~ ৮ম বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা - মাঘ ১৪২৫ ~
চেরীব্লসম ফেস্টিভালের তখনও বেশ কয়েকদিন বাকি - পথঘাট ছেয়ে গেছে হালকা গোলাপী রঙের চেরীফুলে। নভেম্বরের ঝকঝকে আবহাওয়া আর দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে আমাদের মুগ্ধ করেছিল শিলং। মেঘও যে কত সুন্দর হতে পারে!
কেটি মিত্তিরদের ভিড়ে অবশ্য অমিত-লাবণ্যের দেখা পেলাম না। আর মনে হল একালে হলে তাদের দেখা হত গাড়ির ধাক্কায় নয়, শিলং-এর বিখ্যাত জ্যামে আটকে। কী আর করি মনের দুঃখে রবি ঠাকুরের বাড়িতে গেলাম। দেখি সেদিন সেও বন্ধ। শিলং-এর এই এক মুশকিল। রোজ সাইট সিয়িং-এর কোনও না কোনও জায়গা বন্ধ থাকে - একদিনে যে সব দেখে নেবে ওটি হচ্ছে না। তাই ক'দিন শিলং-চেরাপুঞ্জি ঘুরে ঘুরে বেশ কয়েকটা ঝরনা দেখলাম, মিউজিয়াম দেখলাম, ডাওকি নদীর স্বচ্ছ জলে নৌকাবিহার হল ওপার বাংলার সীমানায়, চমৎকার দুটো গুহা দেখলাম, আর দেখলাম মেঘের পরে মেঘ। তাও বাকি রয়ে গেল জিপলাইন অ্যাডভেঞ্চার।
দুদিন ঘুরে, শেষমেষ তৃতীয় দিনে রবিঠাকুরের বাড়ি খোলা পাওয়া গেল। কিন্তু একটিমাত্র ঘরে ছাড়া পুরোনো জিনিসপত্র কিছুই নেই, একটু হতাশই হলাম। কালিম্পং, মংপু-র পরে শিলং-এ রবিঠাকুরের দেখা পেলাম কি? ভাবতে ভাবতে ফিরছিলাম। মনের মধ্যে গুনগু্ন করছিল ঢুকেই ঘরের ডানহাতে দেওয়ালে টাঙানো 'শেষের কবিতা'-র লাইনগুলো - 'মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে পার হয়ে আসিলাম আজি নবপ্রভাতের শিখরচূড়ায়...।' টুপটাপ কয়েকটা চেরীফুল ঝরে পড়ল গায়ে-মাথায়।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
"তখন রাত সাড়ে চারটা। সমস্ত নগর নিস্তব্ধ, সুষুপ্ত, পথ জনশূন্য, আমরা ল্যাম্প জ্বেলে রওনা হ’লাম। আমরা হাওড়া পুলে এসে দেখ্লাম পুল খোলা। কাজেই আমাদের এখানে প্রায় মিনিট পনের দাঁড়াতে হ'ল।" - শ্রী অশোক মুখোপাধ্যায়ের লেখনীতে "সাইকেলে কাশ্মীর ও আর্য্যাবর্ত্ত" |
~ আরশিনগর ~
ইছামতীর তীরে – জ্যোতি প্রকাশ ঘোষ |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
ভূস্বর্গ কিন্নরে – সুদীপ্ত ঘোষ |
~ ভুবনডাঙা ~
ইয়েলোস্টোন পার্কে – কালীপদ মজুমদার | |
~ শেষ পাতা ~
কিন্নরের নিসর্গ - আলোকচিত্রী শ্রী সুদীপ্ত ঘোষ
ভালো লাগলে জানান বন্ধুদের |
||