~ ১ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা - পৌষ-মাঘ ১৪১৮~
ভালোমন্দে কেটে গেল আরও একটা ইংরেজি বছর। বেশ কিছু মনে রাখার মতো মুহূর্তের পাশাপাশি মনখারাপ করা নানা ঘটনাবলি, একের পর এক মৃত্যুমিছিল নাড়িয়ে দিয়ে গেল আমাদের। তবু জীবন মানেইতো এগিয়ে চলা – চরৈবতি।
২০১১ সালটা ‘আমাদের ছুটি-’র কাছে একটা বিশেষ বছর, আমরা যারা সাক্ষী ছিলাম বাংলা ভাষায় প্রথম ই-ভ্রমণ পত্রিকাটির জন্মমুহূর্তে, যারা একে তিল তিল করে বড় করছি,বড় হতে দেখছি – তাদের সবার কাছেও। আর তাই কাছে-দূরে বেড়ানোর কথা আর ছবি নিয়ে নতুন বছরের গন্ধ মেখে আবারও হাজির ‘আমাদের ছুটি’।
এই সংখ্যাটি প্রকাশিত হচ্ছে সম্পূর্ণ একটি নতুন আঙিনায় – ১ম কলকাতা ওয়েব উৎসবের প্রাঙ্গণে। সময়ের সাথে সাথে ভাবপ্রকাশের মাধ্যম হয়তো বদলে যাচ্ছে, কিন্ত মানুষের আবেগ সেই একইরকম-ই রয়েছে। উন্নততর টেকনোলজির যুগে কী-বোর্ড, মাউস আর টাচ-স্ক্রীন আজ চিন্তাপ্রকাশের হাতিয়ার, যার মাধ্যমে পেরিয়ে যাওয়া যায় দেশকালের সীমানার বেড়া। প্রথাগত সঞ্চারমাধ্যমের সাহায্য না নিয়েও বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় পৃথিবীর নানান প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষের কাছে, মুহূর্তের মধ্যে খুঁজে নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় তথ্য। নবীন এই মাধ্যমটি নিয়ে যাঁরা তৈরি করতে চাইছেন পত্রিকা তথা মিডিয়ার একটা অন্যরকম সংজ্ঞা, তাঁদের এক মঞ্চে নিয়ে আসার এই প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানাই উৎসবের আয়োজক ‘আসমানিয়া’ ওয়েব পত্রিকাকে।
২০১২ আপনাদের সকলের ভালো কাটুক। নতুন নতুন জায়গায় বেড়াতে যান আর ফিরে এসে লেখায় -ছবিতে ভরিয়ে তুলুন আমার-আপনার প্রিয় ‘আমাদের ছুটি’-কে।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
- এই সংখ্যায় -
“প্রথম সংখ্যা পনের দিনের মধ্যেই ফুরিয়ে গেল আর দেখলাম মোষ তাড়াতে বেশ মজাই পাচ্ছি” - বাংলাভাষায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ পত্রিকা ‘ভ্রমণ বার্তা’-র চল্লিশ বছরের পথ হাঁটার স্মৃতিকথনে সম্পাদক প্রমোদাদিত্য মল্লিক |
~ আরশিনগর ~
ইতিহাসও কথা বলে |
|
আঠেরশো শতকের মুর্শিদাবাদ নগরীর প্রতিষ্ঠাতা মুর্শিদকুলি খাঁ-র সমাধি থেকে পায়ে পায়ে চলা শুরু... শীতের কুয়াশার মায়াজালে ঢাকা ইতিহাসের পদচিহ্ন ধরে পৌঁছানো হাজারদুয়ারিতে... দিনান্তের ক্যানভাসে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার সমাধির পশ্চাৎপটে এক অপরূপ সূর্যাস্ত দেখা - দেবাশিস মজুমদারের সঙ্গে। |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
হিম মরুর নীল অতলে |
|
পূর্বদিকে তিব্বত আর পশ্চিমে জাঁসকার উপত্যকার মাঝে রূপসু উপত্যকায় সো-মোরিরি। নীল-সবুজ হ্রদ, ওপারে চাংসের কাংড়ি আর লুংসের কাংড়ির তুষারশিখর। কনকনে হাওয়ার দাপট আর বরফ পাহাড়ের হিমছোঁয়া। একটা স্বপ্নময় জগৎ - যেখানে যাযাবরী উপকথার মেয়েটা নীল জলে ভেসে বেড়ায় আজও। ইচ্ছেডানায় ভর করে সেই কল্পরাজ্যে পৌঁছালেন সুপ্রতিম ঘোষ। |
অচেনা উটি |
|
প্রকৃতির সঙ্গে রোমান্স থেকে রোমাঞ্চ - নীলগিরির অরণ্যে লুকিয়ে থাকা সবুজে ঘেরা হ্রদগুলি ভ্রামণিকের চোখে নতুন করে আবিষ্কার করলেন সুমিত চক্রবর্তী। |
~ ভুবনডাঙা ~
স্বপ্নের দেশে একদিন |
|
কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা - না মনে মনে নয়, প্যারিসের ডিজনিল্যান্ডে ভুতের রাজ্য, নক্ষত্রলোক, মিকি-মিনি আর স্লিপিং বিউটির দুনিয়ায় দিনভর হারিয়ে গিয়ে ছেলেবেলায় ফিরলেন মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। |
~ শেষ পাতা ~
বাংরিপোশির হাতছানি |
|
ছোট্ট ছুটির রোমান্টিক নাম বাংরিপোশি - নদীর টলটলে জল, দূরের সবুজ টিলা আর আকাশভরা তারার গল্প শোনালেন সুদীপ্ত মজুমদার। |
"লাদাখের পথে" - ছবি - সুপ্রতিম ঘোষ