১১শ বর্ষ ১ম সংখ্যা
বৈশাখ - শ্রাবণ ১৪২৮
২০১১-এর মে থেকে ২০২১-এর মে – দেখতে দেখতে দশটা বছর পেরিয়ে এল 'আমাদের ছুটি'। যে পাঠক-লেখকদের সহযোগিতা ও আগ্রহে এটা সম্ভবপর হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তাঁদের। গত দশ বছরে তিনশোর বেশি ভ্রমণকাহিনি আর বেশ কয়েক হাজার আলোকচিত্র প্রকাশিত হয়েছে এই আন্তর্জাল পত্রিকামাধ্যমে। এই পত্রিকা প্রকাশের পিছনে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত লেখকদের কাহিনিপ্রকাশের মাধ্যম নয়, 'আমাদের ছুটি' হবে পাঠকদের নিজস্ব পত্রিকা, অর্থাৎ সাধারণ পাঠক যাঁরা এতদিন বেড়াতে যেতেন, ফিরে এসে হয়তো কাছের মানুষদের কাছের সেই বেড়ানোর গল্প করতেন, কিন্তু সেই কাহিনি লিখে পরিচিতের গণ্ডির বাইরে আরো অনেককে জানানোর কথা কল্পনাও করতেন না, 'আমাদের ছুটি' হবে তাঁদের লেখকসত্তাকে জাগিয়ে তোলার মাধ্যম এবং তার পাশাপাশি এদেশ আর পড়শি দেশ তো বটেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বাংলাভাষীদের প্রবাসকাহিনি জানানোর একটা প্ল্যাটফর্ম। আজ আনন্দ লাগে এটা ভেবে যে বাস্তবে হয়েছেও তাই। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আপনারা নিয়মিত লেখা পাঠিয়ে চলেছেন তো বটেই, প্রতিবছরই অনেক নতুন ভ্রমণলেখকও উঠে এসেছেন 'আমাদের ছুটি'-র হাত ধরে। তাঁদের কেউ রয়ে গিয়েছেন কেউবা অন্য কোনও পত্রপত্রিকায় লিখছেন ইদানীং। আবার কেউকেউ শুধুমাত্র 'আমাদের ছুটি'তেই একটি বা দুটি ভ্রমণকাহিনি লিখে থেমে গেছেন। তবু পত্রিকার প্রতি সংখ্যাতেই এক বা একাধিক নতুন মুখকে তাঁর কাহিনি বলার সুযোগ করে দিতে পেরেছে 'আমাদের ছুটি'।
ইতিমধ্যে বিশ্বের নানান দেশ অনেকটা সামলে উঠলেও করোনা মহামারীর কোপে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থা বেশ খারাপ। প্রায়ই কাছের-দূরের পরিচিতজনের মৃত্যুসংবাদ এসে পৌঁছাচ্ছে। অতিমারীর প্রভাবে বেড়াতে যাওয়া ক্রমশ যেন একটা কাল্পনিক বিষয় বলে মনে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব এসে পড়ছে 'আমাদের ছুটি'-র ওপরেও। সাম্প্রতিক ভ্রমণকাহিনির অপ্রতুলতায় পত্রিকার যথাসময়ে প্রকাশেরও একটা বাধা তৈরি হচ্ছে।
আমাদের নতুন এবং পুরোনো লেখকদের জানাই, সময়-সুযোগ করে পুরোনো বেড়ানো নিয়েই নতুন লেখা লিখুন আর পাঠিয়ে দিন আমাদের ই-মেইল-এ। আর পাঠকদের কাছে আরেকবার বলা, অবসরে মানসভ্রমণের জন্য 'আমাদের ছুটি' রয়েছে আপনাদের হাতের একটা ছোঁয়ার দূরত্বেই।
সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। তাড়াতাড়ি কেটে যাক এই দুর্দিন... "মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা"। আরো বেড়ে উঠুক 'আমাদের ছুটি' সুখে-দুঃখে।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
- এই সংখ্যায় -
"চলার পথ সবসময় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল না, একটু পরপরই কুয়াশায় ঢেকে যেতে থাকল। আবার কখনও আন্দাজে পায়ে চলা পথ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে থাকলাম। প্রায় ঘন্টাদুয়েক এভাবে চলার পর সামনে দেখতে পেলাম অনেকটা ফাঁকা জমি, পুরোটাই ঘাসে ঢাকা। আরেকটু ভালো করে দেখে বুঝলাম এটা আসলে ঘাসেঢাকা পাহাড় - একেই বলে বুগিয়াল। কিন্তু এত বড় জায়গা জুড়ে এরকম গাছপালাহীন শুধু ঘাসেঢাকা পাহাড় থাকতে পারে আমার কল্পনায়ও কখনো আসে নি।" |
~ আরশিনগর ~
~ সব পেয়েছির দেশ ~
পেলিং-এ তিনদিন – সৌমী নাগ | |
~ ভুবনডাঙা ~
ভাঙা মন্দিরের দেশ কাম্বোডিয়া (২য় কিস্তি) – মলয় সরকার |
~ শেষ পাতা ~
শঙ্করপুরে একদিন – সৌমেন্দ্র দরবার |
বায়োন মন্দিরশিখর, সিয়েম রিপ, কাম্বোডিয়া - আলোকচিত্রী মলয় সরকার