~ ১ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা - বৈশাখ ১৪১৮~
ইন্টারনেটের দৌলতে পৃথিবী এখন ছোট হতে হতে সত্যিই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে বন্দী। পাশাপাশি বাঙালিও বেড়ানোর নেশায় আর পেশার সুবাদে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অনেকটাই বিশ্বনাগরিক। কিন্তু পায়ের তলায় সর্ষের সেই অনুভব তো তেমনভাবে পাইনা আন্তর্জালের দুনিয়ায় – পিকাসা, ফ্লিকার, ফেসবুক, অর্কুট – নানান ওয়েবসাইটে অনেকে আপলোড করেন বেড়ানোর ছবি, বেড়িয়ে এসে কেউবা নিজস্ব ব্লগে পোস্ট করেন তাঁর ভাল লাগার কথা – কিন্তু এগুলো প্রায় সবটাই ইংরেজিতে। আমরা চাইছিলাম এমন একটা আন্তর্জাল বাংলা ভ্রমণ পত্রিকা – যেখানে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকেই বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে বেড়ানোর কথা, সকলের সাথে ভাগ করে নেওয়া যাবে প্রিয় জায়গাগুলোর ছবি। সেই আকাঙ্খা থেকেই জন্ম নিল ‘আমাদের ছুটি’। একটা সর্বাঙ্গীন সফরসঙ্গী - নানান জনের বেড়ানোর গল্প আর ছবির পাশাপাশি বিভিন্ন বেড়ানোর জায়গার হদিস, রেল-বিমানের খোঁজখবর, ভারতের রাজ্য পর্যটন ওয়েবসাইটগুলির ঠিকানা ও আরও অনেককিছু।
এই চারাগাছকে বড় করে তুলতে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টাতো থাকছেই – কিন্তু তা পূর্ণতা পেতে পারে তখনই যদি আপনি-ও এগিয়ে আসেন আপনার বেড়ানোর কথা আর ছবি নিয়ে।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায়-
"নানা দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টুকরো টুকরো দেখতে দেখতে ভাবি, আমাদের দেশের মতো এমন দেশ কি আর আছে যেখানে প্রকৃতির সম্ভার এসে জড়ো হয়েছে একত্র!" - ‘আমাদের ছুটি’ -র সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রিয় কবি শঙ্খ ঘোষ |
~ আরশিনগর ~
তার সাথে মনে মনে কথা বলা চলে – কৌশিকব্রত দে |
|
উন্নয়ন অথবা উচ্ছেদ – আধুনিকতার অবশ্যম্ভাবী কোন ফসল রোপিত হবে আগামীদিনে,কে জানে! তবে সেদিন মহুয়া, শাল, পিয়ালের একাকী মৌন এই পাহাড়টার গা থেকে হারিয়ে যাবে আদিম নৈঃশব্দ্য। |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
এ জীবন পুণ্য করো - অভিষেক চট্টোপাধ্যায় |
|
ধর্ম নয়, পুণ্য নয়, শুধুমাত্র আনন্দের অন্তহীন নেশা। গলি তস্য গলির এঁদো গন্ধে একটিবার দেবতার উৎসবের সাক্ষী হওয়া... |
পবিত্র হ্রদের তীরে - শীলা চক্রবর্তী |
|
স্বপ্নের মত ...মাটিতে যেন স্বর্গ নেমে এসেছে। তিরতিরে নীল জলে কাঁপছে আমাদের বিস্ময় অনুভূতিগুলো... |
জলসই - দময়ন্তী দাশগুপ্ত |
|
'আগে আগে পান্ডা হাঁস চলেছে, পিছে পিছে তীরের ফলার মতো দু'সারি হাঁস ডাক দিতে দিতে উড়ে যাচ্ছে' - "মানস-সরোবর! ধৌলাগিরি!" - নাঃ, অদ্দুরে নয়, রিদয় আর সুবচনীর হাঁসের সঙ্গে পিছু পিছু পরিযায়ী ডানা মেলে পাড়ি চিল্কা থেকে গোপালপুর। |
~ ভুবনডাঙা ~
আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি - সিদ্ধার্থ পাল |
|
লুকলা থেকে হাঁটা শুরু করে দুধকোশী উপত্যকা হয়ে নামচে বাজার। নামচের পরে ইমজা খোলা উপত্যকা পেরিয়ে থ্যাংবোচে। থ্যাংবোচে থেকে প্যাংবোচে হয়ে পথ থেমেছে ফেরিচে বা ডিংবোচেতে। এরপর খুম্বু গ্লেসিয়ারের লবুচে পয়েন্ট পেরিয়ে গোরক শেপে শেষ থামা। এখান থেকে গ্লেসিয়ারের গা বেয়ে পৌঁছানো এভারেস্ট বেস ক্যাম্প। পৃথিবী থেকে আকাশের দিকে হাঁটাপথের রোমাঞ্চ... |
~ শেষ পাতা ~
বেড়িয়ে এসে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যেমনভাবে শেয়ার করতে চান কাছের মানুষদের সাথে - ঠিক তেমনি করেই সেই কথাগুলো ছোট্ট করে লিখে পাঠিয়ে দিন ছুটির আড্ডায়। ছয় থেকে ছেষট্টি আমরা সবাই কিন্তু এই ছুটির আড্ডার বন্ধু। লেখা ডাকে বা নির্দিষ্ট ফর্মে মেল করে পাঠালেই চলবে। লেখা পাঠাতে কোনরকম অসুবিধা হলে ই-মেল করুন - admin@amaderchhuti.com |