~ ৬ষ্ঠ বর্ষ ২য় সংখ্যা - শ্রাবণ ১৪২৩ ~
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে সুন্দরবনকে ধ্বংস করা চলবে না – এমন একটা জোরালো আবেদন বেশ কিছুদিন ধরেই উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওদিকে ভারত-বাংলাদেশ উভয় পক্ষের সরকারের তরফ থেকে প্রকল্পটিকে দুই দেশের মৈত্রী সূচক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে! বিষয়টি নিয়ে শ্রী দেবাশিস সেনগুপ্তের একটি লেখা পড়ে আর 'আমাদের ছুটি'-র নিয়মিত লেখক তুহিন ডি খোকনের অনুরোধে সম্পাদকীয়তে এই প্রসঙ্গে দু-একটি কথা বলি।
রামপাল জায়গাটি বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। সুন্দরবনের যে অংশটি বাংলাদেশে রয়েছে তার থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে। তার মধ্যে আবার মাঝের ১০ কিমি 'বাফার জোন' মানে স্বল্প ঘনত্বের জঙ্গল। মোদ্দা কথা যা দাঁড়াচ্ছে, জঙ্গলের এলাকা থেকে মোটামুটি ৪ কিমি দূরেই তৈরি হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। প্রকল্পটি ভারত সরকারের তরফে এনটিপিসি এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎমন্ত্রক বিপিডিবি-র যৌথ উদ্যোগ। দুপক্ষই এতে সমপরিমাণ অর্থ লগ্নি করেছে। উপরন্তু, নির্মাণের পর আগামী দশ বছর ধরে প্ল্যান্টটির দেখভালের দায়িত্বও এনটিপিসি-র ওপরেই। কয়লাচালিত হওয়ায় নিয়মিতই বর্জ্য পদার্থ হিসেবে নির্গত হবে কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড। বিপুল পরিমাণ এই কয়লাও আসবে সুন্দরবনের জলপথেই সারা বছর ধরে বহুসংখ্যক মালবাহী জাহাজে। একনাগাড়ে উড়ে আসা কয়লার গুঁড়ো, সালফারের পুরু আস্তরণ ঢেকে দেবে জল-জঙ্গল। যদিও বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রক এবং এনটিপিসি পরিবেশ দূষণের এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে! ঘোষণা করা হয়েছে এই প্রকল্প হবেই।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল বেশ কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গেও সুন্দরবন অঞ্চলে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথা শোনা গিয়েছিল। তখনই পরিবেশ সচেতন বিভিন্ন মহল থেকে জোর আপত্তি ওঠায় ব্যাপারটি ধামাচাপা পড়ে। পরবর্তীতে কাঁথির কাছে হরিপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসানোর জোরালো প্রস্তাব এলেও সাধারণ মানুষের তীব্র প্রতিবাদকে মর্যাদা দিয়ে রাজ্যসরকার সম্প্রতি সেটি নাকচ করেছে।
কন্যার পরিবেশবিজ্ঞানের পাঠ্য বই-এ দুরকমের ইকোলজি চর্চার কথা পড়েছিলাম – 'শ্যালো ইকোলজি' আর 'ডিপ ইকোলজি'। খুব ছোট্ট করে বলতে গেলে পরিবেশের উপর সামগ্রিক প্রভাবের কথা খেয়াল না করে শুধু মানবসমাজের কল্যাণের কথা চিন্তা করা হল 'শ্যালো ইকোলজি'চর্চা আর পরিবেশের কোনও রকম রদবদল ঘটানোর আগে তাতে জীবজগতের সুদূরপ্রসারী কী ফলাফল হতে পারে সেই ভাবনা হল 'ডিপ ইকোলজি'-র দর্শন। আর এসব লিখতে লিখতে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়ে কেবল কানে ভাসছিল শ্রাবণী ব্যানার্জির 'সুন্দরবন দর্শন' লেখার শেষে লেখিকার বাবার কথাটি, "মনে রাখিস পৃথিবীটা শুধুমাত্র মানুষের জন্য নয়।"
- দময়ন্তী দাশগুপ্ত
এই সংখ্যায় -
৯/১১, গ্রাউন্ড জিরো এবং সেই চিঠি |
জীবনে প্রথমবার ট্রেকিং করতে গিয়ে ঘুরেছিলেন হেমকুণ্ড, ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স, বদ্রীনারায়ণ, মানা, বসুধারা, ত্রিযুগী নারায়ণ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী-গোমুখ ও যমুণোত্রী। ফিরে এসে ডায়েরির পাতায় লিখে রেখেছিলেন ভ্রমণের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা। - সুবীর কুমার রায়ের ভ্রমণ ধারাবাহিক 'হিমালয়ের ডায়েরি'-র অন্তিম পর্ব 'পথের শেষে যমুনোত্রীতে'' |
~ আরশিনগর ~
শিলাবতীর পাড়ে – সুদীপ্ত মজুমদার |
~ সব পেয়েছির দেশ ~
বর্ষায় গোয়ায় – শ্রাবণী দাশগুপ্ত |
হিরাপুরের যোগিনীরা – দময়ন্তী দাশগুপ্ত |
~ ভুবনডাঙা ~
~ শেষ পাতা ~
লাভডেলের শেষ ট্রেন – সুপর্ণা রায় চৌধুরী |
আন্দামানের সৈকতে - আলোকচিত্রী- রত্নদীপ দাশগুপ্ত
ভালো লাগলে জানান বন্ধুদের |
||