১২শ বর্ষ ১ম সংখ্যা
বৈশাখ - শ্রাবণ ১৪২৯
এবছর পাহাড়চূড়ায় ওঠায় জয়জয়কার বাঙালি মেয়েদের। মে মাসের ২২ তারিখে ইতিহাস গড়লেন বাঙালি পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক। সাপ্লিমেন্টারি অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করেছেন তিনি। গত অক্টোবরে এদেশের প্রথম মহিলা পর্বতারোহী হিসাবে পৌঁছেছিলেন ধৌলাগিরি শৃঙ্গে। সেবারও শৃঙ্গজয় অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই। ধৌলাগিরি, এভারেস্ট ছাড়াও মানসালু এবং লোৎসের মতো আটহাজারি শৃঙ্গও আরোহণ করেছেন পিয়ালি। বিনা অক্সিজেনে এভারেস্ট জয়-এর পরের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন তিনি। ঘরে ফিরেই জানিয়েছেন, ''সব আট হাজারি শৃঙ্গ বিনা অক্সিজেনেই জিতব।"
অন্যদিকে এপার-ওপার দুই বাংলারই প্রথম বাঙালি হিসেবে গত ২২ জুলাই বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কে-টু জয় করলেন ওয়াসফিয়া নাজরিন। কারাকোরাম পর্বতমালার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে-টু। উচ্চতায় এভারেস্টের পর হলেও পর্বতারোহীদের কাছে সবচেয়ে কঠিন পর্বত হিসেবে কে-টু-এর পরিচিত। ১৯৫৪ সাল থেকে মাত্র ৪২৫ জন এই পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন, যাঁদের মধ্যে ২০ জন নারী এবং তাঁরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে কে-টু জয় করেছেন। এখনও পর্যন্ত সর্বকনিষ্ঠ বাংলাদেশি এবং দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১২ সালের ২৬ মে এভারেষ্টের চূড়ায় আরোহণ করেন ওয়াসফিয়া। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গও জয় (সেভেন সামিট) করেছেন তিনি।
নারীদের শিখরছোঁয়া মুকুটে আরেক পালক যোগ করেছেন পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা বছর তিরিশ বয়সী প্রিয়ঙ্কা মোহাইত। এভারেস্ট, লোৎসে, মাকালু, অন্নপূর্ণাজয়ের পর প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে পাঁচটি আট-হাজারি শৃঙ্গের শিখর ছুঁয়ে ফেললেন তিনি, গত ৫ মে বিকেল কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় পৌঁছে।
গত দুবছর প্রায় সকলেই আতঙ্কে ছিলেন অতিমারী নিয়ে, যার একটা বড় প্রভাব পড়েছিল পর্যটন শিল্পে। তারপর সবে যখন আবার করে ঘরের বাইরে পা রাখা শুরু হয়েছে, করোনার চতুর্থ ঢেউ এসে পড়ল। তবে আশার কথা এই যে ভাইরাসের মারণশক্তি হ্রাস পেয়েছে, সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গেই তার মিল বাড়ছে ক্রমশ। গ্রীষ্মের ছুটিতে বাঙালির চিরচেন দি-পু-দা (দিঘা-পুরী-দার্জিলিং) সরগরম হয়ে উঠেছিল পর্যটকের ভিড়ে। এবছর শারদোৎসব তো বেশ তাড়াতাড়িই। ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিটও হুড়মুড়িয়ে ফুরিয়ে গেছে আগাম বুকিং শুরু হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই ঘুরে আসুন জলে-জঙ্গলে-পাহাড়ে যেদিকে মন চায়। 'আমাদের ছুটি'তে লেখা পাঠান ফিরে এসে, আমরা রইলাম তার অপেক্ষায়।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
~ এই সংখ্যায় ~
~ আরশিনগর ~
সুন্দরবন ভ্রমণ এবং দুই বাঘের গপ্প – দময়ন্তী দাশগুপ্ত |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
কদিনের কুর্গ – প্রজ্ঞা পারমিতা | |
~ ভুবনডাঙা ~
ভিয়েতনাম-কাম্বোডিয়া – সাতান্ন বছর পরে আবার – তপন পাল |
|
~ শেষ পাতা ~
একদিনের জনাই ভ্রমণ – সৌমাভ ঘোষ |
সূর্যোদয়ের আভায় - সুন্দরবনে - আলোকচিত্রী রত্নদীপ দাশগুপ্ত