~ ৬ষ্ঠ বর্ষ ১ম সংখ্যা - বৈশাখ ১৪২৩ ~
কেমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে – পাঁচটা বছর কেটে গেল! ২০১১ সালের ১২ মে 'আমাদের ছুটি'-র পথচলা শুরু হয়েছিল। তার নির্মাণ পর্ব চলেছিল আরও দুবছর আগে থেকেই, সেই ২০০৯ সাল থেকে ছবি, তথ্য, লেখা সব জড়ো করার পালা। গত কয়েক বছরে বদলে বদলে গেছে সহযোগিতার হাত। এই মুহূর্তে 'আমাদের ছুটি'-র সঙ্গে খুব সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন – সহ সম্পাদক সুদীপ্ত দত্ত আর আমাদের সকলের প্রিয় সুবীরদা ও বাপ্পাদা - অর্থাৎ সুবীর কুমার রায় এবং তপন পাল।
প্রায় কোনও প্রচার না থাকলেও 'আমাদের ছুটি' যে বেশ কিছু পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে তা শুধু গুগল অ্যানালিটিকসের তথ্য থেকে নয়, নানা টুকরো টুকরো প্রতিক্রিয়াতেও বুঝতে পারি। ওয়েবসাইটে মতামতের পাতায়, ফেসবুকে, ই-মেলে পত্রিকাটিকে ভালোলাগার অনুভূতির কথা নিয়মিতই কেউ না কেউ জানান। একাধিক পাঠক এমনও জানিয়েছেন যে, বিনামূল্যেই এত ভালো সব লেখা পাচ্ছেন যে প্রিন্টেড ভ্রমণ পত্রিকা না কিনলেও চলে! 'আমাদের ছুটি'-র পাতাতেই লেখালেখি শুরু করে এখন নিয়মিত লেখক হয়ে ওঠার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন কেউকেউ। আবার কোনও পাঠক পত্রিকা প্রকাশ কেন এত দেরি করে হয় তাই নিয়ে ক্ষোভও জানিয়েছেন।
পাঠকদের কাছে আবারও আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, বছরে চারটের বেশি সংখ্যা প্রকাশের আয়োজন কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। তবে লেখার ধরণে নানা বৈচিত্র্য এনে গতানুগতিক ভ্রমণ কাহিনির বাইরে অন্যস্বাদ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। এই সংখ্যায় স্মৃতির ভ্রমণের পাতায় স্বনামধন্য লেখিকা মেরি ওলস্টোনক্রফটের দীর্ঘ ভ্রমণকাহিনির একটি টুকরো অনুবাদে দেওয়া হল। আগামীদিনে এমন আরও বিদেশি পুরোনো ভ্রমণকাহিনির অনুবাদ পাঠকের দরবারে হাজির করবার ইচ্ছে রইল।
জনপ্রিয়তার স্বাভাবিকভাবেই কিছু মন্দ দিকও থাকে। তার ভুক্তভোগী আমরাও। 'উত্তরের সারাদিন' নামে উত্তরবঙ্গকেন্দ্রিক একটি সংবাদপত্র গত বেশ কয়েকমাস ধরে নিয়মিতভাবেই কোনও অনুমতি বা স্বীকৃতি ব্যতিরেকেই 'আমাদের ছুটি' থেকে লেখা ও তথ্য তাঁদের কাগজে পুনঃপ্রকাশ করছিলেন। একই কাজ করছিল বাংলাদেশের একটি নিউজ পোর্টাল বিসিসি টোয়েন্টি ফোর নিউজ ডট কম যারা কিনা নিজেদের 'সততার প্রতীক' ঘোষণা করে! এছাড়াও দুটো-একটা লেখা বিচ্ছিন্নভাবে অন্য দু-একটা ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে তা নজরে এসেছে আমাদের। যথাবিধি চিঠি পাঠানোর পর চৌর্য্যবৃত্তি বন্ধ হয়েছে, কিন্তু খোলাখুলি স্বীকার করতে হয়ত তাঁদের সকলেরই 'সততায়' বেঁধেছে।
'আমাদের ছুটি' তার নিজের যোগ্যতায় আর আপনাদের আগ্রহে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। ভ্রমণ ও তার কাহিনি লেখার মারফত সারা পৃথিবীর বাঙালির মধ্যে যে একটা বন্ধুত্ব গড়ে তোলা যায়, পাঁচ বছর আগে দেখা এই স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। যে যত্নে প্রতিটি সংখ্যার নির্মাণ হয় তা কি কয়েকটা লেখা আর ছবি টুকে প্রকাশ করে দিয়ে নিজেদের সততার প্রতীক বলে জারি করলেই হয়ে যায়? তার গায়ে যে ভালোবাসা আর মায়া মাখানো থাকে তা তো চুরি করা যায় না। অনেক কিছুই হয়না, হওয়া যায় না, অর্জন করতে হয়। অনেক কিছুই হয়না, নির্মাণ করতে হয়।
এই পাঁচ বছরে 'আমাদের ছুটি' আমার নিজের কাছে তেমনই এক অর্জন, এক নির্মাণ। পাঠকের কাছে তা কী সেটা তাঁরাই জানাবেন।
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
সম্পাদকের পত্র – প্রমদাচরণ সেন |
জীবনে প্রথমবার ট্রেকিং করতে গিয়ে ঘুরেছিলেন হেমকুণ্ড, ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স, বদ্রীনারায়ণ, মানা, বসুধারা, ত্রিযুগী নারায়ণ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী-গোমুখ ও যমুণোত্রী। ফিরে এসে ডায়েরির পাতায় লিখে রেখেছিলেন ভ্রমণের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা। - সুবীর কুমার রায়ের ভ্রমণ ধারাবাহিক 'হিমালয়ের ডায়েরি'-র অষ্টম পর্ব 'যমুনোত্রীর পথে – গোমুখ থেকে উত্তরকাশী' |
~ আরশিনগর ~
দাঁতনে – বুদ্ধদন্তের খোঁজে – তপন পাল |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
বিষ্ণুর উপত্যকায় – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় |
ভারতের হৃদয়ের খোঁজে– সৌমিত্র বিশ্বাস |
~ ভুবনডাঙা ~
অ্যাজটেকদের দেশে – শ্রাবণী ব্যানার্জী |
~ শেষ পাতা ~
ঈশ্বরের চিত্রপট তাকদায় – উদয়ন লাহিড়ি |
স্টেইনডালফসেন জলপ্রপাত, নরওয়ে - আলোকচিত্রী- শ্রী কণাদ চৌধুরী
ভালো লাগলে জানান বন্ধুদের |
||