~ ২য় বর্ষ ২য় সংখ্যা - ভাদ্র-আশ্বিন ১৪১৯~
সত্যি বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকুইবা জানি... অন্য দেশ দূরে থাক, ভারতবর্ষেরও খুবই অল্প কয়েকটা জায়গাতেই আমি বেড়িয়েছি। ভ্রমণকাহিনি পড়তে বা বেড়ানোর ছবি দেখতে তাই বোধহয় এত ভালো লাগে। মনে মনেই ভুবনভ্রামণিক হই। ছেলেবেলায় পুজোর ঠিক আগে আগে এই সময়টায় মফস্বলের ছোট শহরটার আকাশ-বাতাস কেমন একটা মনকেমন করা গন্ধে ভরে উঠতো। প্রায়শঃ বিকেলে বেড়িয়ে একা একাই হাঁটতে হাঁটতে বাড়িঘরগুলো ছাড়িয়ে ধানক্ষেতের আল ধরে চলে যেতাম অনেকটা দূর... যেখানে দূরে টিলার মাথায় সূর্য অস্ত যাচ্ছে। কেমন একটা অপার্থিব অনুভূতিতে ভরে উঠত মনটা। একেকদিন চুপ করে বসে থাকতাম আলের ওপর। পাখিরা ডানা মেলে নীড়ে ফেরার সময় মনে করিয়ে দিয়ে যেত এবার আমাকেও ফিরতে হবে।
কোনদিন বিকেলবেলায় বারান্দায় বসে পড়তাম বিভূতিভূষণ কিংবা গীতবিতান। গানের ভিতর দিয়ে দেখতাম ভুবনখানি...। বড় প্রিয় ছিল রাণী চন্দের ‘হিমাদ্রি’ আর ‘পূর্ণকুম্ভ’। পড়তে পড়তে কখন পৌঁছে গেছি হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাটে, কেদারের পথে। অনেকদিন পরে আন্দামানের সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে কিংবা অরুণাচলের সবুজে ছাওয়া পথে যেতে যেতে হিমালয়ের মুখোমুখিতে এমন অনুভূতি বারবার হয়েছে। বিভূতিভূষণের একটা উপলব্ধি বড় বেশি সত্য মনে হয়েছে এইসময় – “ আসলে দেখে চোখ আর মন। যখন ওই দুটি ইন্দ্রিয় বহুদিন বুভুক্ষু, তখন যে কোনো মুক্ত স্থান, সামান্য একটা বাঁশঝাড়, একটি হয়তো ধানের মরাইওয়ালা গৃহস্থবাড়ি, আঁকা-বাঁকা গ্রাম্য নদী, কোথাও একটা বনের পাখীর ডাক – মধুর স্বপ্নময় হয়ে ওঠে।”
আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়ালে তবেই বোধহয় দেখাটা সম্পূর্ণ হয়।
উৎসবের ছুটির দিনগুলোয় আপনারা অনেকেই হয়তো বেড়িয়ে পড়ছেন পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ অনুভব করতে, আবার কেউবা ঘরের জানলা দিয়ে, বইয়ের পাতায়, ইন্টারনেটের অলিগলিতে খুঁজবেন ছুটির আকাশ। তাঁদের সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল ছুটির দিনগুলো ভালো কাটুক, আনন্দে কাটুক।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায়-
নানান দেশে নানান জায়গা...সেখানে আমরা একজন গেলাম, দেখলাম দুচোখ ভরে, তখন মনে হয় একটু ছড়িয়ে দিই... বন্ধুদের সাথে বেড়ানোর আনন্দ-অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে মে মাসের এক সন্ধ্যায় কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির জীবনানন্দ সভাঘরে বসেছিল ‘আমাদের ছুটি’-র আড্ডা। এবারে তারই এক ঝলক। |
~ আরশিনগর ~
জঙ্গলে-জঙ্গলে সাইকেলে – মহম্মদ শরীফুল ইসলাম |
বকখালি ভ্রমণ ও একটি রচনা লেখার গল্প – দময়ন্তী দাশগুপ্ত |
কুয়াশাঘেরা হ্রদ-পাহাড়ের উপকথা – বিপ্লব রহমান |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
তবু অনন্ত জাগে …হিমালয় ভ্রমণ – সেকাল একাল - বিভাস দে |
মাওয়ালি পাসের পথে - সুদীপ বিশ্বাস |
জগদলপুরের জলপ্রপাতে - অদিতি ভট্টাচার্য |
রূপকুণ্ডের রূপের রহস্যে - দীপঙ্কর রায় |
~ ভুবনডাঙা ~
মালয়েশিয়ার দুই প্রান্তে - রফিকুল ইসলাম সাগর |
নৈসর্গিক নায়াগ্রা - পায়েল চক্রবর্তী |
~ শেষ পাতা ~
ছোট্ট ছুটির পুরী - জয়ব্রত মুখার্জি কলকাতার কাছেই -প্রত্যুষ সেনগুপ্ত
|
মাওয়ালি পাসের ছবি - সুদীপ বিশ্বাস