৯ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা
পৌষ-মাঘ ১৪২৬
কোণার্কের সূর্যমন্দির দেখলে বাঙালি ভ্রমণকারী আজকাল আর আশ্চর্য বা মুগ্ধ কোনোটাই হন না। আমি কিন্তু হই, এখনও, বারবার। আর তার সঙ্গে মনটা আরো একটু বেশি খারাপ হয়ে যায়। প্রতিবারেই মনে হয় আগেরবারের থেকে কয়েকটা মূর্তি ক্ষয়ে এসেছে, কোথাও মূর্তির বদলে ঠাঁই পেয়েছে চৌকো পাথর। বুঝতে পারি আসলে কালের গর্ভে একটু একটু করে মন্দিরটা মুছে যাচ্ছে চোখের সামনে থেকে। যেমন অজন্তা দেখলে মনকেমন করে কিংবা লাদাখ পাহাড়ের আলচি মনাস্ট্রির ছবিগুলো দেখতে দেখতে। মনে হয় আর পঞ্চাশ বছর পরে হয়তো এর অনেককিছুই একেবারে নেই হয়ে যাবে। উত্তরপুরুষদের কাছে অতীতের এই ঐতিহ্যের পরিচয় কিছু আর থাকবে না। সময় তো ক্ষয় ধরায়ই, ক্ষয় ধরায় সভ্যতাও। আবার সভ্যতাই পারে ঐতিহ্যের যত্ন নিতে।
একবার একটা লেখায় পড়েছিলাম সম্ভবত একজন ইতালিয়ান বা ফরাসী তিব্বতের কোনো এক গুহায় একা একাই বছরের পর বছর পড়ে থেকে গুহাভ্যন্তরের ছবিগুলির সংরক্ষণ করছেন আধুনিক উপায়ে। অজন্তার কথা মনে হচ্ছিল খুব লেখাটা পড়তে পড়তে। এবারে কোণার্কে গিয়ে দেখলাম আর জগমোহনের প্রথম ধাপটাতেও উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। মন্দিরের একটা অংশে মূর্তিগুলির ওপরে বিশেষ কেমিকালের সাদা প্রলেপ লাগানো হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। তবু পাশের চৌকো চৌকো পাথরগুলো দেখলে ভরসা হয়না। সত্যি বাঁচবে তো কোণার্কের অপরূপ ভাস্কর্যগুলি? মন্দিরের পেছনের দেওয়ালগাত্রে গাছের তলায় পাশাপাশি দাঁড়ানো স্বামী-স্ত্রীর যে মূর্তিটির ঠোঁটের কোণায় হাজার বছর ধরে প্রেমময় হাসির রেশ লেগে আছে পরেরবার এলে তা দেখতে পাবো তো?
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
"দিল্লীর নাম ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে এমন ভাবে জড়িত ও এখানে দেখবার জিনিস এত বেশী যে, সে-সমস্ত এড়িয়ে চ'লে যাওয়া কারও পক্ষেই সম্ভবপর নয়। এদিকে কাশ্মীরে প্রচণ্ড শীতের দিনও ঘনিয়ে আসছে। দেরী করলে হয়ত বরফের জন্য পথ বন্ধ হ'য়ে যাবে - শ্রীনগর পৌঁছবার আশা ত্যাগ করতে হবে।" - শ্রী অশোক মুখোপাধ্যায়ের লেখনীতে "সাইকেলে কাশ্মীর ও আর্য্যাবর্ত্ত"র চতুর্থ পর্ব |
"কম্বল থেকে মুখ বার করে বাইরের ঠান্ডার একটা মৃদু আভাস পাওয়া গেল। একটা সন্ত্রাসবাদী হাওয়া টেন্টের দেওয়ালে ঝাপটা মারছে। উঠতে হবে। যত সকালে পারা যায় এখান থেকে পালানোর টার্গেট। তাছাড়া আজ তুঙ্গনাথ অ্যাটেম্পট করার কথা।" |
~ আরশিনগর ~
সপ্তাহ-অন্তের ভ্রমণে বাংলার পোড়ামাটির মন্দির – অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় |
|
~ সব পেয়েছির দেশ ~
একটি চাদরাবৃত অভিজ্ঞতা – অভিষেক মারিক |
গুজরাটে দেবাদিদেব ও পশুরাজদর্শন – অরিন্দম দত্ত |
~ ভুবনডাঙা ~
ওলন্দাজদের দেশে – পরাগ রঞ্জন দত্ত | |
আনদংঃ কোরিয়ান ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান |
~ শেষ পাতা ~
হলং-এ দুরাত্তির – বাপ্পাদিত্য বর্মন |
শীতে জমে যাওয়া জাঁসকর নদীখাত বেয়ে চাদর ট্রেক - আলোকচিত্রী অভিষেক মারিক
ভালো লাগলে জানান বন্ধুদের |
||