১০ম বর্ষ ২য় সংখ্যা
কার্ত্তিক ১৪২৭
টিকিট কাটা হয়েছিল উত্তরবঙ্গে যাওয়ার। কোভিড হল পরিবারের অন্যান্যদের। বাতিল হল যাত্রা। খুব মনখারাপ নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম তরুণ তেজপালের প্রথম উপন্যাস 'দ্য অ্যালকেমি অফ ডিজায়ার'। উপন্যাসের মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি আর কাঠগোদাম পেরিয়ে নৈনিতালের প্রবেশদ্বার পাহাড়ি জিয়োলিকোটের একটি একলা বাড়িকে কেন্দ্র করে। উপন্যাসের দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র দিল্লিবাসী কথক ও তাঁর স্ত্রী ফিজা বাড়িটি কিনে নেবেন। তারপর সেই বাড়ির অতীতকে কেন্দ্র করে শুরু হবে ঘটনার বিস্তার। পড়তে পড়তে একাত্ম হয়ে যাচ্ছিলাম কথকের সঙ্গে। বাড়িটির বাসিন্দা হয়ে উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি প্রকৃতিকে দেখছিলাম খুব কাছ থেকে। দিল্লি থেকে জিয়োলিকোট প্রথমবার যাত্রার বর্ণনাটিও ছবির মতো। আমার এই জায়গাগুলো দেখা হয়নি। বইটি পড়তে পড়তে একইসঙ্গে ভ্রমণের ইচ্ছা প্রবল হয়ে ওঠে আবার ভ্রমণসুখও মেটে।
আপাতত মানসভ্রমণেই কাটছে দিনগুলি। অনেকেই কিন্তু বেড়াতেও যাচ্ছেন সাবধানতার নিয়ম মেনে। যেটা ভ্রমণশিল্পের কাছে সুখবর। সময় সুযোগ পেলে আমরাও আবার বেড়িয়ে পড়ব কোথাও। অন্য রাজ্যে যাওয়াটা এখনও খানিক অসুবিধারই। কিন্তু আমাদের রাজ্যে কী নেই – পাহাড় থেকে সমুদ্র। আপনারাও ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন আর নিয়ম মেনে চলতে পারলে কাছেপিঠে কোথাও থেকে দু-চারদিন বেড়িয়েও আসতে পারেন একঘেয়েমি কাটাতে।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
"রাস্তার গায়ে এক দিকে গগনস্পর্শী পাহাড়ের দেয়াল আর একদিকে বরাবর হাজার হাজার ফিট নীচু খাদ। সেইদিকে মাত্র তিন ফুট উঁচু পাথর রেলিংয়ের কাজ করছে। কোন রকমে সেই পাথরের বেড়া টপকালেই আর তার কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়ার দফা নিশ্চিন্ত। আর এইরকম দারুণ ঢালু পথে বাঁকের মুখে মোড় ফিরবার সময় খুব বেশী ক্ষিপ্রতার প্রয়োজন হয়। এই সময় একটু অন্যমনস্ক বা ঢিলা হ'লেই হয় পাহাড়ের গায়ে বা পাথরের রেলিংয়ে সবশুদ্ধ ধাক্কা। না হ'লে সাইকেল শুদ্ধ পিছলে রেলিং টপকে নীচে পড়া অনিবার্য্য।" - শ্রী অশোক মুখোপাধ্যায়ের লেখনীতে "সাইকেলে কাশ্মীর ও আর্য্যাবর্ত্ত"র শেষ পর্ব |
~ আরশিনগর ~
পাহাড়িয়া পুরুলিয়া – রাহুল দত্ত |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
ফিরে দেখা সেই কেদার – অরুণাচল চ্যাটার্জি |
~ ভুবনডাঙা ~
সুন্দরী নরওয়ে – পদ্মাবতী মন্ডল | |
~ শেষ পাতা ~
কেরালার থেইয়াম উৎসব – পঙ্কজ দত্ত |
তুঙ্গনাথের পথে - আলোকচিত্রী অরিন্দম পাত্র