~ ৪র্থ বর্ষ ১ম সংখ্যা - বৈশাখ ১৪২১~
"গরম লাগে ত তিব্বত গেলেই পার। ... সিধে রাস্তা, সওয়া ঘন্টার পথ।" - কলকাতায় বসে গরমে ঘামতে ঘামতে, রোদে ঝামা হতে হতে আর ফেসবুকে দার্জ্জিলিং, গ্যাংটক, লাদাখের একের পর এক ছবি দেখতে দেখতে সুকুমার রায়ের কথাটাই মনে হচ্ছে কেবল। ইস্ যদি অমনি যাওয়া যেত – কতই বা দূর – " কলকেতা, ডায়মণ্ড হার্বার, রাণাঘাট, তিব্বত – বাস্!" আহা, তাহলে দিব্যি মাঝে মাঝে ঠাণ্ডা হাওয়া খেয়ে আসতাম। নেহাত 'গেছোদাদা'র বর্তমান ঠিকানাটা জানা নেই। কী আর করা যাবে – ফাল্গুনীদার লেখা পঞ্চাশ বছর আগেকার কাশ্মীরের কথা কিম্বা মার্জিয়ার লেখা কেদার আর কুফরি পাহাড়ের ভ্রমণ কাহিনি পড়েই মনটা ঠাণ্ডা করছিলাম। ওই যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি। আর সেই ক্ষোভেই জ্ঞানের দীনতা পূরণ করতে তাই ভ্রমণ কাহিনি পড়ি। কথাটা ভীষণভাবে সত্যি। আন্তর্জালের দুনিয়ায় এখন পৃথিবীটা অনেক ছোট হয়ে গেছে, কিন্তু তাতে ভ্রমণ কাহিনি পড়ার তাগিদটা মানুষের একটুও কমেনি। বইয়ের পাশাপাশি বরং জুড়ে গেছে ই-বুক, বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিম্বা ব্লগের পাতার লেখা। এবারের লেখাগুলো দেখতে দেখতে, সাজাতে সাজাতে, পড়তে পড়তে আমিও যেন পৌঁছে যাচ্ছিলাম মঞ্জুশ্রীদির সঙ্গে উজবেকিস্তান, জিয়াউল কিম্বা সুরাইয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অচেনা কোন কোণে, অদিতির সঙ্গে ছুঁয়ে আসছিলাম ভারতবর্ষের দক্ষিণের শেষ প্রান্তভূমি। তপনবাবু বহু চেনা দিঘারও অচেনা দিকটি দেখিয়ে দিলেন আমায়। কে বলে 'গেছোদাদার' ঠিকানা পাওয়া যায় না? 'আমাদের ছুটি'র কাজ করার এইটাই বোধহয় সার্থকতা, নইলে কতটুকুই বা যোগ্য আমি!
তবু যখন হিমালয়ের সামনে দাঁড়াই, সুনীল সমুদ্রের উচ্ছ্বাস হৃদয়ে অনুভব করি, গভীর অরণ্যের নিজস্ব গন্ধে ভরে নিই ফুসফুস, আন্দামানের সেলুলার জেল, অজন্তার গুহামন্দির, আগ্রায় তাজমহল দেখে বা জাতীয় গ্রন্থাগারে অতীতকে ছুঁয়ে শিহরিত হই, অমলাশঙ্করের মত আলোকময় ব্যক্তিত্বের মুখোমুখিতে মুগ্ধ হয়ে উঠি অথবা বইয়ের পাতা কিম্বা ই-বুক-এ খুঁজে পাই ভালোলাগার ভ্রমণ আখ্যান তখন এই পাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ লাগে নিজের। প্রতিদিনের জীবনের সুখ-দুঃখ, ভালোমন্দের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে আমারও বলতে ইচ্ছা করে - পৃথিবী কী আশ্চর্য সুন্দর আর আরও সুন্দর এই বেঁচে থাকাটা।
আসলে আমরা সকলেই কখনও না কখনও নিজের মত করে 'গেছোদাদা'র ঠিকানা ঠিক খুঁজে পেয়ে যাই...
চার-এ পা রাখল 'আমাদের ছুটি'। বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন বছরে সব বন্ধুদের জন্য আন্তরিক শুভকামনা।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
"এই এক্সিবিশনে কতগুলো যে কলোনিয়াল দেশ যোগ দিয়েছিল – হল্যাণ্ড, আফ্রিকা, জাভা – কত মানুষের সঙ্গে, তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম। ইন্দোনেশিয়ার থেকে আঙ্কোরভাটের মন্দিরের আদলে স্টল করেছিল। মাপেও একরকম। আফ্রিকা থেকে উইয়ের ঢিপির মতো কুঁড়েঘর বানিয়েছিল। কয়েকটি আফ্রিকান পরিবার সেখানে ছিল-ও। তারা গাছের ডাল কেটে হাতা বানিয়ে রান্না করত। সেইসব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। ভারি ভালোলাগত । " - এবার কথোপকথনে 'সাত সাগরের পারে' রচয়িত্রী নৃত্যশিল্পী অমলাশঙ্কর। |
|
"একদিন রাস্তায় একটি মেথরকে জিজ্ঞাসা করলাম – চুল কাটাবো কোথায়? সে আমার মুখের দিকে চেয়েই বুঝল যে বিদেশী; তখন সে ঝাড়ু সেখানেই ফেলে রেখে আমাকে নিয়ে তিন চার মিনিটের পথ দূরে একটা হেয়ার-কাটার স্যালুনে উপস্থিত করে চুল কাটার বন্দোবস্ত করে দিয়ে আনন্দে হাসতে হাসতে বিদায় হল। মেথর কি আর মেথর!" -'বিলাত ভ্রমণ' অক্ষয়কুমার নন্দীর কলমে। |
~ আরশিনগর ~
|
|
|
~ সব পেয়েছির দেশ ~
|
~ ভুবনডাঙা ~
রেশম পথের যাত্রী - মঞ্জুশ্রী সিকদার |
~ শেষ পাতা ~
খিভা - উজবেকিস্তান
আলোকচিত্রী- শ্রীমতী মঞ্জুশ্রী সিকদার
ভালো লাগলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে - |
||