~ ৩য় বর্ষ ২য় সংখ্যা - শ্রাবণ ১৪২০~
এই সময়ে বসে কোনো ভ্রমণ পত্রিকার সম্পাদকীয় লেখা সত্যিই বড় কঠিন মনে হচ্ছে। যখন প্রকৃতির রোষে অসংখ্য মানুষ বিপন্ন, কয়েকহাজার মানুষ মৃত। তবে শুধুমাত্র প্রকৃতিকে দোষারোপ করলে ভুল হবে। নিজেদের কবর আমরা নিজেরাই কি খুঁড়িনি? উন্নয়নের নামে গত কয়েকবছর ধরে উত্তরাখণ্ডের নদীগুলিতে একের পর এক বাঁধ তৈরি হয়েছে, হচ্ছে...। ট্যুরিজম ইন্ড্রাস্ট্রির সুবিধার জন্য পাহাড়ের অগম্য জায়গাতেও পাথর ফাটিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে গাড়ি চলার পথ। হিমালয়ের শান্ত, স্নিগ্ধ, নির্জনতাকে বেচে দেওয়া হচ্ছে পুণ্য অথবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নামে আরও বেশি পর্যটককে টেনে আনবার জন্য। আমরা আসলে পাহাড়কে, হিমালয়কে ভালোবাসতে পারিনি, ভালোবাসতে পারিনি পাহাড়ি গ্রামের শান্তিপ্রিয় খুব সাধারণ মানুষগুলিকে। নিজেদের ভালোলাগার জন্য শুধুই তাদের ব্যবহার করে গেছি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেঁচে যাওয়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উদ্ধার করার কাজটা যতটাই কঠিন, তার চেয়েও কঠিন বোধহয় পাহাড়ের গায়ের ছোট ছোট যে গ্রামগুলি ভেসে গেছে, ধ্বংস হয়ে গেছে - তার পুনর্বাসন। কয়েকবছর বাদে আমরা আস্তে আস্তে ভুলে যাব, আবার পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে কেদার-বদরীতে। কিন্তু প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা কাটিয়ে উঠে নিজের ঘর, জলের নীচে হারিয়ে যাওয়া ফসলি জমি, পালিত পশু, আর বেঁচে থাকার উপাদানগুলির পুনর্নির্মাণে হয়তো এখানকার মানুষগুলোর একেকজনের বাকী জীবনটাই কেটে যাবে। আমরাও তো পারি এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির পাশে দাঁড়াতে। 'আমাদের ছুটি'-র বন্ধুদের কাছে অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ ইত্যাদি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন, সব হারানো মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান। আসুন একসঙ্গে আমরা হিমালয়ের জনজীবনকে ভালোবেসে আবার বাঁচিয়ে তুলি।
মেঘলা দিনে শুধু মনখারাপের খবরই পাচ্ছি – সদ্য প্রয়াত হলেন বাংলা ভ্রমণ পত্রিকার জনক এবং বাংলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণপত্রিকা 'ভ্রমণবার্তা'-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শ্রী প্রমোদাদিত্য মল্লিক। 'ভ্রমণ করুন, ভ্রমণের মাধ্যমে দেশকে দেখুন ও জানুন আর সঙ্গে রাখুন একটি পত্রিকা' -এই আদর্শ ছিল তাঁর জীবনের শেষদিন পর্যন্তই। হুগলীর জুবিলি ব্রিজকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ নিয়ে বহরমপুরের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর চৌধুরির সঙ্গে দেখা করে ফেরার সময় বৃষ্টিতে ভিজে অল্প কয়েকদিনের জ্বরে ২৭ জুন বহরমপুর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ৭৭ বছরের এই তরুণ। তাঁর কথা বলতে গেলেই বারবার মনে পড়ছে 'আমাদের ছুটি'-র জন্য সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে অসাধারণ এই মানুষটির কাছে 'ভ্রমণবার্তা'-কে ঘিরে জীবনের যেসব অভিজ্ঞতার কথা শুনেছিলাম সেইসব। পূর্বসূরীকে আমরা সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
"আমার ব্যক্তিগত ধারণা, বেড়াতে গিয়ে খুব একটা লোকে অসুস্থ হয়না, সে যত গন্ডগোলই করুক।… আর অসুখবিসুখতো থাকবেই তবু সবারই উচিত যতটা সম্ভব বেড়ানো, সুস্থ থাকার জন্যই এটা খুব দরকার " – বেড়াতে গিয়ে অসুখ-বিসুখ হলে কী করা উচিত অথবা পথে বেড়িয়ে পড়ার আগে মেডিকেল কিটে কী কী রাখাটা দরকার এইসব জরুরি বিষয় নিয়ে – এবারের কথোপকথনের আড্ডায় বসেছেন ডাক্তারবাবুরা। |
~ আরশিনগর ~
বনে বনে পথ চলা - মহম্মদ মহিউদ্দিন |
গডউইনের সমাধির খোঁজে - দময়ন্তী দাশগুপ্ত |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
ঈশ্বরের আপন দেশে – ঝুমা মুখার্জি |
মুন্সিয়ারির কথা – অদিতি ভট্টাচার্য্য |
~ ভুবনডাঙা ~
ঐতিহ্যের শহর ইস্তানবুলে – কাকলি সেনগুপ্ত |
একটুকরো ব্রাসেলস – মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় |
~ শেষ পাতা ~
কোণার্কের সূর্যমন্দিরে – হুমায়ূন কবীর ঢালী |
কালেঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্ট - বাংলাদেশ
আলোকচিত্রী- মহম্মদ মহিউদ্দিন
ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে - |
||