১০ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা
মাঘ ১৪২৭
ছেলেবেলায় স্বপ্ন দেখতেন বন্য পাহাড়ি অঞ্চলের, জনশূণ্য প্রান্তর আর দুর্গম গ্লেসিয়ারের। বড় হওয়ার পর জন্মভূমি ফ্রান্সেই চর্চা করেছিলেন প্রাচ্যতত্ত্বের এবং আলাদা করে তিব্বতী ভাষা ও সংস্কৃতির। তাঁকে আকর্ষণ করেছিল পূর্বের অজানা রহস্যময় দেশগুলি - ভারত, বর্মা, চিন এবং সর্বোপরি তিব্বত। শুধুমাত্র তিব্বতেই গিয়েছেন পাঁচবার যার মধ্যে শেষবার নিষিদ্ধ অঞ্চল লাসায়। দুর্গম লাসায় সেই প্রথম কোনও বিদেশি মহিলার পদচিহ্ন পড়ল।
১৯১০ সালে প্রথম পুবের পথে যাত্রা করেন আলেকজান্ডার ডেভিড নীল। এইসময় চিনের সঙ্গে গন্ডগোলে তিব্বতের শাসক দালাই লামা এসে ভারতের কালিম্পং-এ আশ্রয় নেন। অনেক চেষ্টা করে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডেভিড নীল। ১৯১২ সালে সিকিমের দিক থেকে প্রথমবার তিব্বতে পা রাখেন তিনি। রহস্যময় তিব্বতের পাহাড়,গিরিপথ,ভূ-প্রকৃতির পাশাপাশি তাঁকে আকৃষ্ট করেছিল তিব্বতী ভাষা ও সংস্কৃতি।পুরোনো পুঁথি আর বই সংগ্রহ করতেও শুরু করেন। কয়েকবছর বাদে পাঞ্চেন লামা বা তাসি লামার কাছে যান। পন্ডিত এই ব্যক্তি তাঁকে তিব্বতী সংস্কৃতিচর্চার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
কোনোদিনই লাসায় যে যেতেই হবে এমনটা মনে হত না নীলের। কিন্তু যখন জানলেন বিদেশিদের জন্য নিষিদ্ধ সে দেশ, তাঁর মাথায় জেদ চেপে গেল। পুত্রবৎ লামা ইয়ংদেন-এর বৃদ্ধা মায়ের ছদ্মবেশে ভালোমন্দ নানা অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে পৌঁছেছিলেন লাসা। 'মাই জার্নি টু লাসা' পঞ্চান্নবছর বয়সে ছদ্মবেশে তাঁর সেই অভিযানের কাহিনি।
লকডাউনের জেরে বেড়াতে যাওয়া হয়নি অনেকদিন, বই পড়ছিলাম একের পর এক। ওই যে একটা কথা আছে না - 'I am forever travelling because I read'। এর মধ্যেই 'মাই জার্নি টু লাসা' হাতে এল। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। নীল-এর সঙ্গে কয়েকটা দিন হারিয়ে গিয়েছিলাম একশো বছরেরও বেশি আগের তিব্বতের অজানা প্রান্তরে।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
~ আরশিনগর ~
শিবখোলা আর লাটপাঞ্চারে – অরুণাচল চ্যাটার্জী |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
কালের বন্দর বন্দরের কাল – প্রজ্ঞা পারমিতা |
স্বর্গীয় দেওরিয়াতাল – অরিন্দম পাত্র |
~ ভুবনডাঙা ~
জাঞ্জিবারের প্রিজন আইল্যান্ড ও স্লেভ মেমোরিয়াল |
|
ভাঙা মন্দিরের দেশ কাম্বোডিয়া – মলয় সরকার |
|
~ শেষ পাতা ~
বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন – গনগনি – শুভ্রা সরকার |
পাহাড়ি বাঁকের ইতিকথা - লাটপাঞ্চারে - আলোকচিত্রী রাজমিতা চ্যাটার্জী