১৩শ বর্ষ ২য় সংখ্যা
ভাদ্র - চৈত্র ১৪৩০
দীর্ঘ সৈকত জুড়ে অজস্র মানুষের মেলা… স্নান করছেন, পুজো করছেন ভিজে বালিতে বসে ধূপধুনো সহযোগে, স্নানশেষে পোষাক বদলে ভেজা কাপড় মেলে হাওয়ায় শুকিয়ে নিচ্ছেন দু-চারজনে মিলে। ওরই ফাঁকে ফাঁকে সাধু-সন্ন্যাসীরা ঘুরছেন দুটো পয়সার আশায়, ফোটোগ্রাফার ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁর বাক্সওলা ঠেলাগাড়ি নিয়ে, বাছুর আর পুজোর সরঞ্জাম নিয়ে ভক্তকে গরুদানের পুণ্যার্জন নাকি আগেভাগেই বৈতরণী পেরিয়ে থাকার সুযোগ করে দিতে বেরিয়েছে কয়েকটা দল। হোগলার চালা অপ্রতুল, গুটিকতক মোবাইল টয়লেট-এ লম্বা লাইন। নানান স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাউন্টার, ভান্ডারা। এল-ই-ডি আলোতে ঝলমলে মন্দির, পিচঢালা রাস্তার এদিকে ওদিকে প্রিভিলেজডদের রাত্রিবাসের নানান আয়োজন। হিমেল রাতে পথের ধারে প্লাস্টিক শিট আর কম্বলমুড়ি দিয়ে খোলা আকাশের নিচে নিদ্রিত কাতারে কাতারে মানুষ। জোয়ার-ভাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবাইকে লঞ্চে-বার্জে নদীর মোহনা এপার-ওপার করিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরানোর জন্য সদাজাগ্রত প্রশাসনিক তৎপরতা।
গঙ্গাসাগর। একবারই। ঈশ্বর নয়, প্রকৃত ভারতবর্ষের সন্ধানে গিয়েছিলাম সেখানে।
আমাদের ছুটি-র এই সংখ্যাটি প্রকাশে বিস্তর বিলম্ব হল নানা কারণে। সম্পাদনা বিভাগের তরফে আমরা লেখক-পাঠকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
বসন্ত রঙিন হয়ে উঠুক সকলের, শুভ হোক নববর্ষ।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
~ এই সংখ্যায় ~
বানিহাল থেকে যদি কাশ্মীর উপত্যকার দৃশ্য দেখে থাকেন, তবে আপনার জীবনে তা একটা অমূল্য সঞ্চয়। ফিয়োসোল থেকে ফ্লোরেন্সের দৃশ্য নাকি মনোরম। তেমনই মনোরম মিস্ত্রার ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে স্পার্টা নগরী দর্শন। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকার দৃশ্য আরো মনোরম ও মনোহর। তফাৎ শুধু এইটুকুঃ এখানে গম্বুজ নেই, মিনার নেই অথবা আকাশ-স্পর্শী শিখর নেই। - রাজিয়া সেরাজুদ্দিনের কলমে "ভূস্বর্গ কাশ্মীর" |
~ আরশিনগর ~
~ সব পেয়েছির দেশ ~
উত্তরাখণ্ডে ট্রেক (শেষ পর্ব) – মৃণাল মণ্ডল |
~ ভুবনডাঙা ~
বৈচিত্র্যময় সিসিলিতে – শ্রাবণী ব্যানার্জী | |
ল্যুরে ক্যাভার্নস – দীপান্বিতা গঙ্গোপাধ্যায় | |
~ শেষ পাতা ~
বিশ্ববিখ্যাত ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ - আলোকচিত্রী সঞ্চারী দাশগুপ্ত