~ ৩য় বর্ষ ১ম সংখ্যা - বৈশাখ ১৪২০~
সেদিন বাসে এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা দুঃখ করছিলেন যে এখন আর পলাশ গাছ দেখতে পান না। পলাশ ওনার বড় প্রিয়। আমি তো ফেসবুকের পাতা খুললেই পলাশ দেখি, কিন্তু কলকাতায় কই তেমন করে মফঃস্বলের ছেলেবেলার মত পথ আলো করা পলাশ-কৃষ্ণচূড়া দেখতে পাই নাতো। এই তো কিছুদিন আগেও ভি আই পি রোডের দুপাশে অনেক বড় বড় নানারকম গাছ ছিল – বাসে করে যেতে যেতে দেখতাম ফুলে ফুলে আলো হয়ে আছে। গাছগুলোকে নাকি বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে কংক্রিটের ব্রিজ উঠবে বলে...
উফ্ কী গরম...ভাবছিলাম দুত্তোর বসন্তটাই যেন কোথায় হারিয়ে গেল! কলকাতায় বসন্ত যেন আর আসে না, মনকেমনের বাতাস উড়িয়ে দেয় না খোলা চুল... অথচ বেশ কয়েকবছর আগে কিন্তু এমন ছিল না।
এখন কোকিল ডেকে উঠলে ভাবি নিশ্চয় কারো মোবাইলের রিং টোন।
বসন্তকে খুঁজতে খুঁজতেই পৌঁছে গিয়েছিলাম শান্তিনিকেতনে। প্রবল গরম আর ততোধিক ভিড়। কী পেলাম জানি না। মাটির ঘরে রাত কাটিয়ে, নিকোনো মেঝেতে বসে ছেলেবেলার গন্ধমাখা কলাপাতায় ভাত খেয়ে, কয়েকজন উষ্ণ মনের মানুষের সান্নিধ্যে কিছু সময় থেকে আর অনেক অনেক অচেনা মানুষের দেওয়া আবিরে ভরে উঠতে উঠতে মনে হল আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে...।
বসন্তের রঙের বাসর ফুরোতে না ফুরোতেই এসে যায় বাঙালির প্রিয় পার্বণ নববর্ষ। আরো একটা বছর পেরিয়ে এল 'আমাদের ছুটি'-ও। এপার ওপার - দুই বাংলা আর প্রবাসী সব বন্ধুদের জন্য রইল নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা। সবাই এগিয়ে চলুক নিজের বিশ্বাসে, বাঙালি জাতিসত্তার লড়াইয়ে, ভালোবাসায়। আমরা একসঙ্গে আরও অনেক পথ হাঁটব।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
""উড়িষ্যায় ভুবনেশ্বরের পর থেকে পাহাড় শুরু হয় – এই উঁচু, এই নীচু। একেবারে শেষ সীমানায় একটা বিরাট পাহাড় আছে - উড়িষ্যা থেকে যখন মাদ্রাজে ঢুকছে। পিঁপড়ের সারির মত ট্রাকগুলো ঘুরে ঘুরে রাস্তা দিয়ে উঠছে। সেই রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে উঠেছি আমরা" – রিক্সাচালক গৌর কবিরাজের বিচিত্র ভ্রমণকথা এবারের আড্ডায়। |
~ আরশিনগর ~
মায়াবী দীপচর আর সাদা পাহাড়ের কথা - সালেক খোকন |
বসন্ত উৎসব, ভারতবর্ষ ও একটি ভূতের গল্প – দময়ন্তী দাশগুপ্ত |
মেঘ কুয়াশায় একা একা এলোমেলো – তুহিন দাশ খোকন |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
ছোট্ট টুপুরের বড় ট্রেকিং – ঝুমা মুখার্জি |
~ ভুবনডাঙা ~
অচিন্ত্যনীয় চিন্তাফু – মানব চক্রবর্তী |
এক ভ্রমণে দুই দেশ – মঞ্জুশ্রী সিকদার |
~ শেষ পাতা ~
অতীতের খোঁজে – মার্জিয়া লিপি |
বসন্ত উৎসব - শান্তিনিকেতন
আলোকচিত্রী- রত্নদীপ দাশগুপ্ত