~ ২য় বর্ষ ৩য় সংখ্যা - পৌষ-মাঘ ১৪১৯~
চলন্ত ট্রেন থেকে দেখা একটা লাল ধুলোর রাস্তা
আমি ঐ রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছি, আবার আমিই ট্রেনের জানলায়
আমার দু’পায়ে পৃথিবীর রং, কাঁধে একটা পুঁটুলি
ট্রেনের কামরায় অট্টরোল, আমার পাশ দিয়ে হাঁটছে
একটি ছাগল চড়ানো বুড়ি
লাল ধুলোর রাস্তাটা কোথায় গেছে? দু’পাশে ফসল-কাটা মাঠ
মাঝে মাঝে দু’-একটা তালগাছ, অচেনা বুনো ঝোপ
ঐ দিকের দিগন্তে লেগে আছে বড় মায়াময় জীবন
বিকেলের বাতাসে উড়ছে সম্ভাবনার নীল যবনিকা...
রাস্তাটা এখন অদৃশ্য, ট্রেন ছুটছে আরও দুরন্ত ছটফটানিতে
সকলেরই কোথাও না কোথাও পৌঁছোনোর ব্যগ্রতা
অথচ আমি হেঁটে যাচ্ছি, একটা ছাগলের বাচ্চা তুলে নিলাম বুকে
বুড়িটি ফিক করে হেসে অনাদি কালের ছবি হয়ে গেল।
“লাল ধুলোর রাস্তা” – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আমরা যাদের কৈশোর কেটেছিল ঘন নীল সমুদ্রের মাঝে সবুজ দ্বীপের রহস্য কিংবা এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পাহাড়চূড়ার আতঙ্কের সন্ধান করতে করতে – তারাই আবার বড় হয়ে খুঁজেছি দিকশূণ্যপুরের ঠিকানা, স্নান করতে চেয়েছি সুদূর ঝর্ণার জলে, পায়ে পায়ে হেঁটেছি স্মৃতির শহরে - সুনীলের সঙ্গে তাঁর কবিতায়, ভ্রমণ লেখায়, নীললোহিতের সঙ্গে দিকশূন্যপুরে অথবা সন্তু-কাকাবাবুর সঙ্গে দেশে-বিদেশে বার বার হারিয়ে গেছি, হারিয়ে যাই...। এবার সাঁকো পেরিয়ে একা একাই চলে গেলেন আপাদমস্তক বাঙালি এই বিশ্বনাগরিক দুপায়ে পৃথিবীর রং নিয়ে... এপার ওপার আজ স্মৃতিময় একাকার।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
"একবার একটা শিশুগাছের তলায় ছিল আমার তাঁবুটা। দ্বিতীয় দিন চা টা খাওয়ার পর বেরোচ্ছি হঠাৎ লক্ষ করলাম গাছ থেকে চারটে পাতা পড়ল। তৃতীয় দিন দেখলাম একটা হাওয়া দিল, আবার চারটে পাতা পড়ল। চতুর্থ দিন থেকে আমার ভালোলাগতে শুরু করল। আমি বসে থাকতাম পাতাটা পড়ার জন্য"...জীবনের ছোট ছোট সুখ-দুঃখ-ভালোলাগা-মন্দলাগার ছবি ফুটে উঠল বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শিবনাথ বসুর সঙ্গে আড্ডা-গল্পে-গানে। |
~ আরশিনগর ~
বাঘের বাড়ি – মার্জিয়া লিপি |
বনে-পাহাড়ে – শুভেন্দু রায়-দেবাশিস মন্ডল-দীপক ভৌমিক |
সান্দাকফু – চেনা পথে ফিরে আসার গল্প – মাহমুদ ফারুক |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
ইতিহাসের শহরে - মহুয়া ব্যানার্জি |
কাকাবাবু হেরে গেলেন? - দময়ন্তী দাশগুপ্ত |
~ ভুবনডাঙা ~
এক ভ্রমণে দুই দেশ – মঞ্জুশ্রী সিকদার |
ঝটিকা সফরে সিঙ্গাপুর - মহম্মদ রাশে্দুজ্জামান |
~ শেষ পাতা ~
ঈশ্বর-প্রকৃতি-ভ্রমণ - অদিতি ভট্টাচার্য্
|
সেলিম চিস্তির দরগায় মার্বেলের জালি
আলোকচিত্রী- রত্নদীপ দাশগুপ্ত