। রাত্রিবাস শ্রীনগরে।
ত্রয়োদশ দিনঃ শ্রীনগরে লোকাল সাইট সিয়িং – শঙ্করাচার্য মন্দির, চশমে-শাহি বাগ, পরী মহল, নিশাদ বাগ, শালিমার বাগ, হজরতবাল মসজিদ ইত্যাদি। বিকেল-সন্ধ্যা ডাল লেকে শিকারায়।
চতুর্দশ দিনঃ শ্রীনগর থেকে দিল্লি ফেরা।
কিছু কথাঃ এটা প্রায় সমগ্র লাদাখ ভ্রমণসূচী। সময় ও পকেটের অবস্থা অনুযায়ী সফর কাটছাঁট করা যেতে পারে সুবিধামত। খেয়াল রাখবেন লাদাখ যাওয়ার সেরা সময় ১৫ জুন – ১৫ সেপ্টেম্বর। মে মাসের মাঝামাঝিও এই সফর করা যেতে পারে, কিন্তু অক্টোবর মাসে রওনা দিলে অধিকাংশ রাস্তাই বরফে ঢাকা পড়ে যাবে। |
|
+ কিন্নর |
১ দিনঃ আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে নারকান্দা/সিমলা পৌঁছানো। রাত্রিবাস নারকান্দা/সিমলায়
২ দিনঃ নারকান্দা থেকে সারাহান পৌঁছানো। সারাহানে সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস সারাহানে।
৩ দিনঃ সারাহান থেকে রেকংপিও/কল্পা পৌঁছানো। রাত্রিবাস রেকংপিও/কল্পায়।
৪ দিনঃ কল্পায় সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস কল্পায়।
৫ দিনঃ কল্পা থেকে সাংলায় পৌঁছানো। সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস সাংলায়।
৬ দিনঃ ছিটকুল বেড়িয়ে সাংলায় ফেরা। রাত্রিবাস সাংলায়।
৭ দিনঃ সাংলা থেকে কুফরি/ফাগু/চৈল/সিমলায় পৌঁছানো। রাত্রিবাস কুফরি/ফাগু/চৈল/সিমলায় ।
৮ দিনঃ কুফরি/ফাগু/চৈল/সিমলা থেকে আম্বালায় ফেরার পথে এগনো। |
|
+ কুমায়ুন |
১ দিনঃ দিল্লি থেকে মুক্তেশ্বরের(৩৫০কিলোমিটার, ৮ ঘন্টা) দিকে রওনা। পথে ভীমতাল ও নওকুচিয়াতাল দেখে নেওয়া। রাত্রিবাস মুক্তেশ্বরে।
২ দিনঃ সকালে মুক্তেশ্বরে সাইটসিয়িং (মুক্তেশ্বর মন্দির ও চৌলি কি জালি)। বিকেলে অসাধারণ একটি সূর্যাস্ত উপভোগ করা। রাতে হোটেলে ফেরা।
৩ দিনঃ সকাল সকাল প্রাতরাশ সেরে অ্যাবোটমাউন্টের (১৪০ কিলোমিটার,৬ ঘন্টা) দিকে রওনা। পথে পড়বে দেবধুরায় মা বরাহী মন্দির। বিকেলে পৌঁছে অ্যাবোটমাউন্টে ও লোহাঘাটে সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস অ্যাবোটমাউন্টে।
৪ দিনঃ সকাল সকাল প্রাতরাশ সেরে পিথোরাগড়ের(১১০ কিলোমিটার,৫ ঘন্টা) দিকে যাত্রা। পথে চম্পাবত ঘুরে নেওয়া। বিকেলে পিথোরাগড়ে পৌঁছে সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস পিথোরাগড়ে।
৫ দিনঃ প্রাতরাশ সেরে পিথোরাগড় থেকে পথে দ্রষ্টব্য স্থানগুলি দেখতে দেখতে মুন্সিয়ারির(১৩০ কিলোমিটার,৫ ঘন্টা) দিকে এগিয়ে যাওয়া।
৬ দিনঃ মুন্সিয়ারি ও আশেপাশে বেড়িয়ে নেওয়া।
৭ দিনঃ প্রাতরাশ সেরে পথে দ্রষ্টব্য স্থানগুলি দেখতে দেখতে চৌকরির(৯৫ কিলোমিটার, ৪ ঘন্টা) দিকে এগিয়ে যাওয়া। চৌকরি পৌঁছে হোটেলে দুপুরের খাওয়া সেরে লোকাল সাইটসিয়িং।
৮ দিনঃ প্রাতরাশ সেরে কৌশানির(১২৫ কিলোমিটার,৫ ঘন্টা) দিকে রওনা। পথে পাতাল ভুবনেশ্বর গুহামন্দির দেখে নেওয়া। বিকেলে কৌশানি পৌঁছে হোটেলে চেক ইন। হোটেল থেকে বেরিয়ে বিকেলেই গান্ধী আশ্রম(আন্নাশক্তি আশ্রম) ঘুরে হিমালয়ের বুকে একটি অপরূপ সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করে সন্ধ্যায় হোটেলে ফেরা।
৯ দিনঃ ভোরবেলায় উঠে ভিউ পয়েন্ট থেকে সানরাইজ দেখে ফিরে এসে প্রাতরাশ সেরে সাইটসিয়িং-এ বেড়িয়ে পড়া। দ্রষ্টব্য চা বাগান, চা কারখানা, বাজনাথ ধাম।
১০ দিনঃ প্রাতরাশ সেরে করবেট জাতীয় উদ্যানের(১৯০ কিলোমিটার,৬ ঘন্টা) দিকে রওনা। পথে রানিক্ষেতের দ্রষ্টব্যগুলি দেখে নেওয়া। রানিক্ষেতেই কোথাও দুপুরের খাওয়া সেরে নেওয়া। বিকেলে করবেটে পৌঁছান।
১১ দিনঃ সকালে জিপ সাফারিতে করবেট জাতীয় উদ্যান ঘুরে নেওয়া। সঙ্গে গর্জিয়া মন্দির আর করবেট মিউজিয়াম ঘোরা। বিকেলে ফের জিপ সাফারিতে আবারও অরণ্যভ্রমণ।
১২ দিনঃ দিল্লির(২৮০ কিলোমিটার,৭ ঘন্টা) দিকে ফেরার পথে রওনা। |
|
+ উত্তর সিকিম ও দার্জিলিং |
১ দিনঃ শিলিগুড়ি/ নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছানো। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট/ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন/ তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্যাংটকের(১৩০ কিলোমিটার, ৪ঘন্টা) দিকে রওনা। বিকেলে পৌঁছে হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে আবার বেড়িয়ে পড়া।জিরো পয়েন্ট থেকে আলোকমালায় সজ্জিত শহরটাকে দেখতে অসাধারণ লাগে। নেমে এসে প্রধান বাজার এম জি মার্গে ঘোরাঘুরি, পরের দিনের বেড়ানোর জন্য গাড়ি ঠিক করা। রাত্রিবাস গ্যাংটকে।
২ দিনঃ সকালে গ্যাংটকে লোকাল সাইটসিয়িং(রুমটেক মনাস্ট্রি, টিবেটোলজি, চোর্তেন সৌধ, ফ্লাওয়ার শো, কটেজ ইন্ডাস্ট্রি, নামনাং ভিউ পয়েন্ট, তাশি ভিউ পয়েন্ট, হনুমান টক, গণেশ টক, জুওলজিকাল গার্ডেন, ইঞ্চে মনাস্ট্রি)। এরই ফাঁকে নাথুলার পারমিট করে নেওয়া। বিকেলে মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে ঘুরে বেড়ানো, কেনাকাটা, টাইটানিক পার্কে বসে বিশ্রাম।
৩ দিনঃ ইয়ুমথাং প্যাকেজ(১ রাত ২ দিন) – সকাল সকাল প্রাতরাশ সেরে লাচুং-এর(৬ ঘন্টা) দিকে রওনা। পথে চুংথাং-এ দুপুরের খাওয়া। বিকেলে লাচুং-এর আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো। লাচুং-এ রাত্রিবাস।
৪ দিনঃ সকালে প্রাতরাশ সেরে ইয়ুমথাং-এর পথে এগোনো। উষ্ণ প্রস্রবণ ও ইয়ুমথাং উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করা। হোটেলে ফিরে দুপুরের খাওয়া সেরে গ্যাংটকে ফেরা। রাত্রিবাস গ্যাংটকে।
৫ দিনঃ সকালে প্রাতরাশ সেরে ছাঙ্গু লেকের দিকে রওনা। লেকের ধারে কিছুক্ষণ কাটিয়ে বাবামন্দিরে পৌঁছানো। প্রসাদ খেয়ে এবার এগোনো ইন্দো-চিন সীমান্তে নাথুলা পাসের দিকে। বিকেলে আবার পায়েপায়ে গ্যাংটক ঘুরে বেড়ানো। রাত্রিবাস গ্যাংটকে।
৬ দিনঃ সকালে গ্যাংটক থেকে দার্জিলিং-এর(১৩০ কিলোমিটার, ৪ ঘন্টা) পথে এগোনো। বিকেলে পায়েপায়ে ম্যল আর চক বাজার চত্ত্বরে ঘোরা, কেনাকাটা। রাত্রিবাস দার্জিলিং-এ।
৭ দিনঃ রাত থাকতে উঠে টাইগার হিলে সানসেট দেখার জন্য বেরিয়ে পড়া। একযাত্রাতেই ঘুম মনাস্ট্রি আর বাতাসিয়া লুপ দেখে নেওয়া। ফিরে এসে প্রাতরাশ সেরে দার্জিলিং সাইটসিয়িং( রক গার্ডেন, গঙ্গা মায়া পার্ক, সেভেন পয়েন্টস)। বিকেলে আবার ম্যল-এ ঘুরে বেড়ানো। রাত্রিবাস দার্জিলিং-এ।
৮ দিনঃ সকালে প্রাতরাশ সেরে শিলিগুড়ি/ নিউ জলপাইগুড়ির(১৩০ কিলোমিটার, ৪ ঘন্টা) দিকে রওনা। পথে মিরিক লেক বেড়িয়ে নেওয়া।
|
|
+ লাভা-লোলেগাঁও-কালিম্পং-পেলিং |
১ দিনঃ শিলিগুড়ি/ নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছানো। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট/ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে মালবাজার -ডামডিম হয়ে লোলেগাঁওয়ে পৌঁছানো। রাত্রিবাস লোলেগাঁওয়ে।
২ দিনঃ সকালে লোলেগাঁওয়ে সাইটসিয়িং। বিকেলে রিশপের দিকে রওনা। রাত্রিবাস রিশপে।
৩ দিনঃ সকালে রিশপে সাইটসিয়িং। বিকেলে লাভার দিকে রওনা। রাত্রিবাস লাভায়।
৪ দিনঃ লাভায় সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস লাভায়।
৫ দিনঃ লাভা থেকে কালিম্পং-এর দিকে যাত্রা। রাত্রিবাস কালিম্পং-এ।
৬ দিনঃ কালিম্পং-এ সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস কালিম্পং-এ।
৭ দিনঃ কালিম্পং থেকে পেলিং-এর উদ্দেশ্যে রওনা। রাত্রিবাস পেলিং-এ।
৮ দিনঃ পেলিং-এ সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস পেলিং-এ।
৯ দিনঃ পেলিং থেকে নিউ জলপাইগুড়ির পথে ফেরা।
|
|
+ ডুয়ার্স |
গরুমারা –চাপড়ামারি
১ম দিনঃ বাগডোগরা এয়ারপোর্ট/ নিউ মাল জংশন/নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সামসিং/ সানতালেখোলার দিকে রওনা। রাত্রিবাস সামসিং/ সানতালেখোলা।
২য় দিনঃ সামসিং/ সানতালেখোলা/রকি আইল্যান্ড বেড়ানো। রাত্রিবাস সামসিং/ সানতালেখোলা।
৩য় দিনঃ গাড়িতে ঝালং জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বেড়িয়ে জলঢাকা নদীর পাশে ভুটান সীমান্তে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম বিন্দু। রাত্রিবাস বিন্দু।
৪র্থ দিনঃ সকালে বিন্দু থেকে প্যারেন গ্রাম ঘুরে দুপুরের মধ্যে লাটাগুড়ি পৌঁছানো। বিকেলে গরুমারা অরণ্যে জিপসাফারি (যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচ টাওয়ার)। রাত্রিবাস লাটাগুড়ি।
৫ম দিনঃ ভোরে হাতিসফর –বেলায় মূর্তি নদীর তীরে জঙ্গল দর্শন। বিকেলে খুনিয়া ওয়াচ টাওয়ার। সন্ধ্যায় লাটাগুড়িতে আদিবাসী শিল্পীদের নৃত্য - গীত উপভোগ। রাত্রিবাস লাটাগুড়ি।
৬ষ্ঠ দিনঃ ভোরে চাপড়ামারি ওয়াচটাওয়ার। বিকেলে গরুরগাড়িতে মেদলা অরণ্যে। রাত্রিবাস লাটাগুড়ি।
৭ম দিনঃ লাটাগুড়ি থেকে ফেরার পথে জল্পেশ শিবমন্দির দেখে বাগডোগরা এয়ারপোর্ট/ নিউ মাল জংশন/নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছানো।
বিঃদ্রঃ- গরুমারা এবং চাপড়ামারিতে বনবাংলো আছে অরণ্যের অন্দরে। হাতে সময় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে বনদপ্তর/ রাজ্য পর্যটন দপ্তর থেকে বাংলোর বুকিং করা যায়। বাংলোতে থাকলে অবশ্য নিজেদের রেশন নিয়ে যেতে হবে। তবে রান্নার ব্যবস্থা কেয়ারটেকারই করে দিতে পারবেন।
হাতি সাফারিতে অবশ্যই ১ম/২য় ট্রিপে সুযোগ পাওয়ার চেষ্টা করবেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যপ্রাণী দর্শন পাওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে।
জলদাপাড়া –জয়ন্তী –ফুন্টশোলিং(ভুটান)
১ম দিনঃ আলিপুরদুয়ার/হাসিমারা স্টেশন থেকে বাসে/গাড়িতে মাদারিহাট - জলদাপাড়া অরণ্যের প্রবেশদ্বার। বিকেলে জলদাপাড়ায় জীপসাফারি। রাত্রিবাস মাদারিহাটে।
২য় দিনঃ ভোরে হলং বনবাংলোর সামনে থেকে হাতির পিঠে জঙ্গলভ্রমণ। বেলায় গাড়িতে সাউথ খয়েরবাড়ি অ্যানিমাল রেসকিউ সেন্টার ঘোরা। বিকেলে চিলাপাতা অরণ্য ও নলরাজার গড় বেড়ানো। রাত্রিবাস মাদারিহাটে।
৩য় দিনঃ সকালে ফুন্টশোলিং রওনা। খারবন্দী পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত বৌদ্ধ গুম্ফা দর্শন। দুপুরের খাওয়া ফুন্টশোলিং-এই। বিকেলে জয়ন্তী পৌঁছানো। নদীর ধারে পায়েপায়ে বেড়ানো। রাত্রিবাস জয়ন্তী।
৪র্থ দিনঃ ভোরে বক্সা জঙ্গল বেড়িয়ে এসে ব্রেকফাস্ট সেরে বক্সা দুর্গের উদ্দেশ্যে রওনা। গাড়িতে সান্তালাবাড়ি পৌঁছে শেষ ৫ কিলোমিটার রাস্তা ট্রেকিং। রাত্রিবাস জয়ন্তী।
৫ম দিনঃ ভোরে পুখরিপাহাড় (২ কিলোমিটার) ট্রেক। দুপুরে ফেরার পথে রাজাভাতখাওয়া নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার বেড়িয়ে নিয়ে আলিপুরদুয়ার পৌঁছানো।
বিঃদ্রঃ- হলং বনবাংলোতে থাকতে পারলে জলদাপাড়া ভ্রমণ সর্বাঙ্গীণ হবে। বাংলোর ঘরে বসেই দেখা যাবে অদূরে বন্যপ্রাণীদের – এমনকী গণ্ডার বা হাতিও। ভোরে হাতিসাফারির ১ম ট্রিপটিতে সাধারণতঃ বাংলোর অতিথিরাই অগ্রাধিকার পান। বাংলোতে খাওয়া –দাওয়ারও সুব্যবস্থা আছে। তবে এইসব কারণেই বাংলোর বুকিং মেলা দুর্লভ।
|
|
+ কাজিরাঙ্গা এবং অরুণাচল প্রদেশ (বমডিলা –তাওয়াং সার্কিট) |
১ম দিনঃ ট্রেনে গুয়াহাটি, সেখান থেকে বাসে তেজপুর অথবা সরাসরি ফ্লাইটে তেজপুর পৌঁছানো। গাড়িতে/বাসে কাজিরাঙ্গা। হোটেলে চেক ইন। বিকেলে জিপ সাফারিতে জঙ্গল ভ্রমণ। রাত্রিবাস কাজিরাঙ্গায়।
২য় দিনঃ সকালে হাতির পিঠে অরণ্যভ্রমণ, লোকাল সাইটসিয়িং, বিকেলে জিপ সাফারিতে জঙ্গলে। রাত্রিবাস কাজিরাঙ্গায়।
৩য় দিনঃ কামেং/জিয়াভরলি নদীর তীরে ভালুকপং-এ পৌঁছানো। নদীতে নৌকায় ভ্রমণ। রাত্রিবাস কাজিরাঙ্গায়।
৪র্থ দিনঃ ভালুকপং থেকে দিরাং-এর দিকে রওনা। পথে টিপি অর্কিডিয়াম (রবিবারে বন্ধ) দেখে নেওয়া। টেঙ্গা ও রূপা উপত্যকা পেরিয়ে শেষা ঝরনা দেখে বমডিলায় দুপুরের খাওয়া। বমডিলা আপার মনাস্ট্রি দেখে নিয়ে সন্ধ্যায় দিরাং-এ পৌঁছানো। রাত্রিবাস দিরাং-এ।
৫ম দিনঃ দিরাং-এ সাইট সিয়িং (সাংতি উপত্যকা, দিরাং মনাস্ট্রি ইত্যাদি)। রাত্রিবাস দিরাং-এ।
৬ষ্ঠ দিনঃ দিরাং থেকে তাওয়াং-এর পথে রওনা। পথে চুগ উপত্যকা, হট স্প্রিং, দিরাং ওয়ার মেমোরিয়াল দেখে সে লা পাসে পৌঁছানো। এরপর যশবন্তগড় ওয়ার মেমোরিয়াল, নুরানাং জলপ্রপাত হয়ে সন্ধ্যায় তাওয়াং পৌঁছানো। রাত্রিবাস তাওয়াং-এ।
৭ম দিনঃ তাওয়াং সাইটসিয়িং (তাওয়াং মনাস্ট্রি, হ্যান্ডিক্র্যাফট সেন্টার, তাওয়াং ওয়ার মেমোরিয়াল, আনি মনাস্ট্রি)। রাত্রিবাস তাওয়াং-এ।
৮ম দিনঃ তাওয়াং থেকে তাকসাং মনাস্ট্রি, জুং ঝরনা, সাঙ্গাসার লেক, ওয়াই জাংশন, পিটি সো লেক এবং বুমলা পাস বেড়িয়ে নেওয়া। রাত্রিবাস তাওয়াং-এ।
৯ম দিনঃ একই পথে তাওয়াং থেকে দিরাং হয়ে বমডিলায় ফেরা। হ্যান্ডিক্র্যাফট সেন্টার (রবিবারে বন্ধ) ঘুরে নেওয়া। রাত্রিবাস বমডিলায়।
১০ম দিনঃ বমডিলা লোয়ার মনাস্ট্রি দেখে তেজপুরে ফেরা। রাত্রিবাস তেজপুরে।
১১শ দিনঃ তেজপুর থেকে সরাসরি ফেরার ফ্লাইট অথবা গুয়াহাটি ফিরে ট্রেন ধরা।
বি.দ্রঃ দিরাং থেকে তাওয়াং যেহেতু একইপথে যাতায়াত সেহেতু পথে দ্রষ্টব্যগুলি একবারে না দেখে কয়েকটা ফেরার সময়েও দেখে নেওয়া যায়। হাতে সময় থাকলে দিরাং-এ আর একদিন থেকেও কিছুটা দেখে নেওয়া যায়।
বুমলা পাসে যেতে অনুমতিপত্র লাগবে। তাওয়াং-এ পৌঁছে এব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে।
|
|
+ আগ্রা-ভরতপুর-রণথম্ভোর-জয়পুর |
১ম দিনঃ আগ্রা পৌঁছনো। রাত্রিবাস আগ্রা।
২য় ও ৩য় দিনঃ তাজমহল, আগ্রা ফোর্ট, জামা মসজিদ, ইতমাদদ্দৌলা্র সমাধি, আকবর ও হুমায়ুনের সমাধি, দয়ালবাগ ইত্যাদি আগ্রার নানান দ্রষ্টব্য দেখা। রাত্রিবাস আগ্রায়।
৪র্থ দিনঃ আগ্রার বাকি দ্রষ্টব্য দেখা। রাত্রিবাস আগ্রায়।
৫ম দিনঃ প্রাতরাশের পর ফতেপুর সিক্রি রওনা। সারাদিন ফতেপুর সিক্রি বেড়িয়ে বিকেলে ভরতপুর পৌঁছনো। রাত্রিবাস ভরতপুরে।
৬ষ্ঠ দিনঃ সকাল - সন্ধ্যা ভরতপুরে পাখি দেখা। ভরতপুরে রাত্রিবাস।
৭ম দিনঃ ভোরে সওয়াই মাধোপুরের উদ্দেশে রওনা। বিকেলে রণথম্ভোরে জঙ্গল সাফারি। হোটেলে রাত্রিবাস।
৮ম দিনঃ ভোরে জঙ্গল সাফারির পর দুর্গ দেখে দুপুরের আহারের পর জয়পুর রওনা। রাত্রিবাস জয়পুরে।
৯ম দিনঃ সকালে অম্বর প্রাসাদ, সিটি প্যালেস, যন্তর-মন্তর, হাওয়া মহল ও অন্যান্য দ্রষ্টব্য ঘোরা। রাত্রিবাস জয়পুরে।
১০ম দিনঃ নাহারগড় ও জয়গড় কেল্লা দর্শন। বিকেলে জহুরি বাজারে কেনাকাটার পালা। রাতে হোটেলে।
১১শ দিনঃ ফেরার উদ্দেশে রওনা।
|
|
+ রাজস্থান |
১ম দিনঃ দিল্লি পৌঁছনো। দিল্লি থেকে আজমীর (৩৯১কিলোমিটার)। রাত্রিবাস আজমীরে।
২য় দিনঃ আজমীর শরিফ, পুস্কর হ্রদ আর ব্রহ্মামন্দির ঘুরে বিকানিরের পথে(২৬২কিলোমিটার) রওনা। রাত্রিবাস বিকানিরে।
৩য় দিনঃ প্রাতরাশ সেরে জুনাগড় দুর্গ, গজনীর প্রাসাদ ঘুরে দেখা। জয়সলমীরের(৩৩৩ কিলোমিটার) উদ্দেশ্যে রওনা। রাতে জয়সলমীরের হোটেলে থাকা।
৪র্থ দিনঃ সকালে সোনার কেল্লা, নাথমলজীকি হাভেলি, পাটোয়াঁ কি হাভেলি দর্শন। দুপুরে সাম বালিয়াড়িতে উটের পিঠে মরুভ্রমণ, মরুভূমির বুকে সূর্যাস্ত উপভোগ করা। সন্ধ্যায় ঐতিহ্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে হোটেলে ফিরে বিশ্রাম।
৫ম দিনঃ প্রাতরাশ সেরে যোধপুরের (২৬৭ কিলোমিটার) দিকে রওনা। দুপুরে মেহরণগড় আর উমেদ ভবন প্রাসাদ দর্শন। যোধপুরে হোটেলে রাত্রিবাস।
৬ষ্ঠ দিনঃ সকালে মাউন্ট আবু-র (২২৮ কিলোমিটার) উদ্দেশ্যে রওনা। এখানেই হোটেলে রাত্রিবাস।
৭ম দিনঃ প্রাতরাশের পর বেরিয়ে পড়া ইউনিভার্সাল পিস হাউস, দিলওয়ারা মন্দির, রঘুনাথ মন্দির, আদিনাথ মন্দির দেখে নিতে। বিকেলে পাহাড়ে ঘেরা ছবির মতো নাক্কি লেকে বোটিং।
৮ম দিনঃ উদয়পুরের (১৬৯ কিলোমিটার) দিকে রওনা। রাত্রিবাস উদয়পুরে।
৯ম দিনঃ প্রাতরাশ সেরে সিটি প্যালেস, গুলাব বাগ আর বিখ্যাত পিছোলা লেক বেড়িয়ে নেওয়া। দুপুরে চিতোরের (১১৫ কিলোমিটার) উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া। রাতে চিতোরের হোটেলে থাকা।
১০ম দিনঃ চিতোর গড় দেখে জয়পুরের (৩০৮ কিলোমিটার) দিকে রওনা। রাত্রিবাস জয়পুরে।
১১শ দিনঃ সকালে অম্বর প্রাসাদ, সিটি প্যালেস, যন্তর-মন্তর, হাওয়া মহল ঘোরা। বিকেলে জহুরি বাজারে কেনাকাটার পালা। রাতে হোটেলে ফিরে আসা।
১২শ দিনঃ ফেরার উদ্দেশ্যে দিল্লি (২৬২ কিলোমিটার) রওনা।
|
|
+অজন্তা-ইলোরা-মহাবালেশ্বর-পুণে |
১ম দিনঃ ট্রেনে জলগাঁও পৌঁছে সেখান থেকে অজন্তা। অজন্তায় গুহাদর্শন। রাত্রিবাস অজন্তায়।
২য় দিনঃ সারাদিন পায়ে পায়ে গুহাগুলি ঘুরে দেখা। রাত্রিবাস অজন্তায়।
৩য় দিনঃ সকালে ইলোরা/ঔরঙ্গাবাদের উদ্দেশ্যে বাসে রওনা। দুপুরের মধ্যে ইলোরা পৌঁছে কিছুটা ঘুরে নেওয়া। রাত্রিবাস ইলোরায়।
৪র্থ দিনঃ সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে ইলোরা দর্শন। রাত্রিবাস ইলোরায়।
৫ম দিনঃ সকালে ঔরঙ্গাবাদের উদ্দেশ্যে বাসে রওনা। ঔরঙ্গাবাদে পৌঁছে আশপাশে কিছুটা ঘুরে বেড়ানো। রাত্রিবাস ঔরঙ্গাবাদে।
৬ষ্ঠ দিনঃ ঔরঙ্গাবাদে সাইটসিয়িং – দৌলতাবাদ কেল্লা, বিবি কা মকবারা ইত্যাদি। রাত্রিবাস ঔরঙ্গাবাদে।
৭ম দিনঃ সকালে মহাবালেশ্বর/পুণে-র উদ্দেশ্যে বাসে রওনা। মহাবালেশ্বরে সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস মহাবালেশ্বরে।
৮ম দিনঃ মহাবালেশ্বরে সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস মহাবালেশ্বরে।
৯ম দিনঃ সকালে গাড়িতে/বাসে পঞ্চগণি হয়ে পুণে পৌঁছানো। সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস পুণেতে।
১০ম দিনঃ সারাদিন সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস পুণেতে।
১১শ দিনঃ ফেরার ট্রেন পুণে থেকে।
বিঃ দ্রঃ – মহাবালেশ্বর থেকে রাতের বাসেও ঔরঙ্গাবাদ যাওয়া যেতে পারে। |
|
+ মুম্বাই-গোয়া |
১ম দিনঃ মুম্বই পৌঁছানো, দুপুরে এলিফ্যান্টা কেভ ঘোরা, বিকেল কাটানো গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায়। রাত্রিবাস মুম্বাইয়ে।
২য় দিনঃ মুম্বাই সাইটসিয়িং( প্রিন্স অব ওয়েলস মিউজিয়াম, তারাপোরওয়ালা অ্যাকোয়ারিয়াম, কমলা নেহরু পার্ক ও ঝুলন্ত উদ্যান,মহালক্ষ্মী মন্দির,জুহু বিচ)। রাতে কোঙ্কণকন্যা এক্সপ্রেসে গোয়া অভিমুখে রওনা।
৩য় দিনঃ থিবিম হয়ে কালাঙ্গুটে পৌঁছানো। সৈকত ও আশেপাশে ঘোরা। রাত্রিবাস কালাঙ্গুটেয়।
৪র্থ দিনঃ নর্থ গোয়া সাইটসিয়িং (মায়েম লেক,ভাগাতোর সৈকত,আঞ্জুনা সৈকত,ফোর্ট আগুয়াদা প্রভৃতি)। বিকেল-সন্ধ্যেটা সৈকতে কাটিয়ে রাতে হোটেলে ফেরা।
৫ম দিনঃ ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো,কেনাকাটা আর ওয়াটার স্কুটার বানানা রাইড,প্যারাসেলিং-এর মতো ওয়াটার স্পোর্টসগুলো উপভোগ করার জন্য একটা দিন রাখাই যায়।
৬ষ্ঠ দিনঃ কোলভা পৌঁছানো। সৈকত ও আশেপাশে ঘোরা। রাত্রিবাস কোলভায়।
৭ম দিনঃ সাউথ গোয়া সাইটসিয়িং(বম জেসাস ব্যাসিলিকা,সে ক্যাথিড্রাল,শ্রী মঙ্গেশ ও শান্তাদুর্গা মন্দির,দোনা পাওলা)। বিকেল-সন্ধ্যেটা সৈকতে কাটিয়ে রাতে হোটেলে ফেরা।
৮ম দিনঃ মারগাঁও রেলস্টেশন থেকে ফেরার ট্রেন ধরা।
বিঃ দ্রঃ -পুরো বেড়ানোটাই একেবারে উল্টোপথেও করা যায়। আগে গোয়া ঘুরে পরে মুম্বাই। সেক্ষেত্রে একটা দিন বাড়তি লাগবে আর উপরি পাওনা দিনের বেলায় কোঙ্কণ রেলপথে ভ্রমণের অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আর কলকাতা / দক্ষিণ ভারত থেকে গোয়া গেলে জঙ্গল – পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে ট্রেনে যেতে যেতে খুব কাছ থেকেই দেখা মিলবে দুধসাগর জলপ্রপাতের। |
|
+হায়দ্রাবাদ-ভাইজ্যাগ-আরাকু-জগদলপুর |
১ম দিনঃ সকালে হায়দ্রাবাদ পৌঁছানো। গোলকোণ্ডা ফোর্ট, চারমিনার, সালারজং মিউজিয়াম ইত্যাদি বেড়ানো। রাত্রিবাস হায়দ্রাবাদে।
২য় দিনঃ সারাদিনের ট্যুরে রামোজি ফিল্ম সিটি ঘুরে দেখা। রাত্রিবাস হায়দ্রাবাদে।
৩য় দিনঃ হায়দ্রাবাদের বাকি দ্রষ্টব্য স্থান – চিড়িয়াখানা, হুসেন সাগর, বোটানিকাল গার্ডেন ইত্যাদি বেড়ানো – কেনাকাটা। রাতের ট্রেনে রওনা ভাইজ্যাগের উদ্দেশে।
৪র্থ দিনঃ সকালে ভাইজ্যাগ পৌঁছানো। আশে-পাশের সাইটসিয়িং – ভাইজ্যাগ বন্দর, সাবমেরিন মিউজিয়াম, ডলফিন নোজ পয়েন্ট, গির্জা, বিশাখাপত্তনম আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি পার্ক, ভেঙ্কটেশকোন্ডা ইত্যাদি। রাত্রিবাস ভাইজ্যাগে।
৫ম দিনঃ সারাদিন সীমাচলম মন্দির, ঋষিকোণ্ডা বীচ, ভিমিলি বীচ, বৌদ্ধবিহার ইত্যাদি বেড়ানো। রাত্রিবাস ভাইজ্যাগে।
৬ষ্ঠ দিনঃ কিরণডোল এক্সপ্রেসে বোরা গুহার উদ্দেশে রওনা। বোরা গুহা বেড়িয়ে সেখান থেকে ভাড়ার গাড়িতে ৩৪ কিমি দূরের আরাকু পৌঁছানো। রাত্রিবাস আরাকুতে।
৭ম দিনঃ আরাকু উপত্যকা বেড়ানো। ডুম্বুরিগুডা জলপ্রপাত দেখে আসা। বিকেল-সন্ধ্যা পায়ে হেঁটে আশে-পাশে বেড়ানো। রাত্রিবাস আরাকুতে।
৮ম দিনঃ আরাকু থেকে কিরণডোল এক্সপ্রেসে জগদলপুর যাওয়া। রাত্রিবাস জগদলপুরে।
৯ম দিনঃ চিত্রকোট, তিরথগড় জলপ্রপাত, কুটুমসর গুহা, দন্তেওয়াড়া মন্দির দেখে জগদলপুর ফিরে আসা। রাত্রিবাস জগদলপুরে।
১০ম দিনঃ সকালে জগদলপুর শহর বেড়ানো, বাস্তারের আদিবাসী শিল্পের নিদর্শন দেখা ও কেনাকাটার পর দুপুরে রায়পুর রওনা। রাত্রিবাস রায়পুরে।
১১শ দিনঃ ১১৬ কিমি দূরে ছত্তিশগড়ের খাজুরাহো ভোরামদেও মন্দির দেখে আসা। রাত্রিবাস রায়পুরে।
১২শ দিনঃ রায়পুর থেকে ফেরার ট্রেন।
বিঃ দ্রঃ – ভাইজ্যাগে রামকৃষ্ণ বীচের কাছাকাছি হোটেলে থাকলে পায়ে হেঁটেই কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে নেওয়া যায়। সমুদ্র স্নান করতে চাইলে অবশ্য পাহাড় আর সমুদ্র যেখানে একসাথে মিলেছে সেই ছবির মত সুন্দর ঋষিকোণ্ডাতেই থাকা ভাল।
দুর্গাপুজোর ছুটিতে জগদলপুর গেলে বাড়তি পাওনা বাস্তার উৎসব। উৎসবের সময় যাওয়া সম্ভবপর না হলেও স্থানীয় হাট অবশ্যই দেখবেন। জগদলপুরে রোববার হাট বসে। জগদলপুর থেকে ১৬ কিমি দূরে বাস্তার হাট বসে প্রতি বৃহস্পতিবার।
ট্যুর সংক্ষেপ করতে চাইলে সরাসরি ভাইজ্যাগ থেকেই বেড়ানো শুরু করা যেতে পারে। ফেরার সময় জগদলপুর থেকে তাড়াতাড়ি রওনা দিয়ে ৩০০ কিমি দূরের রায়পুরে পৌঁছে সেই রাতেই ফেরার ট্রেন ধরা যেতে পারে।
|
|
+ কেরালা |
১ম দিনঃ কোচিনে পৌঁছানো। লোকাল সাইটসিয়িং। রাত্রিবাস কোচিনে।
২য় দিনঃ কোচিন থেকে মুন্নারের দিকে রওনা। বিকেলে লোকাল সাইটসিয়িং আর মুন্নার নদীতে বোট ক্রুইজ। রাত্রিবাস মুন্নারে।
৩য় দিনঃ মুন্নার ও তার আশপাশে মাট্টুপাট্টি লেক, ইকো পয়েন্ট, টপ স্টেশন, রাজামালাই জাতীয় উদ্যান, আট্টুকাডু জলপ্রপাত, টি মিউজিয়াম প্রভৃতি দ্রষ্টব্যগুলি দেখে নেওয়া। রাত্রিবাস মুন্নারে।
৪র্থ দিনঃ সকালে মুন্নার থেকে থেক্কাডি পৌঁছানো। বিকেলে থেক্কাডির আশপাশে সাইটসিয়িং, স্পাইস মার্কেটে ঘোরা আর পেরিয়ার লেকে বোট ক্রুইজ। রাত্রিবাস থেক্কাডিতে।
৫ম দিনঃ প্রাতরাশ সেরে শহর ঘুরে পেরিয়ার ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারিতে পৌঁছানো। জিপ সাফারি ও এলিফ্যান্ট সাফারিতে জঙ্গলভ্রমণ। রাত্রিবাস থেক্কাডিতে।
৬ষ্ঠ দিনঃ প্রাতরাশ সেরে কুমারাকোমের উদ্দেশ্যে রওনা। হোটেলে পৌঁছে দুপুরের খাওয়া সেরে সাইটসিয়িং ক্রুইজে বেরিয়ে পড়া। অন্যতম দ্রষ্টব্য পরিযায়ী পাখিদের ঠিকানা বার্ড স্যাংচুয়ারি। রাত্রিবাস কুমারাকোমে।
৭ম দিনঃ প্রাতরাশ সেরে আলেপ্পির পথে রওনা। আলেপ্পি পৌঁছে হাউসবোটে থাকা। ব্যাকওয়াটার ক্রুইজ। রাত্রিবাস আলেপ্পিতে।
৮ম দিনঃ প্রাতরাশ সেরে আলেপ্পির সৈকতে পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ানো। সারাটাদিন ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা, ব্যাকওয়াটার ক্রুইজ। রাত্রিবাস আলেপ্পিতে।
৯ম দিনঃ প্রাতরাশ সেরে কোভালামের দিকে রওনা। হোটেলে পৌঁছে বিশ্রাম। সারাদিন ইচ্ছেমতো নারকেল গাছে ছাওয়া সোনালি সৈকতে ঘুরে বেড়ানো। রাত্রিবাস কোভালামে।
১০ম দিনঃ প্রাতরাশ সেরে ত্রিবান্দ্রাম সিটি ট্যুরে বেরিয়ে পড়া। দ্রষ্টব্য পদ্মনাভস্বামী মন্দির, হর্স প্যালেস, নেপিয়ার মিউজিয়াম, শ্রীচিত্রা আর্ট গ্যালারি প্রভৃতি। হোটেলে ফিরে বিকেলে আবার সৈকতে। রাত্রিবাস কোভালামে।
১১শ দিনঃ প্রাতরাশ সেরে কন্যাকুমারির উদ্দেশ্যে রওনা। হোটেলে পৌঁছে দুপুরের খাওয়া সেরে সাইটসিয়িং-এ বেরোনো। দ্রষ্টব্য বিবেকানন্দ রক, কবি থিরুভাল্লুরের মূর্তি, কন্যাকুমারি মন্দির। রাত্রিবাস কন্যাকুমারিতে।
১২শ দিনঃ কন্যাকুমারি থেকে ফেরার পথে এগোনো।
|
|
+ আন্দামান |
১ম দিনঃ ফ্লাইটে পোর্টব্লেয়ার পৌঁছানো। হোটেলে চেক ইন। মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম, সেলুলার জেল ঘোরা। বিকেলে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-তে সেলুলার জেলের ইতিহাস প্রত্যক্ষ করা। রাত্রিবাস পোর্টব্লেয়ারে।
২য় দিনঃ রস দ্বীপ, করভিন্স কোভ সৈকত ভ্রমণ। রাত্রিবাস পোর্টব্লেয়ারে।
৩য় দিনঃ সমুদ্রপথে নীল দ্বীপে পৌঁছানো। রামনগর বিচে স্নর্কেলিং, গ্লাসবটম বোটে কোরাল দেখা। সূর্যাস্ত লক্ষ্মণপুর বিচে। রাত্রিবাস নীলে।
৪ম দিনঃ সীতাপুর বিচে সূর্যোদয় দেখে সমুদ্রপথে হ্যাভলক দ্বীপে পৌঁছানো। হোটেলে চেক ইন। বিকেল – সন্ধ্যা রাধানগর সৈকতে।
৫ম দিনঃ এলিফ্যান্টা সৈকতে স্নর্কেলিং। সমুদ্রপথে রঙ্গত, সেখান থেকে গাড়িতে মায়াবন্দর। রাত্রিবাস মায়াবন্দরে।
৬ষ্ঠ দিনঃ সকালে নির্জন দ্বীপ এভিসের উদ্দেশে নৌকায় সাগর পাড়ি। ফিরে মায়াবন্দরের কারমাটাং সৈকত দেখে উত্তর আন্দামানে দিগলিপুরের উদ্দেশে রওনা। রাত্রিবাস দিগলিপুরে।
৭ম দিনঃ দিগলিপুর থেকে সকালে লঞ্চে জোড়া দ্বীপ - রস ও স্মিথ আইল্যাণ্ড দেখা। গাড়িতে রঙ্গত ফেরা। রাত্রিবাস রঙ্গতে।
৮ম দিনঃ রঙ্গতের কার্থবার্ট বে সৈকত ঘুরে বারাটাং হয়ে গাড়িতে পোর্টব্লেয়ার ফেরা। পথে পড়বে মাড ভলকানো, লাইম - স্টোন কেভ, জারোয়া রিজার্ভ। রাত্রিবাস পোর্টব্লেয়ারে।
৯ম দিনঃ নর্থ বে-তে স্নর্কেলিং, অনুমতিসাপেক্ষে লাইটহাউসে ওঠা। বিকেলে ভাইপার দ্বীপে সূর্যাস্ত দেখা। রাত্রিবাস পোর্টব্লেয়ারে।
১০ম দিনঃ পোর্টব্লেয়ার সাইটসিয়িং – চাথাম শ মিল, চিড়িয়াখানা, মেরিন মিউজিয়াম, অ্যান্থ্রোপলজিকাল মিউজিয়াম প্রভৃতি। বিকেলে চিড়িয়াটাপু সৈকতে বা মাউন্ট হ্যারিয়েটে সূর্যাস্ত উপভোগ। রাত্রিবাস পোর্টব্লেয়ারে।
১১শ দিনঃ সিপ্পিঘাট হয়ে মহুয়াডেরা বা ওয়ান্ডুরে (জলিবয়-রেডস্কিন দ্বীপ) স্নর্কেলিং। রাত্রিবাস পোর্টব্লেয়ারে।
১২শ দিনঃ ফেরা।
জরুরিঃ হ্যাভলক/নীল দ্বীপ যাওয়ার জাহাজ কবে পাওয়া যাবে সেইমতো ট্যুরটাকে এদিক-ওদিক করতে হতে পারে।
রস দ্বীপের পিছন দিকে এবং হ্যাভলক দ্বীপে ডলফিন রিসর্টের পিছনে দুটি অসাধারণ সৈকত আছে। নীল দ্বীপে ৮ নং বিচে ও জেটির কাছেও স্নর্কেলিং করা যায়।
৭ দিনের ট্যুর করলে মায়াবন্দর বাদ দেওয়া যেতে পারে। আবার আরো খানিক লম্বা ট্যুর হলে ঘুরে আসা যায় লিটল্ আন্দামান থেকে। ট্যুরিস্টের ভিড় একেবারেই নেই, উপরি পাওনা জাহাজে রাত কাটানো। কোনও কোনও দিন স্পিডবোট-ও যায় লিটল আন্দামান।
রস, নর্থ বে ও ভাইপার দ্বীপ ভ্রমণ একই প্যাকেজে করা যায় - সারা দিনের ট্রিপে। এতে খরচ খানিক কম পড়ে, কিন্তু রসদ্বীপ ঘুরে দেখার সময় কিছুটা কমে যায়।
ফেব্রুয়ারিতে রঙ্গতের কার্থবার্ট বে সৈকতে হাজারে হাজারে কচ্ছপ ডিম পাড়তে আসে। সেইসময় গেলে অবশ্যই রঙ্গতে একরাত থাকা উচিত। |
|
+ ভুটান |
১ম দিনঃ সকালে আলিপুরদুয়ার/হাসিমারা পৌঁছে জয়গাঁও হয়ে ফুন্টসোলিং। তাড়াতাড়ি পৌঁছান গেলে অথবা কলকাতা থেকেই পারমিট করানো থাকলে বাসে/ভাড়ার গাড়িতে যাত্রা থিম্পুর উদ্দেশে – ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগে। নচেৎ রাত্রিবাস ফুন্টসোলিং-এ।
২য় দিনঃ প্রাতরাশ সেরে ফুন্টসোলিং-এ খারবান্দি গুম্ফা দেখে থিম্পু পৌঁছানো। রাত্রিবাস থিম্পুতে।
৩য় দিনঃ প্রাতরাশ সেরে সারাদিন থিম্পু সাইটসিয়িং –
ক) তাশিহো জং – প্রধান সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং আর রাজার গ্রীষ্মকালীন আবাস। এখানেই একটি ঘরে সিংহাসনটি রয়েছে।
খ) পাংরি জাম্পা মনাস্টারি – থিম্পু থেকে ৫কিমি দূরে দেচেনচোলিং প্রাসাদের ঠিক পিছনে অবস্থিত।
গ) ন্যাশনাল লাইব্রেরি। এখানে বৌদ্ধ সাহিত্যের বেশ ভালো সংগ্রহ আছে।
ঘ) জোরিগ চুসুম ( ভুটানের ঐতিহ্যশালী শিল্পকলার প্রিন্টিং স্কুল)।
ঙ) ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন (পর্যটকরা কেবলমাত্র বাইরে থেকে দেখতে পারবেন।
চ) ন্যাশনাল মেমোরিয়াল চোর্তেন।
ছ) হ্যান্ডিক্র্যাফট এম্পোরিয়াম এবং ক্র্যাফট শপ।
জ) ফোক হেরিটেজ এবং ন্যাশনাল টেক্সটাইল মিউজিয়াম।
ঝ) টাকিন রিজার্ভ বা থিম্পু চিড়িয়াখানা।
ঞ) চাংঘাং মনাস্ট্রি।
চ) ফোদং মনাস্ট্রি।
রাত্রিবাস থিম্পুতে।
৪র্থ দিন – সকালে প্রাতরাশ সেরে পারোর উদ্দেশে বেড়িয়ে পড়া। সিমতোখা জং ও দোচু-লা (১০,১৩০ ফুট), ভুটানের প্রাচীন রাজধানী পুনাখা বেড়িয়ে বিকেলে পারো পৌঁছান। রাত্রিবাস পারোয়।
৫ম দিন – হোটেলে প্রাতরাশ সেরে সাইটসিয়িং-এ বেরিয়ে পড়া –
ক) ইতিহাসের পথ ধরে পায়ে পায়ে ড্রুকগিয়েল জং-এর(১৮ কিমি) ধ্বংশাবশেষে ঘুরে বেড়ানো।
খ) কিচু লাখাং – ভুটানের অন্যতম প্রাচীন মঠ।
গ) তা জোং -১৭শ শতকে যুদ্ধে সহায়ক এই দুর্গটিকে ১৯৬৮ সালে জাতীয় সংরক্ষণশালায় রূপান্তরিত করা হয়।
ঘ) রিনপুং জোং – বর্তমানে জেলা প্রশাসনের অফিস এবং মনাস্ট্রির স্কুলটির ইতিহাস কিন্তু বেশ বৈচিত্র্যময়।
অত্যুৎসাহীরা পারোতে একদিন বাড়তি থেকে ট্রেক করে দেখে আসতে পারেন তাকসাং গুম্ফা – টাইগার’স নেস্ট।
৬ষ্ঠ দিন – ফেরার পথে রওনা।
বি দ্রঃ – এই বেড়ানোতেই আগে বা পিছে আরও কয়েকটাদিন জুড়ে নিলে একই যাত্রায় শুধু জলদাপাড়া বা জলদাপাড়া-বক্সা-জয়ন্তী ট্যুরও করে নেওয়া যায়। |
|