~ ৭ম বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা - মাঘ ১৪২৪ ~
খুব উঁচুতে উঠতে পারি না পাথর ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে। জঙ্গলের মধ্যে বিহারীনাথ পাহাড়ের কোলে বনঝোপের মাঝে একটা চ্যাপ্টা পাথরে বসে থাকি একা একা।
সব বনেরই একটা নিজস্ব গন্ধ আছে। আর তা একেবারে তার বুকের ভেতরে না গেলে অনুভব করা যায় না।
কেমন নির্জন একটা বেলা। বড় বড় গাছের পাতায় পাতায় শনশন শব্দ। ছায়ার ফাঁকে ফাঁকে শীতের নরম রোদের রেখা। পাখিদের ডাক দিয়ে যাওয়া। ঠান্ডাটা খুব লাগছে না। বোধহয় খানিকটা হেঁটে উঠে আসার জন্য।
ভাবছিলাম। ওই যে উইঢিপির পাশ দিয়ে পায়ে চলার পথটা পাথর বেয়ে বেয়ে পাহাড়ের মাথায় গিয়েছে ওপথে বিভূতিভূষণ কোনওদিন হেঁটেছিলেন কিনা।
বাড়ি ফিরে অনেক খুঁজেও বইয়ে পেলাম না। অথচ তখন বেশ অনুভব হচ্ছিল। হয়ত যাননি, অথবা গিয়েছিলেনই বা – আমার কল্পনায়।
এই জন্যই বেড়াই হয়তো। যেটুকু পারি। প্রকৃতিই কল্পনাকে আপন বলে দুচোখে তুলে দেয় আমার।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
"পাঠক, যদি কখন রাজগৃহে যাও, তবে গিরিব্রজগিরির শিখরদেশে উঠিয়া পঞ্চগিরি ব্যূহস্থিত জরাসন্ধের লীলাভূমির ভগ্নাবশেষ দেখিও, সেই পর্ব্বতের কটিদেশে দণ্ডায়মান হইয়া পর্ব্বতকন্দর প্রতিধ্বনির শতকম্পন শ্রবণ করিও, প্রাণ পুলকিত হইবে।" - শ্রী রামলাল সিংহের কলমে "রাজগৃহ বা রাজগিরি দর্শন" -এর শেষপর্ব |
"আমার ধারণা, পৃথিবীর সব অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য এই এক উপমহাদেশ নিজের হৃদয়ে ধারণ করে আছে। ভালোবাসা থেকে বিদ্বেষ, চাতুরি থেকে সরলতা—সব!" - লেখক ও পর্বতারোহী স্টিফেন অল্টারের সঙ্গে ছোট্ট আলাপচারিতায় মুহিত হাসান দিগন্ত |
|
সামনে অনেক নিচে পাহাড় ঘেরা উপত্যকায় ঝলমল করছে লেহ শহর। তাকে সযত্নে দুহাত বাড়িয়ে বাইরের জগৎ থেকে আড়াল করে রেখেছে শ্বেতশুভ্র স্তোক কাংড়ি পর্বতমালা - এও কি কম পাওয়া? - ধারাবাহিক 'ভ্রমণকারী বন্ধুর পত্র - লাদাখ পর্ব'-এর পঞ্চম পত্র দময়ন্তী দাশগুপ্তের কলমে |
~ আরশিনগর ~
~ সব পেয়েছির দেশ ~
মেঘ ছুঁয়ে কল্পেশ্বরে – সুমন্ত মিশ্র |
ম্যাজিকাল মংলাজোড়ি – পলাশ পান্ডা |
~ ভুবনডাঙা ~
দিন তিনেকের ভুটান – সম্পত ঘোষ, সায়ন্তিকা ঘোষ |
~ শেষ পাতা ~
বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যে চিতল হরিণ পরিবার - আলোকচিত্রী- অরিজিত কর
ভালো লাগলে জানান বন্ধুদের |
||