১১শ বর্ষ ২য় সংখ্যা
ভাদ্র - অগ্রহায়ণ ১৪২৮
লকডাউন প্রায় উঠেই গেছে, অন্তত দেশের মধ্যে কোথাও দিনকয়েক কাটিয়ে আসা তো যায়ই এখন, ওমিক্রনের জুজু সত্ত্বেও। কিন্তু যাব যাব করে এখনও বেরিয়ে পড়তে পারিনি। তাই চলছে মানসভ্রমণই। সদ্য পড়ে শেষ করলাম অমিতাভ ঘোষের 'হাংরি টাইড'। হাতের কাছে হওয়া সত্ত্বেও আজও সুন্দরবনেই যাওয়া হয়নি। ভাটির দেশের গল্প পড়তে পড়তে যেন সত্যিই চলে যাই সেখানে। পিয়ালি রায়, আমেরিকার বাসিন্দা এক তরুণী সমুদ্র-জীববিজ্ঞানী সঙ্কটাপন্ন বিরল এক ডলফিন প্রজাতির খোঁজে এলেন সুন্দরবনে। সেখানে একের পর এক মানব চরিত্র, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, ইরাবতী ডলফিন, সমুদ্র, অরণ্য সবার সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত হয়ে কাহিনির মায়াজাল বুনে যান লেখক। গল্পের টানে উঠে আসে মরিচঝাঁপি থেকে উদ্বাস্তু উৎখাতের ঘটনাও। শেষে এক প্রলয়ঙ্কর ঝড় আর তার পরবর্তীতে দীর্ঘকালীন গবেষণার জন্য পিয়ালির পাকাপাকিভাবে সুন্দরবনকেই নিজের 'হোম' করে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে কাহিনির সমাপ্তি হয়। পড়তে পড়তে মনে হয় এই শীতেই তো তাহলে একবার ঘুরে আসা যায়। কাহিনির মানুষগুলোকে খুঁজে নাইবা পাই, অরণ্য আর সাগর তো তার স্বাদ থেকে বঞ্চিত করবে না!
সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। লকডাউনের পর সত্যি ভ্রমণ আবার শুরু হয়ে গেছে অল্প অল্প করে, তার পাশাপাশি চলতে থাকুক 'আমাদের ছুটি্'র সঙ্গে মনভ্রমণও।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
~ এই সংখ্যায় ~
"পুরো পথটাই কালো পাহাড়ি অঞ্চল, শুকনো ঘাসে ঢাকা। ওপর দিয়ে বাজ আর কালো ফিঙের মতন এক ধরণের পাখি ঘুরপাক খাচ্ছে। এই পথে একলা চলতে চলতে অজানা আজগুবি ভয় মনের মাঝে দানা বাঁধা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়!" |
~ আরশিনগর ~
টংলু টপে দিনদুয়েক – অরুণাচল চ্যাটার্জী | |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
শীতকালে করবেটের জঙ্গলে – পাপড়ি সাহা | |
~ ভুবনডাঙা ~
ফিনল্যান্ডের বসন্তে – সুপ্রিয় কুমার রায় | |
~ শেষ পাতা ~
বাসাই দুর্গে একবেলা |
প্রকৃতির স্পট লাইট, করবেট ন্যাশনাল পার্ক - আলোকচিত্রী প্রমথেশ সাহা